বাণিজ্য সচিব
শ্রম আইনের সংশোধনী যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হবে: বাণিজ্য সচিব
বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) ও শ্রম আইনে যে সংশোধনী আনা হয়েছে, তা যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় শ্রম অধিকার বাস্তবায়ন নিয়ে সোমবার সভা করেছি। আমাদের কতটা অগ্রগতি হয়েছে এবং আগামীতে আরও কী করতে হবে, তা নিয়েই কথা বলেছি।
আরও পড়ুন: এলডিসি-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাধার সম্মুখীন হতে পারে: বাণিজ্য সচিব
তিনি বলেন, ২০২৬ সালে যেহেতু স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে, সেক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিংবা অন্য দেশগুলো বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কিছু অঙ্গীকার দেখতে চায়, সেগুলো বাস্তবায়ন নিয়েও আলোচনা করেছি।
বাণিজ্য সচিব আরও বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের শ্রম আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ আইন-২০১০ সেখানেও সংশোধনী আনা হয়েছে। সংশোধনী আনার ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য ছিল। তাদের চাওয়াগুলো পূরণ করার জন্য এসব সংস্কার এনেছিলাম।
তিনি বলেন, গেল ১০ বছরে আমরা অনেক সংস্কার এনেছি। যে কারণে শ্রম আইনে তিনবার সংস্কার আনা হয়েছে। চারবার ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের শিল্পায়নের কর্মপরিবেশ ও শ্রম অধিকার নিয়েও সোমবার কথা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে আমরা ভালো অবস্থানে আছি।
কোথায় কোথায় সমস্যা আছে- জানতে চাইলে সচিব বলেন, আমাদের বাণিজ্যে যারা বড় অংশীদার, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ২৫ বিলিয়ন ডলার আমরা রপ্তানি করি। শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে আরও ১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করলেও সেখানে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাই না। বরং পৃথিবীর মধ্যে বলা যায় যে যুক্তরাষ্ট্রে আমরা অনেক বেশি শুল্ক দিয়ে রপ্তানি করছি। কিন্তু তাদের কিছু দাবি আছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কনভেনশনগুলো অনুমোদন করেছি, সে অনুযায়ী আমাদের শ্রম আইনে একটা ন্যূনতম থ্রেশহোল্ড আছে, একটি কারখানায় মোট শ্রমিকের ২০ ভাগ সদস্য যদি সংগঠন করতে চায়, তাহলে সেটা করতে পারবে। এটাকে ১০ শতাংশ করার দাবি তারা করেছিল, আমরা ১৫ শতাংশ করে দিয়েছি।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বেপজা আইনের ক্ষেত্রে সংগঠন করার অধিকার আছে, কিন্তু আমরা সেখানে ট্রেড ইউনিয়ন বলি না, আইনে সেটাকে বলা হয়েছে ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। সেখানে তারা বলে যে ট্রেড ইউনিয়ন প্রবর্তন করতে হবে। বিষয়টি প্রায় একই। এখনও সংগঠন হচ্ছে, তখনও সংগঠন হবে। কিন্তু নামটি যেন শ্রম সংগঠন হয়। ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে বেপজা আইনটা সংশোধন করা হবে। সংশোধনটা কীভাবে হবে, সেটা সব অংশীজনদের মধ্যে আলোচনা করেই ঠিক করা হবে।
আরও পড়ুন: ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার: বাণিজ্য সচিব
তিনি বলেন, শ্রম আইনে মোটাদাগে দুটি জিনিস তারা দাবি করেছে। তারা চাচ্ছে বেপজাতে শ্রম সংগঠন করার অধিকার দিতে আর থ্রেশহোল্ডটা কমিয়ে আনা অর্থাৎ শ্রমিক সংগঠন করার অধিকার ২০ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শ্রম অধিকার সংক্রান্ত সমঝোতায় যেসব ইস্যু ছিল, সেগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিকী মূল্যায়ন প্রতিবেদন, সেটা কিন্তু সবার সঙ্গে আলোচনা করেই করা হয়েছে। সর্বশেষ ১২ থেকে ১৬ নভেম্বর একটা উচ্চ পর্যায়ের দল ঢাকায় এসে সব অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আর বাংলাদেশ যে সংস্কারগুলো নিয়ে এসেছে, সেগুলোর প্রশংসাও করেছেন।
সচিব বলেন, তারা বলেছেন আংশিকভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। এখন তাদের চাওয়াগুলো আরও বেশি বাস্তবায়ন দেখতে চান। ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশ যেহেতু শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়, সেহেতু তাদের চাওয়াগুলোকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিই। আমাদের মোট রপ্তানির ৬০ শতাংশ যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নে যায়।
তপনকান্তি বলেন, আমাদের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০২১ থেকে ২০২৬ সাল এই পাঁচ বছর মেয়াদি। সেক্ষেত্রে কিছু বাস্তবায়িত হয়েছে, কিছু বাস্তবায়ন হয়নি।
বেপজা আইনের সংশোধন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অংশীজন যারা আছে, বিদেশি বিনিয়োগকারী সবার সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করা হবে। এরইমধ্যে বেপজা আইনে অনেকগুলো সংশোধন আনা হয়েছে। এখন সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেবে, বিশেষ করে আইএলও আইনে ত্রিপক্ষীয়ভাবেই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এটাও সরকার, শ্রমিক ও মালিকপক্ষ মিলে ঠিক করবে, কীভাবে করা হবে। বেপজার শ্রমিক কল্যাণ অ্যাসোসিয়েশনকে ট্রেড ইউনিয়ন করতে হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি।
এসব সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হবে কি না- জানতে চাইলে সচিব বলেন, তাদের চাওয়াগুলো পূরণ হয়েছে, যেমন বেপজা আইনে সংস্কার করা হয়েছে, শ্রম আইনটিই বেপজার মতো প্রযোজ্য হবে, বাংলাদেশের শ্রম আইনে সংশোধন আনা হয়েছে, এ অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হবে। এজন্য কয়েকদিন লাগবে, প্রস্তুতি নিতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন— শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এহছানে এলাহী ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম।
আরও পড়ুন: চিনি আমদানিতে শুল্কছাড়ের মেয়াদ বাড়াতে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হবে: বাণিজ্য সচিব
১ বছর আগে
চিনি আমদানিতে শুল্কছাড়ের মেয়াদ বাড়াতে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হবে: বাণিজ্য সচিব
আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির মূল্য এবং ডলারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চিনি আমদানিতে শুল্কছাড়ের মেয়াদ বাড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সচিব (সিনিয়র সচিব) তপন কান্তি ঘোষ।
বুধবার (১০ মে) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আমদানিকৃত খাদ্যের মান নিশ্চিতকরণে আমদানি নীতি আদেশ-২০২১-২০২৪ সম্পর্কে স্টেকহোল্ডারদের অবহিতকরণ বিষয়ক এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
বাণিজ্য সচিব বলেন, চিনির জন্য শুল্কছাড় এখনো বলবৎ রয়েছে। এটা ৩১ মে শেষ হবে। চিনির জন্য শুল্কছাড় অব্যাহত রাখার জন্য আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরকে চিঠি পাঠাবো।
আরও পড়ুন: ঈদের আগে আরেক দফা বেড়েছে সেমাই-চিনি ও পোলাও চালের দাম
যেহেতু চিনির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এজন্য আমরা শুল্কহার আরও কমানোর জন্য সুপারিশ করব।
তপন কান্তি ঘোষ আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত চিনির দাম ও ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় চিনির আমদানি কমেছে। গত কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স এসোসিয়েশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে দাম সমন্বয় করার অনুরোধ জানালে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনকে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়।
এরপর ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী খোলা চিনি প্রতি কেজি ১২০ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজি ১২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই দামে চিনি বিক্রয়ের জন্য বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স এসোসিয়েশনকে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।
তবে তারা আমাদেরকে এ বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি।
সিনিয়র সচিব বলেন, যখনই কোনো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকে না তখন আমরা এনবিআরকে শুল্কহার কমানোর জন্য অনুরোধ জানাই।
তারা কখনো কমায় আবার সম্ভব না হলে কমাতে পারেন না। ট্যারিফ নির্ধারণ আসলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাজ।
সামগ্রিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তারা ট্যারিফের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় বলেও জানান তপন কান্তি ঘোষ।
ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভোজ্যতেলের ওপর শুল্করেয়াত গত ৩০ এপ্রিল শেষ হয়।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন দাম সমন্বয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিলে ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করায় তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
তেলের শুল্কছাড় অব্যাহত রাখার ব্যাপারেও আমরা চিঠি দিয়েছিলাম, কিন্তু এনবিআর কনটিনিউ করে নাই।
আগামী অর্থবছরে কমানো যায় কিনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ই-সিগারেট আমদানি প্রসঙ্গে বাণিজ্য সচিব বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে মতামত জানাবে সে আলোকে আমদানি নীতি প্রণয়ন করা হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ই-সিগারেটের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত দেবে তাই চূড়ান্ত বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চড়া দামে ঢাকার দোকান থেকে চিনি উধাও
ঠাকুরগাঁও চিনিকলের এমডিসহ ২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
১ বছর আগে
এলডিসি-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাধার সম্মুখীন হতে পারে: বাণিজ্য সচিব
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) পরবর্তী সময়ে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানিতে বাংলাদেশকে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘সুতরাং, আমাদের আরএমজি রপ্তানির প্রবণতা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক কিছু নীতি সমর্থন নিশ্চিত করতে হবে।’
রবিবার বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউশনে (বিএফটিআই) ‘স্টাডি অন পলিসি সাপোর্ট এন্ড ইনসেন্টিভস বিফোর এন্ড আফটার এলডিসিস গ্র্যাজুয়েশন ফর আরএমজি সেক্টর’-শীর্ষক ওয়ার্কশপে এসব কথা বলেন।
বিএফটিআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাফর উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান এবং সঞ্চালনা করেন বিএফটিআই মহাপরিচালক মো. ওবায়দুল আজম।
মো. জাফর উদ্দিন বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের আগেই আরএমজি রপ্তানিতে প্রণোদনা ও ভর্তুকির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বাংলাদেশকে: বাণিজ্যমন্ত্রী
এলডিসি উত্তরণ নতুন চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি সুযোগ তৈরি করবে: বাণিজ্য সচিব
১ বছর আগে
এলডিসি উত্তরণ নতুন চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি সুযোগ তৈরি করবে: বাণিজ্য সচিব
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ স্বীকার করেছেন যে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণ অর্থনীতির জন্য নতুন চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি সুযোগ তৈরি করবে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের (বিএফটিআই) ‘আইডেন্টিফিকেশন অব ট্রেড-রিলেটেড গ্র্যাজুয়েশন চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড প্রিপারেশন অব সেক্টর-স্পেসিফিক ট্রেড রোডম্যাপস ফর অভারকামিং দ্য চ্যালেঞ্জেস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) অধীনে সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি অধীনস্থ সংস্থা বিএফটিআই বাণিজ্য ও ব্যবসায়ের জন্য উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জগুলোর ওপর সম্প্রতি পরিচালিত গবেষণার ফলাফল নিয়ে আলোচনা করার জন্য এই সভার আয়োজন করে।
বাণিজ্য সচিব বলেন, এলডিসি উত্তরণ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি ও বেসরকারি খাতকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব বাজারে আমদানি পণ্যের দাম বেড়েছে: বাণিজ্য সচিব
তিনি আরও বলেন, ‘উত্তরণ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এবং বাণিজ্য বিকাশের জন্য পণ্য ও রপ্তানির বহুমুখীকরণ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। ব্যবসা সহজ করার জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং সরকারের সকল মন্ত্রণালয় ও সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছে।’
পরামর্শ সভায় অংশীজনরা এলডিসি উত্তরণের বাণিজ্যসম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করতে এবং তা কাটিয়ে উঠতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
তারা লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, প্লাস্টিক পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য এবং নন-লেদার জুতা চারটি সেক্টরের জন্য বাণিজ্যের রোডম্যাপ তৈরির জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দেন।
এর আগে প্রথম ধাপে তৈরি পোশাক, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, কৃষি পণ্য ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এবং মৎস্য ও পশুসম্পদসহ বিভিন্ন খাতের জন্য বাণিজ্যসম্পর্কিত রোডম্যাপ তৈরি করতে ৩ নভেম্বর অনুরূপ অংশীজন পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: দেশি পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়াতে হবে: বাণিজ্য সচিব
আরও চারটি সেক্টর সমন্বিত অংশীজন পরামর্শের তৃতীয় ধাপ ১০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
বিএফটিআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাফর উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও উইংয়ের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি শামীম আহমেদ, বাংলাদেশ প্রকৌশল শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় ১৪৫০ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা হবে: বাণিজ্য সচিব
২ বছর আগে
বিশ্ব বাজারে আমদানি পণ্যের দাম বেড়েছে: বাণিজ্য সচিব
করোনার কারণে বিশ্ব বাজারে আমদানি পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
তিনি বলেন, ‘আইন অনুযায়ী বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১৭টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে। এবছর সয়াবিন তেলের দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। করোনার কারণে বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধি এবং কন্টেইনার খরচ বেড়ে যাওয়ায় আমদানি খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য এবার বাজারে তেল, চিনি ও চালসহ কিছু পণ্যের দাম বেড়ে গেছে।’
শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ফরিদপুর সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে শিল্পপণ্য আমদানি বাড়াতে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূতের প্রতি মন্ত্রীর আহ্বান
তপন কান্তি বলেন, সরকার চাইলেই আমদানি শুল্ক কমাতে পারে না। এতে বাজারে সরবরাহ কমে মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে। সরকার চেষ্টা করছে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মাঝে সমন্বয় করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে। দেশের জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ভোগের চাহিদাও বেড়েছে। তবে গরিব মানুষের জন্য বিশেষ কোন ব্যবস্থা নেয়া যায় কিনা সেটি চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের সভাপতিত্বে সভায় ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান, বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন, জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন, জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. সোহেল শেখ, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নুরুল্লা মো. আহসান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী উপপরিচালক মো. রকিবুল ইসলাম, ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মো. জাহাঙ্গির মিয়া, চালকল মালিক সমিতির সভাপতি বিপ্লব কুমার সাহা, বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্য অধ্যাপক রিজভী জামান, আসমা আক্তার মুক্তা, শিপ্রা গোস্বামী, ক্যাবের প্রতিনিধি শেখ ফয়েজ আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ভারতকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাধামুক্ত রাখার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
উক্ত সভায় পণ্য মনিটরিং কমিটির সদস্যরা বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন, চাল, গম, সয়াবিন তেল, মসুরের ডাল, পেঁয়াজ ও বয়লার মুরগি ও সবজিসহ আরও কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। ফরিদপুরে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের উৎপাদন বেশি।
এছাড়া চরাঞ্চলে প্রচুর দুধ উৎপাদন হয়। কিন্তু সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকায় এর সুফল মিলছে না। তারা চালসহ নিত্য পণ্যের আমদানিতে শুল্ক হ্রাস ও কৃষকদের ভর্তুকি দিয়ে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পরামর্শ দেন।
৩ বছর আগে
দেশি পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়াতে হবে: বাণিজ্য সচিব
বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন মঙ্গলবার বলেছেন, আমদানি করা পেঁয়াজের পাশাপাশি দেশি পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়াতে হবে।
৪ বছর আগে
প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি নিয়ে ঢাকা-দিল্লি’র আলোচনা
সীমান্ত হাট এবং প্রস্তাবিত ‘অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি’র ওপর যৌথ সমীক্ষাসহ দুদেশের পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে বাংলাদেশ ও ভারত।
৪ বছর আগে