জাতীয় গ্রিড
আদানি প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলক বিদ্যুত সঞ্চালন শুরু
ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যে আদানির এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট কয়লা-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পরীক্ষামূলক সরবরাহ শুরু হয়েছে। যদিও বিদ্যুতের শুল্কের সমস্যাগুলো এখনও সমাধান করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৮মিনিটে এটি শুরু হয়।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ফেসবুক স্ট্যাটাস অনুযায়ী, পরীক্ষার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে একই সময়ে চালু করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপের সঙ্গে 'রাষ্ট্রবিরোধী' বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিলের দাবি ডা. জাফরুল্লাহর
পিজিসিবি বলেছে, ‘আদানি প্ল্যান্ট থেকে কমবেশি ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নবনির্মিত ট্রান্সমিশন লাইন এবং সাবস্টেশনের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডের জন্য রাত ৯টায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।’
সংস্থাটি বলেছে যে তারা সীমান্তবর্তী মানকাশা এলাকা থেকে রোহনপুর হয়ে বগুড়া পর্যন্ত ১৩৪ কিলোমিটার ৪০০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন তৈরি করেছে। ‘এছাড়াও, বিদ্যুৎ সরানোর সুবিধার্থে বগুড়ায় একটি ৪০০/২৩০কেভি সাবস্টেশন স্থাপন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আদানির সঙ্গে বিদ্যুতের চুক্তি বাতিলের দাবি বিএনপির
১ বছর আগে
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু
বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করেছে বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়ে বহুল আলোচিত-সমালোচিত বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হতে শুরু করেছে।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত থেকে কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে।
২০২৩ সালের জুনে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আরও ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ চুক্তির এক যুগ পর হলেও, জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ যুক্ত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয়রা।
তবে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিবেশগত নীতিবাচক প্রভাব নিয়ে শঙ্কিত পরিবেশকর্মী ও সচেতন মহল।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ একরাম উল্লাহ বলেন, ‘আমরা বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছি। পরিবেশগত দিক বিবেচনা করে সব ধরনের কারিগরি কাজ করা হয়েছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র দুই দেশের বন্ধুত্বকে আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।’
আরও পড়ুন: রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লাবোঝাই জাহাজ নদীর চরে আটকা
২০১০ সালে ভারত ও বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের এনটিপিসি লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) নামে কোম্পানি গঠিত হয়।
এই কোম্পানির অধীন ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল) নামে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়। রামপাল উপজেলার রাজনগর ও গৌরম্ভা ইউনিয়নের সাপমারী কৈ-গর্দ্দাশকাঠি মৌজায় এক হাজার ৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ শেষে ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়।
এছাড়া এ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল হিসেবে আমদানি করা কয়লাও সুন্দরবনের অন্যতম পশুর নদ দিয়ে পরিবহন করা হবে।
দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ চুক্তির একযুগ পরে হলেও, জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ যুক্ত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয়রা।
তবে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিবেশগত নীতিবাচক প্রভাব নিয়ে শঙ্কিত পরিবেশকর্মী ও সচেতন মহল।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সদস্য এমএ সবুর রানা বলেন, পরিবেশ দূষণ ও সুন্দরবন ধ্বংস করে আমরা বিদ্যুৎ চাই না। রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিকল্প রয়েছে, কিন্তু সুন্দরবনের বিকল্প নেই। বিষয়টি সবাইকে বিবেচনা করার দাবি জানান এই পরিবেশকর্মী।
রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের সুফল রামপাল ও বাগেরহাটবাসী পেতে শুরু করেছে। এই কেন্দ্রের ফলে এলাকার মানুষ নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ পাবে। পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি ও বিপুল পরিমাণ বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান হবে বলে দাবি করেন তিনি।
রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের উপব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, প্রথম ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এর মধ্যে ৪০০ মেগাওয়াট গোপালগঞ্জের আমিন বাজার হয়ে ঢাকার জাতীয় গ্রীডে এবং ২৬০ মেগাওয়াট খুলনা-বাগেরহাটে সরবরাহ করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটের ৭৯ দশমিক ৩৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দ্বিতীয় ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াটের কাজ সম্পন্ন হবে।
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা রবীন্দ্র কুমার বলেন, ধীরে ধীরে মেশিনের কার্যক্রম বাড়াচ্ছি, আমাদের দ্বিতীয় ইউনিট চালু হলে স্থানীয় বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি জাতীয় বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে বলে দাবি করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই শুরু হয় জমি ভরাট ও সড়ক নির্মাণের কাজ। প্রায় নয় বছর বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে গেল প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে এ বছরের ১১ জুলাই বয়লার স্টিম ব্লোয়িং স্থাপন করা হয়। এক মাস পর ১৪ আগস্ট টারবাইন-এ স্টিম ডাম্পিং এবং এক দিন পর ১৫ আগস্ট জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ (ট্রান্সমিশন) শুরু করা হয়।
আরও পড়ুন: যৌথভাবে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট ১- এর কাজ সম্পন্নের ঘোষণা হাসিনা-মোদির
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র: এক ইউনিটে আংশিক উৎপাদন শুরু
১ বছর আগে
জাতীয় গ্রিড ব্যর্থতা: বিদ্যুৎ বিভাগের ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ চিহ্নিত করতে এবং এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে সুপারিশ পেশ করতে একটি পৃথক কমিটি গঠন করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এর আগে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ তার নির্বাহী পরিচালকের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) নতুন ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেবেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ বিপর্যয়: রাজধানীর পেট্রোল পাম্পগুলোতে বিশৃঙ্খলা
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুল মাঈদ, বাংলাদেশের ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) প্রতিনিধি, সাবেক নির্বাহী পরিচালক ড. কমিটির সদস্য পিজিসিবি মো. আমীর খসরু এবং সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন।
কমিটি গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ চিহ্নিত ও বিশ্লেষণ করবে এবং এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিটি তদন্ত কাজের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোনও ব্যক্তিকে কো-অপ্ট করতে পারে এবং ১৫ দিনের মধ্যে এর রিপোর্ট জমা দেবে।
আরও পড়ুন: গ্রিড ব্যর্থতার পেছনে বিদ্যুৎ খাতে চুরি: ফখরুল
ঢাকা মহানগরীতে আংশিক বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক
২ বছর আগে
জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়: টেলিকম পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে
অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এএমটিওবি) জানিয়েছে, জাতীয় পাওয়ার গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে দেশের কিছু অংশে টেলিকম পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, ‘জাতীয় পাওয়ার গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে দেশের কিছু অংশে টেলিযোগাযোগ পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে। এই অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত।’
জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন গ্রিডে বিপর্যয় হওয়ায় এদিন দুপুর ২টা ৫ মিনিট থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলের কিছু অংশ বাদে সারা দেশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) কর্মকর্তাদের মতে, দেশের পূর্বাঞ্চলে, বিশেষ করে যমুনা নদীর পূর্ব দিকের জেলাগুলোর কোথাও কোথাও ট্রান্সমিশন লাইন ট্রিপ হয়েছে।
পিজিসিবির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, রংপুর বিভাগের মাত্র কয়েকটি জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
গ্রিড বিকল হয়ে যাওয়ায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে একের পর এক কেন্দ্র বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: গুগল স্ট্রিমিং গেম পরিষেবা বন্ধ করবে আগামী জানুয়ারিতে
বিপিডিবির পরিচালক (জনসংযোগ) শামীম হাসান জানান, বিপিডিবি এবং পিজিসিবি উভয়ের প্রকৌশলীরা বিদ্যুৎ সঞ্চালন পুনরুদ্ধারের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন।
দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ওই বিভাগের বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে।
পিজিসিবি কর্মকর্তারা অবশ্য বলেছেন যে তারা গ্রিড বিপর্যয়ের সঠিক কারণ ও অবস্থান এখনও শনাক্ত করতে পারেনি।
জাতীয় পাওয়ার গ্রিড ব্যর্থতা বাংলাদেশের টেলিকম পরিষেবাকে কীভাবে প্রভাবিত করে তা এখন দেখার বিষয়।
২০১৭ সালের ২ মে দেশের ৩২টি জেলায় গ্রিড বিপর্যয়ের সর্বশেষ ঘটনা ঘটেছিল।
আরও পড়ুন: অক্টোবর থেকে কলড্রপে টকটাইম ফেরত: বিটিআরসি
দেশের প্রথম ‘ক্যাশ লেস’ ক্যাম্পাস হবে হাজী দানেশ: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে