গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া
নির্বাচনের ঠিক আগে ট্রেনে আগুন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্তের চূড়ান্ত অভিপ্রায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ট্রেনে আগুন দেয়ার মতো জঘন্য অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে তারা কোনো প্রচেষ্টা ছাড়বেন না।
আজ এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনা হবে এবং অপরাধীকে দেশের আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হবে।’
মোমেন বলেন, জনগণের মধ্যে ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টির এই নির্লজ্জ প্রচেষ্টা গণতন্ত্রের চেতনা ও আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশি নাগরিকদের উৎসাহী অংশগ্রহণের অপমানস্বরূপ।
তিনি বলেন, ‘এই যে ট্রেনে আগুন দেওয়ার কাজ, ভেতরে মানুষ জ্বলছে- সহিংসতার এই ধরণ আমরা আগেও দেখেছি। যা আমাদের সমগ্র সমাজের বিবেককে, অবশ্যই সমগ্র বিশ্বকে হতবাক করেছে।’
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট সেবায় ‘কল সেন্টার’ উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মোমেন বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যখন উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে প্রস্তুতি নিচ্ছে, ৫ জানুয়ারি (শুক্রবার) রাতে দুর্বৃত্তরা ইচ্ছাকৃতভাবে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, ট্রেনটি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের দিকে যাওয়ার সময় রাত ৯টার দিকে গোপীবাগ কাঁচা বাজার এলাকায় সংঘটিত এই পরিকল্পিত ও জঘন্য ঘটনার ফলে ২ শিশুসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
মোমেন বলেন, ‘বিদ্বেষপূর্ণ উদ্দেশ্য নিয়ে পরিকল্পিত এই নিন্দনীয় ঘটনা নিঃসন্দেহে আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের কেন্দ্রে আঘাত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনের ঠিক একদিন আগে এই ঘটনাটি দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উৎসব, সুরক্ষা ও নিরাপত্তাকে বাধাগ্রস্ত করার চূড়ান্ত অভিপ্রায়।’
মোমেন বলেন, এটি গণতন্ত্রের অপমান, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ওপর আক্রমণ এবং নাগরিক অধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীলের মায়ের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
১১ মাস আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে: নির্বাচন প্রসঙ্গে এমইএ মুখপাত্র
বাংলাদেশের জনগণ কীভাবে নির্বাচন করতে চায় তার ভিত্তিতে নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নির্ধারণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এমইএ) মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) নয়া দিল্লিতে সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘পুরো বিশ্ব এতে মন্তব্য করতে পারে কিন্তু ভারত ভারতের মতোই। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।’
এই বছরের ডিসেম্বর বা আগামী বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই প্রথম ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করল।
আরও পড়ুন: 'সন্ত্রাস শিল্পের মুখপাত্র': পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশে যা ঘটে সেটি তাদের প্রভাবিত করে।
তিনি বলেন, ‘দেখুন, আমি মনে করি সেখানে অনেক ধরনের কার্যক্রম চলছে। লোকজন সম্ভবত সেগুলোর সম্পর্কে মন্তব্যও করছে।’
ঢাকায় তাদের একটি হাই কমিশন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, অবশ্যই, ভারত ঘনিষ্ঠভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
আরও পড়ুন: গুজরাটে ভারতের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কামালের সাক্ষাত, দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা
এই মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা আশা করি সেখানে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। কোনো সহিংসতা হবে না। নির্বাচন পরিকল্পনা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।’
বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার অবশ্যই কোনো মন্তব্য নেই।
যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশগুলো বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করে আসছে এবং বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছে।
এদিকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ভারতের সহায়তাপুষ্ট ৩ মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন: হাইকমিশনার
১ বছর আগে
আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: জেনেভায় নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, ‘জনগণ তাদের ভোট দেবে, জনগণ তাদের ভোটের একমাত্র মালিক হিসেবে তারা যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবে। আর যে জনগণের ভোট পাবে সে সরকার গঠন করবে।’
বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় হিলটন হোটেলে আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সংক্রামক রোগ থেকে বিশ্বব্যাপী শিশুদের রক্ষায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে চলতি বছরের ডিসেম্বরে অথবা আগামী জানুয়ারিতে বাংলাদেশে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে কারচুপি করা হবে বলে ভোট বর্জনের অঙ্গীকার করেছে, যদিও সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এর পরিবর্তে বিরোধী দলটি নির্বাচন আয়োজনের জন্য নিরপেক্ষ প্রশাসনের পথ প্রশস্ত করতে শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগ দাবি করে।
শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু বিএনপি এটা ভালো করেই জানে যে তাদের খারাপ কর্মকাণ্ডের জন্য তারা জনগণের কোনো ভোট পাবে না এবং সে কারণে তারা এখন নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে পিছু হটার বাহানা খুঁজছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আসলে তারা (বিএনপি) চোরের ও ভোট কারচুপিকারীদের দল। ভোট ডাকাতি করা ছাড়া তাদের পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ তাদের আর চায় না এবং সে কারণে তারা জনগণের কাছ থেকে ভোট পায় না।’
সরকার পতনের জন্য বিএনপির বারবার হুমকি প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার অতটা দুর্বল নয়।
নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনে বিএনপির দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবদানের জন্য প্রিন্স রহিম ও আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ককে প্রধানমন্ত্রীর ধন্যবাদ
১ বছর আগে
আ.লীগ দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে: শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সব সময় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায়ে ক্ষমতায় আসে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘ইতিহাস জুড়ে আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের সমর্থনে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে।’
সোমবার শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর মুক্তিযোদ্ধা একেএম নাসিম ওসমান সেতু এবং মধুমতি নদীর ওপর বাংলাদেশের প্রথম ছয় লেনের সেতু উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতু দুটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করে নপ্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইশা ইউসেফ আল দুহাইলান বক্তব্য দেন।
সেতুগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী।
অনুষ্ঠানে সেতু প্রকল্পের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
পড়ুন: দেশের প্রথম ৬ লেনের সেতু উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে