পরাজয়
আগামী ৭ জানুয়ারি চরম পরাজয়ের মুখে পড়বে সরকার: মঈন খান
বিএনপি নেতা ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি 'ডামি' নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের চরম পরাজয় হবে।
তিনি বলেন, 'সরকার ৭ জানুয়ারি বিজয়ের কথা ভাবছে। বাস্তবতা হচ্ছে, আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের চরম পরাজয় হবে।’
সমাবেশে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে দাবি করা আওয়ামী লীগ ভুল পথে হাঁটছে। ‘তারা যদি ভুল পথে চলতে থাকে তাহলে তারা ইতিহাসের ডাস্টবিনে পড়ে থাকবে। আপনাদের (আওয়ামী লীগ) উচিত এই তিক্ত সত্য উপলব্ধি করা।’
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপিপন্থী পেশাজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ শ্রমজীবী পরিষদ।
পরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈনসহ পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা পথচারীদের মাঝে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণ করেন।
তিনি নির্বাচন বাতিল করে সংসদ ও মন্ত্রিসভা ভেঙে দিয়ে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সরকারকে সঠিক পথে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, 'আপনারা বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাস দিয়ে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে দমন করতে পারবেন না। সুতরাং সমঝোতার পথে আসুন, শান্তির পথে আসুন।’
তিনি বলেন, বিএনপিসহ ৬৩টি রাজনৈতিক দল উদার, গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাসী হওয়ায় নির্বাচন বর্জন করছে। ‘এজন্য আমি সরকারকে ভুল পথ থেকে ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। দেশের মানুষের মতামতকে কীভাবে সম্মান করতে হয় তা শেখার চেষ্টা করুন। আপনারা দাবি করেন, আপনারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। যদি তাই হয়, তাহলে আপনারা কেন গণতন্ত্রকে বিসর্জন দিয়েছেন?’
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রতি বাংলাদেশের জনগণ ও বিদেশি কারোরই আস্থা নেই।
মঈন বলেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা তাদের প্রতিবেদনের মাধ্যমে বাংলাদেশে কীভাবে তথাকথিত নির্বাচন হচ্ছে তা তুলে ধরতে ঢাকায় এসেছেন।
এদিকে, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রবিবার সকালে উত্তরা রাজউক স্কুলের সামনে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের আহ্বান সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেন।
সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, সরকার যে কৌশলই অবলম্বন করুক না কেন, সাধারণ ভোটাররা নয়, শুধু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই রবিবার ভোটকেন্দ্রে যাবেন।
তিনি বলেন, 'সরকার ভেবেছিল ডামি প্রার্থী দেখিয়ে গণতান্ত্রিক বিশ্বকে দেখাবে যে সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে। কিন্তু গণতান্ত্রিক বিশ্বের কাছে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, বাংলাদেশে একটি সাজানো নির্বাচন মঞ্চস্থ হচ্ছে।
রিজভী বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ডামি নির্বাচন করে সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
তিনি বলেন, 'আপনারা (সরকার) দেশকে বিপদের দিকে ঠেলে দিলে এর পরিণতি ভালো হবে না। জনগণ নির্বাচন বয়কট করবে এবং তারা ভোটকেন্দ্রে যাবে না।
প্রথম ওয়ানডেতে ধীরগতির ওভার রেট, ভারতকে গুনতে হল জরিমানা
প্রথম ম্যাচে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ এখনও বয়ে বেড়াতে হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে। রবিবার ঢাকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ধীরগতির ওভার রেটের কারণে দলটিকে তাদের ম্যাচ ফি’র ৮০ শতাংশ জরিমানা করা হয়।
সোমবার বিকালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এ তথ্য জানায়।
আরও পড়ুন: ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
ম্যাচ রেফারিদের এমিরেটস আইসিসি এলিট প্যানেলের রঞ্জন মাদুগাল সময় বিবেচনায় গত খেলায় ৪৬ ওভার করতে চার ওভার পিছিয়ে থাকায় এই জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেয়।
আইসিসি’র নিয়ম অনুযায়ী সময়ের বিচারে প্রতি ওভার পিছিয়ে থাকার জন্য ম্যাচ ফি’র ২০ শতাংশ জরিমানা করা হয়।
বাংলাদেশের ইনিংসের সিংহভাগ ম্যাচে এগিয়ে থাকা সত্ত্বেও, ভারত শেষ পর্যন্ত এক উইকেটে পরাজিত হয়। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সাকিব আল হাসান ও এবাদত হোসেনের দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্সের কারণে মাত্র ১৮৬ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা।
সাকিব পাঁচ ও এবাদত চারটি উইকেট নেন। অন্যদিকে মেহেদীর অসাধারণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ জয় নিশ্চিত করে। কারণ হাতে ছিল মাত্র এক উইকেট, প্রয়োজন ৫১ রান। এই লক্ষ্যকে তাড়া করেই জয় ছিনিয়ে নেন তিনি।
অন্যদিকে ভারতের হয়ে মোহাম্মদ সিরাজ তিন উইকেট নিলেও হারের স্বাদ নিতে হয়।
সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায় ৭ ডিসেম্বর এবং চট্টগ্রামে ১০ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন: মিরাজের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ভারতকে ১ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বনাম ভারত ওয়ানডে: সাকিবের স্পিন দক্ষতায় ১৮৬ রানে অল-আউট ভারত
নারী টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ: পাকিস্তানের কাছে বড় পরাজয় বাংলাদেশের
চলমান নারী এশিয়া কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ।
সোমবার সিলেটে অনুষ্ঠিত নারী টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে এই পরাজয় হয় বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের।
ম্যাচের প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ ২০ ওভারে ৮ উইকেটে মাত্র ৭০ রান করে। বাংলাদেশের পক্ষে সালমা খাতুন সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন এবং নিগার সুলতানা (১৭) ও লতা মণ্ডল (১২) রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন।
আরও পড়ুন: নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব: টানা দুই জয় বাংলাদেশের
জবাবে ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান। ওপেনার সিদ্রা আমীন ও অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ যথাক্রমে ৩৬ ও ১২ রানে অপরাজিত থাকেন।
পাকিস্তানের পক্ষে ডায়ানা বেগ ও নিদা দার দুটি করে উইকেট নেন।
এই আসরে এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচে এটি পাকিস্তানের দ্বিতীয় জয়।
বাংলাদেশের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কাও দু’টি ম্যাচ খেলে একটি জয় নিশ্চিত করেছে।
আগামী ৬, ৮, ১০ ও ১১ অক্টোবর স্বাগতিক বাংলাদেশ মালয়েশিয়া, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে খেলবে।
আসরের সবগুলো ম্যাচই হবে সিলেটে।
আরও পড়ুন: জিম করতে গিয়ে চোট পাওয়ায় মুশফিকের পায়ে ৬টি সেলাই
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: সোমবার ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ