অভিহিত
‘বাতিঘর, নায়ক-স্থিতিশীলতার বিস্ময়কর প্রতিচ্ছবি’ হিসেবে অভিহিত ড. ইউনূস
সুইজারল্যান্ডের দাভোসে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘আলোকবর্তিকা, বীর ও স্থিতিশীলতার বিস্ময়কর প্রতিচ্ছবি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের সভায় যোগদান পর্ব শেষে প্রধান উপদেষ্টা শুক্রবার(২৪ জানুয়ারি) রাতে ঢাকার উদ্দেশে দাভোস ত্যাগ করেছেন।
শফিকুল আলম বলেন, ‘একটি বিষয় স্পষ্ট ছিল, হাসিনার পতনের পরপরই ছাত্ররা সবচেয়ে বড় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল- তা ছিল অধ্যাপক ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হতে রাজি করানো। আর এটাই সব পার্থক্য তৈরি করে দিয়েছে।’
শুক্রবার বিকালে দাভোস সভা শেষ হলে বেশিরভাগ বিশ্বনেতা এবং সরকারি ও বেসরকারি খাতের নেতারা নিজ নিজ দেশে ফিরে যান।
বাংলাদেশের ডাভোস মিশন একটি উচ্চ মর্যাদায় সমাপ্ত হয়েছে উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ও তার ছোট ডাভোস প্রতিনিধি দল 'মাথা উঁচু করে' দেশে ফিরছেন।
অধ্যাপক ইউনূস রাষ্ট্রপ্রধান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে ৪৭টি বৈঠক করেছেন।
আলম বলেন, শীর্ষ ইউরোপীয় নেতারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং এর সংস্কার কর্মসূচিকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করছেন।
প্রেস সচিব বলেন, বিপ্লব পরবর্তী মাসগুলোতে দেশের সম্ভাবনা ও স্থিতিশীলতা সম্পর্কে শীর্ষ বেসরকারি কোম্পানিগুলো আশ্বস্ত এবং সর্বশেষ অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান দেখে তারা মুগ্ধ।
অধ্যাপক ইউনূসের সাক্ষাৎকার নিতে বিশ্বের সেরা কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের শীর্ষ সাংবাদিকরা ধারাবাহিক চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, 'ভারতীয় গণমাধ্যম আউটলেটগুলোর অপপ্রচার নিয়ে কেউ মাথা ঘামাচ্ছে বলে মনে হয় না। ভারতীয় মিডিয়া তাদের রাজনৈতিক প্রভুদের জন্য যে নোংরা কাজ করে সে সম্পর্কে তারা (দেশের মানুষ) খুব সচেতন ‘
আলম বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের টিউলিপ সিদ্দিক কাহিনী শেখ হাসিনার 'বিশাল ডাকাতি'র গল্পে কিছু অতিরিক্ত স্তর যুক্ত করেছে। শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের সময় কী ধরনের লুণ্ঠন ও লুটপাট হয়েছে, তা পশ্চিমা গণমাধ্যম এখন জানে।’
অধ্যাপক ইউনূস তথ্য জালিয়াতি নিয়েও কথা বলেন এবং 'একনায়কতন্ত্রের' সময় বিশ্বকে অন্ধ থাকার জন্য দোষারোপ করেন।
শনিবার সন্ধ্যায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে প্রধান উপদেষ্টার ঢাকায় অবতরণের কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে সহযোগিতার কথা পুনর্ব্যক্ত করল সুইজারল্যান্ড
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উপসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউএনবিকে জানান, ড. ইউনূস ২১ জানুয়ারি ডাভোসে পৌঁছে সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে চারটি বৈঠক, মন্ত্রী পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে চারটি বৈঠক করেছেন এবং জাতিসংঘ বা অনুরূপ সংস্থার প্রধান/শীর্ষ নির্বাহীদের সঙ্গে ১০টি বৈঠক করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা সিইও/উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ১০টি বৈঠক করেন, ডব্লিউইএফ আয়োজিত ৯টি প্রোগ্রাম এবং চারটি আনুষ্ঠানিক নৈশভোজ ও মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
ড. ইউনূস ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভার ফাঁকে আরও দুটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি ৮টি গণমাধ্যমের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
সুইজারল্যান্ডের স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে জেনেভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলাম জুরিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান।
ড. ইউনূসের সঙ্গে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক (সিনিয়র সচিব) লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, সচিব (পশ্চিম) এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ প্রমুখ।
দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সভায় মূল বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্ব নেতাদের একত্রিত করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে ভূ-রাজনৈতিক ধাক্কা মোকাবিলায় সাড়া দেওয়া, জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে প্রবৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করা এবং ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক জ্বালানি রূপান্তর পরিচালনা করা।
'কলাবোরেশন ফর দ্য ইন্টেলিজেন্ট এজ' প্রতিপাদ্যে এই বছরের সভাটি আহ্বান করা হয়েছে এবং প্রোগ্রামটি পাঁচটি ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র। তবে অত্যন্ত আন্তঃসংযুক্ত ধারণাগত অগ্রাধিকারের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়।
১৩০টিরও বেশি দেশের প্রায় তিন হাজার নেতা এবং সব গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের ৬০টি রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানসহ ৩৫০ জন সরকারি নেতা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়িকে আঞ্চলিক মেগা বন্দরে রূপান্তরে আগ্রহী সৌদি কোম্পানি
২৭ দিন আগে
রায়কে 'সব আইনি নজির ও যুক্তির পরিপন্থী' অভিহিত করলেন ড. ইউনূস
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার বিরুদ্ধে শ্রম আদালতের রায়কে 'সব আইনি দৃষ্টান্ত ও যুক্তির পরিপন্থী' বলে অভিহিত করেছেন।
সোমবার (১ জানুয়ারি) ঢাকার ৩ নম্বর শ্রম আদালত শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় রায় দিয়েছেন।
রায়ে মাইক্রোফাইন্যান্সের অগ্রদূত ও গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি )ইউনূস সেন্টার থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ড. ইউনূস বলেন, 'আমার আইনজীবীরা আদালতে দৃঢ়তার সঙ্গে যুক্তি দেখিয়েছেন, আমার বিরুদ্ধে এই রায় সব আইনি নজির ও যুক্তির পরিপন্থী।’
আরও পড়ুন: ইউনূসের বিরুদ্ধে গণভবনের 'নির্দেশিত রায়ে' গোটা জাতি লজ্জিত: বিএনপি
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী তার সামর্থ্য অনুযায়ী দেশবাসী ও সামাজিক ব্যবসা আন্দোলনে সেবা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন বিবৃতিতে।
এতে তিনি বলেন, 'আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের জনগণ ও সামাজিক ব্যবসা আন্দোলনে সেবা করে যাব।’
আরও পড়ুন: শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসের ৬ মাসের কারাদণ্ড
ড. ইউনূস অন্যায়ের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
৮৩ বছর বয়সী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, 'আমি বাংলাদেশের জনগণকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং আমাদের প্রতিটি নাগরিকের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে অভিন্ন সুরে কথা বলার আহ্বান জানাচ্ছি।’
ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের তিন কর্মকর্তা গতকাল আপিলের শর্তে জামিন পাওয়ায় তাদের জেলে যেতে হয়নি।
রায়ের পর আদালত থেকে বের হয়ে প্রফেসর ইউনূস বলেন, তিনি যে অপরাধ তিনি করেননি তার জন্য তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
রায়ের এক সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এমন একটি অপরাধের জন্য শাস্তি পেয়েছি যা আমি করিনি। ‘আপনি যদি এটিকে ন্যায়বিচার বলতে চান, তাহলে আপনি বলতে পারেন।’
আরও পড়ুন: এমন অপরাধে সাজা দেওয়া হয়েছে, যা আমি করিনি: ড. ইউনূস
৪১৬ দিন আগে
আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘ভয়ংকর স্বৈরাচারী’ বলে অভিহিত করেছে বিএনপি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ফেসবুক পোস্টের জন্য রাজবাড়ীতে মহিলা দলের এক নেতাকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএনপি বলেছে, আওয়ামী লীগ সরকার ‘ভয়ানক স্বৈরাচারে’ পরিণত হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘রাজবাড়ীতে দুই নাবালক সন্তান রয়েছে এমন এক নারীকে আটক করা হয়েছে। তার অপরাধ তিনি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) কি ঈশ্বর, যে আপনার বিরুদ্ধে কিছুই বলা যাবে না?’
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে কারও সমালোচনা করার অধিকার সবার আছে এবং মহিলা দলের নেত্রী সোনিয়া আক্তার স্মৃতি তার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের দমন-পীড়ন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে রাতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে স্মৃতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফখরুল আরও বলেন, ‘এই সরকার এমন এক ভয়ঙ্কর স্বৈরশাসক হয়ে উঠেছে যে পুলিশ আমাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের নাম সংগ্রহ করছে। তারা দেশকে স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তাই, এই সরকারকে আর সময় দেয়া যাবে না। কেননা তারা জাতির ওপর বোঝা হয়ে দাঁডড়িয়েছে।’
আরও পড়ুন: অচিরেই দেশব্যাপী সরকার পতন আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে: মির্জা ফখরুল
সম্প্রতি ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (ডিএসএ) করা মামলায় বুধবার ভোররাতে স্মৃতিকে গ্রেপ্তার করে রাজবাড়ী থানা পুলিশ।
জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আয়োজিত আন্দোলনে ভোলায় নূরে আলম ও আবদুর রহিম, নারায়ণগঞ্জে শাওন প্রধান, মুন্সিগঞ্জে শহিদুল ইসলাম শাওন ও যশোরে আবদুল আলীম হত্যার প্রতিবাদে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা এই সমাবেশের আয়োজন করে।
নয়াপল্টন থেকে বের হওয়া র্যালিটি কাকরাইল ও আরামবাগ মোড় হয়ে একই এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশকে কেন্দ্র করে আশপাশের এলাকার যাত্রীরা কয়েক ঘণ্টা যানজটের মুখে পড়েন।
ফখরুল বলেন, যুবসমাজসহ দেশের মানুষ ‘স্বৈরাচারী’ শাসন উৎখাতের শপথ নিয়ে প্রতিদিন জেগে উঠছে। ‘আমাদের মিছিল-সমাবেশে জনগণের অংশগ্রহণ ক্রমেই বাড়ছে। এই শাসনের পতন নিশ্চিত করতে আমরা অনেক রক্ত দিয়েছি, প্রয়োজনে আরও রক্ত দেব।’
বাংলাদেশের জনগণ যাতে দুর্নীতি ও অনিয়মের সঠিক তথ্য জানতে না পারে সেজন্য সরকার নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, দুর্নীতি, চুরি ও লুণ্ঠনের সংবাদ ঠেকাতে সরকার ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গণমাধ্যম বা অন্য কাউকে কোনো তথ্য না দেয়ার জন্য একটি সার্কুলার জারি করেছে।
তারা জাতিকে সঠিক খবর থেকে বঞ্চিত করতে চায়।
এর আগে সোমবার আইসিটি বিভাগ সংবেদনশীল ডেটার সুরক্ষার জন্য ডিজিটাল সুরক্ষা আইনের অধীনে ২৯টি সংস্থাকে ‘সমালোচনামূলক তথ্য অবকাঠামো’ হিসেবে ঘোষণা করেছে, যার অধীনে কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস বা নেটওয়ার্কগুলিতে কোনও অবৈধ অ্যাক্সেস একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য হাস্যকর: মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা
৮৬৯ দিন আগে