গণভোট
ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা হতে পারে: সিইসি
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মক ভোটিং কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, তফসিল, আমরা আশা করছি, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে হবে। তারিখগুলো (ভোটের দিন, মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়) তখনই জানতে পারবেন। তফসিল ঘোষণার সময়ই সব জানানো হবে।
আজ সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মক ভোটিং কার্যক্রম চালায় নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, আদর্শ পরিবেশে কীভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা যায়, তা দেখতেই এই কার্যক্রম। ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া জনগণকে দেখাতে এবং দুই ব্যালটে ভোট দিতে কত সময় লাগে—তা পরিমাপ করতেও এই মক ভোটিং করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ সময় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কখনো ভালো ছিল না। এখন আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র্যাব, সেনাবাহিনী সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। আগেও চুরি-ছিনতাই হয়েছে, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। পরিস্থিতি আরও ভালো হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
গণভোটের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষ্য, গণভোট নিয়ে এখনো সেভাবে প্রচারণা শুরুই হয়নি। সরকার এবং ইসি একসঙ্গে ব্যাপক প্রচারণা চালাবে, সেভাবেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। গণভোটের যে বিষয়গুলো, এটা আমাদের প্রচারণার একটা বিশাল অংশ জুড়ে থাকবে। প্রচারণাটা যখন শুরু হবে, তখনি না আপনি বুঝতে পারবেন যে মানুষ জানল কি জানল না!
৫ দিন আগে
ভবিষ্যতে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তন চাইলে গণভোট লাগবে: আলী রীয়াজ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, বিদ্যমান সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার অন্তর্ভুক্তির পর ভবিষ্যতে এই ব্যবস্থা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গণভোটের প্রয়োজন হবে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৪তম দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
কমিশনের সহসভাপতি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো মতভেদ নেই বলে এর পরিবর্তনে গণভোটের কথা বলা হয়েছে।
আগামী সপ্তাহে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান নিয়োগের বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আলোচনায় সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া গেছে বলে উল্লেখ করে কমিশনের সহসভাপতি বলেন, যদি উচ্চকক্ষ গঠিত না হয় বা উচ্চকক্ষ হওয়া পর্যন্ত সংবিধানের সংশোধনের জন্য সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থনের প্রয়োজন হবে৷ তবে সুনির্দিষ্ট কিছু অনুচ্ছেদ—যেমন: প্রস্তাবনা, রাষ্ট্রের মূলনীতি, অনুচ্ছেদ ৪৮, ৫৬, ১৪২ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংক্রান্ত ৫৮খ, ৫৮গ, ৫৮ঘ ও ৫৮ঙ সংবিধানে যুক্ত হলে তা সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোটের প্রয়োজন হবে।
পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক চ্যালেঞ্জে সরকারের পাশে থাকার ঘোষণা বিএনপির
সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ও জোট দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ প্রতিষ্ঠার পক্ষে মত দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ের আলোচনাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠ দল এ মত প্রকাশ করেছে। তবে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আজও ঐকমত্য হয়নি। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল বলছে, ভোটের সংখ্যানুপাতে যেন উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়; অন্যদিকে আসনের সংখ্যানুপাতেও উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো এ বিষয়ে একাধিক আলোচনার পরও ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি, সেহেতু দল ও জোটগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব কমিশনের ওপর অর্পণ করা হয়েছে। ঐকমত্য কমিশন নিজেদের মধ্যে এবং পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার মাধ্যমে আগামী সপ্তাহে একটি অবস্থানে পৌঁছার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি-সহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
১৪২ দিন আগে
ঐকমত্য কমিশন ‘পক্ষপাতদুষ্ট’, অভিযোগ এনসিপি ও গণ অধিকার পরিষদের
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের অনকূলে একের পর এক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। পাশাপাশি, নামসর্বস্ব দলকে আমন্ত্রণ জানিয়ে আলোচনা প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে অভিযোগ তুলেছে গণঅধিকার পরিষদ।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফায় মঙ্গলবারের (১৭ জুন) আলোচনা প্রসঙ্গে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ‘সংস্কার প্রশ্নে বিএনপির প্রস্তাবের দিকেই ঝুঁকে গেছে কমিশন। একটি দলকে সুবিধা দিতে গিয়ে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে কমিশন।’
সংস্কার প্রশ্নে এতদিন অধ্যাদেশ জারি বা গণভোটের মতো ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হলেও এখন নির্বাচন এবং নির্বাচন পরবর্তী সংস্কারের দিকেই জোর দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এ নেতা।
আদীব বলেন, ‘এমন অনেক দলকে আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছে তাদের সাংগঠনিক কাঠামো ও নিবন্ধন নেই। এসব দল আলোচনায় এসেছে নির্দিষ্ট একটি দলকে সুবিধা দিতে। একটি নির্দিষ্ট দল যা বলছে, তাতেই সায় দিচ্ছে এ দলগুলো। আবার ওই দলের বিপক্ষে কেউ কথা বললে রীতিমতো হট্টগোল করছে তারা।’
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান রাজনৈতিক দলের অবদানে সফল হয়নি, সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে হয়েছে উল্লেখ করে আদীব বলেন, ‘জুলাই সনদের জন্য শুধু রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করলে হবে না। পেশাজীবী সংগঠনের অংশগ্রহণ এবং সাধারণ মানুষের মতামতের ওপর ভিত্তি করে জুলাই সনদ করতে হবে।’
সংস্কার প্রক্রিয়ায় গণভোটের ওপর জোর দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘৯০ এর সময়েও অনেকেই অনেক সংস্কারে একমত হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। সংস্কার চাইলে গণভোটের বিকল্প নেই।’
ভূঁইফোঁড় রাজনৈতিক দলের আলোচনায় অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে নুর বলেন, ‘কোন প্রক্রিয়ায় কমিশন এদের ডাকছে আমার জানা নেই। অনেক নামসর্বস্ব দলকেও আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছে। এতে করে আলোচনার পরিবেশ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।’
এতদিন নির্বাচনের কথা বললেও এখন কেন সবার আগে সংস্কার চায় গণপরিষদ এমন প্রশ্নের জবাবে নুর বলেন, ‘৫ আগস্টের পর পেশিশক্তির কোনো পরিবর্তন হয়নি। নিজ এলাকায় গিয়ে বুঝেছি এখনো নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। এজন্য গণভোটের মাধ্যমে সংস্কার চাচ্ছি।’
এনসিপির মতো গণপরিষদও জুলাই সনদে শুধু রাজনৈতিক দলের মতামত না, সবার অংশগ্রহণের ওপর জোর দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় যোগ দেয়নি জামায়াত
১৭০ দিন আগে
কানাডা থেকে বিচ্ছিন্ন হতে গণভোটের প্রস্তাব আলবার্টার প্রধানমন্ত্রীর
পর্যাপ্ত সংখ্যক মানুষের সম্মতি পেলে কানাডা থেকে আলাদা হতে আগামী বছর একটি গণভোটের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির তেলসমৃদ্ধ প্রদেশ আলবার্টার প্রধানমন্ত্রী ড্যানিয়েল স্মিথ।
সোমবার (৫ মে) সরাসরি সম্প্রচার হওয়া এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘প্রদেশটি কানাডা থেকে বিছিন্ন হয়ে যাক, আমি ব্যক্তিগতভাবে তা চাচ্ছি না।’ এ সময়ে ঐক্যবদ্ধ কানাডার মধ্যে একটি শক্তিশালী ও সার্বভৌম আলবার্টা নিয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ড্যানিয়েল স্মিথ বলেন, ‘গত এক দশকে আমাদের প্রদেশের ওপর অটোয়া যেভাবে চেপে বসেছে, সেটা চলতে থাকবে কিনা; আলবার্টার জনগণ সেই সিদ্ধান্ত নেবেন। আমি তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।’
আরও পড়ুন: কানাডার নির্বাচনে জয় পেল প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টি
কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টি টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসার এক সপ্তাহ পর ড্যানিয়েল স্মিথের এমন ঘোষণা এসেছে। এছাড়া প্রতিবেশী দেশের অর্থনীতির ওপর ক্রমাগত শুল্কারোপের হুমকি দিয়ে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কানাডাকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের একান্নতম অঙ্গরাজ্য হিসেবে একীভূত করতে চাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (৬ মে) হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে মার্ক কার্নির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
একটি প্রাদেশিক গণভোটের জন্য আবেদনকারীদের যেসব শর্ত পূরণ করতে হতো, সেই বাধা কমিয়ে আনতে একটি আইন প্রণয়ন করেছে আলবার্টার ক্ষমতাসীল দল ইউনাইটেড কনজারভেটিভ। তবে আইনটি এখনো পার্লামেন্টে পাস হয়নি।
আইনটি পাস হয়ে গেলে নাগরিকদের নেওয়া উদ্যোগে গণভোটের নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। পাশাপাশি গণভোটের জন্য ১০ শতাংশ ভোটারের সই লাগবে, আগে যেটা ছিল ২০ শতাংশ।
এছাড়া আবেদনে এক লাখ ৭৭ হাজার ভোটারের সইয়ের জন্য আগে যেখানে ৯০ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, সেটা বাড়িয়ে ১২০ দিন করা হয়েছে।
আলবার্টার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোনো বিশেষ সুবিধা কিংবা সহায়তা চাচ্ছি না, বরং উন্নয়ন এগিয়ে নিতে আলাদা হতে চাচ্ছি, যাতে আমাদের বিপুল সম্পদ আমরা রফতানি করতে পারি।’
‘জনগণকে কীভাবে আমরা স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও সামাজিক সুবিধা দেব, আমরা সেটা বেছে নেওয়ার জন্য স্বাধীনতা চাই; এমনকি সেটা যদি অটোয়ার পরিকল্পনার তুলনায় ভিন্নভাবেও করা হয়,’ বলেন তিনি।
কেন্দ্রীয় সরকারের যেসব নীতির কারণে আলবার্টার লোকজন ক্ষুব্ধ, সেগুলোর অবসানে একটি আলোচক টিম গঠন করবেন বলেও জানিয়েছেন ড্যানিয়েল স্মিথ। আলবার্টাবাসীর কষ্ট ও আইডিয়ার কথা শুনতে ধারাবাহিকভাবে একটি প্যানেল আলোচনা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এডমন্টনের ম্যাকইওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জন সরোসকি বলেন, ‘মানুষের মধ্যে ক্ষোভ থাকতে পারে। সেটা যে একেবারে বিচ্ছিন্নতার দিকে যাবে, তা আমি বলতে পারছি না। তাদের অভাব-অনুযোগ গুরুতর। কিন্তু বিচ্ছিন্নতার শঙ্কা একেবারে অসম্ভব।’
আরও পড়ুন: মরক্কো ছেড়ে কানাডায় যাওয়া রাষ্ট্রদূত হারুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার
এরআগে ১৯৮০ ও ১৯৯৫ সালে কানাডা থেকে আলাদা হয়ে যেতে গণভোটের আয়োজন করে ফরাসিভাষী প্রদেশ কুইবেক। কিন্তু দুবারই তারা ব্যর্থ হয়েছে।
এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, ‘আমি মনে করি না, স্মিথ বিচ্ছিন্নতা চাচ্ছেন। যেহেতু আলবার্টার লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ আছে, সেই ভাবনা থেকে কানাডার কাছ থেকে কিছু সুবিধা আদায় করতে চাচ্ছেন তারা।’
২১২ দিন আগে
ইউক্রেনের ৪টি অঞ্চলে গণভোটের বিরুদ্ধে আনা নিন্দা প্রস্তাবে রাশিয়ার ভেটো
জাতিসংঘের উত্থাপিত এক নিন্দা প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার জাতিসংঘের উত্থাপিত এই প্রস্তাবে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলে আয়োজিত গণভোটকে অবৈধ ঘোষণা করা হবে এবং মস্কোর দাবিকৃত ভূখণ্ডের কোনো দখলকে স্বীকৃতি না দেয়ার জন্য সমস্ত দেশকে অনুরোধ করা হবে।
১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে ১০-১ ভোট পড়েছে এবং চীন, ভারত, ব্রাজিল ও গ্যাবন এসময় ভোট প্রদানে বিরত ছিল।
প্রস্তাবটি রাশিয়ার ‘ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রার বেআইনি আক্রমণ’ অবিলম্বে বন্ধ করার এবং ইউক্রেন থেকে তার সমস্ত সামরিক বাহিনীকে অবিলম্বে ও নিঃশর্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড ভোটের আগে বলেছিলেন যে রাশিয়ার ভেটোর ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও আলবেনিয়া বলেছে তারা এটিকে ১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদে নিয়ে যাবে, কেননা সেখানে কোনো ভেটো নেই।
তিনি আরও বলেন, তরা দেখাবে যে বিশ্ব এখনও এই সিদ্ধান্তে সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করার পক্ষে রয়েছে।
আগামী সপ্তাহে এটা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত বারবারা উডওয়ার্ড জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বিবৃতিকে সমর্থন বলেন যে রাশিয়ার কর্মকাণ্ড জাতিসংঘের সনদ লঙ্ঘন করেছে এবং এর নিন্দা করা উচিত।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়া যে এলাকাটিকে সংযুক্ত করার দাবি করছে সেটি ৯০ হাজার বর্গকিলোমিটারেরও বেশি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটিই সবচেয়ে বড় জোরপূর্বক ভূখণ্ড দখল। এ বিষয়ে কোনো মধ্যপন্থার সুযোগ নেই।’
আরও পড়ুন: বিশ্বে গণতন্ত্রের পশ্চাদপসরণ ঘটছে: জাতিসংঘ মহাসচিব
কাউন্সিলের ভোটটি ক্রেমলিন অনুষ্ঠিত এ জমকালো আয়োজনের কয়েক ঘন্টা পরেই অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়া অধিকৃত ইউক্রেনীয় অঞ্চল লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়াকে অধিগ্রহণ করার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন এবং বলেন যে এগুলো এখন রাশিয়ার অংশ এবং মস্কো এগুলো রক্ষা করবে।
থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেছেন যে অঞ্চলগুলো রাশিয়ায় যোগ দিতে চায় কিনা তা নিয়ে ‘জাল’ গণভোটের ফলাফল মস্কোতে পূর্বনির্ধারিত ছিল এবং সবাই তা জানে। তাদের দিকে রুশ বন্দুক তাক করে রাখা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের সনদের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার পবিত্র নীতিগুলোকে রক্ষা করতে হবে। ’
থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘পুতিন ইউক্রেনীয়দের সংকল্পের ভুল হিসাব করেছেন। ইউক্রেনের জনগণ উচ্চস্বরে ও স্পষ্টভাবে দেখিয়েছে যে তারা কখনই রুশ শাসনের অধীন হওয়া মেনে নেবে না।’
রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া গণভোটকে সমর্থন করে দাবি করেন যে ইতালি, জার্মানি, ভেনিজুয়েলা ও লাটভিয়া থেকে ১০০ টিরও বেশি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক ভোটটি পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং তারা এই ফলাফলকে বৈধ বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, গণভোটের ফলাফল তাদের পক্ষে আসে। এসব অঞ্চলের বাসিন্দারা ইউক্রেনে ফিরতে চায় না। তারা স্বেচ্ছায় আমাদের দেশের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি পছন্দ করেছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন সংঘাতে ৩৭৫২ বেসামারিক মানুষের প্রাণহানি: জাতিসংঘ
নেবেনজিয়া আরও বলেন, ‘আজকের উত্থাপিত এই খসড়া প্রস্তাব বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করা হলে, ফিরে তাকানোর সুযোগ থাকবে না।’
তিনি কাউন্সিলে পশ্চিমা দেশগুলোকে প্রকাশ্য শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য অভিযুক্ত করে বলেন, কাউন্সিলের সদস্যদের নিন্দা জানিয়ে ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভেটোতে বাধ্য করার মাধ্যমে তারা নিম্ন স্তরে পৌঁছেছে।
চলতি বছরের শুরুতে গৃহীত একটি প্রস্তাবের অধীনে রাশিয়াকে আগামী সপ্তাহগুলোতে সাধারণ পরিষদের সামনে তার ভেটো রক্ষা করতে হবে।
চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং জুন বলেন, ‘সব দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করা উচিত। কিন্তু চীন বিরত ছিল। কারণ এটি বিশ্বাস করে যে নিরাপত্তা পরিষদের উচিত সংঘাতকে তীব্রতর করার এবং সংঘাত বাড়ানোর পরিবর্তে সংকট শান্ত করার চেষ্টা করা।’
ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত রোনালদো কস্তা ফিলহো বলেন, গণভোটগুলোকে বৈধ হিসেবে বিবেচনা করা যায় না এবং তার দেশ সার্বভৌম রাষ্ট্রগুলোর আঞ্চলিক অখণ্ডতার নীতির পক্ষে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এটি বিরত ছিল কারণ প্রস্তাবটি উত্তেজনা কমাতে ও ইউক্রেনের সংঘাতের সমাধান খুঁজে পেতে অবদান রাখেনি।
আরও পড়ুন: যুদ্ধ: ইউক্রেনে রেকর্ড মানবিক সহায়তা সংকটের মুখে জাতিসংঘ
১১৬০ দিন আগে