নেতাকর্মী আটক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গোপন বৈঠকে বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী আটক, ককটেল উদ্ধারের দাবি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে গোপন বৈঠককালে বিএনপির ১৫ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে সাতটি তাজা ককটেল জব্দ করার দাবি করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার রাণীহাটি এলাকা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছোট ভাইয়ের লাঠির আঘাতে বড় ভাইয়ের মৃত্যু
পুলিশের দাবি, নাশকতা চালানোর উদ্দেশ্যে এই গোপন বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহমেদ জানান, শিবগঞ্জ উপজেলার রাণীহাটি এলাকায় বিএনপি নেতা আশরাফ চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশে তার একটি গোডাউনে বিএনপি নেতাকর্মীরা গোপন বৈঠক করছে।
তিনি আরও বলেন, তথ্য পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালালে সাতটি ককটেল বোমা উদ্ধার করে এবং বিএনপির ১৫ নেতাকর্মীকে আটক করে।
পুলিশ এই বৈঠকের আলোচ্যসূচি হিসেবে নাশকতা কর্মকাণ্ডকেই দেখছে।
আটকদের মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিখোঁজের ৫ দিন পর বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি জব্দ, এনজিও পরিচালক আটক
২ বছর আগে
খুলনায় সমাবেশের পূর্বে বিএনপির ১৩ নেতাকর্মী আটক
খুলনা মহানগরীর বসুপাড়া এলাকা থেকে বিএনপির জ্যৈষ্ঠ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গে পরিকল্পিত জনসভার আগে দেখা করতে এসে ১৩ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। দলটির নেতাকর্মীরা শুক্রবার এমনটাই দাবি করেছে।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন জানান, খুলনা জনসভা সমন্বয় কমিটির প্রধান উপদেষ্টা গয়েশ্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে দলের খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে খুলনায় আসেন। সমাবেশ শনিবার হওয়ার কথা আছে।
তিনি বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি কাজী খায়রুজ্জামান শিপনের বসুপাড়ার বাসায় অবস্থান করছেন।
রাতে গয়েশ্বরের সঙ্গে দেখা করতে আসা ১৩ নেতাকর্মীকে এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ আটক করে।
আরও পড়ুন: ‘কারফিউ’ ভেঙে খুলনায় সমাবেশ করবে বিএনপি: ফখরুল
গয়েশ্বর অভিযোগ করেন, ‘কেউ কেউ হাতে লাঠি ও কোমরে পিস্তল নিয়ে ঘরে ঢুকে ত্রাশের সৃষ্টি করে। তারা পুলিশ কি না বোঝার উপায় ছিল না। আমাকে দেখতে আসা ১৩ জনকে আটক করেছে তারা।’
নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে তারা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলায় আসামিদের ধরেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে তিনি বলেন, ‘কোন এলাকা থেকে কাকে ধরা হয়েছে তা সকালেই জানাতে পারব।’
এদিকে, খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা অভিযোগ করেছেন, সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের আটক করতে বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও হোটেলে অভিযান চালায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিএনপির মহাসমাবেশ সামনে রেখে খুলনায় ২ দিন বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা
এর আগে ২৮ সেপ্টেম্বর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি, দলের নেতাকর্মীদের হত্যা ও মামলা দায়ের এবং জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ১০টি বিভাগীয় শহরে জনসভা করার ঘোষণা দেয় বিএনপি।
দলটি ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে দুটি বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেছে এবং তৃতীয়টি শনিবার খুলনায় অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: দুঃশাসন দীর্ঘায়িত করতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাইকারি গ্রেপ্তার করছে সরকার: ফখরুল
২ বছর আগে