মহাসমাবেশ
৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মহাসমাবেশের ডাক
নয় দফা দাবি আদায়ে সচিবালয়ের অভ্যন্তরে সমাবেশ ও ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী বুধবার মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে এই মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো: বাদিউল কবীর।
এসময় দাবি বাস্তবায়নে গড়িমসি ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগে একজন যুগ্মসচিবের অপসারনের দাবিও জানান তিনি।
দাবি আদায়ে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, দাবি আদায়ে আমরা মাঠে আছি। গড়িমসি না করে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানাচ্ছি।
নয় দফা দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, পতিত স্বৈরাচারের আমলে চাকরি হতে অন্যায়ভাবে আরোপিত সকল আদেশ প্রত্যাহার ও ভূতাপেক্ষ জৈষ্ঠতা প্রদানসহ নিয়মিত চাকরির ন্যায় ভূতাপেক্ষভাবে আর্থিক সুবিধাদি প্রদানের নির্দেশনা প্রদান।
কর্মচারী প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় পে-কমিশন গঠন এবং বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, ন্যায় বিচার ও সমতার ভিত্তিতে বিদ্যমান ২০টি গ্রেডের পরিবর্তে ১০টি বেতন গ্রেড নির্ধারণ করা। পূর্ণাঙ্গ পে-কমিশন বাস্তবায়নের পূর্বে সকল স্তরের কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাস্তবায়ন এবং ২০তম গ্রেডে (অফিস সহায়ক) কর্মরতদের বেতন গ্রেড ১৭তম গ্রেডে উন্নীত করা। ১০ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডে উন্নীত করা।
পূর্বের ন্যায় ১০০ শতাংশ পেনশন গ্রাচুইটি প্রথা চালু করা, সকল স্তরের কর্মচারীদের জন্য পূর্বের ন্যায় টাইম-স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড চালু করা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বার্ষিক আয়সীমা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়করমুক্ত রাখা, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের ন্যায় সচিবালয় ভাতা ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ন্যায় রেশনিং প্রথা চালু করা।
চাকরির বয়সসীমা ৫৯ বছরের ০৩ বছর বর্ধিত করে ৬২ বছর নির্ধারণ করা, সচিবালয় কর্মচারীরা তাদের কর্মস্থলের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ও যৌক্তিক পদনাম প্রদান এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরমভাবে বঞ্চিত বাংলাদেশ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায্য প্রাপ্যতানুযায়ী সংখ্যানুপাতে পদ সংরক্ষণের আদেশ জারি।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর, সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদ, বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা মো. তোয়াহা, মো. শাহীন, বেলাল হোসেন, সুমন, সিনিয়র নেতা মাহে আলম তৌহিদুল ইসলাম, সোহরাব হোসেন, অর্থ বিভাগের প্রতিনিধি নুরুজ্জামান, জনপ্রশাসনের প্রতিনিধি আরিফ হোসেন ও নজরুল ইসলামসহ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আনসারদের চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আবারও সচিবালয় অবরুদ্ধ
৩ সপ্তাহ আগে
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর
২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে পুলিশ কনস্টেবল নিহতের মামলাসহ দুই মামলায় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: আমীর খসরু একদিনের রিমান্ডে
এদিকে বুধবার রমনা ও পল্টন মডেল থানার পৃথক আট মামলায় তার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জেল হোসেনের আদালতে গ্রেপ্তার ও জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।
এদিন আমীর খসরুকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এ জন্য শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন আদালত।
গত রবিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।
তারও আগে আমীর খসরুর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ গ্রেপ্তার ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা আমীর খসরু আটক
জানা গেছে, ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় আমীর খসরুর বিরুদ্ধে মোট ১০টি মামলা হয়। দু’টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এজন্য অপর আট মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ আট মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে রমনা মডেল থানায় চার এবং পল্টন মডেল থানায় চারটি মামলা রয়েছে।
গত ২ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশানের ৮১ নম্বর রোডের বাসা থেকে আমীর খসরুকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় গত ৩ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১০ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও আলাল গ্রেপ্তার
এরপর পল্টন থানার নাশকতার আরেক মামলায় গত ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা গ্রেপ্তার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে দুদিনের জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা আমীর খসরু জামিনে মুক্ত
১১ মাস আগে
২৮ অক্টোবরে মহাসমাবেশ থেকে চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার, কারাগারে মৃত্যু
গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামের এক বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে।
মারা যাওয়া গোলামুর রহমান চট্টগ্রাম নগরীর মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের হাই সিকিউরিটি ইউনিটের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার(২৫ নভেম্বর) দুপুরে কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন গোলাপুর রহমান। তাকে দ্রুত কারাগারের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান সুব্রত কুমার।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইদ্রিস আলী জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কাশিমপুর কারাগার থেকে টেলিফোনে তার পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাশিয়ার ইতিবাচক ভূমিকা প্রত্যাশা বিএনপির: রিজভী
ইদ্রিস বলেন, তার লাশ নিতে পরিবারের সদস্যদের কাশিমপুর কারাগারে যেতে বলা হয়েছে।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে ঢাকায় যান গোলাপুর রহমান। সমাবেশের সময় নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে মোহরা ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ আজম ও গোলাপসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকে তারা কাশিমপুর কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দেওয়া তালিকা ধরে নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করবে ইসি: বিএনপি
১ বছর আগে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশ শুক্রবার
সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রবর্তন এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবিতে শুক্রবার (৩ নভেম্বর) মহাসমাবেশ করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বেলা ১২টায় পুরানা পল্টনের কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান দলটির নায়েবে আমির মুফতী ফয়জুল করীম।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মহাসমাবেশ সফলে প্রশাসন, পরিবহন মালিক শ্রমিক, সাংবাদিক সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমাদের কাছে তথ্য এসেছে যে কোথাও কোথাও প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নেতা-কর্মীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মহাসমাবেশে না আসার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যেখানে প্রশাসনের অনুমতি হয়েছে, সেখানে ভয়ভীতি প্রদর্শন মেনে নেয়া হবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার পতনে মহাসমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিক্ষোভ সমাবেশ
তিনি সারাদেশে সকল জেলা, থানা, ইউনিয়ন ওয়ার্ডের ইসলামী আন্দোলন এবং সকল সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মী, ছাত্র-শিক্ষক, শ্রমজীবী, পেশাজীবীসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে আগামীকালের মহাসমাবেশে উপস্থিত হয়ে সমাবেশকে সফল করার আহবান জানান।
বিরোধী দলের কর্মসূচিতে আহত হয়ে মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিক, পথচারী ও পুলিশের মৃত্যুতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করে তাদের মাগফিরাত কামনা করে মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, আমাদের মহাসমাবেশ হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। সংঘাত সহিংসতা কাম্য নয়।
মহাসমাবেশ নিয়ে কোন প্রকার অপপ্রচার এবং বিভ্রান্তিতে কান না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে ফয়জুল করীম বলেন, আগামীকালের মহাসমাবেশ স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমুদ্রে পরিণত হবে। দেশবাসীকে কোন অপপ্রচার ও বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
দেশ, ইসলাম ও মানবতার পক্ষে এ সমাবেশ গুরম্নত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে উল্লেখ করে, তিনি বলেন সাম্প্রতিক সময়ের আন্দোলনে যারা আহত, নিহত হয়েছে তাদের প্রতি সমবেদনা জানান। অন্যায়ভাবে যে সকল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অবিলম্বে তাদের মুক্তিরও দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মহানবীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিলে পুলিশের বাধা
নির্বাচন কমিশনের সংলাপে অংশ করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেখানে আমরা নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবি করছি, যে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীর মৃত্যু কামনা করেন, সে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে অংশগ্রহণের প্রশ্ন কিভাবে আসতে পারে?
বিরোধী দলের কর্মসূচির প্রতি সমর্থন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রতি আমাদের সমর্থন আছে।
জাতীয় সরকারের রূপরেখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির সমন্বয়ে জাতীয় সরকার গঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান।
আরও পড়ুন: সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের
১ বছর আগে
মঙ্গলবার থেকে দেশব্যাপী ৩ দিনের অবরোধ বিএনপির
রবিবার দিনব্যাপী হরতালের পর বিএনপি তাদের এক দফা দাবি আদায়ে এবং শনিবার নয়াপল্টনে দলের মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে ৩১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) থেকে টানা তিনদিন দেশব্যাপী অবরোধ ঘোষণা করেছে।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের এক হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর সারাদেশে অবরোধ পালিত হবে।
রিজভী আরও বলেন, সড়ক, রেল ও নৌপথে এই অবরোধ পালিত হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘেরাও করেছে পুলিশ
ফখরুলকে আটকের নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি
সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে বিএনপির ডাকা দেশব্যাপী হরতাল চলছে
১ বছর আগে
নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ চলছে
নির্দলীয় সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের এক দফা দাবিতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির মহাসমাবেশ শুরু হয়েছে।
শনিবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন এবং বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ আগামী নির্বাচনের জন্য বর্তমান সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
আরও পড়ুন: কাকরাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে বিএনপির ২০০ নেতা-কর্মী আটক
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী।
দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নির্দেশ অমান্য করে শুক্রবার বিকালে কয়েক হাজার বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী নয়াপল্টনে জড়ো হয়ে রাতভর অবস্থান করেন।
ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড এবং দলের শীর্ষ নেতাদের প্রতিকৃতি নিয়ে সারা দেশ থেকে বিরোধী দলের অনুসারীরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
ফকিরাপুল থেকে কাকরাইল মসজিদ পর্যন্ত সড়ক ও গলিগুলোতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপচে পড়া ভিড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সমাবেশের বিস্তৃত জনতা আশেপাশের সড়ক, রাস্তা, গলি এবং নানা স্থানে ছড়িয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: শনিবারের সমাবেশকে সামনে রেখে বিএনপি নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টনে জড়ো হতে শুরু করেছে
১ বছর আগে
নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশের জন্য হাজারো মানুষের ঢল
বিএনপির এক দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল উপস্থিতিতে আজ (শনিবার) সকাল থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করে দলটির নেতা-কর্মীরা।
জ্যেষ্ঠ নেতাদের নির্দেশ অমান্য করে শুক্রবার বিকালে কয়েক হাজার বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী নয়াপল্টনে জড়ো হয়ে রাতভর অবস্থান করেন।
আজ সকাল ৯টার দিকে সমাবেশস্থলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী আসছেন।
আরও পড়ুন: কাকরাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে বিএনপির ২০০ নেতা-কর্মী আটক
রঙিন টুপি পরে, ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও দলের শীর্ষ নেতাদের প্রতিকৃতি হাতে নিয়ে তারা সমাবেশস্থলে এসে সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন।
কাকরাইল থেকে আরামবাগ পর্যন্ত সড়ক ও গলি বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপচে পড়ায় ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
দলের অনেক নেতা-কর্মী অভিযোগ করেন, ঢাকার প্রবেশপথ ও বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তল্লাশি ও ব্যারিকেডের সম্মুখীন হতে হয়েছে।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে ‘এক দফা’ আদায়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করেছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: শনিবারের সমাবেশকে সামনে রেখে বিএনপি নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টনে জড়ো হতে শুরু করেছে
১ বছর আগে
আ. লীগের সমাবেশ: বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু
বিএনপির মহাসমাবেশের জবাব দিতে এবং আগামীকালের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ সফল করতে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করেছে আয়োজকরা।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ২টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ মঞ্চ তৈরির কাজে হাত দেয় বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে। মঞ্চ তৈরির আশেপাশে হাতে গোনা কর্মী-সমর্থকদের অবস্থান ছিল বলে প্রত্যক্ষ করেন ইউএনবি প্রতিবেদক।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
দলটি জানায়, আগামীকাল আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে যোগ দিয়ে মিথ্যাচার-গুজব, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে জনগণ।
তবে, সমাবেশ হবে না বলে সামাজিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে দলটির দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ইউএনবিকে জানান, আমরা অত্যন্ত দুঃখ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, আওয়ামী লীগের প্যাড ও সই জালিয়াতি করে একটি চিহ্নিত মহল আগামীকাল শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ স্থগিতের ভুয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। মিথ্যাচার, গুজব ও অপপ্রচার যাদের একমাত্র রাজনৈতিক হাতিয়ার, তারাই এই ধরনের কাপুরুষোচিত কাজ করতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে মানুষের ঢল
১ বছর আগে
বিএনপির মহাসমাবেশে সরকার রাস্তাঘাট বন্ধ করবে কি না- জানতে চেয়েছেন পিটার হাস
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সরকার ঢাকায় প্রবেশের সব রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেবে কি না জানতে চেয়েছেন।
রবিবার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি এ বিষয়টি জানতে চান।
বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ভিসা নীতিতে কাকে নিষিদ্ধ করেছে জানি না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে তিনি জানতে চেয়েছেন বিএনপি একটি বিরাট কর্মসূচি দিয়েছে, সেখানে অনেক লোক নিয়ে আসবে, আপনারা রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেবেন কি না, কিংবা আপনারা অন্য কিছু করবেন কি না?
তিনি বলেন, আমরা বলেছি ওই ধরনের কোনো প্রোগ্রাম আমাদের নেই। আমরা মনে করি, তারা যে রাজনৈতিক এজেন্ডা দিয়েছেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে করবেন। কর্মসূচি যদি তারা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করেন, তবে আমাদের কিছু বলার নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারপরও আমরা অনুরোধ করব ঢাকা শহর এমনিতেই একটি যানজটপূর্ণ শহর। এখানে ২ কোটির বেশি মানুষ বসবাস করে, এমনি কি ঢাকার রাস্তাঘাট মানুষে পূর্ণ থাকে।
সেখানে যদি ১০ লাখ মানুষ বা এর চেয়ে বেশি লোক ঢোকে তারা যেটা বলেছেন, তাহলে তো একটা মিসম্যাচ হয়ে যাবে। সেগুলো যাতে তারা না করেন, সেটার জন্য আমরা রিকোয়েস্ট করব।
মন্ত্রী আরও বলেন, তিনি (রাষ্ট্রদূত) জানতে চেয়েছিলেন যে আসা-যাওয়া বন্ধ করা হবে কি না। আমি বলেছি আসা-যাওয়া বন্ধ আমরা কেন করব? ঢাকায় আসা তো সবারই প্রয়োজন, একটা রোগীর ঢাকা আসা প্রয়োজন, বিদেশে যেতে হলে ঢাকায় আসা প্রয়োজন- সবকিছু তো ঢাকাকেন্দ্রিক।
কাজেই আসা-যাওয়া বন্ধ করার কোনো প্রশ্নই আসে না। তারা (বিএনপির নেতা-কর্মী) আসবে, তারা যাবে, সেখানে আমরা কোনো বাধা দেব না কিংবা আমরা সেটার কোনো চিন্তাও করছি না।
আমরা শুধু এটুকুই বলব- তারা যাতে কোনো সহিংসতায় লিপ্ত না হয়, চলাচলের জায়গাটি তারা যাতে সচল রাখে। এটুকুই আমাদের রিকোয়েস্ট, সেটা আমরা তাকে জানিয়েও দিয়েছি।
একটি দেশের রাষ্ট্রদূত একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে এসেছেন। এটি কূটনীতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে কি না?
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই প্রশ্নটি তো আমি আপনার কাছে করতে চাই। আমার কথা হলো, তিনি আসছেন তিনি একটি দেশের রাষ্ট্রদূত তিনি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছেন, আমরা উত্তর দিয়েছি। এটা করতে পারে কি পারে না- সেটা দেখা আমার বিষয় নয়। সেটার জন্য আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আছে।
তিনি বলেন, আপনার (সাংবাদিক) কাছে আমারও প্রশ্ন। এ সমস্ত ব্যাপারে বোধ হয় কিছুটা সংযমী হওয়া উচিত।
রাজনৈতিক শিষ্টাচার এর মধ্যে পড়ে কি না- সেই বিষয়ে আপনি আমাদের কাছে প্রশ্ন রাখলেন। কিন্তু আপনার কাছে জানতে চাইলেও আপনি তো তথ্য দিয়ে দিলেন। তথ্য দেওয়াটা বাধ্যতামূলক ছিল কি না- এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, তথ্য যতটুকু দেওয়ার আমরা ততটুকুই দিয়েছি। একজন রাষ্ট্রদূত আমাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এসেছেন, জিজ্ঞাসা আমাকে করতেই পারেন। সেই জায়গায় আমরা সেইটুকুই মেনটেইন করেছি। যতখানি প্রয়োজন ততটুকুই আমরা (তথ্য) দিয়েছি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দূর্গাপূজা নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তিনি জানতে চেয়েছেন- পূজা শান্তিপূর্ণভাবে হবে কি না, সবকিছু আমরা দেখাশোনা করছি কি না। আমরা তাদের জানিয়েছি প্রতি বছরই বাংলাদেশের পূজামণ্ডপের সংখ্যা বাড়ছে। পশ্চিমবঙ্গের পূজামণ্ডপের সংখ্যার সঙ্গে যদি তুলনা করা হয়, তবে দেখা যাবে আমাদের দেশে পূজামণ্ডপের সংখ্যা বেশি।
তিনি বলেন, তাদের জানিয়েছে প্রতিটি পূজামণ্ডপে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের দেশের মানুষ ভায়োলেন্স পছন্দ করে না। আমাদের দেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়, এই পূজায় কিছু হবে না বলেই আমরা বিশ্বাস করি। তারপরও যথেষ্ট সতর্ক অবস্থায় সবাই আছেন।
পূজা উদযাপনের বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সন্তুষ্টি প্রকাশ করে গেছেন বলেও জানান মন্ত্রী। শুধু ২৮ অক্টোবরের বিএনপির কর্মসূচি নয় রোহিঙ্গাসহ আরও অন্যান্য বিষয়েও আলোচনা করতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেছেন, ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের দখলে থাকবে রাজপথ।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এগুলো রাজনৈতিক বক্তব্য। কর্মীদের উজ্জীবিত রাখার জন্য আমাদের রাজনীতিক নেতারা এগুলো বলবেই। এগুলো রাজনৈতিক বক্তব্য। কেউ বলবে আমরা দখলে রাখব, কেউ বলবে তারা দখলে রাখবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমার কথা হলো, যে যে কর্মসূচি দিক, যে যে প্রোগ্রামে দিক, রাস্তাঘাট বন্ধ না করে যেন চলাচলের বিঘ্ন না ঘটিয়ে তা করেন, সে বিষয়ে আমি অনুরোধ রাখব। আমরা ঢাকা শহরকে অচল হতে দেব না।
বিএনপির মহাসমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় করে না, প্রচলিত আইন অনুযায়ী এটি ডিএমপি কমিশনার করেন। তার কাছে কে গিয়েছে এবং তিনি কী বলেছেন, এখন পর্যন্ত আমি জানি না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশে রোহিঙ্গাদের নিতে চান, এসবি ক্লিয়ারেন্সটা একটু দেরি হয়, সেই বিষয়ে তারা বলেছেন। আমরা তাদের নিশ্চিত করেছি, রোহিঙ্গা আমাদের হেডেক, তাদের যদি অন্য কোনো দেশে নিয়ে যায়, সেটাকে আমরা স্বাগত জানাই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা সেই ব্যবস্থা করব।
অর্থের বিনিময়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের মাধ্যমে নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। দূর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছি।
এ ছাড়াও দূর্গাপূজার পর ২৮ অক্টোবর যে রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে, তা শান্তিপূর্ণ ও সহিংসতামুক্তভাবে পালিত হবে বলে আশা করছি।
আরও পড়ুন: সাইবার স্পেসে গুজব ছড়ালে কেউ রেহাই পাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা বিএনপির
সরকার পতনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন।
ফখরুল বলেন, 'এটা আমাদের আংশিক কর্মসূচি, মহাসমাবেশ থেকে আমাদের মহাযাত্রা শুরু হবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, 'অনেক প্রতিবন্ধকতা আসবে, এসব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে আমাদের আন্দোলন সফল করতে হবে।’
এর আগে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণে জনসভা শুরু হয়।
আরও পড়ুন: সরকার পতনের আন্দোলন নভেম্বরেই চূড়ান্ত পর্যায়ে নিতে চায় বিএনপি
সরকারের পদত্যাগ ও বিদেশে চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ দলের এক দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
বিএনপি ছাড়াও সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোও এক দফা দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথক সমাবেশের আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ চলছে
১ বছর আগে