কবীর সুমন
ক্ষমা চাইতে হবে না, শুধু ইতিহাসটা জেনে নিন: এ আর রহমানের উদ্দেশে কবীর সুমন
সম্প্রতি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ঐ লৌহকপাট’ গানটি নতুন সুর করেছেন বলিউডের সঙ্গীত পরিচালক এ আর রহমান। যা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এর প্রতিবাদে কথা বলেছেন দুই বাংলার অসংখ্যা তারকা।
এবার বিষয়টি নিয়ে সরাসারি ফেসবুক লাইভে এলেন ওপার বাংলার প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী কবীর সুমন।
ফেসবুক লাইভে এসে কথা শুরুর আগে কবীর সুমন গাইতে শুরু করেন ‘রোজা’ সিনেমার ‘দিল হ্যায় ছোটা সা’ গানটি। এছাড়া আরও কয়েকটি হিন্দি ও বাংলা গান করেন এই সঙ্গীতশিল্পী।
আরও পড়ুন: ‘কারার ঐ লৌহকপাট’: দুই বাংলায় তোপের মুখে এ আর রহমান
এরপর ‘কারার ঐ লৌহকপাট’ গানটির নতুন সুর নিয়ে লাইভে কবীর সুমন বলেন, ‘যারা গানের লিরিক দিলেন, তারা টাকা পেলেন। খুব ভালো কথা। টাকা সবার দরকার। এখানে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু কেউ কি একবারও রহমানকে বলে দেননি, কোন গানের রিমেক তিনি করেছেন! এই গানের ইতিহাস রহমান জানেন?’
কবীর সুমন আরও বলেন, ‘গানের অর্থটা জানার চেষ্টা করেছেন রহমান? ধরে নিন, এটা কাজী নজরুল ইসলামের লেখা নয়। তবুও কি গানের কথাগুলোর মানে বোঝা উচিৎ ছিল না? লিরিক শুনেইতো সুরটা দিতে হবে। তবে আজকাল এমনই গান হচ্ছে। যা শুনলে মনে হয়, মিক্সারের ভেতর সিমেন্ট, পাথর সব একসঙ্গে ঘুরছে।’
‘কারার ঐ লৌহকপাট’ এর মর্মার্থ উল্লেখ করে কবীর সুমন বলেন, `এ গানের রিমেকও তাই। তবে ইনিই তো ‘দিল হ্যায় ছোটা সা’ তৈরি করেছিলেন, সেই মানুষটা ‘কারার ঐ লৌহকপাট’ এর এমন সুর দিলেন! বিশ্বাস হচ্ছে না রহমান সাহাব। কেউ কি ছিলেন না, যে লৌহ কপাটের ইতিহাস রহমানকে বলে দেবেন, যে এই গানটার সঙ্গে একটা জাতির সংগ্রাম জড়িয়ে রয়েছে।’
শেষে বাংলাদেশের মানুষদের কাছে একটা আবেদন রেখে শিল্পী বলেন, ‘যে দেশ নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে সম্মান দিয়েছে, দয়া করে তারা একটা সাংবাদিক বৈঠক করুন। রহমানের সঙ্গে দেখা করুন। তাকে এ গানের ইতিহাসটা বলুন। রহমানকে বলুন, ক্ষমা চাইতে হবে না। শুধু ইতিহাসটা জেনে নিন।’
আরও পড়ুন: বলিউডের একটা গ্যাংয়ের কারণে কাজ কম পাচ্ছি: এ আর রহমান
১ বছর আগে
আয়োজকদের অব্যবস্থাপনার মধ্যেও স্বস্তি দিলেন কবীর সুমন
কবীর সুমন ঢাকায় গান গাইতে আসার খবর প্রচারের পর থেকে ভক্তদের মধ্যে দারুণ উন্মাদনা শুরু হয়। তিন দিনব্যাপী আয়োজনের দুইদিনের টিকিট বিক্রি হয়ে যায় মুহূর্তেই। অপেক্ষার অবসান ঘটে ১৫ অক্টোবর। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের মঞ্চে আসেন কবীর সুমন। মুগ্ধ করেন দর্শকদের।
কবীর সুমন তার সুরে দর্শকদের স্বস্তি দিলেও চরম অব্যবস্থাপনা লক্ষ্য করা যায় পুরো আয়োজনে। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পরেও মিলনায়তনের বাইরে দর্শকদের দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা যায়।
অনুষ্ঠান দেখতে আসা এক দর্শক ইউএনবিকে জানান, কবীর সুমনকে নিয়ে আরও বড় পরিসরে আয়োজন আশা করেছি। তা করলে হয়তো আরও দর্শক কবীর সুমনের গান উপভোগ করতে পারত।
আয়োজনে দর্শকদের চেয়ে ভোগান্তির শিকার হন গণমাধ্যমকর্মীরা। সংবাদ সংগ্রহের জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের কোনো কার্ড দিয়ে সহযোগিতা করেননি আয়োজকরা। এমনকি আয়োজন স্থানে এসেও ফিরে যেতে হয়েছে অনেককে।
এসব ভোগান্তি কাটিয়েও মিলনায়তন দর্শকে পূর্ণ হয়ে যায়। ততক্ষণে কবীর সুমন মঞ্চে ওঠার ঘোষণা আসে। গাইয়ে আসলেন মঞ্চে। পরনে সবুজ ফতুয়া আর সাদা ধুতি। হাত দুটো জড়ো করে সেই চিরচেনা হাসি দিয়ে বসলেন কবীর সুমন।
আরও পড়ুন: ‘তোমাকে চাই-এর ৩০ বছর উদযাপন’ তিন দিন ঢাকায় গাইবেন কবীর সুমন
২ বছর আগে
ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে গাইবেন কবীর সুমন
প্রায় ১৩ বছর আগে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে গান গাওয়ার অনুমতি পাননি পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল।
১৫, ১৮ ও ২১ অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে গান গাওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে অনুমতি মেলেনি।
তবে তার ভক্তদের নিরাশ হওয়ার কারণ নেই বলে জানিয়েছেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান 'পিপহোল'-এর কর্মকর্তা মীর আরিফ বিল্লাহ।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, 'ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে গাইবেন কবীর সুমন। এখনো বৈঠক চলছে। এর বেশিকিছু এখনই বলা যাচ্ছে না।'
আরও পড়ুন: জাতীয় জাদুঘরে কবির সুমনের কনসার্টের ডিএমপির অনুমতি মেলেনি
ঘোষণা অনুযায়ী কবীর সুমন ১৫ অক্টোবর আধুনিক বাংলা গান, ১৮ অক্টোবর বাংলা খেয়াল ও ২১ অক্টোবর আধুনিক বাংলা গান গাইবেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, জাতীয় জাদুঘর অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হওয়ায় কবির সুমনকে কনসার্টের জন্য অনুমতি দেয়া হয়নি।
ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, জাদুঘরের মতো কি-পয়েন্ট ইনস্টলেশনে (অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা) আমরা এই ধরনের প্রোগ্রামের অনুমতি দিতে পারি না। তবে আয়োজকেরা যদি অন্য কোথাও অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি চান, তবে আমরা তা বিবেচনা করব।
আরও পড়ুন: ‘তোমাকে চাই-এর ৩০ বছর উদযাপন’ তিন দিন ঢাকায় গাইবেন কবীর সুমন
বাংলাদেশে ৩০০০ ফুটের অধিক উচ্চতার ১৪ পাহাড়
২ বছর আগে
‘তোমাকে চাই-এর ৩০ বছর উদযাপন’ তিন দিন ঢাকায় গাইবেন কবীর সুমন
এক যুগের বেশি সময় পর ঢাকায় আসছেন কবীর সুমন। এদেশে তার ভক্তদের জন্য একদিকে যেমন দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান, তেমনি অন্যদিকে প্রিয় শিল্পীর গান শোনার জন্য বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। কবীর সুমনের ‘তোমাকে চাই’ অ্যালবামের ৩০ বছরপুর্তি উপলক্ষে ঢাকার জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী ‘তোমাকে চাই-এর ৩০ বছর উদযাপন’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এই আয়োজনে ১৫ অক্টোবর কবীর সুমন গাইবেন আধুনিক বাংলা গান, ১৮ অক্টোবর গাইবেন আধুনিক বাংলা খেয়াল এবং ২১ অক্টোবর অনুষ্ঠানটি শেষ হবে আধুনিক বাংলা গান দিয়ে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় কোরিয়ান লাইভ মিউজিক কনসার্ট ১ অক্টোবর
‘তোমাকে চাই-এর ৩০ বছর উদযাপন’ আয়োজন উপলক্ষে বুধবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান ‘পিপহোল’-এর ফুয়াদ বিন ওমর, মীর আরিফ বিল্লাহসহ অনেকে।
জানা যায়, ঘোষণার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ১৫ ও ২১ অক্টোবরের টিকিট শেষ হয়ে যায়। ১৮ অক্টোবরের টিকিটও শেষের পথে। এছাড়া অনুষ্ঠানে সরাসরি উপস্থিত না হয়েও দেশ ও দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করা যাবে। তবে সেক্ষেত্রেও আলাদা টিকিট সংগ্রহ করার ব্যবস্থা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ফুয়াদ বিন ওমর বলেন, ‘কবীর সুমনের বয়স প্রায় ৭৪। এই বয়সেও আমাদের আয়োজনটি নিয়ে তিনি বেশ উচ্ছ্বসিত। তিনি আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে না পারলেও সবার জন্য একটি ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছেন।’
ফুয়াদ বিন ওমর আরও বলেন, ‘ছাড়ার কয়েকদিনের মধ্যে অনুষ্ঠানটির দুই দিনের টিকিট শেষ হয়ে গেছে। আর এই দর্শকদের বেশিরভাগই তরুণ। এটি আমাদের জন্য আনন্দের।’
সংবাদ সম্মেলনে কবীর সুমনের একটি ভিডিও বার্তা প্রদর্শিত হয়। সেখানে তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত আনন্দিত বাংলাদেশে বসে গাইব। আমার বয়স প্রায় ৭৪। এখনও যে এই বুড়োর গান শোনার জন্য মানুষের এতো আগ্রহ এটা আনন্দ দেয়। আর তাদের বেশিরভাগই তরুণ।’
‘তোমাকে চাই’ নিয়ে কবীর সুমন আরও বলেন, ‘এই গান আমার জন্য একধরনের পরিচিতি বলা যায়। অনেকেই বলেন ‘তোমাকে চাই’-এর গায়ক। এটা ভালো লাগে। আবার অনেকেই বলেন, আমি জীবনমুখী গান করি। কিন্তু আমাকে মাফ করবেন আমি কোনো ‘মুখী’র মধ্যে নেই। ‘তোমাকে চাই’ বাংলা আধুনিক গান এটিই যথেষ্ট।’
আরও পড়ুন: জগজিৎ সিং স্মরণে মেসবাহর একক সঙ্গীতানুষ্ঠান
আবারও আসিফ-লগ্নজিতার মেলবন্ধন
২ বছর আগে