টেকসই উৎপাদন
টেকসই উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বনেতা: বিজিএমইএ পরিচালক
বাংলাদেশ টেকসই ফ্যাশনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এখানে এলইইডি সনদপ্রাপ্ত ২০৬টি সবুজ কারখানা রয়েছে। ৭৬টি প্ল্যাটিনাম-রেটেড এবং ১১৬টি গোল্ড-রেটেড সুবিধার কারখানা রয়েছে, এর মাধ্যমে পরিবেশগত বিষয়ে দেশের দৃঢ় অঙ্গীকারের বিষয়টি স্পষ্ট হয়।
গত ছয় মাসে ১৬টি প্ল্যাটিনাম এবং ৮টি গোল্ড সার্টিফিকেশনসহ ২৪টি নতুন কারখানা সংযোজনের মাধ্যমে এই প্রবৃদ্ধি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিজিএমইএ'র পরিচালক ও বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল এ সম্প্রসারণের বিষয়টি তুলে ধরেন।
বিজিএমএ’র সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আমাদের মুকুটে আরও ২টি প্লাটিনাম রেটেড লিড সনদপ্রাপ্ত কারখানা যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশকে ২০৬টি লিড সনদপ্রাপ্ত কারখানা আবাসস্থলে পরিণত করেছে। এবারে সাফল্যটি আমাদের জন্য আরও বিশাল। গাজীপুরের এস. এম. সোর্সিং পোশাক কারখানাটি ১০৬ স্কোর করেছে; এই স্কোর ইউএসজিবিসি অনুযায়ী বিশ্বের সর্বোচ্চ স্কোর। এর অর্থ হলো- গ্রিন টেক্সটাইলস লিমিটেডের (ইউনিট-৪) রেকর্ডও (স্কোর-১০৪) ছাড়িয়ে গেছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি বিশাল স্বীকৃতি। লিড প্রত্যয়িত দ্বিতীয় কারখানাটি হলো গাজীপুরের নাইস কটন লিমিটেড। এটি ৮১ পয়েন্ট অর্জন করেছে।
বিশ্ববাজারকে পরিবেশবান্ধব পোশাক উৎপাদনের দিকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারির কোনো বৈধ ভিত্তি নেই: বিজিএমইএ সভাপতি
রুবেল স্থায়িত্বের প্রতি প্রতিশ্রুতির গুরুত্বকে উল্লেখ করে আরও বলেন, শুধু প্রশংসার জন্য নয়, শিল্পের স্থায়ী সাফল্য ও কার্যকারিতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এই অর্জনের একটি উল্লেখযোগ্য নিদর্শন হলো, বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি এলইইডি সবুজ কারখানার মধ্যে ৫৪টি এখন বাংলাদেশে। এর মধ্যে শীর্ষ ১০টির মধ্যে ৯টি এবং শীর্ষ ২০টির মধ্যে ১৮টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি একটি মাইলফলক যা সম্ভবত আরও বিনিয়োগ এবং অংশীদারিত্ব আকর্ষণ করবে। এটি টেকসই উৎপাদনে বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী বৈশ্বিক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
রুবেল আরও বলেন, বাংলাদেশে এলইইডি সনদপ্রাপ্ত সবুজ কারখানার উত্থান পরিবেশগত স্থিতিশীলতার প্রতি পোশাক শিল্পের অবিচল নিষ্ঠা।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পুরোদমে উৎপাদন কার্যক্রম চলছে: বিজিএমইএ সভাপতি
১১ মাস আগে
খাদ্য অনিরাপত্তা মোকাবিলায় আইএফসি’র ৬০০ কোটি ডলারের অঙ্গীকার
বিশ্বব্যাংকের বেসরকারি খাতের শাখা ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) খাদ্য অনিরাপত্তা সংকট মোকাবিলায় বেসরকারি খাতের সক্ষমতা জোরদার এবং খাদ্য অস্থিতিশীলতায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে উৎপাদন সহায়তার জন্য নতুন এক ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থায়ন সুবিধা চালু করেছে। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, অর্থায়নের একটি মূল অংশ টেকসই উৎপাদন ও খাদ্য মজুদ সরবরাহে সহায়তা করা হবে। আর এই অর্থায়ন নতুন গ্লোবাল ফুড সিকিউরিটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রদান করা হবে।
এই অর্থ আইএফসি’র খাতগুলোকে কাজে লাগিয়ে খাদ্য মূল্য শৃঙ্খলে বেসরকারি খাতের কোম্পানিগুলোকে সহায়তা করার জন্য ব্যবহার করা হবে। আর আইএফসি’র দক্ষতা রয়েছে এরকম খাতগুলো হচ্ছে-কৃষি ব্যবসা, উৎপাদন, অবকাঠামো, প্রযুক্তি, সেইসাথে আর্থিক খাত ও বাণিজ্য অর্থায়ন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন ও খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরে বিনিয়োগ করতে হবে: ইফাদ প্রধান
আইএফসি'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাখতার দিওপ বলেন, ‘সাপ্লাই চেনকে শক্তিশালী করে এবং জনগণের সাশ্রয়ী মূল্যের খাদ্যের প্রবেশাধিকার রয়েছে ও তা বৃদ্ধি করতে পারার বিষয়টি নিশ্চিত করে এই উদ্যোগটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে স্থিতিস্থাপক খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে অবদান রাখবে।’
ইউক্রেনের যুদ্ধ ও কোভিড মহামারি থেকে একটি অসম বৈশ্বিক পুনরুদ্ধার ক্ষুধা ও অপুষ্টির ক্রমবর্ধমান মাত্রা যোগ করেছে, যা ইতোমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন ও ক্রমবর্ধমান তীব্র আবহাওয়ার ঘটনাগুলোর দ্বারা আরও খারাপ হয়েছে। এতে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে এবং ফলন হ্রাস পাচ্ছে।
প্ল্যাটফর্মটি খাদ্য সংকট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংকের তিন হাজার কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতিকে পরিপূরণে সহায়তা করবে। কারণ আইএফসি অন্যান্য অংশীদারদের সাথে সম্পর্ক বাড়াচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে উন্নয়ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ফাউন্ডেশন, ব্যাংকের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানি।
আরও পড়ুন: এশিয়ায় খাদ্য সংকট মোকাবিলায় ১৪ বিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৬০০ কোটি ডলার সহায়তার লক্ষ্য হবে খাদ্য পণ্যের বাণিজ্য সহজতর করা, কৃষকদের ইনপুট সরবরাহ করা, ইউক্রেনসহ প্রধান উৎসগুলোকে দক্ষ উৎপাদন সমর্থন করা ও গন্তব্য দেশগুলোতে খাদ্য পণ্যের কার্যকর বিতরণ করা। এই অর্থ বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থার স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করতে এবং এর জলবায়ু ও পরিবেশগত পদচিহ্ন কমাতে সহায়তা করবে।
এর মধ্যে রয়েছে কার্যকর শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, সারের প্রবেশাধিকার উন্নত করা, সার উৎপাদন ও ব্যবহারকে পরিবেশবান্ধব করা, ফসলের ক্ষতি ও খাদ্যের অপচয় কমানো, সাপ্লাই চেনের দক্ষতা উন্নত করা এবং অবকাঠামোগত প্রতিবন্ধকতা প্রশমন করা।
আইএফসি বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সদস্য। যা বাংলাদেশসহ উদীয়মান বাজারে বেসরকারি খাতের ওপর নজর রাখা বৃহত্তম বৈশ্বিক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান। ২০২২ অর্থবছরে আইএফসি উন্নয়নশীল দেশগুলোর বেসরকারি কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য রেকর্ড তিন হাজার ২৮০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিরাপদ ও পুষ্টিমান সম্পন্ন খাবার তৈরির আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
২ বছর আগে