জীবন রক্ষা
ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবনরক্ষায় জরায়ু মুখের ক্যান্সারের পূর্ব অবস্থা শনাক্তের বিনামূল্যে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠির (যৌনকর্মীদের) জীবন রক্ষায় জরায়ু মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে সোমবার ঢাকা আহছানিয়া মিশনের উদ্যোগে মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার ঢাকার সায়দাবাদ ডিআইসিতে অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষায় মোট ৪০ জন ঝুঁকিপূর্ণ নারী অংশ ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নেন।
ঢাকা আহছানিয়া মিশন পরিচালিত আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার প্রকল্পের সহযোগিতায় শহরের ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর শারীরিক পরীক্ষা, স্তন পরীক্ষাসহ ভায়া পরীক্ষার মাধ্যমে জরায়ু-মুখ ক্যান্সারের পূর্বাবস্থা শনাক্তকরণ পরীক্ষা করা হয়।
আরও পড়ুন: উদয়ন স্কুলে দিনব্যাপী হেলথ ক্যাম্প আয়োজন ডিনেটের
সারভাইকাল ক্যান্সার স্ক্রিনিং লক্ষ্যে বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আহছানিয়া মিশনের প্রতিষ্ঠা হজরত খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.) এর ১৫০তম জন্মবর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে এ কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়।
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সহকারী পরিচালক (স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টর) ডা. নায়লা পারভীন এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এ সময় তিনি বলেন, বিশ্বে নারী মৃত্যুর প্রধান কারন গুলোর মধ্যে জরায়ু মুখ ক্যান্সারও একটি কারন তবে এটা প্রতিরোধ করা যায় সচেতনতা ও সময়মতো পরীক্ষার মাধ্যমে।
এই রোগে আক্রান্ত হবার কারন এবং ঝুঁকিতে থাকা নারীদের শারীরিক সমস্যার লক্ষণ ও চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কেও সকলকে অবহিত করেন।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু এই স্ক্রিনিংটির মাধ্যমে জরায়ু মুখের ক্যান্সারের পূবাবস্থা নির্ণয় করা যায়, তাই সঠিক সময়ে স্ক্রিনিংটি করা সম্ভব হলে চিকিৎসার মাধ্যমে এই ক্যান্সারের নিরাময় করা সম্ভব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্তিত ছিলেন- আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মাহফীদা দীনা রুবাইয়া, ক্লিনিক ম্যানেজার ডা. ইশরাত শারমীন এবং এফএসডাব্লিউ প্রকল্পের টিম লিডার, মো. কামরুজ্জামান টেকনিক্যাল স্পেশালিষ্ট ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস মার্ফী ও কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স অফিসার, লায়লা ইয়াসমিন।
আরও পড়ুন: রমেক হাসপাতালে ডায়ালাইসিস মেশিন বিকল, চিকিৎসাসেবা ব্যাহত
‘ভেক্টর বাহিত রোগ বৃদ্ধির জন্য জলবায়ু পরিবর্তন দায়ী’
১১ মাস আগে
সরকারের সম্পত্তি ও জীবন রক্ষার অধিকার আছে: মোমেন
সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ‘কোন অভিপ্রায় নেই’। তবে সম্পত্তি ও জীবন রক্ষার অধিকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেছেন, ‘মানবাধিকারের নামে কেউ যদি সম্পত্তি ধ্বংস করে, অগ্নিসংযোগ করে এবং মানুষ হত্যা করে, তাহলে তাদের সম্পত্তি ও মানুষের জীবন রক্ষা এবং তাদের চলাফেরা নিশ্চিতের অধিকার সরকারের রয়েছে।’
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থের তুলনায় কাজ উন্নত হয় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) ‘বাংলাদেশ: রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর ক্র্যাকডাউন’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদনের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মোমেন জানান, এইচআরডব্লিউর প্রতিবেদনে কী আছে সে বিষয়ে তিনি অবগত নন।
তবে তিনি বলেন, তারা কারো মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখতে চান না। ‘আমরা খুব সংবেদনশীল। সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখতে চায় না।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা এইচআরডব্লিউ সোমবার বলেছে, বাংলাদেশ পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করছে। তাই দেশটির কর্তৃপক্ষ বিরোধী দলগুলির ওপর দমন-পীড়ন এবং ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকরা হামলা বাড়িয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলেছেন, বাংলাদেশ একটি পরিপক্ক গণতন্ত্র যা নির্বাচন পরিচালনা করতে এবং ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর করতে সক্ষম। কিন্তু এর আগের নির্বাচনগুলিতে সহিংসতা, বিরোধীদের ওপর আক্রমণ এবং ভোটারদের ভয় দেখানোর ঘটনা দেখা গেছে।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক হামলা ও গ্রেপ্তারের সাম্প্রতিক ঘটনা আসন্ন সংসদ নির্বাচনের জন্য একটি অশুভ সুর তৈরি করেছে।’
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক খাদ্য সংকটে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভার্জিনিয়ায় বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে