বিভাগীয় সমাবেশ
বিভাগীয় সমাবেশে বিশৃঙ্খলা: রংপুরে ছাত্রলীগের ৯ কর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার
রংপুরে ছাত্রলীগের বিভাগীয় সমাবেশে বিশৃঙ্খলা ও মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থগিত করা রংপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সেই সঙ্গে ওই ঘটনায় জড়িত ৯ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুলাই) সকালে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাব্বির আহমেদ।
এর আগে রবিবার (২৩ জুলাই) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ৯ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার করে এবং জেলা ছাত্রলীগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলা-পরিপন্থী অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এমন কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ৯ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ৩০
বহিষ্কৃতরা হলেন- রংপুর টেক্সটাইল কলেজের সিয়াম আলম, লালমনিরহাট কাকিনা উত্তর বাংলা কলেজের জিহাদ রহমান জিসান, রংপুর সরকারি কলেজের মোনাজাত, আল আমিন হোসাইন, রাজন হোসাইন, কারমাইকেল কলেজের শাহাদত হোসনে রিমন, ইমন ইসলাম ও মাসুদ রানা সাফিন ও আল আমিন হোসেন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভবিষ্যতে যে কোনো শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে না জড়ানোর জন্য সতর্ক করে রংপুর জেলা ছাত্রলীগের উপর আরোপিত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাব্বির আহমেদ জানান, একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ রংপুর জেলার কমিটি স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে ও তাদের কর্মকাণ্ড অনুযায়ী প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। সেই সঙ্গে আমাদের উপর আরোপিত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই রংপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। একই দিনে মহানগর ছাত্রলীগ ও রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার কারণে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
১ বছর আগে
ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ: ১০ দফা দাবিতে একযোগে সরকারবিরোধী আন্দোলনের ঘোষণা
সকল জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দিয়ে এবং অসংখ্য বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে বিএনপি শনিবার ঢাকায় শান্তিপূর্ণভাবে তাদের সর্বশেষ বিভাগীয় সমাবেশ করেছে। এই সমাবেশ থেকে দলটি ১০ দফা দাবিতে একযোগে সরকারবিরোধী আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন গোলাপবাগ মাঠের জনসভায় এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সংসদ সদস্যদের আজ পদত্যাগের সম্ভাবনা রয়েছে
তাদের ১০ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া, সংবিধানে সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচনের আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা, ব্যালট পেপার ব্যবহার করে নির্বাচন অনুষ্ঠান, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ অন্য সব রাজনৈতিক বন্দিদের কোনো শর্ত ছাড়াই মুক্তি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও অন্যান্য দমনমূলক আইন প্রত্যাহার, মতপ্রকাশ ও সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র রাখা।
রাজধানী ও দেশের অন্যান্য স্থান থেকে কয়েক হাজার মানুষ এই সমাবেশে যোগ দেয় এবং জনতার ঢল সমাবেশস্থলের চারপাশে কয়েক কিলোমিটারে ছড়িয়ে পড়ে।
সমাবেশে যোগ দেয়ার আগে বিএনপির সাত সংসদ সদস্য ইমেইলের মাধ্যমে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বর্তমান সরকারের দুঃশাসনের হাত থেকে মুক্তি পেতে লাখ লাখ মানুষ সমাবেশে যোগ দিয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার পায়ের নিচের মাটি হারিয়ে বিরোধী দলকে দমন করে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় বসার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ: নিরাপত্তার চাদরে রাজধানী ও আশপাশের এলাকা
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও যশোরে পুলিশের অভিযানে দলের পাঁচ নেতাকর্মীর মৃত্যু এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ১০টি বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিক জনসভার ঘোষণা দেয় বিএনপি।
বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও পরিবহন ধর্মঘট কাটিয়ে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লা ও রাজশাহীতে সমাবেশের আয়োজন করেছে দলটি।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছিল যে আগামী সাধারণ নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হতে হবে।
অন্যদিকে, সংবিধানের বিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বারবারই তীব্রভাবে এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির ৭ সংসদ সদস্যের পদত্যাগ
২ বছর আগে
বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ: নিরাপত্তার চাদরে রাজধানী ও আশপাশের এলাকা
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে রাজধানী ও আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ঢাকার সব প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। নগরীতে প্রায় ৩২ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার বলেন, ‘নগরীতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে কড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য পুলিশ নজরদারি জোরদার করেছে। আশা করি বিএনপির সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির বহুল আলোচিত ঢাকা সমাবেশ শুরু, ১০ দফা দাবি জানাতে পারেন মোশাররফ
যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। বিএনপির সমাবেশকে সামনে রেখে রাজধানীতে চার হাজার আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আনসার-ভিডিপির পরিচালক (অপারেশন্স) মো. কামরুল ইসলাম।
পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেরও বিএনপির যে কোনো নাশকতা ঠেকাতে নগরীর রাস্তায় অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
সকাল থেকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিএনপি সমর্থকদের পায়ে হেঁটে সমাবেশস্থলের দিকে যেতে দেখা গেছে।
রাজধানীর অধিকাংশ দোকানপাটও বন্ধ থাকতে দেখা যায়।
নিরাপত্তা জোরদার করতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের একটি হেলিকপ্টার রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে টহল দিতে দেখা গেছে।
সকল বাধা উপেক্ষা করে গোপালবাগের সমাবেশস্থলে ভিড় জমান বিএনপির নেতাকর্মীরা।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে আসা মহিলা দলের কর্মী আসমা বেগম জানান, তিনি ৫০ জন মহিলা সমর্থক নিয়ে সমাবেশে যোগ দিতে যাত্রা শুরু করে ফজরের নামাজের পর এবং সকাল ১০টার দিকে সমাবেশস্থলে পৌঁছান।
তিনি আরও দাবি করেন, নগরীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সমর্থকরা তাদের বাধা দিয়েছে।
যেকোনো জরুরি কাজে ব্যবহারের জন্য সমাবেশস্থলে ছয়টি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সকাল থেকে সড়কে কোনো গণপরিবহন চলাচল করতে দেখা যায়নি এবং শুধু কিছু সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা দেখা গেছে।
কোনো পরিবহন ধর্মঘট না থাকলেও মালিকরা তাদের যানবাহন সড়কে চলাচল করতে দিচ্ছেন না।
সড়কে কয়েকটি আন্তঃনগর বাস দেখা গেলেও সেগুলো সংখ্যায় কম।
আরও পড়ুন: বিএনপির ৭ সংসদ সদস্যের পদত্যাগ
বিএনপির সংসদ সদস্যদের আজ পদত্যাগের সম্ভাবনা রয়েছে
২ বছর আগে
তুলনামূলক সহজ পরিস্থিতির মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিএনপির কুমিল্লা সমাবেশ
বিএনপির অষ্টম বিভাগীয় সমাবেশ কুমিল্লা শহরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শনিবার। পূর্বের সমাবেশগুলোর তুলনায় এবারে কিছুটা সহজ পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই পালন করতে যাচ্ছে দলটি। যা বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মী ও অনুসারীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে।
সমাবেশ সফল করতে বিএনপি শুক্রবার পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড ও বর্ণাঢ্য মিছিলের মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশে কুমিল্লা শহর নিজেদের দখলে নেয়া শুরু করে।
গত মাসে চট্টগ্রামে শুরু হওয়া বিভাগীয় সমাবেশের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি নেতারা জানান যে তারা সমাবেশের মাধ্যমে আরেকটি বিশাল শোডাউন করবে।
দুপুর ১২টায় কুমিল্লা টাউন হল মাঠে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে মঞ্চ তৈরি করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
পূর্বের অন্তত ছয়টি সমাবেশের সময় পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতির নেতারা ধর্মঘটের ডাক দিলেও এবার তারা সেরকম কোনো কর্মসূচি দেননি।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে পারে বিএনপি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
যেহেতু এবারের সমাবেশ কোনো পরিবহন ধর্মঘট ছাড়াই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবং পুলিশের অনুমতির বিষয় বেশ সরল প্রক্রিয়া, তাই শনিবারের সমাবেশটি আগের চেয়েও বেশ বড় হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যা দলটির নেতাদের কাছে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
আগের জনসভায় সমর্থকের অভাব না থাকলেও বিএনপি দাবি করে আসছে, সরকার জনগণের অংশগ্রহণে কথিত বাধা সৃষ্টি না করলে উপস্থিতি আরও বেশি হতো।
ইউএনবি’র সঙ্গে কথা বলার সময় বিএনপির সমাবেশের আগে কুমিল্লায় কোনো পরিবহন ধর্মঘট না ডাকায় স্থানীয় বেশ কয়েকজন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।
বিএনপি সমর্থকরা আশঙ্কা করছেন যে তাদের স্থানীয় প্রভাবশালী দুই নেতা নগর শাখার আহ্বায়ক আমিনুর রশিদ ইয়াসিন এবং সাবেক সিটি মেয়র ও বহিষ্কৃত নেতা মনিরুল হক সাক্কুর মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব বিশাল সমাবেশ করার জন্য দলের প্রচেষ্টাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
তবে, স্থানীয় দলীয় কর্মীরা ইউএনবিকে বলেছেন যে ইয়াসিন ও সাক্কু উভয়েই তাদের অনুসারীদের সমাবেশকে সফল করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, যদি কিছু হয় তবে কে বেশি জমায়েত করতে পারে তার ভিত্তিতে প্রতিযোগিতা করছে।
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে আ.লীগের ফাঁদে পা দিবে না বিএনপি: গয়েশ্বর
শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করেন, তাদের সমাবেশকে কেন্দ্র করে 'গণতরঙ্গ' ঠেকাতে সরকার নানা কৌশল অবলম্বন করছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন যে বিভিন্ন হুমকি-ধামকিকে উপেক্ষা করে বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী আগাম আসতে শুরু করায় কুমিল্লা উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন যে সমাবেশের আগে 'সরকারের নির্দেশে' পুলিশ তাদের হয়রানি করছে এবং তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের ‘ক্যাডাররা’ বিএনপির সমাবেশে যোগ দিলে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কাল্পনিক মামলায় ফাঁসানোসহ ভয়াবহ পরিণতির হুমকি দিচ্ছে।
মোশাররফ অবশ্য বলেছেন, তারা ক্ষমতাসীন দলের কোনো উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের জবাব না দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি পালন করবেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু বলেছেন, কুমিল্লায় ‘স্মরণীয়’ সমাবেশ করতে তারা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কোনো পরিবহন ধর্মঘট কার্যকর না হলেও আমাদের নেতাকর্মীরা কুমিল্লা যাওয়ার পথে ক্ষমতাসীন ক্যাডারদের বাধার মুখে পড়ছেন। তবে কোনো বাধাই আমাদের নেতাকর্মীদের সমাবেশে অংশ নিতে বাধা দিতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: বিএনপির আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে নিতে নতুন নাটক তৈরি করছে সরকার: ফখরুল
শনিবার ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বাধার আশঙ্কায় সমাবেশের একদিন আগে শুক্রবার সকাল থেকেই চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনীসহ বিভিন্ন উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে বিএনপি সমর্থকদের কুমিল্লা শহরে আসতে দেখা গেছে।
শুক্রবার সকাল থেকেই সমাবেশস্থলে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিলে জড়ো হওয়ায় জনসমাগম তৈরি হয়।
অনুষ্ঠানস্থলে তাদের রাত্রিযাপনের অনুমতি না থাকায় আয়োজকরা তাদের জন্য খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করেছেন।চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর ও সিলেটে অনুষ্ঠিত ৭টি সমাবেশের পর শনিবার কুমিল্লায় হবে বিভাগীয় পর্যায়ে বিএনপির ৮ম সমাবেশ।
চলমান আন্দোলনের গতি অব্যাহত রাখার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ১০টি বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিক জনসভার ঘোষণা দেয় বিএনপি।
আয়োজকরা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ; ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও যশোরে পূর্বে পুলিশের অভিযানে দলের পাঁচ নেতাকর্মীর মৃত্যু এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতেই এই সমাবেশ।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে আগামী জাতীয় নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হোক। তবে সংবিধান তা হতে দেয় না বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তা তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ সফল করতে সরকার সহায়তা করছে: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
সরকার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে জনগণ বাধ্য করবে: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সরকার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে জনগণ বাধ্য করবে।
শুক্রবার কুমিল্লায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে শনিবার কুমিল্লায় অনুষ্ঠিতব্য সরকারবিরোধী সমাবেশের পরিকল্পনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বর্তমান ইসির সঙ্গে বিএনপি সংলাপে যাবে না: খন্দকার মোশাররফ
সকাল ১০টায় টাউন হলে সমাবেশ শুরু হয়ে বিকাল ৪টায় শেষ হয়।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোশাররফ বলেন, ব্যাপক দুর্নীতি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থতা এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার কারণে দেশের জনগণ সরকারকে ‘লাল কার্ড’ দেখাবে।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি দীর্ঘদিন ধরেই আগামী জাতীয় নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। তবে দাবিটি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিএনপির পক্ষে জানানো হয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ; ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও যশোরে পুলিশের অভিযানে দলের পাঁচ নেতাকর্মীর মৃত্যু এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে তাদের বিভাগীয় সমাবেশ আয়োজিত হয়ে আসছে।
বৈঠকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক আমিনুর রশিদ ইয়াছিন, সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন, মহানগর আহ্বায়ক উবাতুল বারী আবু ও সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ ‘বিদেশিদের’ পরামর্শের ওপর নির্ভর করছে না: খন্দকার মোশাররফ
অর্থ পাচার মামলা: সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফের ভাই গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
খুলনায় বিএনপি কর্মীদের বহনকারী ট্রলারে আ.লীগের হামলা
খুলনা মহানগরীতে শনিবার অনুষ্ঠিত বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের হামলায় ফুলতলা উপজেলা বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
সড়কে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শনিবার সকাল ৯টায় ভৈরব নদীর ফুলতলা ও শিকিরহাট ঘাট দিয়ে নয়টি ট্রলারে করে যাত্রা শুরু করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। সড়কে পরিবহন ধর্মঘটের মধ্যে বিএনপি সমর্থকরা যাত্রায় বেশ কয়েকটি ট্রলার ভাড়া করেছিল।
ফুলতলা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক এনামুল ভূইয়া পারভেজ বলেন, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ট্রলার বহরটি খুলনার ৫ নং ঘাট এলাকায় পৌঁছালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলায় বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবুল বাশার, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ লুৎফর রহমানসহ অন্তত ৫০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আহতরা স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। হামলার সময় শত শত নেতাকর্মী নিজেদের বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেন। তাদের অনেককে এখনো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে তিনি দাবি করেন।
দলের বিভাগীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার খুলনা মহানগর বিএনপি নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশটি দুই কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মর্জিা ফকরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনও সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হবে না। ‘তাই শেখ হাসিনাকে সরে যেতে হবে। এই শাসন দেশের সকল অর্জনকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভয়ংকর ফ্যাসিবাদী’ ও ‘স্বৈরাচারী’ শাসনকে উৎখাত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ছাড়া তাদের দলের আর কোনও বিকল্প নেই।
পড়ুন: বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ: খুলনায় মোবাইল ইন্টারনেটে ধীরগতি
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে আ. লীগ ১০ আসনও পাবে না: খুলনায় ফখরুল
২ বছর আগে