প্রধান বিরোধী দল
সরকার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে জনগণ বাধ্য করবে: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সরকার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে জনগণ বাধ্য করবে।
শুক্রবার কুমিল্লায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে শনিবার কুমিল্লায় অনুষ্ঠিতব্য সরকারবিরোধী সমাবেশের পরিকল্পনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বর্তমান ইসির সঙ্গে বিএনপি সংলাপে যাবে না: খন্দকার মোশাররফ
সকাল ১০টায় টাউন হলে সমাবেশ শুরু হয়ে বিকাল ৪টায় শেষ হয়।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোশাররফ বলেন, ব্যাপক দুর্নীতি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থতা এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার কারণে দেশের জনগণ সরকারকে ‘লাল কার্ড’ দেখাবে।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি দীর্ঘদিন ধরেই আগামী জাতীয় নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। তবে দাবিটি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিএনপির পক্ষে জানানো হয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ; ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও যশোরে পুলিশের অভিযানে দলের পাঁচ নেতাকর্মীর মৃত্যু এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে তাদের বিভাগীয় সমাবেশ আয়োজিত হয়ে আসছে।
বৈঠকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক আমিনুর রশিদ ইয়াছিন, সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন, মহানগর আহ্বায়ক উবাতুল বারী আবু ও সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ ‘বিদেশিদের’ পরামর্শের ওপর নির্ভর করছে না: খন্দকার মোশাররফ
অর্থ পাচার মামলা: সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফের ভাই গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
বিএনপির সমাবেশের আগের দিনেই জনসমুদ্রে পরিণত সিলেট
শুক্রবার পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড এবং বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে সিলেট নগরী। প্রায় এক দশকের মধ্যে শনিবার এখানে প্রথম জনসভা হতে যাচ্ছে বলে নগরীর দখল নিতে শুরু করেছে দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
গত অক্টোবর মাসে চট্টগ্রামে শুরু হওয়া বিভাগীয় সমাবেশের কর্মসূচির অংশ হিসেবে, বিএনপি সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সমাবেশের মাধ্যমে আরেকটি বিশাল শোডাউন করতে প্রস্তুত। দলটির ধারাবাহিক সমাবেশের সপ্তম আয়োজন এটি।
আগের ছয়টি সমাবেশে দারুণ সাফল্যের পর প্রধান বিরোধী দলের আত্মবিশ্বাসে বেড়েছে এবং শক্তি বৃদ্ধি পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়েছে।
সেই সাফল্যকে ধরে রাখতে সরকারের তৈরি বাধাগুলোকে ধারাবাহিকভাবে উপেক্ষা করেছে দলটির নেতাকর্মীরা। এবার তারা শুক্রবার সকাল থেকে সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায় ৩৬ ঘণ্টার বাস ধর্মঘট এবং শনিবার সকাল থেকে সিলেট জেলায় ১২ ঘণ্টার বাস ধর্মঘট উপেক্ষা করবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপির সমাবেশ: নেতাকর্মীদের খাবার ও পানির ব্যবস্থা করছেন প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের পুত্রবধূ
২ বছর আগে
২৪ বছর পর গান্ধী পরিবারের বাইরে কংগ্রেস সভাপতি হলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে
ভারতের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ২৪ বছরে প্রথম গান্ধী পরিবারের বাইরের কোনো সভাপতি পেয়েছে। বুধবার দলটি ৮০ বছর বয়সী মল্লিকার্জুন খাড়গেকে নির্বাচিত করেছে।
গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে বিবেচিত খারগে তুলনামূলক তরুণ শশী থারুরকে বড় ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। থারুর হচ্ছেন জাতিসংঘের প্রাক্তন কূটনীতিক।
দিল্লিতে সংবাদমাধ্যমকে দলটির একজন মুখপাত্র জানান, ‘সোমবার অনুষ্ঠিত দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে ৯ হাজারের বেশি ভোটের মধ্যে খড়গে প্রায় আট হাজার ভোট পেয়েছেন।’
শিগগিরই অন্তর্বর্তী কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর কাছ থেকে দলের নেতৃত্বভার নিবেন খড়গে।।
স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় ফল ঘোষণার পর সাবেক কংগ্রেস প্রধান রাহুল গান্ধী খড়গেকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস সভাপতিই হচ্ছেন সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ।’
আরও পড়ুন: সোনিয়া গান্ধী আবার করোনায় আক্রান্ত
আগের দিন থারুর দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ‘অত্যন্ত গুরুতর অনিয়মের’ অভিযোগ করেন।
সভাপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সোমবার অনুষ্ঠিত হয়। সকল ভারতীয় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করে এমন যোগ্য ৯ হাজার ৯১৫ জন কংগ্রেস প্রতিনিধির মধ্যে ৯৬ শতাংশ ভোট দিয়েছেন।
৮০ বছর বয়সী খাড়গের ৫০ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা রয়েছে। অন্যদিকে ৬৬ বছর বয়সী থারুর জাতিসংঘে প্রায় ৩০ বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০০৯ সালে পুরানো এই দলটিতে যোগ দিয়েছেন।
ফ্লেচার স্কুল অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাসি থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করা থারুর ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালীন ভারতের কনিষ্ঠ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: ২৪ বছর পর গান্ধী পরিবারের বাইরে সভাপতি পেতে যাচ্ছে ভারতীয় কংগ্রেস
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জাতীয়তাবাদী বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে কংগ্রেসে পতন দেখা যায়৷ কংগ্রেস বর্তমানে ভারতের হাতেগোনা কয়েকটি রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছে।
প্রায়শই দলের খারাপ অবস্থার জন্য দায়ী করায় সোনিয়ার ছেলে রাহুল ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের দৌড়ে দলের লাগাম হাতে নিতে অস্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীকে আটকের পর ছেড়ে দিল দিল্লি পুলিশ
২ বছর আগে