দুই সপ্তাহ
দুই সপ্তাহ পর কাজে ফিরলেন এনবিআর কর্মকর্তারা
দুই সপ্তাহের মতো অচলাবস্থার পর কাজে ফিরেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সরকার চার দফা দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়ায় সোমবার (২৬ মে) থেকে তারা স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেছেন।
এনবিআরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সরকারের আশ্বাসের পর আমরা কাজে ফিরেছি। আশা করছি, সবকিছু ঠিকঠাক চলবে।’
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—এনবিআর বিলুপ্তের অধ্যাদেশ প্রত্যাহার, চেয়ারম্যানের অপসারণ, রাজস্ব সংস্কার উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশ ওয়েবসাইটে প্রকাশ এবং সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে টেকসই সংস্কার নিশ্চিত করা।
গত ১৪ মে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ কলমবিরতি শুরু করে, যা ১৯ মে স্থগিত হয় প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সরকারের সংলাপ প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে। এরপর শনিবার থেকে তারা পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যান।
২১ মে অর্থ বিভাগে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করে। সেখানে আরও ছিলেন রাজস্ব সংস্কার উপদেষ্টা কমিটির সদস্য, এনবিআরের তিন সাবেক সদস্য, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান। তবে বৈঠকটিকে ‘অসফল’ বলে মন্তব্য করে পরিষদ।
বুধবার এনবিআর চেয়ারম্যানের সঙ্গে অসহযোগের ঘোষণা দিয়ে তারা নতুন কর্মসূচি জানায়। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মচারী অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি: বিক্ষোভে উত্তাল সচিবালয়
রবিবার রাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এনবিআরকে একটি স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত বিভাগ হিসেবে গঠন করা হবে। রাজস্ব নীতি ও প্রশাসন সংস্কার অধ্যাদেশ ২০২৫-এর বিষয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করতে অতিরিক্ত ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়।
বলা হয়, রাজস্ব নীতি ও বাস্তবায়নের আলাদা কাঠামো তৈরি হবে, যেখানে বিসিএস (কাস্টমস ও এক্সাইজ) ও বিসিএস (ট্যাক্সেশন) ক্যাডারের স্বার্থ রক্ষায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সংশোধনী সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত অধ্যাদেশটি কার্যকর হবে না। সংশোধনীর সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত।
সরকারের এই আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। এরপর সোমবার থেকে তারা কর্মস্থলে যোগ দেন।
সকাল থেকে আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজে ব্যস্ত দেখা গেছে। তারা আশা করছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
১৯৪ দিন আগে
অক্টোবরের দুই সপ্তাহে দেশে ৭৬৯.৮৮ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে
চলতি অক্টোবর মাসের দুই সপ্তাহে (২-১৩ তারিখ) দেশে ৭৬৯ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স এসেছে। রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে প্রবাসী বাংলাদেশি প্রবাসীরা দেশে এক দশমিক ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে, যা গত ৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। সেপ্টেম্বরের পর অক্টোবরেও রেমিটেন্সের প্রবাহের নিম্নমুখিতা দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান,অক্টোবরের প্রথম দুই সপ্তাহে প্রবাসীরা ৭৬৯ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে। চলতি মাসের শেষে রেমিটেন্স প্রবাহ ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার হতে পারে।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নেয়ার আহ্বান
চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরে নগদ প্রণোদনা দুই শতাংশ থেকে বাড়িয়ে দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ করা সত্ত্বেও সেপ্টেম্বরে রেমিটেন্সের অভ্যন্তরীণ প্রবাহে কমে যেতে দেখা যায়।
তিনি আরও জানান,বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে ৫৯ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাওয়া যাবে।
অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স বৃদ্ধির প্রবণতা নিয়ে এই অর্থবছর শুরু হয়েছিল। যেখানে জুলাই মাসে বাংলাদেশ দুই দশমিক ০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আগস্ট মাসে দুই দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার প্রবাসী আয় পেয়েছে। কিন্তু সেপ্টেম্বরে এসে তা নিম্নমুখী হয়ে যায়।
আর্থিক খাতের পর্যবেক্ষকরা মনে করেন যে প্রবাসীরা দেশে রেমিটেন্স পাঠানোর জন্য হুন্ডিকে বেছে নিচ্ছেন। কারণ সেখানে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার খুচরা বাজারে ৮ থেকে ১৪ টাকা বেশি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: ৩০ হাজার গার্মেন্টস শ্রমিকের সুস্থতায় বিজিএমইএ-আয়াত এডুকেশনের চুক্তি
অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ৩৫৭.৭৬ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে বাংলাদেশে
১১৪৭ দিন আগে