প্রতিশ্রুত
প্রতিশ্রুত সেবা না দিলে অপারেটরগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ প্রতিমন্ত্রীর
প্রতিশ্রুত সেবা না দিলে মোবাইলফোন অপারেটরগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শক্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, বিটিআরসিকে (বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) এক্সটার্নাল আইটি অডিট করতে হবে, ফাইন্যান্সিয়াল অডিট করতে হবে। তবেই আমরা বুঝতে পারব কোনো একজন সাংবাদিক সচিব মহোদয়ের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করছেন। দেখা যাচ্ছে এক মিনিট পর সচিব মহোদয় ওই পাশ থেকে বলছেন, হ্যালো হ্যালো, আবার বলবেন কী বললেন বুঝতে পারিনি। ড্রপ হওয়ার আগেই কিন্তু এ রকম হচ্ছে। একটা টেকনোলজিক্যাল এরর হচ্ছে এখানে। এ বিষয়গুলো রেগুলার প্রবলেম।
আরও পড়ুন: রমনা বটমূলে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ছায়ানটের জমকালো পহেলা বৈশাখ উদযাপন
রবিবার (১২ মে) সচিবালয়ে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এর ফলে সময় নষ্ট হচ্ছে, অর্থ নষ্ট হচ্ছে, মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে। বিরক্তি তৈরি হচ্ছে। মোবাইল অপারেটররা বলেছেন এটা ওদের জন্যও লস। টেকনোলজিক্যাল সমস্যা হলে ওদের লস।
তিনি বলেন, কল ড্রপ হলো বা ড্রপ না হলেও আমি যে আমার কথা শেষ করতে পারলাম না এটার কোনো ক্ষতিপূরণ আমি গ্রাহক হিসেবে পাচ্ছি কি না। সেটার রেকর্ড বিটিআরসির কাছে থাকছে কি না, কিংবা আমরা ওই রেকর্ড দেখিয়ে বাধ্য করতে পারছি কি না।
পলক আরও বলেন, আমি এ ধরনের নির্দেশনাও দিয়েছি যে, এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আমাদের লাইসেন্সিং গাইড লাইনে যা আছে, এক লাখ হোক বা এক কোটি হোক, আমাদের যা সুযোগ আছে, আমরা সেটা প্রয়োগ করা শুরু করব। যদি তারা (মোবাইল ফোন অপারেটর) তাদের প্রতিশ্রুত সার্ভিস না দিতে পারে, তাহলে লাইসেন্সিং গাইডলাইনে যে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে, সেটা জরিমানা হোক বা অন্য কোনো সেবা সুযোগ সংকুচিত করা হোক, সেগুলো বিটিআরসিকে করার জন্য আমরা এরইমধ্যে শক্ত নির্দেশনা দিয়েছি।
মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট ভেরিফাইড করা নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিথ্যা, গুজব ও অপপ্রচার প্রতিরোধে এটি খুব প্রয়োজন। মন্ত্রী বা এমপির যদি ভেরিফায়েড পেইজ থাকে, সেক্ষেত্রে যেগুলো ভেরিফায়েড না সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি। জনগণকেও আমরা সচেতন করতে পারি যে, এটা হচ্ছে ব্লু সাইন ভেরিফায়েড পেইজ, বাকিগুলো থেকে যে তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বা চাচ্ছে সেগুলো আপনারা প্রত্যাখ্যান করুন। আমরা সোশ্যাল মিডিয়া মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোকে বলতে পারি ভেরফায়েড পেইজ বা অ্যাকাউন্ট ছাড়া বাকিগুলো রিমুভ করেন।
মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের পেইজ বা অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড করার কাজ প্রতিনিয়ত করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মোবাইল নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে আমরা কাঙ্ক্ষিত জায়গায় হয়তো পৌঁছাতে পারিনি। একেবারে দুর্বল বলা যায় না। পরিস্থিতি আরও উন্নয়নে আমরা এ বিষয়ে নিয়মিত তদারকি করছি।
আরও পড়ুন: মে দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে জড়ো হচ্ছেন নেতাকর্মীরা
ঈদের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ রাখার আশা মন্ত্রীর
৭ মাস আগে
কপ-২৭: উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য প্রতিশ্রুত ১০ হাজার কোটি ডলার বাস্তবায়ন করতে বলবে বাংলাদেশ
প্যারিস চুক্তি ও কনভেনশনের অধীনে নির্ধারিত সমষ্টিগত জলবায়ু লক্ষ্য অর্জনের জন্য পদক্ষেপ নিতে বিশ্ব নেতারা আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য কপ-২৭ এর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
২৭ তম কনফারেন্স অব দ্য পার্টিস বা কপ-২৭ আয়োজন করা হবে জলবায়ুর জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে পদক্ষেপ নেয়ার লক্ষ্যে কপ-২৬ এর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে।
যে বিষয়গুলো আমলে নেয়া হবে: জরুরিভাবে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস করা, স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করা ও জলবায়ু পরিবর্তনের অনিবার্য প্রভাবগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়া এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জলবায়ু সংক্রান্ত কাজে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি প্রদান করা।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে প্রতি বছর ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার তহবিল প্রদানের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করবে।
মিশরের শহর শারম আল-শেখে ৬ থেকে ১৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও অভিযোজনের জন্য বর্ধিত তহবিলের গুরুত্বও তুলে ধরবে।
আরও পড়ুন: কপ-২৭ এর আগে জলবায়ু অর্থায়নের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের আহ্বান বাংলাদেশের
প্যারিস চুক্তির অধীনে দেশগুলো প্রতিশ্রুতিগুলোকে কর্মে পরিণত করার মাধ্যমে তারা যে বাস্তবায়নের নতুন যুগে রয়েছে তা কপ-২৭ এ দেখানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা ৭ ও ৮ নভেম্বর শারম আল-শেখ জলবায়ু বাস্তবায়ন শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং ১৫ থেকে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে প্রাথমিকভাবে মন্ত্রীদের অংশগ্রহণে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আগামী মাসে শারম আল-শেখে অনুষ্ঠিতব্য জলবায়ু সম্মেলনের পূর্বে ক্ষয়ক্ষতির নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জলবায়ু অর্থায়নের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নতুন বৈশ্বিক উদ্যোগ চায় ঢাকা
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে জলবায়ু পরিবর্তন একটি নিরাপত্তা সমস্যা এবং এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি) নিয়মিত বিরতিতে আলোচনা করা উচিত।
বৈশ্বিক জলবায়ু কূটনীতিতে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে এবং ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আলোচনায় বাংলাদেশ একটি সাহসী কণ্ঠস্বর হিসেবে আবির্ভূত হয়।
বাংলাদেশ এর জলবায়ু দুর্বলতা থেকে স্থিতিস্থাপকতা এবং জলবায়ু সমৃদ্ধির পথে যাত্রা করার লক্ষ্যে ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ চালু করেছে। সরকার এটিকে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য একটি যুগান্তকারী নীতিগত নির্দেশিকা হিসেবে দেখছে।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট: বিশ্বনেতাদের ‘মুনাফার চেয়ে মানুষকে’ অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান তরুণদের
২ বছর আগে