যানচলাচল
সাজেকে পাহাড় ধস, সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর যানচলাচল স্বাভাবিক
রাঙামাটির সাজেক যাওয়ার পথে নন্দারাম নামক স্থানে অতিবৃষ্টিতে পাহাড় ধসের ঘটনায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ ছিল। সেনাবাহিনীর সহায়তায় যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আক্তার।
অতিবৃষ্টিতে পাহাড় ধসে সাজেক-খাগড়াছড়ি প্রধান সড়কে পাহাড়ের বেশ বড় অংশ ধসের কারণে সকাল থেকে যানচলাচল বন্ধ হয়। প্রধান সড়কের ওপর পাহাড় ধসের ঘটনায় রাস্তার দুই পাশে আটকা পড়ে কয়েক হাজার পর্যটক। মঙ্গলবার রাতে ভারী বৃষ্টির কারণে এই পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পরই সড়ক থেকে মাটি সরাতে সকাল থেকে সেনাবাহিনী কাজ শুরু করে। প্রায় সাড়ে ছয় ঘন্টা পর সড়ক থেকে মাটি সরিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করে সেনাবাহিনী।
সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ন দেব বর্মন জানান, সকালে পাহাড় ধসের ঘটনা আমরা জানতে পেরেছি। সাজেক এলাকায় প্রায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় দুইশ গাড়ি রয়েছে। যা মঙ্গলবার এসেছিলো। বুধবার সকালে অনেকের চলে যাওয়ারও কথা ছিল। কিন্তু পাহাড় ধসের কারণে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় সবাই আটকা পড়ে। দুপুরের দিকে যানচলাচল স্বাভাবিক হলে গাড়ি ছাড়তে শুরু করে। আমাদের এখানে ১১২টি কটেজ আছে। সব মিলে প্রায় চার হাজার পর্যটক থাকতে পারেন।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে ২ শ্রমিক নিহত
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার জানান, সাজেকে পাহাড় ধসের কারণে দুই পাশে প্রায় পাঁচ হাজার পর্যটক আটকা পড়ে। পরে সেনাবাহিনীর ২০ ইসিবি’র সদস্যদের সাথে স্থানীয়রা মাটি সরানোর কাজে নেমে পড়ে। দুপুর আড়াইটার দিকে মাটি সরিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করা হয়। এখন কোনো সমস্যা নেই। বর্তমানে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
উল্লেখ্য, টানা ৯ দিনের ছুটির কারণে সাজেকে বাড়তি পর্যটকের চাপ রয়েছে। বর্তমানে সেখানে দুই হাজার পর্যটক অবস্থান করছেন। আরও তিন হাজার পর্যটক প্রবেশ করছে বলে স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান।
আরও পড়ুন: পাহাড় ধসের আশঙ্কা: সরিয়ে নেয়া হচ্ছে রাঙ্গামাটিতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাবাসীকে
কক্সবাজারে পাহাড় ধসে শিশুর মৃত্যু
২ বছর আগে