রঙ
কুষ্টিয়ায় ফিটকারী, রঙ, সোডা, হাইড্রোজ দিয়ে তৈরি হচ্ছে আখের গুড়!
কুষ্টিয়ার খোকসায় আখেঁর গুড়ের সঙ্গে মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক ফিটকারী, রঙ, সোডা, হাইড্রোজ ও রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে ভেজাল গুড় তৈরি করার অপরাধে একজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং আরেক জনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রবিবার দুপুরে খোকসা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের ডাকবাংলো সড়কের দিলীপ বিশ্বাসের অবৈধ গুড় তৈরির কারাখানায় আদালত পরিচালনা করা হয়।
আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিপন বিশ্বাস। এসময় কুষ্টিয়া র্যাব-১২ এর স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে হত্যা মামলা: ৫ জনের যাবজ্জীবন ও অর্থদণ্ড
দণ্ড প্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন-ওই কারখানার ম্যানেজার উজ্জল বিশ্বাস ও ক্রেতা জয়নাল আবেদীন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিপন বিশ্বাস জানান, আখের গুড়ের সঙ্গে মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর ফিটকারী, রঙ, সোডা, হাইড্রোজ ও রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে অবৈধ দোজ্বালি ভেজাল গুড় তৈরির অপরাধে কারখানার ম্যানেজার উজ্জ্বল বিশ্বাসকে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং ক্রেতা জয়নাল আবেদীননকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হাজীগঞ্জে শিয়ালের মাংস বিক্রি করায় ২ ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড
ডেসটিনির মোহাম্মদ হোসেনের অর্থদণ্ড স্থগিত
ফুলবাড়ী: সবুজ রঙে সেজেছে কৃষকের মাঠ
সবুজ রঙে সেজেছে কৃষকের মাঠ। কৃষকের স্বপ্নের আমন খেতের চারিদিকে সবুজ রঙে ভরে উঠেছে। বিস্তৃর্ণ কৃষকের মাঠে মাঠে দু-চোখ জুড়ানো যেন এক অপরূপ সবুজের সমারোহ। যেন কোন জমি আর পতিত নেই।
প্রতিটি ধান গাছে র্শীষ বেড়া শুরু করেছে। বৃষ্টি ভেজা বাতাসে দোল খাচ্ছে আমন ধানের গাছগুলো। এ যেন এক নয়ন জুড়ানো দৃশ্যে মেতে উঠেছে ফসলের মাঠ জুড়ে। এখন মাঠ জুড়ে সবুজ রঙে সাজিয়ে তুলেছে প্রকৃতির এক অপরূপ সৌন্দর্য।
আরও পড়ুন: অনাবৃষ্টিতে আমন চাষ নিয়ে শঙ্কায় কৃষক
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অধিকাংশ প্রান্তিক কৃষক পরিবার কৃষির উপর নির্ভরশীল। ধানসহ সারা বছরেই কোন না কোন ফলন ফলায়। সেই ফসল বিক্রি করে পরিবার-পরিজন জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তাদের প্রধান ফসল ধান। চলতি আমন মৌসুমে অঞ্চলের চাষিরা তাদের প্রধান ফসল উৎপাদনের শুরুতেই বৃষ্টির দেখা মেলেনি।
ভরা বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির দেখা না পেয়ে সঠিক সময়ে বাধ্য হয়ে শ্যালো মেশিন ও সেচযন্ত্রের মাধ্যমে পানি ক্রয় করে জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ করেছেন চাষিরা। এ বছর পানি ক্রয় তাদের স্বপ্নের ফসল বাড়তি খরচ দিয়ে চাষাবাদ করলেও আমনের বাম্পার ফলনের এক উজ্জল সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় আমন চাষিদের কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
আরও পড়ুন: চলাচলের অনুপযোগী ফরিদপুর পৌরসভার শতাধিক কিলোমিটার সড়ক
কুরুষাফেরুষা গ্রামের কৃষক আবুল কাসেম ও পুলিন চন্দ্র রায় জানান, ভরা বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির দেখা পাইনি। তবে সঠিক সময়ে শ্যালো-মেশিন ও সেচযন্ত্র দিয়ে পানি কিনে আমন ধান চাষাবাদ করেছি। রোপনের পর বৃষ্টির দেখা মেলে। মাঝে মধ্যে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় এ বছর আমনের আবাদ গত বছরগুলোর চেয়ে ভাল ফলন দেখা দিয়েছে। জ্বালানি তেল ও সারের বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা অতিরিক্ত খরচ বহন করে আমন ধান চাষাবাদ করলেও এখন সেই স্বপ্নের ফসল দেখে আমাদের মন ভরে যায়।