অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন
বিএনপি ভোটে না এলেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে: সালমান এফ রহমান
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, বিএনপি ভোটে না এলেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিদেশিরা যেমন সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে, প্রধানমন্ত্রী ঠিক সেই রকমই সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করছেন।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) দোহার ও নবাবগঞ্জে আলাদাভাবে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তনের একমাত্র উপায় নির্বাচন: বৈঠকে সালমান এফ রহমান ও মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া
শুরুতেই নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে তার মনোনয়নপত্র জমা দেন সালমান এফ রহমান।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুই-একটা দল ছাড়া বাকি সব দলই ভোটে অংশ নিচ্ছে।
এ ছাড়া অনেক আসনে আওয়ামী লীগেরও স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকা ভোটের জন্য ইতিবাচক বলেও দাবি তার।
সালমান এফ রহমান বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
এ ছাড়া সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, তাদের উদ্দেশে বলব— কোনো অপশক্তি এ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারবে না। কারণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, যারা নির্বাচনের ট্রেনে উঠবে না, তারা গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। তাই তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাই।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেসব রাজনৈতিক সংগঠন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে তাদের সাধুবাদ জানাই।
তিনি বলেন, যেসব রাজনৈতিক সংগঠন নির্বাচনে অংশ নেয়নি তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাই।
তিনি বলেন, কোনো অপশক্তি নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আন্তর্জাতিক চাপ আছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, এটাকে আমি চাপ বলব না।
আরও পড়ুন: সরকার পরিবর্তন করতে হলে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে: সালমান এফ রহমান
তিনি আরও বলেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব গণতান্ত্রিক ও সংবিধানপরিপন্থী কোনো কাজ বর্তমান সরকার করছে না।
১ বছর আগে
মির্জা ফখরুলের মুক্তির দাবি ৬৮ জন বিশিষ্ট নাগরিকের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দেশের ৬৮ জন বিশিষ্ট নাগরিক।
এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতা পরিহার এবং সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথ তৈরিতে ফখরুলের মুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে এক পুলিশ কনস্টেবলসহ দুইজন নিহত হন। এর একদিন পর গুলশানের বাসা থেকে বিএনপি মহাসচিবকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে ঢাকা মহানগর হাকিম রাশিদুল আলম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করলে তাকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গেলেন মির্জা ফখরুল
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জাতি এখন একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নিজেও এই অঙ্গীকারের কথা বলেছেন।’
এতে আরও বলা হয়, আগামী তিন মাসের মধ্যে নিরপেক্ষ সরকারের তত্ত্বাবধানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার দাবি জোরালো হচ্ছে।
তারা বলেন, 'এই মুহূর্তে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তারের ফলে শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রক্রিয়া বিপন্ন হয়েছে। আমরা দেখেছি, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে দৃঢ় বিশ্বাসী।’
তারা আরও বলেন, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ফখরুলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ‘আমরা বিশ্বাস করি, মির্জা ফখরুলের মুক্তি রাজনীতিতে সংঘাত পরিহার এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’
বিএনপি মহাসচিবকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে সরকার শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথ সুগম করবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিশিষ্ট নাগরিকরা।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন লেখক বদরুদ্দীন ওমর, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক আহমেদ কামাল, অধ্যাপক সাইদুর রহমান, অধ্যাপক এটিএম নুরুল আমিন, অধ্যাপক সাদরুল আমিন, অধ্যাপক আকমল হোসেন, অধ্যাপক এ এফ এম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক তাজমেরী ইসলাম, অধ্যাপক চৌধুরী আবরার, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী ও অধ্যাপক মোরশেদ হাসান খান।
বিবৃতিটি বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তবে, ৬৮ জন নাগরিক এতে স্বাক্ষর করেছেন কি না- সে বিষয় ইউএনবি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুল আটক
মির্জা ফখরুল সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন
১ বছর আগে
সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে মনোযোগ মার্কিন পর্যবেক্ষণ মিশনের: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন বিষয়ক পর্যবেক্ষণ মিশনের মূল ফোকাস।
মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আজকের বৈঠকে আমেরিকার প্রি-অ্যাসেসমেন্ট টিম আমাদের রোল, দায়িত্ব, কর্মকাণ্ড, সরকারের সঙ্গে ইসির (নির্বাচন কমিশন) কো-অর্ডিনেশন ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আমরা তাদের আমাদের পক্ষ থেকে ইসির রোল, সরকারের রোল, সরকারের সঙ্গে ইসির কো-অর্ডিনেশন সবকিছু সম্পর্কে জানিয়েছি।’
আরও পড়ুন: অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো ঘাটতি হবে না: সিইসি
তিনি আরও বলেন, ‘সর্বোপরি তারা আমাদের কাছে যা যা জানতে চেয়েছেন, আমরা সবকিছু জানিয়েছি। এরপরে তারা কী করবেন আমরা জানি না। তারা হয়তো দেশে ফিরে গিয়ে পর্যালোচনা করে পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি পাঠাবে না- এর সিদ্ধান্ত নেবেন।’
ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) ৬ সদস্যের যৌথ প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন (পিইএএম) নির্বাচনের প্রস্তুতি রক্ষণাবেক্ষণ ও এর অগ্রগতির একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ মূল্যায়ন করতে শনিবার বাংলাদেশে এসেছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন আইনত সঠিক হয় কি না তা দেখবে ইসি : সিইসি
১২ অক্টোবর পর্যন্ত তারা সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কর্তৃপক্ষ, নাগরিক সমাজসহ বিভিন্ন নির্বাচনী অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
প্রতিনিধি দলের সহ-সভাপতিত্ব করছেন দক্ষিণ এশীয় বিষয়ক সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কার্ল এফ ইন্ডারফার্থ এবং ইউএসএআইডির সাবেক ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বনি গ্লিক। প্রতিনিধি দলে আরও আছেন- মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক সদস্য মারিয়া চিন আবদুল্লাহ, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাবেক সহযোগী পরামর্শদাতা জামিল জাফর, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এনডিআই আঞ্চলিক পরিচালক মনপ্রীত সিং আনন্দ এবং আইআরআই’র এশিয়া-প্যাসিফিক ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক জোহানা কাও।
দলটি ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ নিতে চাই: সিইসি
১ বছর আগে
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, মানবাধিকার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য সমগ্র বিশ্ব বাংলাদেশের পাশে: বিএনপি
বিএনপির সিনিয়র নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মানবাধিকার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সমগ্র গণতান্ত্রিক বিশ্ব এখন বাংলাদেশের পাশে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, সমগ্র বিশ্বের বিবেক এখন বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে রয়েছে। গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাকামী সব দেশই মানবাধিকার, আইনের শাসন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নির্বাচন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।’
শুক্রবার এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা বলেন, সম্প্রতি ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেন একটি বার্তা দিয়েছেন যে নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সমগ্র বিশ্ব বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তাকে (মোমেন) গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত না রাখার এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে বাকস্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে সেদিকে কড়া নজর রাখার বার্তাও দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ডা. জাফরুল্লাহ অত্যন্ত স্পষ্টবাদী, দুঃশাসন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন: বিএনপি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খসরু বলেন, যুক্তরাষ্ট্রও বাংলাদেশ সরকারকে মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে বলেছে।
ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা ও পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের অন্যান্য দেশের পরিবর্তে বিশ্ব সম্প্রদায় ও গণতন্ত্রকামী দেশগুলো কেন শুধু বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সামনে আমরা কীভাবে অপমানিত হয়েছি তা প্রকাশ পেয়েছে।’
এর আগে সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যেখানে তারা বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, মানবাধিকার এবং রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
সিলেট বিভাগীয় জাতীয়তাবাদী ছাত্র ফোরাম ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর সন্ধান ও নিরাপদে ফেরার দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে আবারও ক্ষমতা দখল করতে চায় সরকার: বিএনপি
সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী ও তার গাড়িচালক আনসার আলীকে ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানীর মহাখালী রেলক্রসিং থেকে জোরপূর্বক গুম করা হয় বলে জানা গেছে।
খসরু বলেন, গুম, মিথ্যাচার ও মিথ্যা ও ভুতুড়ে মামলার রাজনীতি করে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে বর্তমান সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ তাদের (আওয়ামী লীগ সরকারকে) রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে… বাংলাদেশের জনগণ ফ্যাসিবাদও দূর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: পাঁচ সিটি নির্বাচনে সরকারের ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি: ফখরুল
১ বছর আগে
বিদেশি রাষ্ট্রদূতের পরামর্শ যেন অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না হয়: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা পরামর্শ দিতে পারেন উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তবে তা যেন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও কূটনৈতিক শালীনতার লঙ্ঘন না হয়।
নির্বাচন নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে সব দলে সঙ্গে কথা বলতে পারেন, নির্বাচন নিয়ে সংঘাত এড়ানোর জন্য কোনো কোনো দলের সঙ্গে একান্ত কথাও বলতে পারেন। নির্বাচন তারা যা বলছেন আমরাও তাদের সাথে একমত। আমরা স্বচ্ছ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। তারা অবশ্যই পরামর্শ দিতে পারবেন, তবে তা যাতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও কূটনৈতিক শালীনতার লঙ্ঘন না হয়।’
সোমবার মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে প্রেস কাউন্সিলের বার্ষিক প্রতিবেদন গ্রহণ ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি ২০১৮ সালে সংলাপ করেছিল, তার ফল হিসেবে তারা ৫টি আসন পেয়েছে। বিএনপি একটি সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে। তারা নিজেদের কর্মীদের ওপর ইটপাটকেল মারছে। তাতে তারা হতাহত হচ্ছে। কিন্তু দোষ চাপাচ্ছে সরকারের ওপর। এসব অব্যাহত রাখলে জনগণ তাদের প্রতিহত করবে।
পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী ইন্দোনেশিয়া: রাষ্ট্রদূত
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে প্রেস কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা হয়েছে। পাঠক ও সংবাদ মাধ্যমের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে এটির প্রতিষ্ঠা। বর্তমানে প্রেস কাউন্সিলের তিরস্কার করা ছাড়া আর কোনো ক্ষমতা নেই। তবে ক্ষমতা বাড়াতে নতুন আইন প্রণয়ন চেষ্টা চলছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকদের ডাটাবেস তৈরি করা হবে। এ ব্যাপারে একটি নীতিমালার খসড়া তৈরি করেছে প্রেস কাউন্সিল। বাংলাদেশে গণমাধ্যমের যে স্বাধীনতা, তা অনেক উন্নত দেশের নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন
এসময়ে প্রেস কাউন্সিলের গত বছরের কার্যক্রম তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নিজামুল হক।
মতবিনিময়ে ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, কবি নুরুল হুদা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড উল্লেখযোগ্য কমেছে: পিটার হাস
জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও অভিযোজনে বর্ধিত তহবিল চায় ঢাকা: জাতিসংঘে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে