নিধন
বিষ দিয়ে ২ শতাধিক পাখি নিধনের অভিযোগ সাবেক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে
শরীয়তপুরে জমির ফসল বাঁচাতে গম ও ধানের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে অতিথি পাখিসহ দুই শতাধিক পাখি নিধনের অভিযোগ উঠেছে এক সাবেক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকালে শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার সিড্যা ইউনিয়নের মধ্য সিড্যা গ্রামের খনার পাড় নামক ফসলি জমির মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
এমনকি পাখি নিধন করে তা জমির চারপাশে বেঁধেও রেখেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ফাঁদ পেতে অবাধে চলছে পাখি নিধন
গম ও ধানের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে পাখি মেরে ফেলা মো. শাহজাহান মাদবর সিড্যা ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ঘুঘু, শালিক, বক, চড়ুইসহ অতিথি পাখি খাবারের সন্ধানে মধ্য সিড্যা গ্রামের খনার পাড় নামক ফসলি জমির মাঠে আসে। পাখির কলকাকলিতে মুখর থাকে পুরো ফসলি মাঠ।
জানা যায়, কয়েক দিন ধরে শাহজাহান মাদবর এবং তার লোকজন গম ও ধানের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে ছিটিয়ে রাখতেন। বিষ খেয়ে পাখি মারা গেলে কৃষকরা তা মাটিতে পুঁতে ফেলতেন। এ ছাড়া তারা বিষে মারা যাওয়া কিছু পাখি জমির চারপাশে সুতা দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছেন।
আরও পড়ুন: টিয়াসহ ২৩ পাখি উদ্ধার, ঠাকুরগাঁওয়ে ১ জনের কারাদণ্ড
স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা বলেন, শীত মৌসুমে আমাদের দেশে বিভিন্ন দেশ থেকে অতিথি পাখি আসে। কিছু অসাধু ব্যক্তি, যারা প্রকৃতির শত্রু তারা বিষসহ নানা মাধ্যমে পাখিগুলো মেরে ফেলে, যা খুবই দুঃখজনক। প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে আবেদন পাখি নিধনকারীদের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাখি নিধনকারী শাহজাহান মাদবর বলেন, মরা পাখিগুলোর ছবি তুলতে হবে কেন? আমি তো পাখির জন্য গম বপন করিনি। আর এগুলো গণমাধ্যমে দেওয়ার দরকারও নেই।
শাহজাহান মাদবরের পুত্রবধূ হিমু আক্তার বলেন, কৃষি অফিস থেকে বীজ দিয়েছিল, সেই বীজ জমিতে বপন করেছে আমার শ্বশুর। জমিতে তিনি ইঁদুর মারার বিষ দিয়েছিলেন, তাতে যে এমন ঘটনা ঘটবে তা আমাদের জানা ছিল না।
আরও পড়ুন: মাগুরায় হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখি, চোখে পড়ে না বাসা
বিষয়টি নিয়ে সিড্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল হাদী জিল্লু বলেন, বিষ দিয়ে পাখি মারার বিষয়টি আমি শুনেছি। সাবেক মেম্বার শাহজাহান মাদবর আমার কাছে এসেছিলেন।
তিনি আমাকে জানিয়েছেন, তার ফসলি জমিতে তিনি গমের বীজ বপন করেছেন। কে বা কারা বিষ মিশিয়ে পাখি মেরেছে, তা তিনি জানেন না।
তবে বিষ দিয়েই হোক আর যেভাবেই হোক পাখি প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে। পাখি হত্যা অন্যায় এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন আহাম্মেদ বলেন, পাখি হত্যাকারীদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে সেপটিক ট্যাংকে নামিয়ে কলেজছাত্রকে হত্যার অভিযোগ
৯ মাস আগে
ডিএনসিসির মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আজ থেকে শুরু হওয়া
মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযানে লার্ভা পাওয়ায় ১৭টি মামলায় মোট ১৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মেয়র বলেন, 'মশক নিধন অভিযানে আমি কোথায় যাব কেউ কিছুই জানেন না। আগে থেকে জানিয়ে গেলে সেখানে সবকিছু পরিষ্কার করা থাকে। তাই প্রকৃত অবস্থা দেখতে কাউকে না জানিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে আকস্মিক পরিদর্শনে যাব। এক্ষেত্রে আমি কাউকে বিশ্বাস করি না। যেখানে ইচ্ছা সেখানে যাব এবং ব্যবস্থা নিব।'
আরও পড়ুন: পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ডিএনসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল
শনিবার (৮ জুলাই) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে ডিএনসিসির মেয়র আতিক বলেন। এ সময় জাপান গার্ডেন সিটির কয়েকটি বহুতল ভবনের বেইজমেন্ট ঘুরে দেখেন তিনি।
মেয়র বলেন, 'ভবনের ভেতরে জমে থাকা পানি সিটি করপোরেশন পরিষ্কার করবে না। এসব ভবনে আমাদের কর্মীরা ঢুকতে পারে না। শুধু এই এলাকা না ঢাকার অনেক ভবনে, বাড়িতে আমাদের কর্মীদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। অন্যান্য জায়গার চেয়ে বাসা-বাড়ির ভিতরে জমে থাকা পানিতে এডিসের লার্ভা বেশি জন্মে। গবেষণায় উঠে এসেছে বেজমেন্টে যেখানে গাড়ি রাখা হয় ও গাড়ি ধোয়া হয় সেখানে প্রায় ৪৮ শতাংশ এডিসের লার্ভা জন্মায়। তাই ভবনের ভিতরের পরিবেশ পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব ভবন মালিককেই নিতে হবে।'
তিনি বলেন, 'জাপান গার্ডেন সিটি একটি অভিজাত এলাকা। এখানে কর্তৃপক্ষ সার্ভিস চার্জ নেন। তারা ইলেকশন করেন। অথচ এখানে মশার চাষ হচ্ছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। যে পরিমাণ মশা এখানে আছে জাপান গার্ডেনের নাম চেঞ্জ করে মসকিউটু বা লার্ভা গার্ডেন রাখা দরকার। এখানে ২৩টি ভবনে কয়েক হাজার মানুষ বাস করে। অথচ প্রতিটি ভবনে যে পরিমান লার্ভা জাপান গার্ডেন সিটি একটি মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে।'
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, 'বর্ষা মৌসুমের আগে থেকেই আমরা মশা নিধনে মাঠে কাজ করছি৷ নিয়মিত লার্ভিসাইডিং ও এডিসের প্রজননস্থল ধ্বংসের পাশাপাশি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান পরিচালনা করছি। প্রচারাভিযানে বিএনসিসি ও বাংলাদেশ স্কাউটের সদস্যদের যুক্ত করেছি। গতমাসে ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার মসজিদ ও মাদরাসার ইমাম ও খতিবগণের সঙ্গে এবং স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষের সঙ্গে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা করেছি। কিন্তু সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না। বাসা-বাড়ির ভিতরে লার্ভার দায়িত্ব আমাদের কর্মীরা নেবে না।'
তিনি বলেন, 'আমি মাঠে আছি, আমার সকল কাউন্সিলর মাঠে থাকবে। আমি বিভিন্ন আবাসিক এলাকার নেতৃবৃন্দ, সোসাইটির প্রতিনিধিদের আহ্বান করছি আপনারা নিজেদের এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। সবাই সহযোগিতা করলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।'
আরও পড়ুন: সময়মত কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করায় পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য বিশেষ ভোজের আয়োজন ডিএনসিসি’র
জাপান গার্ডেন সিটি পরিদর্শন শেষ করে ডিএনসিসি মেয়র মোহাম্মদপুরর শেখের টেক পিসিকালচার হাউজিং, আদাবর ও শ্যামলী এলাকার কয়েকটি নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করেন।
লার্ভা পাওয়ায় মেয়রের উপস্থিতিতে ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জাপান গার্ডেন সিটিকে ৫ লাখ টাকা, পিসিকালচার হাউজিংয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে ৫ লাখ টাকা ও অন্য তিনটি ভবনে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এছাড়াও অঞ্চল-১ ও ৭ এর আওতাধীন উত্তরা ৪, ৬ ও ৮ নং সেক্টর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন অভিযান পরিচালনা করেন।
উত্তরা এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে ২টি ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় দুটি মামলায় ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন নুরের চালা এলাকা এবং অঞ্চল ১০ এর আওতাধীন আফতাবনগর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। নুরের চালায় ২টি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২টি মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া আফতাবনগরে দুটি বাড়িতে নিয়মিত মামলা করা হয়।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে ৮টি মামলায় ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
উল্লেখ্য, ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলেই একযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ। পুরো জুলাই মাসে এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় মশক নিধন অভিযানে অংশ নেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেঃ জেনা. এ.কে.এম শফিকুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা (অ.দা.) মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, কাউন্সিলরবৃন্দ এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টি: জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে ডিএনসিসির কুইক রেসপন্স টিম
এছাড়াও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ মশক কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন এবং মশার উৎসস্থল ধ্বংস করেন।
১ বছর আগে
৩০দিনের বিশেষ মশা নিধন কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, '১লা নভেম্বর থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসির) প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩০ দিনের বিশেষ মশা নিধন কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলররা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা মাঠে থাকবে।
তিনি বলেন, পুরো মাসজুড়ে নিরবিচ্ছিন্নভাবে মশা নিধনে কাজ করবে। অসময়ে ঝড় বৃষ্টির ফলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের মাঠে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর, ২০২২) দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ নগর ভবনের হলরুমে ২য় পরিষদের ১৭তম করপোরেশন সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মশার প্রজননক্ষেত্র খুঁজে বের করে ধ্বংস করতে হবে। নগরবাসীকে সচেতন করতে হবে। এডিসের পাশাপাশি কিউলেক্স মশাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কোথাও পানি বা ময়লা জমতে দেয়া যাবে না। ময়লা বা পানি জমে থাকলে অথবা এডিসের লার্ভার উৎস পেলে কাউন্সিলররা ছবি তুলে লোকেশন উল্লেখ করে ডিএনসিসির অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপে শেয়ার করবেন।
আরও পড়ুন: ১৫ মার্চের মধ্যেই সকল ড্রেন পরিস্কারের নির্দেশ ডিএনসিসি মেয়রের
ছবি ও লোকেশন দেখে সংশ্লিষ্ট বিভাগ সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিবে।
ফুটপাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাউন্সিলরদের জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে নির্দেশ দিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'মিরপুর দশ নম্বর গোল চত্বরের মতো স্মার্ট হকার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সমগ্র ডিএনসিসি এলাকায় চালু করা হবে। সপ্তাহে পাঁচ দিন নির্দিষ্ট হকাররা বিকাল ৪টার পর থেকে ফুটপাতে বসবে। অন্য সময় ফুটপাতে কোন হকার বসতে পারবে না। ফুটপাতে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে কাউন্সিলরদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।'
ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, 'নগরে বিভিন্ন এলাকায় ছোট বড় অসংখ্য হাট-বাজার গড়ে উঠেছে। এসব হাট-বাজারগুলোর অনুমোদন নেই। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় বেসরকারি বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে পরিচালিত বাজারগুলো ডিএনসিসি অধিগ্রহণ করে পরিচালনা করবে। সঠিক তদারকির মাধ্যমে এগুলো ব্যবস্থাপনা করা হবে। হাট-বাজারগুলোর তালিকা প্রনয়ণ করে সিটি করপোরেশনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।'
নগরের খালগুলো রক্ষায় নগরবাসীকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, 'খালগুলো সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরের পর থেকে আমরা সেগুলো উদ্ধারের কাজ করে যাচ্ছি। খালগুলো উদ্ধার করতে গিয়ে আমরা দেখেছি, বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও অন্যান্য ভবনের পয়ঃবর্জ্য নিষ্কাশনের সংযোগলাইন সরাসরি সারফেস ড্রেন ও খালে দেয়া হয়েছে।
এর ফলে খালগুলো দূষিত হচ্ছে। খালগুলো পরিচ্ছন্ন রাখতে হলে প্রতিটি বাসা-বাড়িতে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। পয়ঃবর্জ্যের লাইন সারফেস ড্রেন অথবা খালে দেয়া যাবে না’
ডিএনসিসিতে বেওয়ারিশ কুকুর ও অন্যন্য পোষা প্রাণীর চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য পশু হাসপাতাল এবং বৃক্ষের চিকিৎসার জন্য বৃক্ষ হাসপাতাল স্থাপন করা হবে বলেও ঘোষণা করেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
সি৪০ সিটিস ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস অ্যাওয়ার্ড-২০২২ অর্জন করায় করপোরেশন সভার শুরুতেই ডিএনসিসির কাউন্সিলররা এবং কর্মকর্তারা মেয়রকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
সবশেষে ডিএনসিসি’র প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়া এবং সিস্টেম এনালিস্ট মো. তুহিনুল ইসলামকে বদলীজনিত বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়।
সভায় ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ডিএনসিসির কাউন্সিলররা এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযানের ঘোষণা ডিএনসিসি মেয়রের
পার্কে শিশুদের জন্য খেলার সামগ্রী সরবরাহ করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
২ বছর আগে
মশক নিধন অভিযান: দ্বিতীয় দিনে জরিমানা ১০ লাখ ৩০ হাজার
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযানের দ্বিতীয় দিনেও জরিমান করেছে ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলেই একযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১৫টি মামলায় এ জরিমানা আদায় করে।
আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করবে সংস্থাটি।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন আগারগাঁও এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মশক নিধন অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
অভিযানে একটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় তিন লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুত এবং রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করায় অপর একটি মামলায় এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ডিএনসিসির অঞ্চল-০৪ এর আওতাধীন ১১ ও ১৩ নং ওয়ার্ডস্থিত কল্যাণপুর নতুন বাজার, পূর্ব মনিপুর এলাকায় অভিযানকালে প্রায় ১০৫টি ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেষ্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়েছে।
আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবেদ আলীর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানেএকটি বাড়িতে লার্ভা পওয়ায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অনলাইনে কর পরিশোধে ১০ শতাংশ রেয়াত ডিএনসিসির
এছাড়াও অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন উত্তরা ১৩ নং সেক্টর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন অভিযান পরিচালনা করেন। উত্তরা এলাকয় তিনটি নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন খিলবাড়িরটেক এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত-এর অভিযানে তিনটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় নব্বই হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় একটি নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-২ এর আওতাধীন রূপনগর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমানের অভিযানে লার্ভা পাওয়ায় একটি মামলায় পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এছাড়াও অঞ্চল-১ এর আওতাধীন কুড়িল এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন-এর অভিযানে বাসা বাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লট, ড্রেন ঝোপঝাঁড়ে কিউলেক্স মশক বিরোধী অভিযান ও সমন্বিততভাবে এডিস বিরোধী অভিযানে ছয়টি স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় তিনটি মামলায় মোট ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং তিনটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
এছাড়াও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় ঘুরে ঘুরে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন।
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান এবং উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার কয়েকটি অঞ্চল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: ভবন নির্মাণে কোড অমান্য হলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
মশা নির্মূলে ডিএনসিসির বিশেষ অভিযান, জরিমানা ৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকা
২ বছর আগে