বাণিজ্য বৃদ্ধি
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য বৃদ্ধিতে পণ্য বহুমুখীকরণের উপর গুরুত্বারোপ
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে পণ্য বহুমুখীকরণের উপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া।
এই উদ্দেশ্যে ১১ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ অস্ট্রেলিয়া সফর করেন।
এ সময় সিনিয়র সচিবের সঙ্গে বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য ও বিনিয়োগবিষয়ক কমিশনের উপনির্বাহী প্রধান ফিলিপ্পা কিং দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে পণ্য বহুমুখীকরণের উপর জোর দেন।
এসময় তপন কান্তি ঘোষ তৈরি পোশাক ছাড়াও অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও শিক্ষার বিষয় উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: আফ্রিকায় বাণিজ্যের বিরাট সম্ভাবনা দেখছে এফবিসিসিআই
অস্ট্রেলিয়ার উপনির্বাহী প্রধান উচ্চশিক্ষার বিকল্প মডেল হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্বদ্যিালয়ের অংশীদারিত্ব বাড়ানোর উপর জোর দেন।
বৈঠকে উচ্চশিক্ষা ছাড়াও কারিগরি শিক্ষা কার্যক্রমে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা চাওয়া হয়। দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ যৌথভাবে বিনিয়োগসংক্রান্ত সেমিনার আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা হয়।
সিনিয়র সচিব তার সফরে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য দপ্তরের প্রথম সহকারী সচিব গ্যারি কাওয়ান, অস্ট্রেলিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বাণিজ্যবিষয়ক প্রধান ক্রিস বার্নস এবং স্থানীয় বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া চেম্বারের সদস্যদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
তপন কান্তি ঘোষ অস্ট্রেলিয়ার গ্যারি কাওয়ানের সঙ্গে বৈঠককালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরবর্তী সময়ে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা বাংলাদেশকে অব্যাহত রাখার বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার সমর্থন কামনা করেন।
এ সময় অস্ট্রেলিয়ার বাজারে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের সুবিধা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার আশ্বাসের প্রশংসা করেন বাণিজ্য সচিব।
আরও পড়ুন: রোজার আগেই ভারত থেকে আসতে পারে পেঁয়াজ-চিনি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
এছাড়া আগামী মে মাসে অনুষ্ঠিতব্য জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের তৃতীয় সভায় ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্টেকে পরবর্তী ধাপে উন্নয়নের জন্য করণীয় সম্পর্কিত আলোচনা হয়।
এদিকে, অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের আয়োজনে সিডনিতে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র সচিব।
সেমিনারে বক্তারা বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়া বক্তারা বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
বর্তমানে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চার বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলারের অধিক। গত দশকে দু’দেশের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ১১ শতাংশ।
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিশীল এই বাণিজ্যিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: রমজানে সরবরাহ-দাম নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করার প্রস্তুতি চলছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
৮ মাস আগে
বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক ও বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রাকৃতিক কেন্দ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চল: রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে একটি ‘প্রাকৃতিক কেন্দ্র’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে উদীয়মান সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা আরও অন্বেষণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানান।
আরও পড়ুন: পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির সবচেয়ে সার্বজনীন উৎসব: রাষ্ট্রদূত ইমরান
বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ুন এবং হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মাকে ৮ মে ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (আইবিসিসিআই) এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘উত্তর পূর্ব ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিনিয়োগের সুযোগ’ শীর্ষক একটি সেমিনারে বক্তব্য দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
অনুষ্ঠানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য নাগাল্যান্ডের একটি সফরকারী প্রতিনিধিদলও যোগ দিয়েছিল।
হাইকমিশনার ভার্মা ভারত ও বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর মধ্যে বৃহত্তর আন্তঃসীমান্ত সংযোগ, বাণিজ্য অবকাঠামো এবং অর্থনৈতিক সংযোগ বিকাশের জন্য সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলো তুলে ধরেন।
তিনি ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলের বিনিময় সফরের আয়োজনে আইবিসিসিআই-এর উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং উভয় পক্ষকে তাদের ভৌগলিক নৈকট্যকে নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ এবং পারস্পরিক উপকারী অংশীদারিত্বে রূপান্তরিত করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: শিগগিরই থিম্পু-ঢাকা জলবিদ্যুৎ সহযোগিতা চুক্তি সই: ভুটানের রাষ্ট্রদূত
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের দ্রুত উন্নয়ন দেখে বেইজিং মুগ্ধ: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
১ বছর আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রীর
তথ্যপ্রযুক্তি ও ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে পারস্পারিক যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও বাণিজ্য সক্ষমতার বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে প্রচার-প্রসারে গুরুত্বারোপ করেছেন সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মাজিদ বিন আব্দুল্লাহ আল-কাসাবি।
রিয়াদে বুধবার তার কার্যালয়ে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি এসব বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
মহামারি কাটিয়ে উঠে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রার প্রশংসা করে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, এটা বাংলাদেশের সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন, ভাতৃপ্রতিম বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে।
এ সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করার আহ্বান জানান। তিনি এ বিষয়ে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে সকল সহযোগিতার আশ্বাস দেন বৈঠকে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশ-কম্বোডিয়া এফটিএ চুক্তিতে সম্মত
মন্ত্রী ২০১৯ সালে তার বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে জানান, তার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীতে বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে দেখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রদূত ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে দুদেশের মধ্যে নেয়া সাম্প্রতিক উদ্যোগের বিষয়ে মন্ত্রীকে অবহিত করেন। তিনি এ মাসের শেষে দু’দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য ১৪তম যৌথ কমিশন সভার বিষয়েও অবহিত করেন।
রাষ্ট্রদূত এ সময় বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে ১৩৭টি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের বিষয়ে মন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন। মন্ত্রী এ বিষয়ে কার্যকরী সহায়তার আশ্বাস দেন।
তিনি বাংলাদেশের মৎস্য, হালাল মাংস, তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, ইলেকট্রনিক্স ও সিরামিক পণ্যের মতো অগ্রসরমান বিভিন্ন খাতের উল্লেখ করে সৌদি আরবে এসব পণ্য আমদানি বৃদ্ধির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়া দুপক্ষের মধ্যে বাংলাদেশে চলমান সৌদি বিনিয়োগ এবং এ বিষয়ে সৌদি প্রস্তাবের ওপরও বৈঠকে আলোচনা হয়।
রাষ্ট্রদূত ২০১৯ সালে তার বাংলাদেশ সফরের সময় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে দুপক্ষের সম্মতির কথা উল্লেখ করে এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর সহায়তা চান।
মন্ত্রী এ সময় তথ্যপ্রযুক্তি ও ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্য সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ করেন। একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক সক্ষমতার বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে কার্যকর প্রচার-প্রসারের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়াও তিনি এফবিসিসিআই ও ফেডারেশন অব সৌদি চেম্বার্স এন্ড কমার্সের মধ্যে বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষরের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে জানতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রীর দেয়া সৌদি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ সফরের আমন্ত্রণবার্তা পৌঁছে দেন। বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মাজিদ বিন আব্দুল্লাহ আল-কাসাবি তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বাংলাদেশের বানিজ্য মন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
দুটি ভাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের নুতন মাত্রা হিসেবে দ্বিপক্ষীয় কার্যকর বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়ে পারস্পারিক সহায়তার আশ্বাস ব্যক্ত করে বৈঠকের সমাপ্তি হয়। সভায় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দূতাবাস হতে মিশন উপ-প্রধান মো. আবুল হাসান মৃধা ও ইকনমিক কাউন্সেলর মুর্তুজা জুলকার নাঈন নোমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নেপালের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক
বাংলাদেশ একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগের স্থান: তুর্কি বাণিজ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে