সুদীপ্ত হত্যা
চট্টগ্রামে সুদীপ্ত হত্যা: আ’লীগ নেতা মাসুমসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলায় নগরীর লালখান বাজার ওয়ার্ড আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক যুবলীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুমসহ ২৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩ অক্টোবর) দ্বিতীয় অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. আমিরুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।
এছাড়া এছাড়া এক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ৩০ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: পরীমণির মামলায় নাসির-অমির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৯ এপ্রিল
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, সুদীপ্ত হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন নির্ধারিত ছিল আজ। আদালত আসামিদের ডিসচার্জ পিটিশন নামঞ্জুর করে ২৪ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া ৩০ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন আদালত।
তিনি আরও বলেন, অভিযোগ গঠনের সময় ২৪ জন আসামির মধ্যে আবু জিহাদ সিদ্দিক নামে এক আসামি ছাড়া জামিনে থাকা অন্য আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুপস্থিত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর সকালে নগরের সদরঘাটের দক্ষিণ নালাপাড়ায় নিজ বাসার সামনে মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার বাবা মেঘনাথ বিশ্বাস বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
থানা পুলিশ, ডিবির হাত ঘুরে মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
আরও পড়ুন: মাদক মামলায় গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
অভিযোগপত্রে মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে ১৮ জন বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হন।
পরবর্তীতে ২৪ আসামির মধ্যে ২৩ জন জামিনে রয়েছেন।
পিবিআই’র দেয়া অভিযোগপত্রে সুদীপ্ত খুনের নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে লালখানবাজার ওয়ার্ড আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমের নাম উল্লেখ করা হয়। দিদারুল আলম মাসুমের পাশাপাশি খুনে সরাসরি জড়িত হিসেবে খাইরুল নূর ইসলাম ওরফে খায়ের, আমির হোসেন ওরফে বাবু, মোক্তার, জিহাদসহ ২৪ জনকে আসামি করা হয়।
এছাড়া সাক্ষী করা হয়েছে ৭৫ জনকে।
অভিযোগপত্রে হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দিয়ে বলা হয়, লালখানবাজার এলাকা থেকে আটটি অটোরিকশা করে দক্ষিণ নালাপাড়া গিয়েছিল হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা। পিবিআই মামলার তদন্তভার নেয়ার পর সাতটি অটোরিকশা জব্দ করে। জব্দ করা হয় একটি মোটরসাইকেলও।
এসব অটোরিকশা চালকদের মধ্যে তিন জন সাক্ষী হিসেবে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রায়হান হত্যা: অভিযোগ গঠন ফের পেছাল
২ বছর আগে