প্রধান শহর
প্রধান শহরগুলোর জন্য বড় নগরায়ন প্রকল্প সরকারের
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোর বিভিন্ন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ দ্রুত নগরায়নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে সমন্বিত পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।
ইউএনবির দেখা একটি নথি অনুযায়ী, নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ উন্নত আবাসন, পার্ক ও জলাশয়ের ব্যবস্থাপনা, যানজট ও জলাবদ্ধতা নিরসনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে।
নথিতে উল্লেখ আছে, ২০১৬ থেকে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত সময়ের জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কর্তৃক ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্টের আওতায় ঢাকা শহরের ভবনগুলোর জন্য ভূমিকম্পের ঝুঁকির মূল্যায়নও চলছে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ‘চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন এলাকার মাস্টারপ্ল্যান (২০২০-২০৪১) প্রণয়ন’- শীর্ষক একটি সমীক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ২০ বছরে চার ধাপে বাস্তবায়নের জন্য একটি মহাপরিকল্পনা তৈরি করেছে।
এছাড়া সারাদেশে পরিকল্পিত নগরায়নের লক্ষ্যে ‘নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা আইন’-এর খসড়া তৈরির কাজ চলছে।
ঢাকায় কুড়িল-পূর্বাচল লিংক রোডের উভয় পাশে ১০০ ফুট প্রশস্ত খাল খনন ও উন্নয়ন এবং ১২ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১৪ লেনবিশিষ্ট সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। যার আওতায় রয়েছে পাঁচটি ইন্টারসেকশন, ১৩টি খিলান সেতু এবং চারটি আন্ডারপাস ও ছয়টি সেতু প্রশস্তকরণ।
আরও পড়ুন: আশ্রয়ণ প্রকল্প: ‘এহন আমাগের দিন ঘুরতে শুরু করছে’
এছাড়া রাজউকের অধীনে ঢাকার নতুন বাজার এলাকা থেকে মাদানী এভিনিউ বরাবর বালু নদী পর্যন্ত ৪টি সেতুসহ ৬ দশমিক ১৮ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে।
নথিতে বলা হয়েছে, শহরকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করতে চট্টগ্রামে ৩৫টি খাল পরিষ্কার ও পুনঃখননের কাজ চলছে।
লালখানবাজার থেকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজও চলছে।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম শহরের যানজট নিরসনে ১৫ দশমিক ২ কিলোমিটার রিং রোড প্রকল্পের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে।
সরকারি কাগজপত্র অনুসারে, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য ইটের বিকল্প হিসেবে আধুনিক ও পরিবেশ বান্ধব ইট (ব্লক) ব্যবহার করতে সরকার উৎসাহিত করছে।
এতে বলা হয়েছে, পরিবেশবান্ধব ‘অটোক্লেভ এরেটেড কংক্রিট প্যানেল’ তৈরির জন্য একটি পাইলট প্ল্যান্ট তৈরির কাজ চলছে।
এর ফলে ২০২৫ সালের মধ্যে ইটের ব্যবহার শূন্যে নামিয়ে আনার সরকারের নীতির বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থের তুলনায় কাজ উন্নত হয় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এছাড়াও, উন্নত বিশ্বে অনুসৃত নির্মাণ প্রকৌশলের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দ্রুত ভবন নির্মাণ প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ভুমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে বহুতল ভবনকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।
পরিকল্পনায় স্থানীয় উপকরণ, প্রযুক্তি ও দক্ষ জনশক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে নির্মাণ শিল্পকে আধুনিক ও টেকসই করার কথা বলা হয়েছে।
চাহিদা ও গুরুত্ব অনুযায়ী পুরানো সরকারি ভবনগুলোকে ভূমিকম্প প্রতিরোধ ব্যবস্থার (সিসমিক রেট্রোফিটিং) আওতায় আনা হচ্ছে।
নথিতে বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনাটি জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে ও নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে সব সরকারি ভবনকে পরিবেশবান্ধব, জ্বালানি সাশ্রয়ী ও সবুজ প্রযুক্তি সমৃদ্ধ করে তুলবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংককে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রকল্পে অর্থায়ন ত্বরান্বিত করার আহ্বান নসরুল হামিদের
২ বছর আগে