দুই মাদরাসার
সিলেটে একদিনের ব্যবধানে দুই মাদরাসার ছাত্র নিখোঁজ
সিলেটে একদিনের ব্যবধানে পৃথক মাদরাসার দুই ছাত্র নিখোঁজ হয়েছে। তাদের একজন নগরী থেকে এবং অপরজন জেলার ওসমানীনগর থেকে নিখোঁজ হয়।নিখোঁজ লিমন হোসেন (১২) সিলেট নগরের জিন্দাবাজার মিতালী ম্যানশনের বাসিন্দা আবুল বাশারের ছেলে। সে নগরের জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া কাজিরবাজার মাদরাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র।এছাড়া নিখোঁজ আমিরুল ইসলাম (১৬) ওসমানীনগর উপজেলার কিয়ামপুর গ্রামের খাইরুল ইসলামের ছেলে। সে উপজেলার উমরপুর টাইটেল মাদরাসার ছাত্র।
জানা গেছে,গত ৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মাদরাসার উদ্দেশে বাসা থেকে বেরিয়ে আর ফিরে আসেনি লিমন হোসেন। পরে মাদরাসাসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজে তার সন্ধান মিলেনি। বৃহস্পতিবার শিশুটির বাবা আবুল বাশার এসএমপির কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ নিখোঁজ লিমনের ব্যাপারে জিডি দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।অন্যদিকে, সিলেটের ওসমানীনগর থেকে নিখোঁজ আমিরুল ইসলাম গত ৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাদরাসার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি। মাদরাসা ও আত্মীয় স্বজনসহ সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান মেলেনি। পরে বুধবার (১২ অক্টোবর) ওসমানীনগর থানায় জিডি করেন নিখোঁজ কিশোরের বাবা খাইরুল ইসলাম।
পরিবারের দাবি,আমিরুলকে অপহরণ করা হয়েছে। একাধিক মোবাইল ফোনে নিখোঁজের পরিবারকে অপহরণের কথা বলে নানাভাবে টাকা দাবি করছে একটি চক্র।নিখোঁজের বাবা খাইরুল ইসলাম বলেন,বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে মোবাইলে অচেনা নাম্বার থেকে একটি কল আসে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তি ছেলেকে ফিরে পেতে সিলেট নগরের লালবাজার যেতে বলে। তাদের কথা মতো সেখানে যাবার প্রস্তুতি নিলেও যোগাযোগ করে ওই মোবাইল ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।সিলেটের ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাইন উদ্দিন বলেন,নিখোঁজ মাদরাসার ছাত্রের খোঁজে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলীতে জাহাজডুবি, ক্যাপ্টেনসহ ৭ জন নিখোঁজ
চট্টগ্রামের হালদা নদীতে নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে