দাম নিয়ন্ত্রণ
দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে ৩৪ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি
ভরা মৌসুমেও দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রণে আবারও ভারত থেকে আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
হিলি স্থলবন্দরের ৪৯ আমদানিকারক বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ৩৪ হাজার টন আমদানির অনুমতি পেয়েছেন।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ভারত থেকে আলু আমদানি করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: হিমাগার পর্যায়ে নির্ধারিত ২৬-২৭ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম জানালেন, দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে আবারও আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। বুধবার আমিসহ বন্দরের বেশ কয়েকজন আমদানিকারক অনুমতি চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনলাইনে আবেদন করেছিলাম। বৃহস্পতিবার থেকে অনুমতিপত্র (আইপি) দেওয়া শুরু করে দপ্তর। শনিবার-রবিবার থেকে আমদানি শুরু হবে। আমদানি শুরু হলে আলুর কেজি ২০-২৫ টাকার মধ্যে চলে আসবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে আলুর কেজি ৮০ টাকা
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণে বুধবার আলু আমদানির সিদ্ধান্ত দিয়েছিল সরকার। ওই দিন থেকেই অনুমতির আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে আইপি দেওয়া শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত হিলির ৪৯ আমদানিকারক ৩৪ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে আমদানি করা ৭৪ টন আলুর প্রথম চালান দেশে
১০ মাস আগে
কৃষিপণ্যের মধ্যস্বত্বভোগীদের ধ্বংস করে দেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
দেশে কৃষিপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে মধ্যস্বত্বভোগীদের ধ্বংস করে দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
তিনি বলেন, যে পদ্ধতি অনুসরণ করলে মধ্যস্বত্বভোগীদের ধ্বংস করে দেওয়া যাবে আমরা সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চাই। আমরা ভোক্তাদের জন্য মার্কেট স্ট্যাডি করতে চাই।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন:
এর আগে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রোস্টার। সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার।
তিনি আরও বলেন, মার্কেট দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে এখনই তার কোনো ডেডলাইন দেওয়া যাচ্ছে না।
মন্ত্রী বলেন, কত দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে সে বিষয় ডেডলাইন দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য যতগুলো সেক্টর আছে সবাই একত্রিত হয়ে একটি সমন্বিত ব্যবস্থা নেব। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়েই আমরা বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে চাই।
তিনি বলেন, বেশি মুনাফার জন্য মানুষের বুকে চাকু মারলাম, সেটা তো হয় না। বাজার নিয়ন্ত্রণে বাজার বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পেশায়-নেশায় সবকিছুর মধ্যে কৃষক: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এগিয়ে যাওয়া। এগিয়ে যাওয়ার জন্য উন্নত প্রযুক্তির চাষাবাদ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে। এখানে অনেক বিজ্ঞানী রয়েছেন, আমরা তাদের কাজে লাগাতে চাই।
তিনি আরও বলেন, উৎপাদন যাতে বেশি হয়, ফসল যাতে বেশি হয়, সেজন্য আমরা কোনো জমি খালি রাখতে চাই না। যেসমস্ত জায়গায় ফসল ফলানো যায়, সেখানে যাতে কৃষকরা উৎপাদনে উৎসাহিত হয়, আমরা সে পদক্ষেপ নেব। প্রয়োজনে আমরা উঠান বৈঠক করব। গ্রাম পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণের কর্মকর্তারা রয়েছেন। প্রতিটি ইউনিয়নে তিনজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রয়েছেন। তারা প্রতিটি এলাকায় ঘুরে ফসলের সমস্যা কী, কীটনাশক সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে কিনা ও সঠিক মাত্রায় সার দিচ্ছে কি না- তা তদারকি করে থাকেন। সেই তদারকি আরও জোরদার করা হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের মুক্তি নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য ব্যক্তিগত: আইনমন্ত্রী
জামার্নির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ বলেন, স্বাধীনতার সময় থেকে জার্মানির সঙ্গে আমাদের একটা সুসম্পর্ক রয়েছে। তারা আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। জার্মানি উন্নত দেশ, কৃষিতে উন্নত। তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা করবে। পূর্বাচলে আমরা একটি আন্তর্জাতিকমানের প্যাকিং হাউজ ও ল্যাব করতে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে জার্মানির কারিগরি সহযোগিতা দরকার। এ বিষয়েও তারা সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা জার্মানিতে আম, আনারস, শাকসবজি রপ্তানি করতে চাই। তাদের বলেছি, কোয়ালিটির ব্যাপারে আমরা কোনো আপস করব না। উৎপাদনের ক্ষেত্রে মানের প্রশ্নে আপস করা হবে না। এক্ষেত্রে আমাদের জিরো টলারেন্স।
আরও পড়ুন: আলু আমদানি হলে দাম কমবে, মানুষ স্বস্তি পাবে: কৃষিমন্ত্রী
১১ মাস আগে
পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং জোরদারের নির্দেশ সরকারের
পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং জোরদার করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে যারা অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের চেষ্টা করছে তাদের আইনের আওতায় আনতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞায় রাতারাতি পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ২০০ টাকা ছাড়াল
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক থেকে এই নির্দেশনা আসেনি, এটি পৃথকভাবে জারি করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, 'আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, মাঠ পর্যায়ে এখন নিবিড় পর্যবেক্ষণ চলছে। আজ কিছুটা হলেও বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। গতকাল যে প্রবণতা (পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি) ছিল, আজ তা নেই।’
শুক্রবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, 'সরকারের নির্দেশনা হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং জোরদার করা। যারা এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত (মজুদ করে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন) তাদের উপর নজরদারি বাড়ানো এবং যারা অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের চেষ্টা করছে তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা। নির্দেশনা পাওয়ার পর আমাদের টিম মাঠে কাজ করছে।’
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ মজুদকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হবে: ভোক্তার মহাপরিচালক
বিনা কর্তনে চলছে ‘অ্যানিমেল’, আটকে আছে ‘কাঠগোলাপ’
১ বছর আগে
পেঁয়াজ-আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা আমাদের দুর্বলতা: কৃষিমন্ত্রী
শুধু সরকারের দুর্বলতা নয়, সফলতার দিকগুলোও গণমাধ্যমে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক
তিনি বলেন, পেঁয়াজ ও আলুর দাম বেঁধে দিলেও সরকার তা বাস্তবায়ন করতে পারছে না। এ নিয়ে সমালোচনা করেন, আমরা মেনে নেব। কারণ, এটা আমাদের দুর্বল দিক। কিন্তু আমাদের সবল দিকগুলোও দয়া করে মিডিয়াতে তুলে ধরবেন।
রবিবার (৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: নিজেদের খোঁড়া কবর থেকে উঠতে পারবে না বিএনপি: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ডাল, তেল এগুলো এগুলো আমদানি নির্ভর, সেখানে আমরা খুব বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পারি না। কিন্তু সবগুলো মিলে একজন মানুষের জীবনধারণের জন্য যে খাদ্য খাই তার মধ্যে চালের পেছনে খরচ হয় ৬৫-৭০ ভাগ। কাজেই চালটা কিন্তু প্রথম ও প্রধান উপাদান খাদ্যের। পেঁয়াজের দাম আলুর দাম কতটুকু সেটা আমি ওইভাবে বলতে চাই না। তবে চাল নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। মানুষের যে খাদ্য নিরাপত্তা, ন্যূনতম যে খাবারটা সেটা কিন্তু কিনতে পারছে।
আলু ও পেঁয়াজের দাম নিয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছেন কি না- এমন প্রশ্নে কৃষিমন্ত্রী বলেন, মোটেই হাল ছেড়ে দিইনি। আমরা এখনও যথেষ্ট তৎপর রয়েছি। উৎপাদনের পার্টটা হলো আমাদের কৃষি মন্ত্রণালয়ের। বাজার মনিটর করার দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। তারপরেও আমি দায় এড়াতে পারি না।
তিনি আরও বলেন, প্রেসিডনসিয়াল ফর্মে প্রেসিডেন্ট সব দায়িত্ব পালন করেন। কেবিনেট সিস্টেম অব গভর্মেন্টে সব মন্ত্রীই সব কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী, প্রধানমন্ত্রীসহ।
তিনি বলেন, কাজেই আমরা মোটেই হাল ছেড়ে দিইনি। আমরা চেষ্টা করছি। কোল্ডস্টোরেজের মালিকরা খুবই অসহযোগিতা করছে, তারা ঠিকমতো সরবরাহ করছে না। এটা বড় অন্তরায়, নানাভাবে আমাদের কর্মকর্তারা মাঠ লেভেলে তাদের চাপ সৃষ্টি করলেও সাপ্লাইই দেয় না। বন্ধ-টন্ধ করে চলে যায়, এ ধরনের কিছু ব্যাপার রয়েছে, তা সত্বেও প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, এপ্রিল-মে মাসে পেঁয়াজ তোলার পর দুই মাসের বেশি থাকে না। পেঁয়াজ পচে যায়, শুকিয়ে যায়। নভেম্বর-ডিসেম্বরে এসে আমাদের বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। গত বছর যথেষ্ট পেঁয়াজ হয়েছিল, চাষিরা বিক্রি করতে পারেনি। আলুরও একই অবস্থা হয়েছিল, রাস্তায় ফেলে দিয়েছে, এবার উল্টো পরিস্থিতি। দুই-তিন লাখ কম হয়েছে এই সুযোগে কোল্ড স্টোরেজের মালিক ও আড়ৎদাররা ব্যাপকভাবে মুনাফা করছে। এত লাভ করা উচিত না। ২০ টাকা খরচ হয় না সেটাকে সে ৪০-৫০ টাকা বিক্রি করছে।
পেঁয়াজ সংরক্ষণে নতুন প্রযুক্তি আনা হয়েছে জানিয়ে রাজ্জাক বলেন, ওভাবে পেঁয়াজ রাখলে ৫ শতাংশও পচে না। এই প্রযুক্তি কাজে লাগাতে পারলে দুই বছরের মধ্যে বিদেশ থেকে কোনো পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে না। নতুন জাত বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করেছেন হেক্টরে ৪০-৫০ টন উৎপাদন হয়। আগামী দিনে বাংলাদেশে পেঁয়াজেরও কোনো সমস্যা থাকবে না।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য হল পেঁয়াজে আমরা স্বনির্ভর হতে চাই। তার জন্য সাময়িক একটু কষ্ট হয়েছে। মানুষ বেশি দামে কিনেছে, কিন্তু চাষিদের আমরা উৎসাহিত করছি। স্থানীয়ভাবে আমরা পেঁয়াজ উৎপাদন করব।
তিনি বলেন, জুলাই থেকে এ পর্যন্ত আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি। এদিক দিয়ে আমরা খুবই একটা ভালো অবস্থায় আছি। শীতকাল আসছে, পর্যাপ্ত সবজি হবে। সব সবজির দামই কমে আসবে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেশি। আরও অন্যান্য খরচ বেড়ে গেছে। দেশে মুদ্রাস্ফীতি আছে, এসব বিবেচনায় সবজি ও অনেক পণ্যের দাম বেশি।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে: কৃষিমন্ত্রী
খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে কম সময়ে অধিক ফলনে গুরুত্ব দিচ্ছি: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
দাম নিয়ন্ত্রণে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম, মজুদ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বাজার তদারকিসহ প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
রবিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ বিষয়ে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
বৈঠকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং, আমন ও রবি ফসলের উৎপাদন, সার মজুদসহ সাম্প্রতিক অন্যান্য বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে রমজান জুড়ে মাঠে থাকবে বাজার মনিটরিং টিম
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।
বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে শিল্পসচিব, খাদ্য সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনার ও উপকূলীয় জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকরা বৈঠকে যুক্ত ছিলেন।
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সার ও বাজারে নিত্যপণ্যের মজুদ ও সরবরাহ পরিস্থিতি সম্পর্কে মুখ্য সচিবকে বিস্তারিত অবহিত করেছেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বিভিন্ন বিষয়ে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
সভায় সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে চিনির ঘাটতি ও দাম বৃদ্ধি, বিশেষ করে চিনির মজুদ ও আমদানি পরিস্থিতি, সরবরাহকারী বা সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের পরিস্থিতি, অন্যান্য নিত্যপণ্য সরবরাহ পরিস্থিতি এবং টিসিবির কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা হয়।
সভায় আবহাওয়ার সর্বশেষ তথ্য বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সম্পর্কে আলোচনা করা হয় এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি পর্যালোচনা করা হয়।
এর আগে, সভার শুরুতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের পরিচালক আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রাথমিক উপস্থাপনা করেন।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার টিকিয়ে রাখতে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল দাবি বিএমবিএ’র
২ বছর আগে