পরোয়ানা
ই-অরেঞ্জের প্রতারণা: ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের প্রতারণা মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বনানী থানার বরখাস্ত পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম জুয়েল দাশের আদালত এই আদেশ দেন।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন- ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা আমানুল্লাহ, বিথী আক্তার, জায়েদুল ফিরোজ ও নাজমুল হাসান রাসেল।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ তদন্তের পরে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদালত তা গ্রহণ করেন। এরপর ই-অরেঞ্জের মূল মালিক সোনিয়া মেহজাবিনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।’
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জ থেকে রাজস্ব আদায় না করায় হাইকোর্টের উষ্মা প্রকাশ
ই-অরেঞ্জের মালিকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর প্রতারণার অভিযোগে চট্টগ্রামে মামলা করেন চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারের ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী নুরুল আবসার পারভেজ।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর তৎকালীন চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম হোসেন মোহাম্মদ রেজার আদালতে অগ্রিম টাকার পুরোটা পরিশোধের পরও মাসের পর মাস পণ্য ডেলিভারি না দেওয়ার অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ব্যবসায়ী নুরুল আবছার পারভেজ।
তিনি মামলায় অভিযোগ করেন, ওই বছরের ২৭ মে এরপর থেকে বিভিন্ন সময় পণ্য ক্রয় করার জন্য ই-অরেঞ্জকে টাকা দেন এই গ্রাহক। নির্দিষ্ট সময়ের পরও; এমনকি এখন পর্যন্ত গ্রাহককে কোনো পণ্য সরবরাহ করেনি। অর্ডার নেওয়ার পর থেকে ই-অরেঞ্জ কর্তৃপক্ষ ফেসবুকে নোটিশের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহের আশ্বাস দেয়, কিন্তু তারা পণ্য সরবরাহ না করে দেশে প্রায় ১ লাখ গ্রাহকের ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। আত্মসাৎ করা এ টাকার মধ্যে চট্টগ্রামের নুরুল আবছার পারভেজ, মোর্শেদ সিকদার ও মাহমুদুল হাসান খান নামের তিনজন ব্যবসায়ীর প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে বিএফআইইউ
ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া ও তার স্বামীসহ ৩ জন একদিনের রিমান্ডে
১ বছর আগে
আমানসহ ৪৫ জনের বিচার শুরু, রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
আট বছর আগে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা নাশকতার মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
এদিকে রুহুল কবির রিজভী পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় এএসপি সোহেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়ে আগামী ৪ জানুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন।
বিচার শুরু হওয়া অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন — বরকত উল্লাহ বুলু, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাইফুল আলম নীরব, ইসহাক সরকার।
আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম অভিযোগ গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি রাতে মোহাম্মদপুর থানাধীন বেড়িবাঁধ এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা হয়।
এতে ৬/৭ জন যাত্রী অগ্নিদগ্ধ হন। পরে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পরদিন মামলাটি দায়ের করেন। একই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কমল কৃষ্ণ সাহা মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট ৪৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: আমলযোগ্য অপরাধ ছাড়া বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের সুযোগ নেই: আইনমন্ত্রী
দুই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় ডিআরইউয়ের উদ্বেগ
১ বছর আগে
আমলযোগ্য অপরাধ ছাড়া বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের সুযোগ নেই: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনে আমলযোগ্য অপরাধের মাত্র ৪টি ধারা আছে। এসব অপরাধ ছাড়া বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করার সুযোগ কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নেই।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করার আগে অংশীজনদের মতামত নেওয়া হবে: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার নিয়ে যেসব প্রশ্ন উত্থাপন করা হচ্ছে এগুলো সাইবার নিরাপত্তা আইনের অপব্যাখ্যা।
আনিসুল হক বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনে টেকনিক্যাল অপরাধ, হ্যাকিং বা কম্পিউটারের ভেতরে ঢুকে যদি কেউ কোনো কিছু নষ্ট করে সেজন্য সাজা ১৪ বছরের।
তিনি বলেন, কিন্তু ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে যেসব ধারা নিয়ে সাংবাদিক মহলের আপত্তি ছিল এ গুলোর আমূল পরিবর্তন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএসএ'র অধীনে দায়ের করা মামলা চলবে: সংসদে আইনমন্ত্রী
সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৪২ ধারার প্রয়োজন আছে: আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে
বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার ও রিমান্ড নিয়ে রিভিউ শুনানি পেছালো
বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার সংক্রান্ত ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪ ধারা ও এবং রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত ১৬৭ ধারার অপব্যবহার রোধে আপীল বিভাগের দেয়া নীতিমালা অনুসরণের রায় পুনর্বিবেচেনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি পিছিয়েছে। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগে বৃহস্পতিবার শুনানির এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি আপিল বিভাগ শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, বিদ্যামান আইনে কী আছে, রায়ের সুপারিশে কী আছে, তার তুলনামূলক একটি চিত্র দেখানো হবে।
আদালত বলেন, ‘প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছেন।’
তখন অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘তৈরি করেছি, আইন ও সুপারিশে কী আছে, তা পাশাপাশি রেখেছি।’
আদালত বলেন, ‘তাহলে দাখিল করেন, আমরা দেখি।’ পরে প্রতিবেদনটি দাখিল করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
আরও পড়ুন: ডাণ্ডাবেড়ি-হাতকড়া পরানোর নীতিমালা করতে কমিটি গঠনে রুল
এরপর আদালত বলেন, ‘নট টু ডে।’ পরে আইনজীবীরা জানান, রিভিউ শুনানির জন্য নির্ধারিত দিন আগামী বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি ফের শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসবে।
এদিনে এ সংক্রান্ত রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল, জেড আই খান পান্না, অনীক আর হক, মো. শাহীনুজ্জামান ও এ এম জামিউল হক।
জানা যায়, ১৯৯৮ সালে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে বেসরকারি ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র শামীম রেজা রুবেলকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছরের ২৩ জুলাই মিন্টো রোডের গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে মারা যান রুবেল। এরপর তৎকালীন সরকার রুবেল হত্যা তদন্তের জন্য বিচারপতি হাবিবুর রহমান খানের সমন্বয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত শেষে কমিটি ৫৪ ও ১৬৭ ধারা সংশোধনের পক্ষে কয়েকটি সুপারিশ করে।
ফৌজদারী কার্যবিধি ৫৪ ধারার অধীনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়া নির্বিচারে আটক বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭, ৩১, ৩২, ৩৩ ও ৩৫ (৫) এবং আন্তর্জাতিক নির্যাতন প্রতিরোধ সনদ ১৯৮৪ ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার সনদ ১৯৬৬ এর সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ায় ব্লাস্ট, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। ওই রিট মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৩ সালের ৭ এপ্রিল এ ব্যাপারে কয়েক দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট। পরে রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আপিল করে।
২০১৬ সালে আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের পুর্বের রায়টি কিছু পরিবর্তনসহ বহাল রাখেন। আপীল বিভাগ বিনা পরোয়ানায় আটক ও রিমান্ডের অপব্যবহার রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য ১৩ দফা এবং ম্যাজিস্ট্রেট, বিচারক ও ট্রাইবুন্যালকে অপরাধ আমলে নেয়ার ক্ষমতা প্রদান করে ৯ দফার নীতিমালা প্রদান করেন। পরে এই রায় রিভিউ চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন জানায়।
২০২০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ সরকারকে ওই নীতিমালার বিরোধিতার সুনির্দিষ্ট কারণ ও নীতিমালা পরিবর্তনের সুপারিশসমুহ অন্তর্ভুক্ত করে তা একই বছরের ১৬ এপ্রিলের পূর্বে সংক্ষিপ্ত আকারে প্রদানের নির্দেশ দেন। এরপর কয়েকবার শুনানির জন্য বিষয়টি আদালতের কার্যতালিকায় আসে।
আরও পড়ুন: স্বল্প সময়ে বিচারকাজ সম্পন্ন করা বিচারক ও আইনজীবীদের দায়িত্ব: প্রধান বিচারপতি
১ ফেব্রুয়ারি থেকে আপিল বিভাগে প্রবেশে লাগবে ডিজিটাল পাস
১ বছর আগে
ইভ্যালির শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল ১৯ অক্টোবর এ আদেশ দিলেও বিষয়টি বুধবার (২৬ অক্টোবর) নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন।
তিনি বলেন, ১৯ অক্টোবর মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন শামীমা আদালতে উপস্থিত না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন করেন। আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
২২ জানুয়ারি মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে বলে জানান ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী।
আরও পড়ুন: ১৫ অক্টোবর থেকে নতুন পণ্য বিক্রিতে যেতে পারে ইভ্যালি
ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আলমগীর হোসেন নামে এক গ্রাহক ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদী ২০২০ সালের শুরুর দিকে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইভ্যালি সম্পর্কে জানতে পারেন। সেখানে কম দামে ইলেক্ট্রনিকস পণ্যসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়েজনীয় জিনিসের অফার করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাজারদরের থেকে প্রায় অর্ধেক দামে বিক্রি করার বিজ্ঞাপন দেয়া হয়।
পরবর্তীতে ইভ্যালি অ্যাপের মাধ্যমে দুটি মোবাইল নম্বর দিয়ে দুটি অ্যাকাউন্ট খুলেন বাদী। তিনি নিজের আইডি দিয়ে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন। বন্ধুর নামে আরেকটি আইডি খুলে ২৩ লাখ টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন। এই দুই আইডি দিয়ে মোট ২৮ লাখ টাকার অর্ডার করেন বাদী।
এই টাকা পরে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশ, নগদ, ও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দেয়া হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, অর্ডার করা পণ্যগুলো নির্ধারিত ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেয়ার কথা ছিল ইভ্যালির।
কিন্তু সাত মাস পেরিয়ে গেলেও পণ্যগুলো বুঝে পাননি মামলার বাদী।
এ বিষয়ে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তারা পণ্য ডেলিভারি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করে।
আজও মামলার বাদী আলমগীর হোসেন তার ২৮ লাখ টাকার বেশি অর্ডার করা পণ্য বুঝে পাননি বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এরপর এ মামলার তদন্ত শেষে চলতি বছরের (২০২২ সাল) ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক প্রদীপ কুমার।
বর্তমানে রাসেল কারাগারে রয়েছেন। আর তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন ৬ এপ্রিল জামিনে মুক্তি পেয়ে কারাগার থেকে বের হন।
এবার তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেন সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক।
আরও পড়ুন: নতুন করে ইভ্যালি চালু করতে আদালতে আবেদন
ইভ্যালি‘র বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু: ২৮ অক্টোবর ‘ধন্যবাদ উৎসব’
২ বছর আগে
ক্রিকেটার আল-আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিল
বাংলাদেশের ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে স্ত্রীর দায়ের করা পারিবারিক সহিংসতার মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিল করেছে আদালত।
বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মো. রেজাউল করিম চৌধুরী গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে পুনর্বিবেচনার আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
উভয় পক্ষকে আদালতে হাজির হতে বলে আদালত। পরবর্তী শুনানির জন্য ১৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: ত্রিদেশীয় সিরিজ: টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, দলে ৩ পরিবর্তন
এর আগে একই দিনে(বুধবার, ১২ অক্টোবর) মামলার শুনানির জন্য আল-আমিন আদালতে হাজির না হওয়ায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এই পরোয়ানা জারি করেছিলেন।
শুনানির সময় আল-আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহানের কৌঁসুলি শামসুজ্জামান দাবি করেন, অভিযুক্তের বিবাহবিচ্ছেদের দাবি সম্পর্কে তার মক্কেলের কোনো ধারণা নেই।
৬ অক্টোবর আল-আমিন আদালতে একটি হলফনামা দাখিল করে দাবি করেন যে তিনি ২৫ আগস্ট ইসরাতকে তালাক দিয়েছেন।
২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন পাঁচ হাজার টাকার মুচলেকায় আল-আমিনকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত জামিন দেন।
বিচারক শফি উদ্দিন মামলাটি আমলে নিয়ে আল-আমিনকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আল-আমিন ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসরাতকে বিয়ে করেন এবং তার স্ত্রী পরবর্তীতে দুই ছেলের জন্ম দেন।
এজাহারে উল্লেখ আছে, ইসরাত দাবি করেন যে আল-আমিন অনেক দিন ধরে তার দুই ছেলের ভরণ-পোষণ ও শিক্ষার খরচ জোগায়নি। আল-আমিন তার স্ত্রীর কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে এবং টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে মারধর করত। তিনি ২৫ আগস্ট তাদের দুই সন্তানসহ তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন।
উল্লেখ্য, যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে গত ১ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ইসরাত। পরে এ বিষয়ে থানায় মামলা করা হয়। ৩ সেপ্টেম্বর আল আমিন তার মায়ের মাধ্যমে ইসরাতকে বার্তা পাঠান যে তিনি তার ভরণ-পোষণ দেবেন না এবং তাকে তালাক দিয়েছেন। ৬ সেপ্টেম্বর যৌতুকের জন্য স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় আল-আমিনকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ত্রিদেশীয় সিরিজ: ৪৮ রানে হারল বাংলাদেশ
বাংলাদেশকে ২০৯ রানের লক্ষ্য দিল কিউইরা
২ বছর আগে