পকেটমার
ঠাকুরগাঁও রেলস্টেশনে বেড়েছে পকেটমারদের দৌরাত্ম্য, অসহায় ট্রেনযাত্রীরা
ঠাকুরগাঁও রেলস্টেশনে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি, বিনা টিকিটের যাত্রীদের ও হিজড়াদের অত্যাচারসহ নানা অনিয়ম ছাড়াও এখন পাল্লা দিয়ে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলেছে পকেটমারদের দৌরাত্ম্য।
এমন কোনোদিন নেই যে সাধারণ রেলযাত্রীদের পকেট মারার অভিযোগ আসছে না।
আরও পড়ুন: পকেটমার সন্দেহে যুবককে গণপিটুনি দিল আ.লীগ নেতা
স্টেশনে পকেটমার চক্র একদিনে ১১ জনের বিভিন্ন অংকের প্রায় ৬৫ হাজার এবং গত তিনদিনে মোট ১৯ জনের প্রায় লাখ টাকা নিয়ে চম্পট হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এছাড়া ঠাকুরগাঁও রোড রেলস্টেশনসহ আশেপাশের প্রায় সব রেলস্টেশনেই পকেটমারদের দৌরাত্ম আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। এদিকে যাত্রী সেজে পকেটমারেরা লুটে নিচ্ছে অসহায় যাত্রীদের সর্বস্ব।
ভুক্তভোগী ও অভিযোগকারী ১৯ জনের মধ্যে রয়েছেন ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, আইনজীবী ও সাংবাদিকসহ অন্যান্য পেশাজীবী।
তারা অভিযোগ করে বলেন, অভিনব কৌশলে কোনো কিছু বুঝতে না দিয়ে পকেটমার চক্র তাদের পকেটে হাত ঢুকিয়ে টাকা বের করে নিয়ে চম্পট হচ্ছে। আর এসব অধিকাংশ ঘটনা ঘটছে ঠাকুরগাঁও রোড রেলস্টেশন থেকে তাড়াহুড়ো করে ট্রেনে উঠা-নামার সময়।
ভুক্তভোগীরা বলেন, যাত্রী উঠানামা করার জন্য স্টেশনে সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন মিনিট ট্রেন থামে। এসময় যাত্রীরা তাড়াহুড়ো করে ব্যাগসহ মালামাল নিয়ে ট্রেনে উঠা-নামার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সেই সুযোগে পকেটমার চক্র সু্যোগ বুঝে যাত্রীদের পকেটে থেকে টাকা-পয়সাসহ মোবাইল হাতিয়ে নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বোয়ালমারীতে পরকীয়ার জেরে মেয়ের সামনে মাকে কুপিয়ে হত্যা!
১ বছর আগে
পকেটমার সন্দেহে যুবককে গণপিটুনি দিল আ.লীগ নেতা
শুধুমাত্র পকেটমার সন্দেহে এক যুবককে গণপিটুনি দিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটিয়েছেন আওয়ামী লীগের এক নেতা।
শুক্রবার সকালে দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুসের নেতৃত্বে এ ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আরও পড়ুন: বোয়ালমারীতে পরকীয়ার জেরে মেয়ের সামনে মাকে কুপিয়ে হত্যা!
রাসেল নামে ওই যুবকের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলার খাসপুখরিয়া গ্রামে। শুক্রবার সকালে ঘটনা ঘটলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেয়নি।
এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতার মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার সকালে দৌলতপুরের সবজি বাজারে রাসেল নামে এক যুবককে পকেটমার সন্দেহ করে উপস্থিত লোকজন মারপিট শুরু করে। এসময় দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দস রাসেলকে এলোপাথারী কিল-ঘুসি ও মাটিতে ফেলে লাথি মেরে গুরুতর আহত করে।
পরে দৌলতপুর থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রাসেলকে উদ্ধার করে।
দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস জানান, শুক্রবার সকালে সবজি বাজারে পকেটমারের ঘটনা ঘটে। উপস্থিত লোকজন ছেলেটিকে গণপিটুনি দিয়ে প্রায় মেরে ফেলছিলো। ছেলেটিকে রক্ষা করার জন্য মারধরের অভিনয় করেছি।
কার পকেট কাটা হয়েছিলো এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, রামচন্দ্রপুর গ্রামের কোন এক ব্যক্তির। তবে ওই ব্যক্তির নাম বলতে পারেননি তিনি।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া হেসেন বলেন, দৌলতপুর বাজারে শুক্রবার সকালে গণপিটুনির খবর পেয়ে ঘটনান্থলে গিয়ে রাসেল নামের এক যুবককে আহত অবস্থায় উদ্ধার হাসপাতালে ভর্তি করেছেন পুলিশ।
রাসেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া না যায় তাহলে রাসেলের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়া হবে না।
শুধুমাত্র সন্দেহের বশে একজনকে মারধর করা ঠিক হয়নি বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর ভুয়া নিয়োগপত্রদানকারী চক্রের ২ সদস্য গ্রেপ্তার
পঞ্চগড়ে সড়কে স্বামীর সামনে মাদরাসা শিক্ষিকার মৃত্যু
২ বছর আগে