অং সান সু চি
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের ২য় বার্ষিকী: 'নীরব ধর্মঘট'-এর মধ্যদিয়ে প্রতিবাদ অব্যাহত
মিয়ানমারে গণতন্ত্রপন্থী কর্মীরা সামরিক অভ্যুত্থানের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘নীরব ধর্মঘট’ পালন করছে। বুধবার বিক্ষোভকারীরা দেশের জনগণকে নিজ নিজ বাড়িতে থাকার এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
বুধবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী-সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে।
সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা ‘অস্বাভাবিক পরিস্থিতির’ মুখোমুখি হচ্ছে।
জান্তার পক্ষ থেকে দেয়া চলতি বছর নির্বাচন করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
তায়জার সান নামক একজন বিশিষ্ট কর্মী এক ফেসবুক পোস্টে বলেছেন যে সামরিক বাহিনীর ‘কারচুপির নির্বাচন... জনগণ মেনে নেয় না’। তার প্রমাণ দেয়ার জন্যই এই ধর্মঘট চালানো হচ্ছে।
আরেকজন গণতন্ত্রপন্থী কর্মী থিনজার শুনলেই ই বলেন, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রয়েছে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে।
তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘নীরব ধর্মঘটের মূল বার্তাটি হলো নিহত নায়ক ও নায়িকাদের প্রতি সম্মান জানানো এবং জনসাধারণের অধিকারকে পুনরুদ্ধার করা।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার বার্তা পাঠানো যে সামরিক বাহিনী ‘আমাদের শাসন করবে না।’
আরও পড়ুন: আশিয়ান: বৈঠকের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য না থাকার ঘোষণা মিয়ানমারের
১ বছর আগে
দুর্নীতির দায়ে সু চির চূড়ান্ত রায় ঘোষণা, ৩৩ বছরের কারাদণ্ড
সেনা শাসিত মিয়ানমারের একটি আদালত শুক্রবার দেশটির ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেছেন। রাজনৈতিক বিভিন্ন মামলায় সু চিকে টানা ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একজন আইনি কর্মকর্তা বলেছেন, শুক্রবার শেষ হওয়া ফৌজদারি মামলাটি দুর্নীতি বিরোধী আইনের অধীনে পাঁচটি অপরাধের সঙ্গে জড়িত। মামলায় সু চিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
তিনি জানান, এর আগেই সাতটি দুর্নীতির মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এগুলোতে সু চিকে মোট ২৬ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল।
৭৭ বছর বয়সী সু চি অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানি ও নিজের কাছে রাখা, করোনাভাইরাস বিধিনিষেধ লঙ্ঘন, দেশের সরকারি গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘন, রাষ্ট্রদ্রোহ ও নির্বাচনে জালিয়াতিসহ আরও কয়েকটি অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
সু চির সমর্থক ও স্বাধীন বিশ্লেষকরা বলছেন, সু চি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মূলত সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলকে বৈধতা দেয়ার একটি প্রচেষ্টা এবং ২০২৩ সালের নির্বাচনের আগে সু চিকে রাজনীতি থেকে সড়ানোর অপচেষ্টা।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে কারচুপি মামলায় সু চির ৩ বছরের কারাদণ্ড
তার সরকারের প্রধান ছিলেন সু চি। উইন মিন্ট, তার সরকারে প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তিনিও একই মামলার অপর অভিযুক্ত।
ওই আইনী কর্মকর্তা বলেছেন, সু চিকে চারটি অভিযোগে তিন বছরের সাজা দেয়া হয়েছে এবং হেলিকপ্টার কেনার সঙ্গে সম্পর্কিত অভিযোগের জন্য চার বছরের সাজাসহ মোট সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। উইন মিন্টকেও একই কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
যদিও আসামিরা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং তার আইনজীবীরা আগামী দিনে আপিল করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, সু চি ও উইন মিন্ট দুজনেই সুস্থ আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ডেপুটি এশিয়া ডিরেক্টর ফিল রবার্টসন একটি ইমেলে দেয়া বিবৃতিতে বলেন, ‘শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জান্তা তার (সু চির) বিরুদ্ধে মামলা সাজানোর জন্য যা কিছু প্রয়োজন তা পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে করে যাচ্ছে। আর সামরিক বাহিনী যা চাইবে, দেশটির ক্যাঙ্গারু আদালত শাস্তির সেই রায়ই দেবে।’
সামরিক সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে, আমরা কীভাবে এগিয়ে যেতে হবে তা বিবেচনা করব।’
আরও পড়ুন: দুর্নীতির মামলায় সু চির ৫ বছরের কারাদণ্ড
রবার্টসন বলেন, বয়সের কারণে সু চির ৩৩ বছরের কারাদণ্ড ‘তার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সমান’।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার জান্তার প্রহসনমূলক, সম্পূর্ণ অন্যায্য অভিযোগ এবং অং সান সুচির বিরুদ্ধে দোষী সাব্যস্ত করা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত শাস্তির সমান। তাকে সারাজীবন কারাগারে আটকে রাখার জন্য এসব করা হয়েছে।’
মিয়ানমারের স্বাধীনতার নায়ক জেনারেল অং সানের মেয়ে সু চি ১৯৮৯ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত রাজনৈতিক বন্দী হিসেবে প্রায় ১৫ বছর কাটিয়েছেন।
মিয়ানমারে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থান তাকে গণতন্ত্রের জন্য অহিংস সংগ্রামের প্রতীকে পরিণত করে এবং ১৯৯১ সালে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পান।
তার ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি পার্টি ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে সহজেই জয়লাভ করে ক্ষমতায় আসে এবং ১৯৬২ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর প্রথমবারের মতো সত্যিকারের বেসামরিক সরকার গঠন করে।
কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর মুসলিম রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের ওপর ২০১৭ সালের দমন-পীড়নের নৃশংসতাকে উপেক্ষা করে, অবিশ্বাস্যভাবে সেনাবাহিনীর প্রতি সমর্থন জানানোর জন্য সু চি সমালোচিত হয়েছিলেন।
তার ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি ২০২০ সালের নির্বাচনে আবার ভূমিধস বিজয় লাভ করে। কিন্তু তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে নির্বাচিত আইনপ্রণেতাদের সংসদে তাদের আসন গ্রহণ থেকে বিরত রাখা হয় এবং তার সরকার ও দলের শীর্ষ সদস্যদের আটক করা হয়।
সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, ২০২০ সালের নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতি হয়েছে, কিন্তু স্বাধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা কোন বড় অনিয়ম খুঁজে পাননি।
২০২১ সালে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে। সেসময় দেশব্যাপী ব্যাপক শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু হয়। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী সেসব বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা করে এবং শিগগিরই এই আন্দোলন সশস্ত্র প্রতিরোধে পরিণত হয়।
সেনাবিরোধী বিক্ষোভকারীদের হত্যা ও গ্রেপ্তারের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা একটি বেসরকারি সংস্থা অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারসের তালিকা অনুসারে, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী কমপক্ষে দুই হাজার ৬৮৫ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে এবং ১৬ হাজার ৬৫১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: সু চির আরও ৪ বছরের কারাদণ্ড
১ বছর আগে
নির্বাচনে কারচুপি মামলায় সু চির ৩ বছরের কারাদণ্ড
নির্বাচনে কারচুপির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবার মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত।
শুক্রবারের দেয়া এই রায়ের ফলে বিভিন্ন মামলায় সু চির কারাদণ্ডের মেয়াদ এখন বেড়ে ২০ বছরে দাঁড়াল।
সর্বশেষ এই দণ্ডের ফলে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দলের ভবিষ্যত আরও ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেল। ২০২৩ সালে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেয়া দেশটির জান্তা সরকার সু চির দলকে ইতোমধ্যে নিষিদ্ধের হুমকি দিয়ে রেখেছে।
সু চির দল ২০২০ সালের সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক ভোটে জয়লাভ লাভ করে। একই বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির ক্ষমতা গ্রহণ করে সেনাবাহিনী। তখন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে, যদিও স্বতন্ত্র নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা বড় ধরনের কোনো অনিয়মের প্রমাণ খুঁজে পায়নি।
নির্বাচনে কারচুপির মামলায় সু চির সাবেক সরকারের দুই সিনিয়র সদস্যকেও আসামি করা হয়েছিল। তাদেরও তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
পড়ুন: মিয়ানমারকে সতর্ক করেছে সরকার: মর্টার শেল ছোড়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানের
মিয়ানমারে রাজনৈতিক বন্দির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড়
২ বছর আগে
মিয়ানমারের সামরিক সরকার বাংলাদেশে ইয়াবা পাচারকে উৎসাহিত করছে
বর্তমান সামরিক শাসনামলে প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচার হওয়া ইয়াবা ট্যাবলেটের পরিমাণ ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি’র শাসনামলে জব্দ করা পরিমাণের তুলনায় আড়াই গুণ বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা হলেও মিয়ানমারের সামরিক শাসক বাংলাদেশে ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারে পৃষ্ঠপোষকতা করছে। এ কারণে অবৈধ মাদকের পাচার বেড়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, নাফ নদীর সীমান্তবর্তী সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত রুট ছাড়াও প্রত্যন্ত স্থল সীমান্ত এলাকা দিয়েও মাদক বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইয়াবার রুট হিসেবে ব্যবহৃত বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে অনেক দুর্গম এলাকা রয়েছে, যেখানে সার্বক্ষণিক নজরদারি সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, সেখানে এক বিওপি থেকে অন্য বিওপিতে যেতে দুই দিন সময় লাগে।
তিনি বলেন, ওই সব এলাকায় বিওপির সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় ৬ লাখ ৯০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ, আটক ৫
কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে বাংলাদেশে ইয়াবা আসতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন,‘এরপর ধীরে ধীরে তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে।’
তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেও মাদক ব্যবসা ও সেবন রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
বৈঠকের কার্যবিবরণী অনুযায়ী, সংসদীয় পর্যবেক্ষণ সংস্থার আগের বৈঠকে মসজিদ, মন্দির ও কবরস্থান সংক্রান্ত কমিটি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ওই বৈঠকে টুকু বলেন, সত্যিকারের ধার্মিক ও ভালো মানুষ মসজিদ, মন্দির ও কবরস্থান কমিটি থেকে দূরে থাকছেন।
মাদক বা অসামাজিক কাজে জড়িতরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এসব পদে আসছে। ফলে সৎ মানুষ সমাজে অবদান রাখতে পারছেন না বলে তিনি সভায় জানান।
তিনি বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে দেশের সব মসজিদ, মন্দির ও কবরস্থানের কমিটি গঠন করা হলে ইতিবাচক ফল আসবে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে ২ কোটি ৭০ লাখ টাকার ইয়াবা জব্দ, আটক ২
বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে টিকটকের সমস্যা নিয়েও ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।
চেয়ারম্যান টুকু বলেন, টিকটক এর নেতিবাচক ব্যবহারের জন্য ইতোমধ্যে তোপের মুখে পড়েছে। এটি সহিংসতা, গুজব ও ভুল তথ্যের দিকে পরিচালিত করে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ বন্ধ করার সুপারিশ করেন।
ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালকের মতে, বাংলাদেশের তরুণরা তাদের ইন্টারনেট সময়ের ৮০ শতাংশ ব্যয় করে টিকটকে।
একটি পৃথক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, ‘এই প্ল্যাটফর্মটি প্রতিহিংসামূলক ভুল তথ্য ও ঘৃণামূলক বক্তব্য ছড়িয়ে দিতে ব্যবহৃত হয়। এর ইতিবাচকের চেয়ে নেতিবাচক ব্যবহার বেশি।’
তিনি আরও বলেন, টিকটক অ্যাপ বন্ধ করতে ইতোমধ্যে বিটিআরসিকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
এছাড়া সংসদ সচিবালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার যে কোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
সংসদীয় সংস্থাটি সরকারি চাকরিজীবী স্বামী-স্ত্রীকে একই এলাকায় নিয়োগের সুপারিশ করেছে।
কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে সভায় কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, মো. হাবিবুর রহমান, সামছুল আলম দুদু, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, নূর মোহাম্মদ, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ ও রুমানা আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৩ কোটি টাকার ইয়াবা জব্দ
২ বছর আগে
গোপন স্থান থেকে সু চিকে কারাগারে স্থানান্তর
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে বুধবার গোপন স্থান থেকে রাজধানীর একটি কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
তার মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত আইনি কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, কারাগারে নতুন একটি বিশেষ আদালতে তার বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর শুনানি হবে।
২০২১ সালে সু চির নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করে ১ ফেব্রুয়ারি তাকে গ্রেপ্তার করে দেশটির সামরিক সরকার। প্রথমে থাকে তার নিজ বাসভবনের রাখা হলেও পরে থাকে নেপিডোর একটি অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে অন্তত ৯২০ জন নিহত
একটি বিশেষ আদালতে দুর্নীতিসহ একাধিক অভিযোগে তাকে সাজা দিয়েছে জান্তা সরকার। ১১ টি দুর্নীতি মামলার অভিযোগে প্রত্যেকটির জন্য ১৫ বছর পর্যন্ত কারাভোগ করতে হতে পারে তার।
অবৈধভাবে ওয়াকি-টকি আমদানি ও রাখার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে এবং করোনাভাইরাস বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের জন্য ইতোমধ্যেই তাকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
চলমান দুর্নীতির মামলা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে নির্বাচনী জালিয়াতি এবং অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট লঙ্ঘনের অভিযোগও আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনে বন্যার কারণে কয়েক হাজার লোককে বাড়ি থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে
২ বছর আগে
দুর্নীতির মামলায় সু চির ৫ বছরের কারাদণ্ড
দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে। বুধবার সামরিক শাসিত মিয়ানমারের একটি আদালত এই রায় দিয়েছেন।
যদিও গত বছর সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া সু চি, একজন শীর্ষ রাজনৈতিক সহকর্মীর কাছ থেকে ঘুষ হিসাবে স্বর্ণ এবং কয়েক হাজার ডলার গ্রহণ করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তার সমর্থকরা এবং স্বাধীন আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ রায়ের মাধ্যমে সু চিকে অসম্মান এবং ৭৬ বছর বয়সী এ নেতাকে রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকায় ফিরে আসা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সু চির আরও ৪ বছরের কারাদণ্ড
অনেকেই সু চির সাজার সিদ্ধান্ত সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলকে বৈধতা দেয়ার অন্যতম পদক্ষেপ বলে মনে করছেন।
তিনি ইতোমধ্যে অন্যান্য মামলায় ছয় বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত আছেন এবং আরও ১০ টি দুর্নীতির অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন।
বুধবারের এ রায়ের খবর নাম প্রকাশে অপারগ এক আইনি কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
সু চির এ বিচার কার্যক্রম গণমাধ্যম ও দর্শকদের দেখার সুযোগ দেয়া হয়নি। এছাড়া এই নেত্রীর পক্ষের আইনজীবীদেরও গণমাধ্যমে তথ্য প্রদানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার বিষয়ক আসিয়ানের বিশেষ দূতকে সু চির সঙ্গে দেখা করার আহ্বান
২ বছর আগে
সু চির আরও ৪ বছরের কারাদণ্ড
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে আরও চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে সেনা শাসিত দেশটির একটি আদালত।
অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানি ও করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ লঙ্ঘনসহ কয়েকটি অভিযোগে তাকে এই দণ্ড দেয়া হয়।
সোমবার দেশটির রাজধানী নেপিডোতে একজন আইনি কর্মকর্তা আদালতের রায়ের খবর জানান। তবে শাস্তি হতে পারে এই ভয়ে নিজের নাম না প্রকাশ করেননি এই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ওয়াকিটকি আমদানির জন্য রপ্তানি-আমদানি আইনে তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং সেগুলো রাখার জন্য টেলিযোগাযোগ আইনে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া তিনি নির্বাচনী প্রচারণার সময় করোনভাইরাস নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনের অধীনে দুই বছরের সাজা পেয়েছেন।
এর আগে ৬ ডিসেম্বর উসকানি ও করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত করে সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল দেশটির একটি বিশেষ আদালত। তবে রায়ের কয়েক ঘণ্টা পর সামরিক সরকারের প্রধান জ্যৈষ্ঠ জেনারেল মিন অং হ্লাইং তা অর্ধেক কমিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: সু চির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলার রায় স্থগিত
গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির ক্ষমতা গ্রহণ করে সেনাবাহিনী এবং এর ফলে দ্বিতীয় বারের মতো সরকার গঠন করতে পারেনি নির্বাচনে জয়ী সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)।
এরপর থেকে ৭৬ বছর বয়সী নোবেল বিজয়ী সু চির বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা দায়ের করা হয়। আর এসব মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হলে তার ১০০ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে।
তবে সু চির সমর্থক ও স্বাধীন বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
আরও পড়ুন: সু চির ৪ বছরের কারাদণ্ড
২ বছর আগে
আসিয়ান নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মিয়ানমারের জান্তা প্রধান
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ান নেতাদের সাথে জাকার্তায় এক জরুরি বৈঠকে অংশ নিয়েছেন মিয়ানমারের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং। শনিবার (২৪ এপ্রিল) আসিয়ান নেতাদের সম্মেলনে যোগ দিতে জাকার্তা পৌঁছান এই সেনা কর্মকর্তা।
ধারণা করা হচ্ছে বৈঠকে, আসিয়ান নেতারা সু চির মুক্তি ও রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি এবং দেশটিতে চলমান গণবিক্ষোভে সেনাবাহিনীর হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবি জানাবেন।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বন্ধে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান ফর্টিফাই রাইটসের
তবে আসিয়ান ছয়টি দেশের প্রধান ও তিনটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে ক্ষমতা দখলকারী এই জেনারেলের দুই ঘণ্টার বৈঠকে তেমন ফলপ্রসূ কিছু হবে না মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলের পর জান্তা সরকার প্রধানের এটাই প্রথম বিদেশ সফর। তার এই সিদ্ধান্তকে মিয়ানমার সংকট নিরসনে আসিয়ান জোটের বড় ভূমিকা রাখার এটাই সুযোগ বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা।
সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনের বিষয়ে বলেন, “এখন সংকট সমাধান না করা গেলে মিয়ানমার, আসিয়ান ও এই অঞ্চলের জন্য জটিল সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।”
ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা পরবর্তী ধাপে সম্মিলিতভাবে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে পারি যাতে মিয়ানমারের মানুষ বর্তমান অচল অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে।”
আরও পড়ুন: ‘মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ব্যর্থ করতে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করবে জাতিসংঘ’
এদিকে সংবাদ সংস্থা এপিকে এক কূটনৈতিক জানান, জান্তা প্রধান মিন অং হ্লেইং প্রশাসন রাজি হলে ব্রুনাই এর প্রধানমন্ত্রী ও আসিয়ানের বর্তমান সভাপতি হাসান আল বলকিয়াহ মিয়ানমার সফর করবেন। উক্ত সফরে তার সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন আসিয়ান মহাসচিব লিম জক হই। আসিয়ান এই প্রতিনিধি দল মিয়ানমার সফরের মাধ্যমে সু চি এবং জেনারেল হ্লেইং এর সাথে আলোচনা এবং সমঝোতার চেষ্টা করবেন।
৩ বছর আগে
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর কমপক্ষে ১৩৮ বিক্ষোভকারী নিহত: জাতিসংঘ
মিয়ানমারে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সামরিক অভ্যুত্থানের পর এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৩৮ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
৩ বছর আগে
মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ৩৮ জন খুন, ইয়াঙ্গুনে সামরিক আইন জারি
সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে রবিবার মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী কমপক্ষে ৩৮ জনকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে একটি অধিকার গোষ্ঠী। এছাড়া দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের বেশ কয়েকটি স্থানে সামরিক আইন ঘোষণা করা হয়েছে।
৩ বছর আগে