বিজিপি
‘মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীর’ গুলিতে নাফ নদীতে ২ জেলে গুলিবিদ্ধ
নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) গুলিতে দুই বাংলাদেশি জেলে গুলিবিদ্ধ হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার (২১ এপ্রিল) সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের নাইক্ষ্যংদিয়া সীমান্তে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন বিজিপির ৫৮ সদস্য, ৪ বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ
গুলিবিদ্ধ হওয়া দুইজন হলেন- শাহপরীর দ্বীপের মাঝেরপাড়ার মোহাম্মদ ইসমাইল ও মোহাম্মদ ফারুক।
এরমধ্যে ফারুকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দুপুর ১টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত জেলে ও স্বজনরা জানান, রবিবার সকালে মাছ ধরার জন্য ১০ জেলে নাফ নদীতে যান। এসময় তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী। এতে দেইজন গুলিবিদ্ধ হয়।
জেলেদের দাবি তারা বাংলাদেশের জলসীমায় ছিলেন। মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষীবাহিনী গুলি ছুঁড়ে বলে দাবি তাদের।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা প্রণয় রুদ্র বলেন, ফারুকের শরীরে তিনটি গুলি লেগেছে এবং তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা শুনেছেন। বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে দুইপক্ষের সংঘর্ষে ও গুলিবিদ্ধ ৮
কুমিল্লায় সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্র নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭, অস্ত্র-গুলি জব্দ
৮ মাস আগে
ফের বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৯ সদস্য
মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সংঘর্ষের মধ্যে বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২৯ সদস্য সোমবার আবারও বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিজিবি।সোমবার (১১ মার্চ) সকালে বিজিপি সদস্যরা বাংলাদেশে আশ্রয় নেন বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।
তিনি জানান, বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১১ বিজিবি) অধীনস্থ জামছড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অংথাপায়া ক্যাম্প থেকে ২৯ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বিজিপি, সেনা সদস্য ও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাসহ মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ৩৩০ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি যুবককে ‘কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা’ করল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী
২২ দিন পর বাংলাদেশির লাশ ফেরত দিল ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী
৯ মাস আগে
বিজিপিসহ ৩৩০ জনকে বৃহস্পতিবার ফেরত পাঠানো হবে: বিজিবি
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ও অন্যান্য ৩৩৩ সদস্যদের বৃহস্পতিবার একটি জাহাজে করে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, বিজিবির তত্ত্বাবধানে কক্সবাজার জেলার ইনানীর নৌ জেটিঘাট দিয়ে বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যসহ মিয়ানমারের নাগরিকদের সকাল ৮টায় দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছিলেন, শিগগিরই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শনকালে যা বললেন বিজিবি মহাপরিচালক
মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ৩২৭ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে: বিজিবি
১০ মাস আগে
বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তারিখ বলতে চান না পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনাবাহিনী সদস্যদের শিগগিরই মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
কৌশলগত বিষয়ে কিছু না বলার শর্তে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি নির্দিষ্ট কোনো তারিখ বলতে চাই না। নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত থাকায় এটি গোপনীয়। উভয় পক্ষ ঐকমত্যে পৌঁছেছে যে তাদের শিগগিরই ফেরত পাঠানো হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের মিয়ানমারে ফেরার বিষয়ে তারা কাজ করছেন। "এটাই আমাদের অগ্রাধিকার। তারা (মিয়ানমার) তাদের ফিরিয়ে নিতে চায়।’
শুধু মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাই নয়, তাদের পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন। এর আগে শতাধিক মানুষ ভারতে ঢুকে পড়েছিল এবং মিয়ানমার তাদের ফিরিয়ে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির কর্মসূচি পুরোনো গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার নামান্তর : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের আগমনের বিষয়ে তারা প্রতি মুহূর্তেই গণমাধ্যমকে জানায়। 'কোনো লুকোচুরির সুযোগ নেই'
তিনি বলেন, ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে এবং এর তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হোক তা আমরা কখনোই দেখতে চাই না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে এবং তাদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির কারণে নিরাপত্তা, জলবায়ু ও অবৈধ মাদকসংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে বাংলাদেশ।
এদিকে মিয়ানমারের সিত্তেতে অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট সেখানকার বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে অস্থায়ী ভিত্তিতে ইয়াঙ্গুনে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
ভারতে সদ্য সমাপ্ত প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, এই সফরে বাংলাদেশের প্রতি ভারতের পক্ষ থেকে যে সম্মান দেখানো হয়েছে তা দেখে তিনি অভিভূত।
বিএনপি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পুরোনো গাড়ি চালু করতে সময় লাগে। ‘বিএনপি একটি পুরোনো গাড়ির মতো। সামান্য নড়াচড়া করার পর থেমে যায়।’
বিএনপি গণতান্ত্রিক পথে পরিচালিত হবে ও গণতন্ত্রের পথে চলবে বলে আশা করেন তিনি।
তিনি বলেন, আসলে গত জাতীয় নির্বাচনের পর বিএনপির নেতা-কর্মীরা চরম হতাশ হয়ে পড়েছে এবং তাদের নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারত বুধবার 'স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১' ও 'বিকশিত ভারত-২০৪৭' রূপকল্পসহ দুই দেশের জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভবিষ্যৎ সম্পৃক্ততার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের আমন্ত্রণে ৭-৯ ফেব্রুয়ারি ভারত সফর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এক্স অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা এক বার্তায় জয়শঙ্কর বলেন, 'আমাদের আলোচনা বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী (বন্ধুত্ব) আরও দৃঢ় করবে।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি ছিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদের প্রথম ভারত সফর এবং কোনো দেশে তার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হবে বে-টার্মিনাল, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়বে অভাবনীয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১০ মাস আগে
মিয়ানমারের বিজিপি-সেনাবাহিনীর সদ্যস্যদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতে ঢোকা মিয়ানমারের সীমান্ত বাহিনী ও সেনাবাহিনীর লোকদের ফেরত নিয়ে গেছে মিয়ানমার সরকার এবং বাংলাদেশ থেকেও নিয়ে যাবার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, শুধু আমাদের দেশে মিয়ানমারের সীমান্ত বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যেরা আসার ঘটনা ঘটেছে তা নয়, ভারতেও কয়েক শ' লোক ঢুকেছে। তাদেরকে তারা ফেরত নিয়ে গেছে। মিয়ানমার থেকে তাদের সীমান্ত বাহিনী ও সেনাবাহিনীসহ তাদের পরিবারের বেশ কিছু সদস্য আমাদের দেশেও পালিয়ে এসেছে।
ড. হাছান বলেন, মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক হয়েছে, মিয়ানমার সম্মত হয়েছে। তাদেরকে ফেরত নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে, আলোচনা চলছে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট-বন্দর সড়ক সংলগ্ন ডিসি পার্কে জেলা প্রশাসন আয়োজিত মাল্টি কালচারাল ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের যে প্রভাব বাংলাদেশে পড়ছে, সরকার সেটি মোকাবিলা করতে পারছে না’বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আমরা রাখি না। যেটি ঘটছে সেটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ গন্ডগোল। সেখানে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান বাহিনীসহ অন্যান্যদের সংঘাত চলছে। সে সংঘাতের কারণে মাঝেমধ্যে দুই একটি গোলা আমাদের দেশে এসে পড়েছে। এবং দুজন মানুষেরও মৃত্যু হয়েছে, এটা সঠিক। এ সবের বিরুদ্ধে সম্প্রতি মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠাতে দুই দেশের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, আপনারা জানেন, ইতোমধ্যে আমি ভারতসহ বিভিন্ন দেশ সফর করেছি। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। ন্যাম সামিটে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়েছে, সেখানে আমি তাকে বলেছি যে অন্তত প্রত্যাবাসনটা শুরু করার জন্য। তার কথাবার্তায় আমার যেটি মনে হয়েছে, মিয়ানমার প্রত্যাবাসনটা শুরুর ব্যাপারে একমত। কিন্তু তাদের বর্তমান আভ্যন্তরীণ যে সংকটগুলো চলছে, সেই কারণে এই মুহূর্তে তারা পারছে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, 'মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত যে সমস্ত মানুষ আমাদের দেশে আছে, তাদেরকে সসম্মানে নাগরিক অধিকার দিয়ে ফেরত পাঠানোই একমাত্র সমাধান এবং সেই সমাধানের লক্ষ্যেই কাজ করছি।’
আরও পড়ুন: সীমান্তে নিরাপত্তার অবনতি 'উদ্বেগজনক': এমএসএফ
তিনি বলেন, 'বিএনপি’র এখন কোনো রাজনীতি নেই, শুধু জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা'
'বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী কারাগারে থাকা বিএনপি নেতাদের মৃত্যুর ঘটনা পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন'এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আসলে বিএনপির দুই-তিনজন নেতা টেলিভিশনে কথা বলেন, সেখানেই শুধু তারা আছে, অন্য কোথাও বিএনপির অবস্থান নাই। তারা এই সমস্ত কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করে। কারাগারে অনেক মানুষেরই স্বাভাবিক মৃত্যু হয়। কারাগারে থাকা আমাদের দলেরও অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে ইতোপূর্বে। এই সমস্ত কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো সুযোগ নাই।
তিনি বলেন, আসলে বিএনপির এখন কোনো রাজনীতি নেই। নির্বাচনে অংশ না নিয়ে তারা যে প্রচন্ড ভুল করেছে, এটি যে তাদের সুসাইডাল ডিসিশান ছিল। এজন্য তাদের নেতারা এখন কর্মীদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। তাদের কর্মীরা এখন প্রচন্ডভাবে হতাশ, সেই হতাশা কাটানোর জন্য নানা ধরনের বক্তব্য দিয়ে তারা যে এখনও টিকে আছে সেটিই প্রমাণ করার চেষ্টা করছে এবং নানা ধরনের কর্মসূচির পরিকল্পনা করছে তারা।
আরও পড়ুন: প্রথম সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে কলকাতা মিশনের সংবর্ধনা
১০ মাস আগে
বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠাতে দুই দেশের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া দেশটির সেনাবাহিনী ও বিজিপির সদস্যদের খুব দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাংপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরীন।
এ বিষয়ে নেপিদোর সঙ্গে যোগাযোগের অগ্রগতি সম্পর্কে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকায় মিয়ানমার দূতাবাসের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এবং মিয়ানমারে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। মিয়ানমার সরকার তাদের সেনা ও বিজিপির সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে ইতোমধ্যেই আগ্রহ প্রকাশ করছে। এখন যত শিগগিরই সম্ভব তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে বিষয়ে আলোচনা চলছে।’
সাবরীন বলেন, ‘এ বিষয়ে মিয়ানমারের বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত গতকাল বিকালে, মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আশা করা যাচ্ছে অতি দ্রুত তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।’
আরও পড়ুন: সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের চলমান সংঘাত তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এর ফলে বাংলাদেশের জনসাধারণ, সম্পদ বা সার্বভৌমত্ব কোনোভাবে যেন হুমকির সম্মুখীন না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রেখে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে।’
মিয়ানমারে চলামান যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশ যে ভূ-রাজনীতির সমীকরণে পড়েছে তা থেকে উত্তরণে কূটনৈতিক তৎতপরতা ও আন্তর্জাতিক ফোরামের সহায়তা প্রসঙ্গে মুখপাত্র বলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশ সর্তক রয়েছে এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে নিউইয়র্কের স্থায়ী মিশন সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছে। বাংলাদেশ প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে মিয়ানমারের শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা দেখতে চায়।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাসনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার সংকট উত্তরণের জন্য আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক যেকোনো উদ্যোগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়টি অনিবার্যভাবে থাকা প্রয়োজন। সুবিধাজনক সময়ে স্বেচ্ছায়, স্থায়ী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বহু পাক্ষিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
‘কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হবে না’ বলা হলেও কেন বিজিপি ও সেনা সদস্যদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে- এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার সরকারের নিয়মিত বাহিনী বিজিপির সদস্যদের আশ্রয় দান এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি এক করে দেখা ঠিক হবে না।’
নৌরুট ও আকাশ পথে ফেরত পাঠানোর প্রসঙ্গে মুখপাত্র বলেন, ‘আশ্রিত বিজিপি সদস্যদের নিরাপদে দ্রুত ফেরত পাঠানোই প্রধান বিবেচ্য বিষয়। বিমান বা নৌরুটের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ নয় বা কোনো পূর্বশতও নয়। বিমানযোগে প্রত্যাবাসন দ্রুততম সময়ে করা সম্ভব বিবেচনায় বাংলাদেশ এ প্রস্তাব দিয়েছিল। মিয়ানমার কিছুদিন আগেও ভারত থেকে বিমানযোগে সৈন্য নিয়ে এসেছিল। তাই এ প্রস্তাব বাংলাদেশের পক্ষ হতে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ দ্রুততম সময়ে এসব ব্যক্তিকে ফেরত পাঠাতে চায়। এখানে সময় ক্ষেপণের সুযোগ নেই। আশা করা যাচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে সেটা আকাশপথেই হোক বা সমুদ্রপথেই হোক।’
মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর সদস্যদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার সঙ্গে আন্তর্জাতিক বা রাজনৈতিক কোনো কারণ থাকার প্রশ্ন অবান্তর বলে মন্তব্য করেন তিনি। মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যরা সম্প্রতি ভারতেও আশ্রয় নিয়েছে এবং ভারত থেকে তারা নিজ দেশে ফিরে গিয়েছে বলে জানান।
সাবরীন বলেন, একটি নিয়মিত বাহিনীর বিপদগ্রস্ত সদস্য হিসেবে বাংলাদেশে তারা সাময়িকভাবে আশ্রয় নিয়েছে এবং প্রথম দিন থেকেই মিয়ানমার সরকার তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছে। বাংলাদেশে প্রবেশের সময় তারা বিজিবির কাছে অস্ত্রশসত্র জমা দিয়েছে।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংকটে বাংলাদেশির মৃত্যুর বিষয়ে ক্ষতিপূরণ চাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংকটে বাংলাদেশির মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ বিষয়টির প্রতি সংবেদনশীল। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে মিয়ানমার সরকারের কাছে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ক্ষতিপূরণ চাওয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: তিস্তা নদীর উন্নয়নমূলক প্রকল্পে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
১০ মাস আগে
নৃশংস অপরাধের জন্য মিয়ানমার থেকে আসা বিজিপি সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান
বাংলাদেশে আসা মিয়ানমার বর্ডার গার্ড অব পুলিশের (বিজিপি) সদস্যদের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর করা অপরাধ ও নৃশংসতার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সঙ্গে একত্রিত হয়ে তদন্ত করতে বাংলাদেশকে আহ্বান জানিয়েছে ফর্টিফাই রাইটস।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে শত শত বিজিপি সদস্য পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
বাংলাদেশে সহায়তা ও সুরক্ষার পাশাপাশি অতীতে এই বিজিপি সদস্যরা কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল কি না- সেটি পর্যালোচনার ওপর জোর দিয়েছেন ফর্টিফাই রাইটসের সিইও ম্যাথু স্মিথ।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থাকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসতে মিয়ানমারের অন্যান্য সামরিক, পুলিশ ও সীমান্তরক্ষীদের উদ্বুদ্ধ করতে এটি সহায়তা করবে। এই সীমান্তরক্ষীদের কাছে এমন তথ্য থাকতে পারে যেসব মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যা ও অন্যান্য অপরাধের জন্য অপরাধীদের জবাবদিহির মুখোমুখি করতে সাহায্য করতে পারে। এ বিষয়ে তাদের ওপর সঠিকভাবে তদন্ত করা উচিত বলেও মনে করেন স্মিথ।
আরও পড়ুন: সেনা সদস্যসহ আরও ১২৩ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে: বিজিবি
বাংলাদেশের বর্ডার গার্ডের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে মিয়ানমারের ২৬৪ জন বিজিপির সদস্য প্রবেশ করেছে; যাদের মধ্যে কেউ কেউ ছিলেন গুরুতর আহত, যারা এখন স্থানীয়ভাবে চিকিৎসাধীন।
কক্সবাজারে বাংলাদেশের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর আগে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীদের নিকটবর্তী জেলা বান্দরবানে থাকার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
এর আগে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে সংঘটিত হওয়া মিয়ানমারের পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত যেকোনো অপরাধ তদন্তের জন্য ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইসিসি অফিস অব দ্য প্রসিকিউটরকে (ওটিপি) অনুমোদন দেয়। এ তদন্ত প্রায় চার বছর ধরে চলছে। আদালত এখনও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা অপরাধসংক্রান্ত কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেনি।
২০১০ সালে বাংলাদেশ আইসিসির একটি রাষ্ট্রীয় পক্ষ হয়ে মিয়ানমারের অভিযুক্ত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে আইসিসির সঙ্গে কাজ করেছিল।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে মিও উইন তুন এবং জাও নাইং তুন নামে মিয়ানমারের দুইজন সামরিক সদস্য বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে এসে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে আশ্রয় চেয়েছিল। তারা মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, ধর্ষণ ও অন্যান্য অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। রোম সংবিধির একটি রাষ্ট্রপক্ষ হিসেবে ঢাকা আইসিসিকে এই দুই সাবেক সৈনিকের উপস্থিতি সম্পর্কে জানায়।
পরে এই দুই সৈন্যকে হেগে স্থানান্তরিত করা হয়। তারাই প্রথমবারের মতো মিয়ানমার থেকে আইসিসির হাতে আসা অপরাধী।
ফর্টিফাই রাইটস মনে করছে, মিয়ানমারে আন্তর্জাতিক অপরাধের প্রমাণ সংগ্রহে বাংলাদেশেরও উচিত মিয়ানমারবিষয়ক আন্তর্জাতিক স্বাধীন ব্যবস্থার (আইআইএমএম) সঙ্গে সমন্বয় ও সহযোগিতা করা। মিয়ানমারে আন্তর্জাতিক অপরাধের প্রমাণ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে ভবিষ্যতে বিচারের ব্যবস্থা করার জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল ২০১৯ সালে আইআইএমএম গঠন করে।
২০১৬ ও ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগণের ওপর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী গণহত্যা চালায়। শত শত গ্রাম ধ্বংস করে, হত্যা-ধর্ষণ আর নৃশংস অত্যাচার চালায়। প্রায় ৭ লাখেরও বেশি মানুষ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
ফর্টিফাই রাইটস, মার্কিন সরকার, জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন, রোহিঙ্গাদের সংঘঠনগুলোসহ অন্যান্যরা এই হামলাকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৩ জনে: বিজিবি
১০ মাস আগে
মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ৩২৭ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে: বিজিবি
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে চলমান সংঘর্ষের মধ্যে বুধবার দুপুর পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে আরও ৬৩ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। এ নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মোট ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২৭ জনে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) শরিফুল ইসলাম জানান, মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), সেনাবাহিনী ও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাসহ মিয়ানমারের মোট ৩২৭ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের ৬৩ সেনা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শনকালে যা বললেন বিজিবি মহাপরিচালক
জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, বিজিবি তাদের নিরস্ত্র করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যায়।
আজ বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিজিবি’র কক্সবাজার রিজিয়নের আওতাধীন বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সদা তৎপর রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিজিবি’র নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে ধৈর্য ধারণ করে, মানবিক থেকে এবং আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: নিরাপত্তা নিশ্চিতে সীমান্তে বিজিবির সঙ্গে কাজ করছে পুলিশ: আইজিপি
সেনা সদস্যসহ আরও ১২৩ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে: বিজিবি
১০ মাস আগে
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শনকালে যা বললেন বিজিবি মহাপরিচালক
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সদা তৎপর রয়েছে।
আজ বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিজিবি’র কক্সবাজার রিজিয়নের আওতাধীন বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মহাপরিচালক আজ সকালে বিজিবি’র কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) দায়িত্বপূর্ণ অংশ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত এবং তৎসংলগ্ন বিওপি পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে দায়িত্বরত সকল পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের খোঁজ নেন এবং তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তা নিশ্চিতে সীমান্তে বিজিবির সঙ্গে কাজ করছে পুলিশ: আইজিপি
এ সময় তিনি দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সদা তৎপর থাকার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি অত্যন্ত দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য দায়িত্বরত সকল বিজিবি সদস্যের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
মহাপরিচালক মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘর্ষে প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), মিয়ানমার সেনাবাহিনী, ইমিগ্রেশন সদস্য, পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সকল সদস্যদের খোঁজ নেন এবং চিকিৎসারত বিজিপি সদস্যদের দেখতে যান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, ‘সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিজিবি’র নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে ধৈর্য ধারণ করে, মানবিক থেকে এবং আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, অবৈধভাবে আর একজনকেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছে।’
পরিদর্শনকালীন বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার, রামু সেক্টর কমান্ডার ও কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়কসহ বিজিবি’র অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), সেনাবাহিনী, পুলিশ, ইমিগ্রেশন সদস্য ও অন্যান্য সংস্থার ২৬৪ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বিজিবি তাদেরকে সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয় এবং আহতদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে: নবনিযুক্ত বিজিবি মহাপরিচালক
১০ মাস আগে
সেনা সদস্যসহ আরও ১২৩ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে: বিজিবি
মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের মধ্যে আরও ১২৩ জন মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনা সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
এ পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সংখ্যা দাঁড়াল ২২৯ জনে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) শরিফুল ইসলাম জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের কারণে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে এ পর্যন্ত ১১৩ জন বিজিপি সদস্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
তিনি বলেন, বিজিবি তাদের নিরস্ত্র করে নিরাপদ আশ্রয়ে রেখেছে।
বিজিবির পিআরও বলেন, রবিবার সকাল থেকে বিজিপি সদস্যরা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তলব
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৩ জনে: বিজিবি
১০ মাস আগে