নতুন পণ্য
রপ্তানিতে নতুন পণ্য বাছাইয়ে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
রপ্তানিতে নতুন পণ্য বাছাইয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী হস্তশিল্পকে বর্ষপণ্য ঘোষণা করেছেন। ‘একটি গ্রাম, একটি পণ্য’ কর্মসূচির মাধ্যমে সারাদেশ থেকে উপযুক্ত পণ্য দেশে ও বিদেশের বাজারে পৌঁছাতে কাজ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোজার আগেই ভারত থেকে আসতে পারে পেঁয়াজ-চিনি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
উপযুক্ত পণ্যগুলো ই-কমার্সের সঙ্গে যোগ করে রপ্তানির ব্যবস্থা করা হবে।
শনিবার (২ মার্চ) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে তৃণমূল নারীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রাসরুট উইম্যান এন্ট্রাপ্রেনিয়ার অব বাংলাদেশ আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নিয়ে আসতে চাই। পণ্যের সঙ্গে পণ্যের কারিগর ও অবস্থানকে পৃথকভাবে চিহ্নিত করতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) উদ্যোগ নিচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহ উদ্দিন মাহমুদ এসএমই খাতের বিকাশে ভিন্ন ট্যাক্স-ভ্যাট নীতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে এ খাতের সম্ভাবনা ও অবদান নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন শেষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম উদ্যোক্তাদের আয়োজিত কিছু স্টল পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ১৫.৪৮ বিলিয়ন ডলার: সংসদে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা বহুমুখী করা হবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
৯ মাস আগে
মাছের আঁশ: রপ্তানি বৈচিত্র্যে আশা জাগানো নতুন পণ্য
যশোরের মাছ ব্যবসায়ীরা আরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। তবে তারা মাছ নয় এবার ফেলনা মাছের আঁশ রপ্তানি করেই দেশে আনছে ডলার। শুনতে সত্যিই অবাক লাগছে? হ্যাঁ এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত যশোর জেলার অনেকের মুখে হাসিও ফুটছে।
যশোরের মাছ বাজারগুলোর বটি ওয়ালারা ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন এ আঁশ। তারপর এক-দুই হাত ঘুরে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে চলে যাচ্ছে জাপান, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোতে।
পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর ২০০ কোটি টাকার বেশি মাছের আঁশ রপ্তানি হচ্ছে। বিদেশে এ আঁশ দিয়ে তৈরি হয় ব্যাটারি, বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র, কৃত্রিম কর্নিয়া ও কৃত্রিম হাড়, ওষুধ, মাছ ও মুরগির খাবার, নেইলপালিশ, লিপস্টিকসহ নানা প্রসাধনী।
যশোরের মাছবাজার ঘুরে দেখা গেছে, যশোরে মাছের আঁশের চাহিদা এখন অনেক বেশি। বড় বাজারে নিয়মিত মাছ কাটেন (বটি ওয়ালা) জনি। মাছ কাটতে প্রতি কেজিতে তিনি নেন ১০ টাকা করে। এর বাইরে মাছের আঁশ বিক্রি করে বছরে কমপক্ষে বাড়তি আয় করছেন ২০ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: হালদা নদীতে বিপন্ন ডলফিন, রক্ষার উদ্যোগ নেই
মাছ কাটার কাজ করেন এমন আরও একজন জাহিদ। তিনি জানান, শুধু আঁশ নয় মাছের নাড়িভুঁড়িও বিক্রি হয়। নাড়িভুঁড়ি ব্যবহার করা হয় মাছের খাদ্য হিসেবে। শুনেছি এগুলো শুকিয়ে বিদেশেও পাঠানো হয়। মাছের ফুলকো শুকনো করে বিদেশে সুপ তৈরি হয়। এছাড়া মাছের ফুলকা, পিত্ত, চর্বি দিয়ে আরও অনেক রকমের জিনিস তৈরি হয়।
শহরের শুধু বড় বাজার নয়, আশপাশের সব বাজারের বটি ওয়ালারাও নাড়িভুড়ি ও আঁশ বিক্রি করে থাকেন। কেউ কেউ বাসা বাড়ি থেকেও মাছের আঁশ সংগ্রহ করে বিক্রি করছেন।
শহরের বড় মাছ বাজারের একজন আড়তদার বাবলু, যিনি প্রতিদিন বিভিন্ন বাজার থেকে কয়েক মণ মাছের আঁশ সংগ্রহ করেন। তিনি বলেন, আঁশ শুকিয়ে তিনি চট্টগ্রামের হক সাহেব, সিরাজ হাজী, আনোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে প্রতি মণ আঁশ আড়াই থেকে তিন হাজার টাকায় বিক্রি করেন। তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা এই আঁশ চট্টগ্রামের আড়তদাররা বিদেশে রপ্তানি করেন।
তিনি জানান, দেশে এ ব্যবসা প্রথম শুরু করেন ঢাকার শামসুল আলম নামে এক ব্যবসায়ী। যিনি তার জাপানি বন্ধুর কাছ থেকে পরামর্শ পেয়ে মাছের আঁশের ব্যবসা শুরু করেন।
মাছের আঁশ দিয়ে আসলে কী হয়?
বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন মাছের আঁশে আছে কোলাজেন ফাইবার আ্যামাইনো এসিড এর মতো কয়েকটি গুণ। ফলে এই আঁশ দিয়ে তৈরি হয় পাউডার, যা ঔষুধ শিল্প, প্রসাধনী শিল্প ও খাদ্য শিল্পসহ পরিবেশ রক্ষার নানা সামগ্রীতে কাজে লাগে। মাছের আঁশ সংগ্রহের ফলে পরিবেশও দূষণ মুক্ত হচ্ছে বলে পরিবেশবিদদের অভিমত।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আঁশ সংগ্রহ করার পর সেই আঁশগুলো পরিষ্কার পানিতে অথবা অল্প গরম পানিতে ধুয়ে পরিষ্কার করা হয়। এমনভাবে পরিষ্কার করা হয় যেন মাছের গায়ে লেগে থাকা তৈলাক্ত পদার্থ সম্পূর্ণ ধুয়ে যায়। তারপর সামান্য রোদে শুকানোর পর ঝরঝরে করা হয়। এরপরই বিক্রির উপযোগী হয়। অবশ্য কেউ কেউ মিক্সার গ্রান্ডারে গুড়ো করে পাউডার আকারেও মাছের আঁশ বিক্রি করেন।
ব্যবসায়ীদের মতে, মাছের ধরন অনুযায়ী আঁশের দাম ভিন্ন হয়। রুই , কাতলার মতো বড় মাছের আঁশের দাম একটু বেশি। চিংড়ি মাছের মাথার খোসার দাম আরেক রকম। মাছের ফুলকার দামও আলাদা। প্রতিটা মাছের চর্বিরও দাম ভিন্ন।
রপ্তানি প্রাক্রিয়াজাতকরণ সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে মাত্র ১০ থেকে ১২ জন ব্যক্তি আঁশ রপ্তানি করেন। তবে এই ব্যবসার সঙ্গে সরাসরি জড়িত রয়েছে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ। প্রতি বছর ২০০ কোটি টাকার বেশি মাছের আঁশ সাত থেকে আটটি দেশে রপ্তানি হয়। প্রতি বছর প্রায় আড়াই হাজার টন আঁশ রপ্তানি হয় জাপান, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোয়। সেখানে মাছের আঁশ থেকে কোলাজেন ও জিলেটিন তৈরি করা হয়। ওষুধ, প্রসাধনী সামগ্রী, ফুড সাপ্লিমেন্ট তৈরিতে মাছের আঁশ ব্যবহৃত হয়। এছাড়া কোলাজেন ও জিলেটিন মাছের আঁশ দিয়ে তৈরি হয়, যা ওষুধ ও প্রসাধন সামগ্রীতে কাজে লাগে।
মাছের আঁশ ব্যবসায়ীদের দাবি, সরকার যদি এ বিষয়ে নজর দেন, তাহলে এ ব্যবসার আরও পরিধি বাড়বে এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।
যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, এই শিল্পকে যেন সামনের দিকে আরও এগিয়ে নেয়া যায় সেই ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের জানাবো।
আরও পড়ুন: ফেনীর অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন বছরের পর বছর ধরে বাক্সবন্দী
দেশজুড়ে বাড়ছে কক্সবাজারের সুপারির কদর, যাচ্ছে বিদেশেও
২ বছর আগে
দেশের বাজারে ঊর্মি গ্রুপের নতুন পণ্য ‘টুর্যাগ অ্যাক্টিভ’
ঊর্মি গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ওয়েভ রাইডার্স লিমিটেডের নতুন পণ্য টুর্যাগ অ্যাক্টিভ উন্মোচন করা হয়েছে।
সম্প্রতি রাজধানীর বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে বিজিএমইএ কাপের ফাইনাল খেলা চলাকালীন সময়ে জমকালো এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নতুন এ পণ্য উন্মোচন করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটির নতুন এ পণ্য প্রাথমিকভাবে কোম্পানির অনলাইন আউটলেটে পাওয়া যাবে।
অ্যাকটিভওয়্যার খেলাধুলা ও শরীরচর্চার জন্য স্বাচ্ছন্দ্যময় ও উপযুক্ত পোশাক। অ্যাথলেট ও যারা ফিট থাকতে ভালোবাসেন তাদের জন্য এ পোশাক মানানসই। অ্যাকটিভওয়্যার পড়ে স্বাচ্ছন্দ্যে জিম ও অন্যান্য এক্সারসাইজ করা যাবে; পাশাপাশি, অ্যাকটিভওয়্যার দেখতেও স্টাইলিশ। এক্সারসাইজ করার সময় ছাড়াও ক্যাজুয়াল পরিবেশেও এ পোশাক চমৎকারভাবে খাপ খেয়ে নেয়।
প্রতিষ্ঠানটির নতুন এ পণ্য উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান। এছাড়াও, অনুষ্ঠানে ঊর্মি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ আশরাফ এবং বিজিএমইএ ও ঊর্মি গ্রুপের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে এডেলউইসের পণ্যের সমাহার নিয়ে এলো দ্য বডি শপ
স্থানীয় ক্রেতাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ঊর্মি গ্রুপ প্রতিনিয়ত বাজারে বিভিন্ন ধরনের পণ্য উন্মোচন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠানটি তরুণ ও স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের জন্য নতুন পণ্য অ্যাক্টিভ ওয়্যার উন্মোচন করেছে যা টেকসই উপাদান দ্বারা তৈরি এবং পারফরম্যান্স বৃদ্ধিতে সহায়ক।
বিজিএমইএ এর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তৈরি পোশাক খাতের গুরুত্ব ও অবদান অপরিসীম। পোশাক রপ্তানির দিক থেকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম।
দেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) খাতটির অবদান ১১ শতাংশ। এ অর্জনে আমাদের দেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি, তারা স্থানীয় মানুষের চাহিদা পূরণেও বিভিন্ন ধরনের পণ্য বাজারে নিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাদের নতুন পণ্য ‘টুর্যাগ অ্যাক্টিভ’ উন্মোচন করল।’
আরও পড়ুন: প্যারিস ফ্যাশন উইক: বেলা হাদিদের শরীরে জাদুকরী 'স্প্রে প্রিন্টেড' পোশাক
অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ এর পরিচালক ও ঊর্মি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ আশরাফ বলেন, ‘জীবনে সুস্থ্যভাবে বেঁচে থাকতে ও লক্ষ্য অর্জন করতে হলে শরীরচর্চা খুবই জরুরি। তাই, মানুষ যেন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারে সে লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন ধরনের পণ্য বাজারে নিয়ে আসি। আামাদের নতুন এ পণ্যটিই এর প্রমাণ।
খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রফুল্ল থাকতে খেলাধুলা ও শরীরচর্চার বিকল্প নেই। তাই, আমাদের ব্যস্ত জীবনে সুযোগ পেলেই সবাইকে খেলাধুলা ও শরীরচর্চার প্রতি মনোযোগী হওয়া উচিত। এমন সুন্দর একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
আরও পড়ুন: আমরা বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না, তবে রপ্তানি বাড়াতে চাই: বিজিএমইএ সভাপতি
২ বছর আগে
১৫ অক্টোবর থেকে নতুন পণ্য বিক্রিতে যেতে পারে ইভ্যালি
ইভ্যালির সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের প্রাক্তন চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ১৫ অক্টোবর থেকে পণ্য বিক্রির জন্য একটি নতুন প্রচার শুরু করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
সম্প্রতি তিনি বলেন, ‘যদি আমরা ব্যবসা শুরু করতে পারি, আমরা এগিয়ে যেতে পারব। আমরা প্রথম দিন থেকেই লাভে পণ্য বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
শামীমা বলেন, ইভ্যালি এক বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে ব্যবসা চালাতে পারলে ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব হবে।
তিনি গ্রাহকদের ইভ্যালিতে বিশ্বাস রাখার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সিইও রাসেলের জামিন মঞ্জুর
শামীমা বলেন, ‘আমাদের অপারেশন পরিচালনার জন্য হাইকোর্ট কর্তৃক নিযুক্ত দুইজন স্বতন্ত্র পরিচালক আছেন।’
যেকোনো শর্তে রাসেলের জামিন চাইবেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ইভ্যালির জন্য এগিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।
ইভ্যালি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে কত টাকা পেয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের গ্রেপ্তারের পর অনেক বিনিয়োগকারী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। এখন আবার ব্যবসা শুরু করলে নতুন বিনিয়োগকারী আসবে।’
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শামীমা বলেন, ইভ্যালির ৪৫ লাখ ক্রেতা ও ৩০ হাজার বিক্রেতা (ব্যবসায়িক সহযোগী) তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনে নিয়মিত পণ্য ক্রয় করলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আনা সহজ হবে।
তিনি বলেন, জামিনে মুক্তির পর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে হলফনামার মাধ্যমে চার শতাধিক বিক্রেতা ইভ্যালিকে নতুন পণ্যে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বার্থ রক্ষায় সরকারের নিবিড় তত্ত্বাবধানে ইভ্যালি পরিচালনার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠন করেছে হাইকোর্ট।
ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, ই-ক্যাবের মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন শিপন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. কাজী কামরুন নাহার বোর্ডে রয়েছেন।
শামীমা বলেন, ‘আমরা ক্যাশ অন ডেলিভারি, পিক অ্যান্ড পে এবং ডেলিভারির আগে নগদ পণ্য বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইভ্যালি লাভ ছাড়া একটি পণ্যও বিক্রি করবে না।’
আরও পড়ুন: নতুন করে ইভ্যালি চালু করতে আদালতে আবেদন
চট্টগ্রামে ইভ্যালির সাবেক সিইও ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
২ বছর আগে