জাতি
জাতি সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট প্রত্যাশা করে না: বিএনপি
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের অপসারণের দাবির মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সাংবিধানিক বা রাজনৈতিক সংকট জাতি প্রত্যাশা করে না।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বুধবার (২৩ অক্টোবর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ফ্যাসিবাদের দোসররা যাতে বিভিন্ন চক্রান্তের মাধ্যমে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান সালাহউদ্দিন।
তিনি বলেন, 'রাষ্ট্রপতির পদ সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদ এবং এটি একটি প্রতিষ্ঠানও। পদত্যাগ বা অপসারণের কারণে এই পদ শূন্য হলে তা সাংবিধানিক ও জাতীয় সংকট তৈরি করবে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় সংকটের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ যদি বিলম্বিত হয় বা বাধাগ্রস্ত হয়, তবে তা জাতির আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে যাবে।
ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট ও তাদের সহযোগীরা যাতে নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জাতি ঐক্যবদ্ধ এবং সম্মিলিতভাবে এসব চ্যালেঞ্জ ও চক্রান্ত মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান বিএনপির এই নেতা।
বিএনপি রাষ্ট্রপতির অপসারণ বা পদত্যাগ চায় কিনা জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য থাকলে এই মুহূর্তে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে, যা জাতি আশা করে না।’
আরও পড়ুন: হাসিনার মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারে সরকারের বিরুদ্ধে'লুকোচুরি'র অভিযোগ রিজভীর
'জনতার চোখ' পত্রিকায় এক নিবন্ধে মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী দাবি করেছেন রাষ্ট্রপতি তাকে বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার কাছ থেকে তিনি(রাষ্ট্রপতি) কোনো পদত্যাগপত্র পাননি।’মূলত এর পরই একদল ছাত্র-জনতা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ বা তাকে অপসারণের দাবি জানিয়ে আন্দোলন করে আসছে।
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র না পাওয়া নিয়ে রাষ্ট্রপতি মিথ্যাচার করেছেন বলে অভিযোগ করে বলেন, ‘তার বক্তব্য তার শপথ ভঙ্গের শামিল। শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি বলে রাষ্ট্রপতির দাবি মিথ্যা ও শপথের লঙ্ঘন।’
এর আগে সালাহউদ্দিনসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির চেষ্টা নস্যাতে জাতীয় ঐক্য জোরদারের আহ্বান জানান।
বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, তারা গণতন্ত্রপন্থী সব রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসরদের যেকোনো ষড়যন্ত্রকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করবেন।
সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ ও সালাহউদ্দিন আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে নজরুল ইসলাম খান প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সংস্কারের চলমান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তারা জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
রাষ্ট্রপতির অপসারণের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা তাদের কাছে কোনো মতামত চেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে নজরুল বিষয়টি এড়িয়ে যান।
তবে দেশে যাতে নতুন কোনো সাংবিধানিক বা রাজনৈতিক সংকট তৈরি না হয় সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: সাংবিধানিক-রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির প্রচেষ্টা বানচালে ঐক্যের আহ্বান বিএনপির
১ মাস আগে
শ্রীমঙ্গলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সম্প্রীতির র্যালি ও মানববন্ধন
জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বৈষম্যহীন,অহিংস ও শান্তি সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে শ্রীমঙ্গলে র্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় রুপান্তর আস্থা প্রকল্পের যুব ফোরামের সদস্যরা র্যালি ও মানববন্ধনের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: পেনশন স্কিম: বাকৃবিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের মানববন্ধন
র্যালিতে অংশগ্রহণ করে যুব ফোরামের সদস্য চা শ্রমিক, কলেজের শিক্ষার্থী, উন্নয়নকর্মী, ধর্মীয়নেতাসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। র্যালিটি শ্রীমঙ্গল চৌমোহনা থেকে শুরু করে কলেজ রোডে শেষ হয়।
জেলা নাগরিক প্ল্যাটফর্মের সদস্য পরিমল সিং বাড়াইক বলেন, ‘শ্রীমঙ্গলে নানা জাতিগোষ্ঠী ও ধর্মের মানুষের বসবাস। এরা সবাই এক হয়ে মিলেমিশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন।’
ইমাম মো. ফুরকান মিয়া বলেন, ‘শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে হলে সব ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’
কলেজ শিক্ষার্থী মো. আরিফ বকস বলেন, ‘সব জাতি গোষ্ঠী, ধর্ম বর্ণের মানুষেরা একই রক্তে মাংসে গড়া। সকলে একটি বৈষম্যহীন, অহিংস বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করেন।’
জেলার নাগরিক প্ল্যাটফর্মের সদস্য পরিমল সিং বাড়াইক, যুব ফোরামের আহ্বায়ক মো. আফজাল হোসেন, কলেজ শিক্ষার্থী মো. আরিফ বকস, মসজিদের ইমাম মো. ফুরকান মিয়া ও সদর উপজেলার যুব ফোরামের আহ্বায়ক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মৌলভী বাজার জেলার নেতা শিপন দেবসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় নরসিংদীতে মানববন্ধন
৪ মাস আগে
৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মঙ্গলবার ৫৪তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবে জাতি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে মঙ্গলবার ৫৪তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করবে বাংলাদেশ।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার পর ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ নারীর আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ অর্জন করে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।
এদিন সরকারি ছুটি হলেও দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হবে। সকাল ১০টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান: স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী
পরে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্য, বিদেশি কূটনীতিক, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা এবং সর্বস্তরের জনগণ শ্রদ্ধা জানাবে।
পরে বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনগণ শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
দিবসটি উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং সরকারি, আধা-সরকারি ভবন ও উন্মুক্ত স্থানেও আলোকসজ্জা করা হবে।
দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি রেডিও স্টেশন ও টেলিভিশনগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।
জাতির পিতা, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দেশের সব মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।
দিবসটি উপলক্ষে হাসপাতাল, কারাগার, বৃদ্ধাশ্রম ও অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে উন্নত খাবার পরিবেশন করা হবে।
এ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, শিল্পকলা ও পোস্টার প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ একটি স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করবে।
দিবসটি উপলক্ষে সারাদেশে সব শিশুপার্ক ও জাদুঘরসমূহ বিনামূল্যে খোলা রাখা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সমর্থক, বিদেশি বন্ধুসহ সর্বস্তরের জনগণকে; যারা আমাদের অধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনে অবদান রেখেছেন।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, 'আমি আশা করি, বিগত বছরগুলোতে দেশের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং আর্থ-সামাজিক সূচকে সরকারের অভূতপূর্ব সাফল্যের উপর ভিত্তি করে আগামী দিনগুলোতে আমরা এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম হব, ইনশাআল্লাহ।’
‘দেশের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে জাতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের পথ সুগম হোক- মহান স্বাধীনতা দিবসে এটাই আমার প্রত্যাশা।’
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, 'এই শুভক্ষণে আমি দেশে এবং বিদেশে বসবাসরত সব বাংলাদেশি নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
‘আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার সুদৃঢ় ও দূরদর্শী নেতৃত্বে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে বিশ্বাসী। সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও দেশের উন্নয়নে তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে আমরা সরকার পরিচালনা করছি। তাছাড়া আমাদের নির্বাচনি ইশতেহারের বাস্তবায়ন অগ্রগতি আমরা নিয়মিত মনিটরিং করি। এসব কারণে আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের আস্থা ও দৃঢ় সমর্থন অব্যাহত রয়েছে।’
তিনি বলেন, 'আসুন, মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে উন্নত-সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ে তোলার শপথ নিই, যে স্বপ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দেখেছিলেন।’
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে মহান স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি
৮ মাস আগে
দেশ ও জাতির কল্যাণে বঙ্গবন্ধু বারবার কারাবরণ করেছেন: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, দেশ ও জাতির কল্যাণে বঙ্গবন্ধু বারবার কারাবরণ করেছেন, কিন্তু পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেটের ভয়ে কখনো পালিয়ে যাননি।
রবিবার (১৭ মার্চ) এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। এর আগে মেয়র সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এবং নগর ভবনস্থ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
আরও পড়ুন: অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়াতে পর্যাপ্ত অনুদান দেবেন প্রধানমন্ত্রী: ডিএসসিসি মেয়র
মেয়র বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনো ভয় পেতেন না। যত রকম অত্যাচার-নির্যাতনই করা হোক না কেন। তিনি সেটা স্বাচ্ছন্দে্য গ্রহণ করতেন। কিন্তু কখনোই অন্যায়ের সঙ্গে আপস করতেন না।
মেয়র আরও বলেন, ‘তিনি অনেকবার কারাবরণ করেছেন, কিন্তু একবারও পালাননি। তিনি জানতেন যে পুলিশ আসছে, ম্যাজিস্ট্রেট আসছে। উনাকে ধরে কারাগারে নিয়ে যাবে। তিনি স্ত্রীকে বলতেন, রেনু আমার কাপড় গুছিয়ে দাও, ওরা আসছে। উনার এমন সাহস ছিল।’
অনুষ্ঠানে মেয়র চিত্রাঙ্কন ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় ‘ক (প্রাথমিক শ্রেণি)’ ও ‘খ (মাধ্যমিক শ্রেণি)’ বিভাগে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার নজির স্থাপন করেছি: ডিএসসিসি মেয়র
ড্যাপের অনুসরণে নতুন ১৮ ওয়ার্ডের সড়ক অন্তর্জাল সৃষ্টি করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
৯ মাস আগে
বুধবার ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে জাতি
মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করা ভাষা সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আগামীকাল বুধবার অমর একুশে, ভাষা শহীদ দিবস পালন এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করবে জাতি।
১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় সারা বিশ্বে দিবসটি উদযাপন করা হবে।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য 'বহুভাষিক শিক্ষা: শিক্ষার একটি স্তম্ভ ও আন্তঃপ্রজন্ম শিক্ষা'।
'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি'- গাইতে গাইতে খালি পায়ে হেঁটে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাকে (তৎকালীন পাকিস্তানের) রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের জন্য জীবন উৎসর্গকারী ভাষা আন্দোলনের বীরদের প্রতি সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানাবে।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করতে অস্বীকার করে। উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ঢাকার রাজপথে নেমে এসেছিল ছাত্র-জনতা।
আরও পড়ুন: অমর একুশে গ্রন্থমেলা হবে, তবে সময় জানা যাবে পরে
বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২ সালের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ছাত্ররা মিছিল বের করলে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ বাংলার কয়েকজন বীর সন্তান।
এ দিন সরকারি ছুটি থাকলেও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার।
বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনসমূহেও দিবসটি পালন করা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক-পেশাজীবী সংগঠন সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করবে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আমি বাংলাসহ বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস: গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে সারাদেশে পালিত হলো 'অমর একুশে'
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে অমর একুশের চেতনা বিশ্বের মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অবিরাম প্রেরণার উৎস। তবে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির সঠিক চর্চা ও সংরক্ষণে আমাদের আরও উদ্যোগী হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অমর একুশের মর্মবাণীকে ধারণ করে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির মানুষের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত হোক, বৈষম্যহীন বর্ণাঢ্য পৃথিবী গড়ে উঠুক, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এটাই আমার প্রত্যাশা।’
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, ‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাসহ বিশ্বের সব ভাষা ও সংস্কৃতির জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমরা সবাই মিলে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাশীল সোনার বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হব।’
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি রেডিও ও টিভি চ্যানেল এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।
অমর একুশে উপলক্ষে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: ক্যানবেরায় বহু ভাষা ও সংস্কৃতির ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে অমর একুশে উদযাপন
১০ মাস আগে
জাতিকে দেউলিয়া ও মেধা শূন্য করতেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে: আইইবি নেতারা
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) নেতারা বলেছেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে বাংলাদেশ হারিয়েছে সূর্যসন্তানদের। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরেরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করে৷
তারা আরও বলেন, জাতিকে দেউলিয়া ও মেধা শূন্য করতেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে। দেশকে চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষক, গবেষক শূন্য করতে চেয়েছিল তারা।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দেশের সবচেয়ে প্রাচীন পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান আইইবি’র পক্ষ থেকে রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করার পর এসব কথা বলা হয়।
আরও পড়ুন: আর যেন ১৫ আগস্টের পুনরাবৃত্তি না হয়: আইইবি নেতারা
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও ১৪ ডিসেম্বরে হারানো সূর্যসন্তানদের ক্ষতি পূরণ হয় নাই৷ হবেও না।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতি এখনো সেই শোক ভুলতে পারেনি। সেই শোককে শক্তিতে পরিণত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ষড়যন্ত্র করে সেই গতি থামানো যাবে না।’
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের মুখ্যপাত্র ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস.এম. মনজুরুল হক মঞ্জু বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর যারা ঘটিয়েছিল তারা এখনো দেশে নানান ষড়যন্ত্র করছে। এখনো তারা চায় দেশ দেউলিয়া ও মেধাশূন্য হয়ে যাক। দেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়৷ তাদের এই ষড়যন্ত্রকে ধূলিসাৎ করে জননেত্রী শেখ হাসিনা সফল হবেন।’
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন শীবলু বলেন, ‘পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও এদেশে তাদের দোসরেরা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে ধ্বংস করতেই ১৪ ডিসেম্বর ঘটিয়েছে। নির্মমভাবে হত্যা করে দেশের সূর্য সন্তানদের। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের বিচার এখনো হয়নি। দ্রুতই বিচার নিশ্চিত করে আগামীতে যেন এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেই দাবি জানাই।’
এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আইইবি’র কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান, সহকারী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী অমিত কুমার চক্রবর্তী, আইইবি ঢাকা সেন্টারের সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. নজরুল ইসলামসহ আইইবি’র বিভিন্ন বিভাগ ও সেন্টারের প্রকৌশলী নেতারা৷
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া, মিলাদ এবং মোমবাতি প্রজ্বলনসসহ নানান কর্মসূচি পালন করছে।
আরও পড়ুন: কর্মহীন ২ শতাধিক পরিবারের মাঝে আইইবি ও এএবিইএ এর অর্থ প্রদান
১ বছর আগে
একতরফা তফসিল ঘোষণা জাতির সঙ্গে ইসির চরম উপহাস ও প্রহসন: এবি পার্টি
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ উৎকণ্ঠা উপেক্ষা করে একতরফা তফসিল ঘোষণাকে জাতির সঙ্গে সরকার ও ইসির চরম উপহাস ও প্রহসন বলে ক্ষোভ জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি।
একতরফা তফসিল প্রত্যাখ্যান ও জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণকারী ইসির পদত্যাগ দাবি করে বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় দলের বিজয়নগরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলটি।
এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, প্রহসনমূলক নির্বাচনী তফসিল দেশে অচলাবস্থা ও চরম রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি করবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমর্থন
জনগণকে যার যার অবস্থান থেকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মহল যে সংলাপের চিঠি দিয়েছে তাকে আমরা সমর্থন জানাই। আমরা আশা করব, সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং প্রহসনমূলক নির্বাচনের অশুভ চক্রান্ত পরিত্যাগ করে সংলাপের মাধ্যমে তারা বর্তমান সংকট উত্তরণের দায়িত্বশীল ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে।
এই সংলাপে বিরোধী দলগুলো যাতে মুক্ত, অবাধ ও কার্যকরভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে সেজন্য বিরোধী দলগুলোর সব নেতা-কর্মীকে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি দেওয়ারও দাবি জানান তিনি।
দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম বলেন, ইন্দোপ্যাসিফিক অঞ্চল আন্তর্জাতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এমতাবস্থায় এবি পার্টি স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছে আমরা গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কারো সঙ্গে নেই। আমরা বাংলাদেশকে আরেকটি উত্তর কোরিয়া হতে দিতে পারি না। আমরা গণতান্ত্রিক বিশ্বের সঙ্গে আছি, যারা আমাদের উন্নয়ন অংশীদার, স্ট্রাটেজিক পার্টনার।
আরও পড়ুন: রবিবার থেকে আবারো ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াত
পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মন্জু বলেন, দেশের মানুষের প্রাণের দাবি একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। যে দাবিতে এবি পার্টিসহ দেশের প্রধান বিরোধী সব রাজনৈতিক দল আজ আন্দোলন করছে। গত ২৮ অক্টোবর বিরোধীদলগুলোর সমাবেশে আওয়ামীলীগ ও তার সহোযোগী সব সংগঠন এবং পুলিশ একত্রে হামলা চালিয়ে তা পণ্ড করে দেয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি আরও বলেন, ২৮ অক্টোবরের ঘটনাকে পুঁজি করে সারাদেশে প্রায় ১৫ হাজারের অধিক বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে কারাবন্দি করা হয়েছে। শান্তি সমাবেশের নামে সরকারি দল পুলিশ পাহারায় বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের উপর হামলা চালিয়ে দেশকে সহিংসতার পথে ঠেলে দিয়েছে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যায্য আন্দোলনে পুলিশ ও সরকারি দলের গুণ্ডা বাহিনী হামলা করে, গুলি করে হত্যার নিন্দা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য চলমান যে আন্দোলন, সংগ্রাম ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি তার প্রতি এবি পার্টির সংহতি ও সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয় দলটি।
একই সঙ্গে নির্বাচনী তফসিল প্রত্যাখ্যান করে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে লালকার্ড প্রদর্শন ও মিছিল করবে দলটি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, বিএম নাজমুল হক, আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, সহকারী সদস্য সচিব এম আমজাদ খানসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
আরও পড়ুন: বেআইনি গ্রেপ্তার বন্ধ করুন, রাজনৈতিক বন্দীদের অবিলম্বে মুক্তি দিন: এবি পার্টি
১ বছর আগে
রবিবার জাতীয় কবি কাজী নজরুলের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী
রবিবার (২৭ আগস্ট) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবে জাতি।
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলা সাহিত্যে তার অসামান্য অবদানের জন্য অগ্রগামী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মহান কবির ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান তার জীবন ও কর্ম স্মরণে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করবে।
রবিবার (২৭ আগস্ট) সোয়া ৬টায় ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর আখতারুজ্জামানের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কলা ভবন প্রাঙ্গণে অপরাজেয় বাংলায় জড়ো হবেন।
সেখান থেকে মৌন মিছিল শুরু হয়ে কবির সমাধিতে যাবে। সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন তারা।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও সকাল ৭টায় নজরুলের কবরস্থানে শোভাযাত্রা ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে কবির সমাধিতে সমবেত হবে।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট সন্ধ্যা ৭টায় ধানমন্ডির নিজস্ব মিলনায়তনে বিশেষ সাংস্কৃতিক শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। অনুষ্ঠানটি একই সঙ্গে তার ফেসবুক গ্রুপ এবং ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করা হবে।
বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল, বাংলাদেশ বেতারসহ রেডিও স্টেশন এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো জাতীয় কবির জীবন ও কর্মের স্মরণে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
আরও পড়ুন: স্মরণে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম
কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এ ছাড়া নজরুল তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশে তার বিপ্লবী এবং দর্শনীয় সাহিত্যকর্মের জন্য ব্যাপকভাবে সম্মানিত।
কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, নজরুলের ২১ বছরের সাহিত্যিক জীবনে তিনি ২ হাজার ৬০০টি গান, ৬০০টি কবিতা, ৩টি বই এবং ৪৩টি প্রবন্ধ তৈরি করেছিলেন।
শৈশবে বাবা মারা গেলে পরিবারের দায়িত্ব নিতে হয় নজরুলকে। এ কারণে মসজিদে তত্ত্বাবধায়ক ও মুয়াজ্জিন হিসেবে কাজ করতে হয়েছিল তাকে। পশ্চিমবঙ্গের চুরুলিয়ায় একটি পেশাদার ‘লেটো’ গানের দলে কাজ করার জন্য ৯ বছর বয়সে স্কুল ছেড়েছিলেন তিনি।
দলটির সঙ্গে কাজ করার সময় তিনি বাংলা ও সংস্কৃত সাহিত্যের সঙ্গে পরিচিত হন। এক বছর পরে তিনি আবার স্কুলে যান এবং মাথারুন ইংলিশ স্কুলে ভর্তি হন। কিন্তু তার আর্থিক দুরবস্থার কারণে তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে আরও একবার বাদ পড়েন।
কিছু সময় পর পুলিশ অফিসার কাজী রফিজুল্লাহ তাকে নিয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালে তার বাড়ির কাছে দরিরামপুর স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি করান।
১৯৭১ সালে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে তার সামরিক চাকরি শুরু করার কয়েক বছরের মধ্যে নজরুল তার সাহিত্যিক জীবন শুরু করেন।
তিনি ১৯২১ সালে তার কালজয়ী কবিতা ‘বিদ্রোহী’ (দ্য রিবেল) লেখেন এবং ১৯২২ সালে ‘ধূমকেতু’ (দ্য ধূমকেতু) একটি মাসিক পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করেন।
ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে ঘন ঘন জাতীয়তাবাদী জড়িত থাকার কারণে নজরুল ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের খপ্পরে পড়েন। তিনি কারাবন্দি থাকা অবস্থায় ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ (একজন রাজনৈতিক বন্দির জবানবন্দি) লেখেন।
তার কাজগুলো পরে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে অনুপ্রাণিত করেছিল এবং তার কবিতাগুলো অনেক বাঙালি ও জাতীয়তাবাদীকে পাকিস্তানের অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
স্বাধীনতা, মানবতা, প্রেম ও বিপ্লব নজরুলের অসাধারণ সাহিত্য বার বার এসেছে। তিনি মৌলবাদ ও সব ধরনের বর্ণ, লিঙ্গ ও ধর্মীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ছিলেন।
নজরুল ছোটগল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধও প্রকাশ করেছেন। যদিও তার গান ও কবিতা সমালোচকদের কাছ থেকে সর্বাধিক প্রশংসা পেয়েছে। তিনি তার লেখায় আরবি ও ফারসি শব্দের উদার ব্যবহার এবং বাংলা গজল সুর জনপ্রিয় করার জন্য বিখ্যাত।
তিনি ‘নজরুল গীতি’ নামে পরিচিত তার নিজস্ব সংগীত ধারা আবিষ্কার করেছিলেন। যার মধ্যে অনেকগুলো ভিনাইল ও এইচএমভি রেকর্ডে প্রকাশিত হয়েছিল।
নজরুল যখন ৪৩ বছর বয়সে একটি অজ্ঞাত রোগে ভুগছিলেন এবং ১৯৪২ সালে তিনি তার কণ্ঠস্বর এবং স্মৃতিশক্তি হারাতে শুরু করেন।
ভিয়েনার একটি মেডিকেল টিম বলে তার রোগটি ছিল ‘পিকস ডিজিজ’। একটি বিরল ও মারাত্মক নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ।
বাংলাদেশ সরকার এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমন্ত্রণে নজরুলের পরিবার বাংলাদেশে চলে আসেন এবং ১৯৭২ সালে ঢাকায় স্থায়ী হন। একই বছর বাংলাদেশ সরকার তাকে ‘জাতীয় কবি’ খেতাবে ভূষিত করেন।
বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে তার অবদানের জন্য তিনি ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সম্মানসূচক ডিলিট এবং ১৯৭৬ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
১৯৭৬ সালের ২৭ আগস্ট বিদ্রোহী কবি ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একটি মসজিদের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী আজ
ডিআরইউ’র ‘কবি কাজী নজরুল ইসলাম লাইব্রেরি’ উদ্বোধন
১ বছর আগে
স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে জাতি
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে এগিয়ে নেয়ার সংকল্প নিয়ে জাতি যথাযোগ্য মর্যাদায় আজ (রবিবার) ৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করছে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নিরস্ত্র বাঙালির ওপর দমন-পীড়নের পর ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
দীর্ঘ ৯ মাস ব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের পর ত্রিশ লাখ শহিদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ তার লালিত স্বাধীনতা অর্জন করে।
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সরকার ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রথমে স্মৃতিসৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং পরে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন: রবিবার স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবে বাংলাদেশ
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর একটি স্মার্ট কন্টিনজেন্ট রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে।পরে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনা স্মৃতিসৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। তিনি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে কিছুদিন অবস্থান করেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলটির পক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে গান স্যালুট ও পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটি শুরু হয়।
সূর্যোদয়ের সময় সকল সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং সকল গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হবে।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেসরকারি রেডিও স্টেশন ও টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে।
বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, শিশু একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের ওপর চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে।
মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে সম্মাননা প্রদান করা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে।
এদিকে দেশের শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে।
হাসপাতাল, কারাগার, শিশুশ্রম, বৃদ্ধাশ্রম ও ডে-কেয়ার সেন্টারের মতো প্রতিষ্ঠানে বিশেষ খাবার বিতরণ করা হবে।
শিশু পার্ক ও জাদুঘর গুলো সারাদিন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এছাড়া চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা, পায়রা বন্দর এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল ও চাঁদপুর টার্মিনালে ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের জাহাজ দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
মহান স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে অনুরূপ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
১ বছর আগে
আ. লীগ সব সময় জাতির কাছে দেয়া নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণ করে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে তার দল সবসময়ই জাতীয় নির্বাচনের আগে জাতির কাছে দেয়া অঙ্গীকার পূরণ করে।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেয় এবং আওয়ামী লীগ সবসময় তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করে।’
শনিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটি, জাতীয় কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথসভায় সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জাতির কল্যাণে কাজ করি এবং মানুষ এর ফলাফল থেকে উপকৃত হচ্ছে।’
‘সর্বদা অপ্রয়োজনীয়ভাবে সরকারের সমালোচনা করে’ এমন একটি অংশের তীব্র নিন্দা করে তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে তারা খুশি হয় না।
আরও পড়ুন: ‘আইডিএফ গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর ফর ডায়াবেটিস’ পদক পেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
দুর্নীতির বিষয়ে তিনি সংসদে তার সাম্প্রতিক বক্তৃতার উল্লেখ করে দুর্নীতি বিষয়ক তথ্য দিতে বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাকে তথ্য দিন, আমি ব্যবস্থা নেব। এটি কেবল মুখের কথা না।’
শেখ হাসিনা বলেন, যারা দুর্নীতি করেছে এবং তাদের শাসনামলে বাংলাদেশকে ‘দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন’ করেছে, তারা দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা করছে।
তিনি বলেন,‘অথবা ক্ষুদ্রঋণ ব্যবসা করে জনগণকে তাদের ঋণের বিপরীতে উচ্চ সুদের বোঝা চাপিয়ে দিতে - তাদের বাড়ি ছেড়ে যেতে বা আত্মহত্যা করতে বাধ্য করে।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘মাই হাউস মাই ফার্ম’-এর মাধ্যমে জনগণকে উচ্চ সুদে ক্ষুদ্রঋণদাতাদের কাছ থেকে ঋণ নিতে হবে না।
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি সেক্টরের উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা দারিদ্র্যের হার কমিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছি।
এ প্রসঙ্গে তিনি সারা দেশে ফ্রিল্যান্সিং সুযোগের কথা উল্লেখ করেন। যার মাধ্যমে যুবকরা তাদের গ্রামের বাড়ি থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে দেশের রপ্তানিতে খাদ্য সামগ্রী এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ডিজিটাল ডিভাইস এবং ছোট যান্ত্রিক সামগ্রী অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে আমাদের একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে যে বিনিয়োগ আসছে তার মাধ্যমে আমরা রপ্তানি বাড়াতে পারব।
তিনি আরও বলেন, গত ১৪ বছরে সরকারের বাস্তবসম্মত ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে মানুষ এখন উন্নত জীবন উপভোগ করছে।
আরও পড়ুন: ন্যায্য ও গ্রহণযোগ্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জন্য সম্মিলিত কাজ করুন: গ্লোবাল সাউথ সামিটে প্রধানমন্ত্রী
আ. লীগ জনগণের দল, কোনো শক্তি একে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে