ব্লাক আউট
জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়: নারায়ণগঞ্জে নবমীর আমেজে বিষাদের রঙ
প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও সকল ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণে ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জজুড়ে দুর্গাপূজার আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু প্রতি বছর বিজয়া দশমী (বুধবার দশম দিন) বিষাদের ছায়া নিয়ে এলেও এ বছর জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের কারণে নবমীর (মঙ্গলবার) আমেজে বিষাদের রঙ পড়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে দেশের বেশিরভাগ জেলার পাশাপাশি পুরো জেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। রাত ৮টার পর নারায়ণগঞ্জ শহরের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ফিরলেও অধিকাংশ এলাকা রাত ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎবিহীন ছিল।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: এমন উৎসব যা বাংলাদেশকে এক করে
পূজোর আগের তিন দিন জেলা শহর আলোয় ভরপুর থাকলেও মঙ্গলবার বিদ্যুৎহীনতারকারণে পূজোর মেজাজে ভাটা পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে যে শহরের আশপাশের অনেক মণ্ডপ উৎসবের জন্য প্রস্তুত ছিল। প্রতি বছর নবমী দিনে শহরের মন্ডপে মন্ডবে হৈ হুল্লোড় থাকলেও এ বছর যেন পুরোই নিস্তব্ধ। আলোকসজ্জার ব্যবস্থা থাকলেও বিদ্যুৎ না থাকায় সড়কগুলোতে আলো নেই।
আরও পড়ুন: এক মণ্ডপে ১৫১টি প্রতিমা: দুর্গার পরিবারে আমন্ত্রিত যারা
নবমী সাধারণত উৎসবের সবচেয়ে আনন্দের দিন। আমলাপাড়ায়, আমরা অমিত দাসের কাছে ছুটে যাই, যিনি নবমীর সাথে একজন সহযোগীর জলবায়ু পরিবেশ থেকে ছিনতাই অনুভব করেছিলেন
আমলাপাড়া এলাকায় অনিক দাস বলেন, প্রতিবছর নবমীর দিনে সবচেয়ে বেশি আনন্দ হয়। মন্ডবে মন্ডবে এতো মানুষ হয়, হাঁটার জায়গা থাকে না। মানুষ বেশি হলেও আনন্দ হয়। কিন্তু সেই তুলনায় এ বছর মন্ডবে মানুষই নাই। বিদ্যুৎ নাই, চারিদিকে অন্ধকার, কারোই ভালো লাগছে না। সবাই বাড়ি চলে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাট: পূর্বপুরুষদের পেশা ছাড়তে চায় প্রতিমা শিল্পীরা, সহায়তার আশ্বাস ডিসির
টানবাজার এলাকায় মিতু চক্রবর্তী বলেন, পূজায় নবমীর রাতে ঘোরাঘুরি করতে সবাই পছন্দ করে। কিন্তু এবছর অন্ধকারে সব আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে। দুইটা মন্ডবে গিয়েছিলাম। কোনো গান বাজনা নেই। ভালো লাগছে না, কিছুক্ষণ পরে চলে যাবো। বিদ্যুৎ চলে গিয়ে পূজার আনন্দটাই নষ্ট করে দিলো।
২ বছর আগে