বিমান
উড়োজাহাজ কেনার আগে ব্যবস্থাপনায় সংস্কার, দক্ষ জনবল গড়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটি ও শিডিউল বিপর্যয়ের ঘটনায় যাত্রীসেবা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন উড়োজাহাজ কেনা বা ইজারা নেওয়ার আগে বিমানের ব্যবস্থাপনা সংস্কার, দক্ষ পাইলট-ইঞ্জিনিয়ার ও কেবিন ক্রু তৈরি করা জরুরি। তারা মনে করেন, অদক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিমান চালালে আরও সংকটে পড়বে প্রতিষ্ঠানটি।
অ্যাডহক বেসিস কিংবা আমলাতন্ত্রের অদক্ষ লোক দিয়ে বিমানের কার্যক্রম পরিচালনা করলে হবে না। স্থায়ী, দক্ষ ও কমার্শিয়াল লোকজন দিয়ে তা করতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এয়ারক্রাফট কেনার ক্ষেত্রে ছোট এয়ারক্রাফট বা রিজনাল এয়ারক্রাফট ক্রয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ রিজনাল এয়ারক্রাফটে মেইনটেন্স খরচ কম।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনা ঘটছে। কোনো উড়োজাহাজ মেরামতের পর উড্ডয়ন করছে, কোনোটা গ্রাউন্ডেড করা হচ্ছে। নিয়মিত শিডিউল বিপর্যয়ের পাশাপাশি বাতিল হচ্ছে ফ্লাইট। এর খেসারত দিতে হচ্ছে যাত্রী ও বিমান কর্তৃপক্ষকে।
গত এক মাসে দেশি-বিদেশি রুটে অন্তত ৯টি উড়োজাহাজে বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি শনাক্ত হয়েছে। যদিও বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে, তবে এসব ঘটনায় যাত্রীসেবা ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
বিমান সুত্রে জানা যায়, যাত্রী ভোগান্তি কমাতে দুটি উড়োজাহাজ লিজ (ইজারা) নেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এর পাশাপাশি নতুন উড়োজাহাজ কেনার পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লাগাতার কারিগরি ত্রুটি নিয়ন্ত্রণে বিমানের একাধিক পদক্ষেপ
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারস্পরিক বাণিজ্য ঘাটতি কমানো এবং বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহারে কূটনৈতিক আলোচনার অংশ হিসেবে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা কোম্পানি বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২৫টি উড়োজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বিমান ক্রয়ের বিষয়টি সরকার ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র থেকে জানা গেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এমন সিদ্ধান্ত জানালেও বিমান বাংলাদেশ এখনো কোনো চুক্তি করেনি বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।
এ বিষয়ে বিমানের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য ও এভিয়েশন বিশ্লেষক কাজী ওয়াহিদুল আলম ইউএনবিকে বলেন, ‘নতুন উড়োজাহাজ ক্রয় ও লিজ নেওয়ার আগে ম্যানেজমেন্ট ঠিক করতে হবে। বিমানের ব্যব্যবস্থাপনা আরও গতিশীল করতে হবে। পাশাপাশি অভিজ্ঞ পাইলট, ইঞ্জিনিয়ার ও কেবিন ক্রু তৈরি করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এয়ারক্রাফট সংকট আছে। অনেক এয়ারক্রাফট লাগবে, এটা ঠিক। তবে বিমানে পরিচালনা-সংক্রান্ত অভিজ্ঞতাও লাগবে। আগে প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে হবে, তারপর এয়ারক্রাফট কিনতে হবে।’
এই এভিয়েশন বিশ্লেষক বলেন, ‘আমাদের দক্ষ পাইলট, ইঞ্জিনিয়ার ও কেবিন ক্রু তৈরি করতে হবে। দেশের বাইরে থেকে পাইলট, ইঞ্জিনিয়ার ও কেবিন ক্রু আনতে গেলে অনেক টাকার প্রয়োজন। বিদেশ থেকে নিয়োগ দিলে তাদের বেতন দিতে হবে প্রায় ১০ হাজার ডলার। তাই দেশেই দক্ষ জনবল তৈরী করতে হবে আগে।’
তিনি বলেন, ‘অ্যাডহক বেসিস বা ব্যুরোক্রেসির অদক্ষ ম্যানেজমেন্ট দিয়ে বিমান চালালে হবে না। স্থায়ী দক্ষ ও কমার্শিয়াল লোকজন দিয়ে বিমান চালাতে হবে।’
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিমানে রেকর্ড ৯৩৭ কোটি টাকা মুনাফা
‘আরেকটি বিষয় হচ্ছে, এয়ার ক্রাফট ক্রয় করার ক্ষেত্রে ছোট এয়ারক্রাফট বা রিজনাল এয়ারক্রাফট ক্রয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ আমাদের লং রুট কম, শর্ট রুট বেশি। তাছাড়া ছোট বা রিজনাল এয়ারক্রাফটে মেইনটেন্স খরচও কম, বড় এয়ারক্রাফটে যা অনেক বেশি।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের জন্য কী ধরনের বিমান দরকার, সেটি আগে স্টাডি করে তারপর বিমান কিনতে যাওয়া উচিৎ। মনে রাখতে হবে, আমাদের লং রুট মাত্র ৪/৫টি দেশের সঙ্গে। শর্ট রুটই বেশি আমাদের। ১২টি ছোট এয়ারক্রাফট কিনলে ৮টি বড় এয়ারক্রাফট কেনা যেতে পারে। ছোটর মধ্যে ৭৩৭, আর বড় কিনলে ৭৭৭/৭৮৭ এয়াক্রাফট।’
একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বহরের বেশিরভাগ উড়োজাহাজ অনেক পুরনো হওয়ায় সমস্যা নিয়মিত দেখা দিচ্ছে। আরও তদারকি বাড়াতে হবে। তবে এসব ত্রুটি প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।’
‘যেহেতু উড়োজাহাজগুলো পুরনো, তাই নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষা করতে হবে। ইঞ্জিনিয়ার ও পাইলট নিয়োগে স্বজনপ্রীতি করা যারে না। যোগ্য লোক নিয়োগ দিতে হবে।’
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে রয়েছে ১৯টি উড়োজাহাজ। এর মধ্যে ১৪টি যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং এবং ৫টি কানাডার ড্যাশ-৮ কিউ৪০০ মডেলের। বোয়িংয়ের উড়োজাহাজগুলোর মধ্যে রয়েছে ৪টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ৪টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, ৪টি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ও দুটি বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার।
১০৫ দিন আগে
যান্ত্রিক ত্রুটি: উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রামে ফিরে গেল বিমান
আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি-১৪৮-এ উড্ডয়নের কিছু্ক্ষণের পরই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এ কারণে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি আবার ফিরে এসে নিরাপদে অবতরণ করে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল ৮টা ৩৭ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। তবে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মাত্র ২১ মিনিট পর সকাল ৮টা ৫৮ মিনিটে ফ্লাইটটি শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
আরও পড়ুন: ইঞ্জিন-সংক্রান্ত জটিলতায় উড্ডয়নের পরই ঢাকায় ফিরে আসল বিমান
এরপর, আরেকটি ফ্লাইট বিজি-১২২-এ সব যাত্রীকে স্থানান্তর করা হয় এবং সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ওই ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
চট্টগ্রাম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বিজি-১৪৮ ফ্লাইটটি বর্তমানে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮ এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রী নিরাপদে রয়েছেন এবং তাদের মধ্যে কেউ আহত হননি।
১৩৪ দিন আগে
নারিতা ফ্লাইট বন্ধ: প্রবাসীদের ক্ষোভ, প্রশ্নবিদ্ধ বিমানের সিদ্ধান্ত
লোকসানের দোহাই দিয়ে মঙ্গলবার (১ জুলাই) থেকে বন্ধ করা হচ্ছে বিমানের বহুল আলোচিত নারিতা ফ্লাইট। দীর্ঘ বিরতি দিয়ে ফের চালুর মাত্র দেড় বছরের মাথায় এমন একটি ‘প্রেস্টিজিয়াস’ রুট বন্ধ করায় চরম সমালোচনার মুখে পড়েছে বিমান।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এমন সিদ্ধান্তে চরম হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাপানে যাতায়াতকারী যাত্রী ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যাত্রী চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বহুল প্রত্যাশিত এই রুট বন্ধ করে দেওয়াকে ‘হটকারী ও গর্হিত’ সিদ্ধান্ত বলে আখ্যা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করছেন, চলমান বিপুল সম্ভাবনার বাস্তবতা উপেক্ষা করে এমন সিদ্ধান্ত বিমানের ভবিষ্যৎ রুট পরিকল্পনা ও ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এভাবে যদি হঠাৎ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বন্ধই করে দেওয়া হয়, তাহলে চালুরই-বা কী দরকার ছিল? লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে বন্ধ না করে বিমানের উচিত ছিল যেকোনো মূল্যে এটিকে হয় লাভজনক করা, কিংবা অন্তত লোকসান কমিয়ে আনা।
বিমানের এই সিদ্ধান্তে জাপানে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে মুহূর্তে প্রধান উপদেষ্টা আগামী পাঁচ বছরে কমপক্ষে এক লাখ লোক জাপানে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিশ্চিত করেছন, ঠিক সে সময়ে নারিতার ফ্লাইট বন্ধ করার মানে কী? এখন যদি লোকসানও হয়, বিপুল সম্ভাবনার সুযোগ তো খুব নিকটেই। তাহলে কেন এই হটকারী সিদ্ধান্ত?
বেশ কয়েকজন জাপান প্রবাসী ইউএনবিকে জানান, দুনিয়ার এয়ারলাইন্সগুলো নতুন নতুন রুট খোলে এবং বহর বাড়ায়, আর আমাদের বিমান চলছে উল্টা পথে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর ২০২৩ সালে যখন ঢাকা-নারিতা-ঢাকা রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালু হয়, তখন অনেক খুশি হয়েছিলাম। কারণ এর আগে ট্রানজিট নিয়ে দেশে ফিরতে কোনো কোনো দেশের বিমানবন্দরে ২১ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো। গত বছর সরাসরি ফ্লাইট চালুর পর আমরা মাত্র ৮ ঘণ্টায় দেশে ফিরতে পারতাম। সাময়িকভাবে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ হলেও আমাদের সেই আগের ভোগান্তিই পোহাতে হবে।
ঢাকা-নারিতা ফ্লাইটের একাল-সেকাল
দীর্ঘদিন স্থগিত থাকার পর ২০২৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা-নারিতা-ঢাকা রুটে ফের ফ্লাইট চালু করেছিল বিমান। এর আগে ১৯৮০ সালের ২৫ মে প্রথমবারের মতো এই রুটে ফ্লাইট চালু করে রাষ্ট্রায়ত্ত এই সংস্থাটি। পরে কয়েক দফা চালু ও বন্ধের মুখে পড়ে এটি। ২০০৬ সালে রুটটি একবার বন্ধ করে দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে ফের চালু করা হয় নারিতা ফ্লাইট।
সে সময় অত্যাধুনিক ড্রিমলাইনার ৭৮৭ দিয়ে ফ্লাইট চালু করে বিমান। জাপান প্রবাসীদের মাঝেও তখন বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গিয়েছিল। কারণ ওই সিদ্ধান্তের ফলে ঢাকা-জাপান যাতায়তে সময় কমে আসে মাত্র ৬ ঘণ্টায়।
শুরুতে ফ্লাইটে যাত্রীর সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু ৫ আগস্টের পর থেকে তা পর্যায়ক্রমে নিম্নমুখী হতে থাকে। তারপর বিমান পর্ষদ এ বছরের মে মাসে সিদ্ধান্ত নেয় যে, ১ জুলাই থেকে নারিতা রুট বন্ধ করা হবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার থেকে উড্ডয়নের পর খুলে পড়ল বিমানের চাকা
এর ফলে বাংলাদেশ থেকে জাপানে সরাসরি যেতে আর কোনো ফ্লাইট থাকছে না। যাত্রীদের এখন তৃতীয় দেশের ট্রানজিট ব্যবহার করতে হবে, যা খরচ ও সময়—উভয়ই বাড়াবে। তবে প্রায় দেড় বছর পর রুটটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত যাত্রীদের জন্য হতাশাজনক হলেও দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতায় এটি ছিল প্রত্যাশিত।
যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
বিমানের সাবেক পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম ইউএনবিকে বলেন, ‘নারিতা ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়াটা অত্যান্ত দুঃখজনক। একটি দেশে ফ্লাইট চালু করে তা আবার বন্ধ করা গর্হিত অন্যায়। জাপান বন্ধু দেশ, যেখানে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য আছে, প্রবাসীরা আছেন। বাংলাদেশের জন্য পর্যটনের বড় উৎস দেশ জাপান। জাপান ফ্লাইটে ট্রাফিক ভালোই ছিল, আরও চাহিদা বাড়ত। এর মধ্যেই বন্ধ করে দেওয়াটা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। শুরু করলে ফ্লাইট চালু রাখা উচিত।’
কাজী ওয়াহিদ বলেন, ‘মাথা ব্যথা হলে তো চিকিৎসা দিতে হবে। বিমান তো সেটা না করে এখন মাথাই কেটে ফেলতে চাইছে। নারিতা রুট দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর দেশি বিদেশি অংশীজন ও প্রবাসীদের দাবির মুখেই অনেক আশা-উদ্দীপনা নিয়ে চালু করা হয়। এবার লক্ষণও ভালো ছিল, কিন্তু মাত্র দেড় বছরের মাথায় বন্ধ করা দেওয়াটা একটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিগত ওয়ান ইলেভেনের সময় বোয়িং থেকে ব্র্যান্ড নিউ দশটি বিমান কিনেছিলাম। সেগুলো দিয়েই বিমান টিকে আছে। তারপর থেকে বিমান একটি প্লেনও কিনতে পারেনি। এমনকি একটি প্লেন লিজও নিতে পারেনি। পৃথিবীর অনেক এয়ারলাইন্সই প্রেস্টিজিয়াস রুটগুলোতে লোকসান দিয়ে হলেও চালু রাখে। একটি এয়ারলাইন্সও সব রুটেই শুধু লাভের আশায় ফ্লাইট চালায় না। দশটায় লাভ করবে, দুটোতে লোকসান দেবে—এটাই তো নিয়ম। পৃথিবীর অনেক এয়ারলাইন্স লোকসান দিয়ে নিউইয়র্ক, নারিতা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো প্রেস্টিজিয়াস রুটগুলো চালু রাখে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিমান একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। যেকোনো দেশে ফ্লাইট চালুর আগে সম্ভাব্যতা যাচাই করা জরুরি। কিন্তু বিগত সময়ে আমরা দেখেছি, নতুন যেসব রুটে বিমানের ফ্লাইট চালু করা হয়েছে, তার কোনোটিরই সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি। হুট করে সরকারপ্রধান মনে করলেন—নতুন একটি দেশের সঙ্গে বিমানের ফ্লাইট চালু করা দরকার, সেটিই করা হয়েছে। কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই করা হয়নি। ফলে গত পাঁচ বছরে যেসব রুটে বিমানের নতুন ফ্লাইট চালু হয়েছে, এখন সবগুলো লোকসানে আছে।’
এ বিষয়ে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এ টি এম নজরুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ‘ইউএস বাংলা যদি এয়ারক্রাফট ক্রয় করতে পারে, বিমান পারে না কেন? সরকার কখন বিমান কিনে দেবে—এই আশায় তারা বসে থাকে।’
‘লোকসান হলেও নারিতা ফ্লাইট চালু রাখা দরকার ছিল। লোকসান তো হবেই। কারণ অন্যান্য এয়ারলাইন্স থেকে আমাদের বিমানের সিটগুলো কমফর্টেবল নয়। শুধু শ্রমিকদের বিবেচনায় ছিট রাখলে তো হবে না! অন্যান্য ভালো যাত্রীদের চাহিদা মোতাবেক ভালোমানের সিটও থাকা দরকার। তাহলে যাত্রী বাড়াবে।’
আরও পড়ুন: প্রশিক্ষণ বিমান আছড়ে পড়ল রানওয়েতে, অক্ষত দুই পাইলট
তিনি বলেন, ‘একটি দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব সম্পর্ক রেখেই দুই দেশের মধ্যে ফ্লাইট চালু করা হয়েছে। তাহলে তড়িত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফ্লাইট চালু করলেন কেন? এখন আবার তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে বন্ধই-বা কেন করলেন? এতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট হয়; দেশের বদনাম হয়। লাভ না হলেও বিমানের উচিত ছিল রান করা (চালু রাখা)। দুই বছর না চালিয়ে হঠাৎ করে বন্ধ করাটা ঠিক হয়নি। কীভাবে লাভ করা যায়, সেদিকে নজর দেওয়া দরকার ছিল।’
জাপানের যাত্রীদের এখন তৃতীয় কোনো দেশের ট্রানজিট ব্যবহার করতে হবে, যা খরচ ও সময় উভয়ই বাড়াবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ফ্লাইট বন্ধে বিমান কর্তৃপক্ষের ভাষ্য
এ বিষয়ে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) মো. সাফিকুর রহমান ইউএনবিকে জানান, ক্রমাগত লোকসান হওয়ায় ১ জুলাই থেকে ঢাকা-নারিতা রুটে ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন রুট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ঢাকা-নারিতা রুটটি কোনোভাবেই লাভজনক নয়। তাই বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটি বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
তার ভাষ্যে, ‘প্রতি ফ্লাইটে বিমানের ৯৫ লাখ টাকা লোকসান হয়। এভাবে তো আর লোকসান দেওয়া উচিত নয়। সে কারণে আপাতত বন্ধ করার সিদ্বান্ত নিয়েছে বিমান পর্ষদ।’
এই রুটে ফ্লাইট বন্ধের কারণ হিসেবে বিমান দেখিয়েছে ক্রমাগত লোকসানের মুখে ব্যবসায়িক বাস্তবতা, উড়োজাহাজ ও ক্রু স্বল্পতা।
সংস্থাটির তথ্য অনুসারে, ঢাকা-নারিতা-ঢাকা রুটে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ২২৫টি ফ্ল্যাইটের মাধ্যমে ৮৪ হাজার ৬৭৪ যাত্রী ও ২৩৬৫ টন কার্গো পরিবহন করে বিমান। এতে কেবিন ফ্যাক্টর ছিল শতকরা ৬৯ ভাগ। এতে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ২১৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা, যা ফ্লাইটপ্রতি গড়ে ৯৫ লাখ ৮১ হাজার টাকা।
বিমানের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, নারিতায় সপ্তাহে দুটো ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়ে সেই ফ্লাইট দিয়ে ঢাকা-মাস্কাট, ঢাকা-দাম্মাম ও ঢাকা-মদিনায় অতিরিক্ত ১টি করে ফ্লাইট চালালে লাভ হবে মাসিক অন্তত ৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ এই একটি রুট বন্ধ করা হলে অন্য তিনটি রুটকে আরও লাভজনক করা সম্ভব হবে।
১৫৫ দিন আগে
ইয়েমেনে সন্দেহজনক মার্কিন বিমান হামলা
ইয়েমেনের রাজধানী সানাসহ হুথি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় সন্দেহজনক বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। শুক্রবার (২৮ মার্চ) ভোরে এসব হামলা চালানো হয়।
এসব হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট করা হয়নি। গত ১৫ মার্চ থেকে মার্কিন বাহিনীর শুরু করা অভিযানের হামলাগুলোর তুলনায় এটির তীব্রতা বেশি ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি বিমান হামলায় লেবাননে নিহত ৬, আহত ২৮
অ্যাসেসিয়েটেড প্রেসের (এপি) একটি পর্যালোচনায় দেখা যায়, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টে জো বাইডেনের চেয়ে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামলার পরিমাণ বাড়িয়েছেন। কারণ হিসেবে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ও পদস্থ কর্মকর্তাদের ওপর হামলার পাশাপাশি শহরগুলোতে বোমা হামলা চালাচ্ছে।
হুতিদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ইয়েমেনের রাজধানী সানায় শুক্রবারের হামলায় অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটি সাদা, লোহিত সাগরের বন্দর নগরী হোদেইদা এবং ইয়েমেনের আল-জওফ, আমরান ও মারিব প্রদেশের আশপাশে হামলা চালানো হয়েছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
তবে সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়া আর কোন স্থানটিকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানায়নি হুথি বিদ্রোহীরা। সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সামরিক ও বেসামরিক উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়। রাজধানীর আশেপাশের এলাকায় সামরিক, গোয়েন্দা পরিষেবার কার্যক্রম ও বেসামরিক নাগরিকরা থাকেন।
বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, একটি ভিডিওতে তারা দেখেছে যে, রাজধানী সানায় অনেক মানুষ শবে কদরের রাত জাগার সময় একটি বোমা ফেলা হচ্ছে, সেখান থেকে ব্যাপক ধোয়ার কুণ্ডলী উঠছে।
সানার উত্তরাঞ্চলে আমরানের পাহাড়ি এলাকার হামলার ঘটনা ঘটেছে। যেখানে হুথিদের সামরিক স্থাপনা রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
হুথিদের আল মাসিরাহ স্যাটেলাইট নিউজ নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, হামলার পর যোগাযোগের নেটওয়ার্ক ভেঙে পড়ে। সেখানে ১৯টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
হোয়াইট হাউজের পূর্বানুমতি ছাড়া হামলা চালানোর ক্ষমতা থাকা মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ২০০
নতুন করে চালানো ধারাবাহিক বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ৫৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। গাজা উপত্যকায় ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে হুথি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলি জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করলে মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনে বিমান হামলা শুরু করে।
২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত শতাধিক বাণিজ্যিক জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা। এর মধ্যে দুটি জাহাজকে ডুবিয়ে দিয়েছে এবং চারজন নাবিককে হত্যা করেছে। তারা মার্কিন জাহাজকে লক্ষ্য করেও হামলা চালিয়েছে, যদিও তাতে সফল হয়নি গোষ্ঠীটি।
২৫২ দিন আগে
ভারতের নাগপুরে ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ ও ঘটনার বিষয়ে বিমানের ব্যাখ্যা
কারিগরি ত্রুটির কারণে ভারতের নাগপুরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট অবতরণের ব্যাখ্যা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গেল ১৯ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে এমন ঘটনা ঘটেছে। ওই বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজটিতে ২ জন বৈমানিক, ১০ জন কেবিন ক্রু এবং ৩৯৬ জন যাত্রী ছিলেন।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক বোসরা ইসলামের সই করা এক ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিমানের ঢাকা-দুবাই রুটের নির্ধারিত ফ্লাইট বিজি৩৪৭ ঢাকা থেকে সন্ধ্যা ৮টা বেজে ৪০ মিনিটে যাত্রা শুরু করে।
যাত্রা পথে ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের নাগপুর শহর অতিক্রান্ত হওয়ার সময় ক্যাপ্টেন পেছনের কার্গো কোম্পার্টমেন্ট থেকে ককপিটে ফায়ার সতর্কীকরণ সংকেত পান। এসময় যাত্রীদের নৈশভোজ পরিবেশন করা হচ্ছিল। এই ফ্লাইটের পাইলট-ইন-কমান্ড আইসিএও/বোয়িং/সিএএবি’র নিয়মানুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং উড়োজাহাজ পরিচালনার দিক নির্দেশানুযায়ী নিকটবর্তী ভারতের নাগপুরের ‘ড. বাবা সাহেব আমবেদকা’ বিমানবন্দরে বাংলাদেশ সময় রাত ১১ বেজে ২৭ মিনিটে নিরাপদে অবতরণ করেন।
বৈমানিক নাগপুরে বিমান অবতরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরই সব যাত্রীকে ‘যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নাগপুরে অবতরণের’ সিদ্ধান্তটি ইন-ফ্লাইট অ্যানাউন্সের মাধ্যমে অবহিত করেন। ফ্লাইটটি নাগপুরে অবতরণের পর সব যাত্রীর উড়োজাহাজ থেকে নামিয়ে নেওয়া হয়। ৩৯৬ জন যাত্রী এবং ১২ ক্রুসহ সর্বমোট ৪০৮ জনকে বিমানবন্দরে যাত্রীদের জন্য ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি বাসে করে উড়োজাহাজটি থেকে আনুমানিক অর্ধ কিলোমিটার দূরে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এক ঘণ্টা ২০ মিনিটের বেশি সময় ওই ৪০৮ জনকে বিমানবন্দর টার্মিনালে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। এসময় পানি এবং টয়লেট সুবিধার জন্য যাত্রীরা বার বার অনুরোধ করা সত্যেও ভারতের নাগপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা অনুমতির আনুষ্ঠানিকতার প্রসঙ্গ তুলে তা প্রদান করা থেকে বিরত থাকে। এতে করে বিশেষভাবে বৃদ্ধ এবং নারী যাত্রীরা সবচাইতে বেশি দুর্ভোগে পতিত হন। পরবর্তী সময়ে রাত একটায় টার্মিনালে যাত্রীদের লাউঞ্জে নেওয়ার অনুমতি দেন।
ইতোমধ্যে ভারতের নাগপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে ই-মেইলের মাধ্যমে যাত্রীদের সকালের নাশতা ও দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঢাকা থেকে নির্দেশনা প্রদান করা হয় এবং সেইসঙ্গে আশ্বস্ত করা হয় যে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যাত্রীদের সুবিধার্থে সব বিষয়ের যাবতীয় খরচাদি বহন করবে। নাগপুর কর্তৃপক্ষ অবহিত করে যে, এই বিপুল সংখ্যক খাবার প্রস্তুতের জন্য তাদের ৩-৪ ঘণ্টা সময় প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, বোয়িং ৭৭৭ এর মতো এত বৃহদাকার যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ওই বিমানবন্দরে নিয়মিত চলাচল করে না। বিমানের যাত্রীদের হোটেলে পাঠানের জন্য অনুরোধ করা হলে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের অস্থায়ী ল্যান্ডিং পারমিট প্রদানে অপরাগতা প্রকাশ করে। একারণে বাধ্য হয়ে যাত্রীদের টার্মিনালেই থাকতে হয়।
যাত্রীদের দেখা-শোনা করার জন্য বিমানের দিল্লিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন ম্যানেজারকে বলা হলে তিনি সেখানে ইনডিগো এয়ারে করে ৯টা ১৫ মিনিটে নাগপুরে পৌঁছান। অনুমানিক ভোর ৩টার দিকে যাত্রীদেরকে পানি সরবরাহ করা হয়। সকাল ৭টার দিকে পানি ও চা দেওয়া হয় এবং সকাল সাড়ে ১০টায় নাস্তা পরিবেশন করা হয়। নাগপুর ক্যাটারিং-এর সীমিত সক্ষমতা থাকার কারণে নাস্তা দিতে সময় বেশি লেগেছে।
আরও পড়ুন: ভারতে বাংলাদেশ বিমানের জরুরি অবতরণ
বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং টিম উড়োজাহাজের সব কার্গো ফায়ার এক্সটিংগুইসার ব্যবহৃত হওয়ায় ওই উড়োজাহাজে যাত্রীদের দুবাইতে পরিবহন করা সম্ভব নয় জানিয়ে মতামত প্রদান করে।
সেই মোতাবেক বিমান ঢাকা অপারেশন্স কন্ট্রোল উদ্ধারকারী ফ্লাইটের পরিকল্পনা হাতে নেয়, যা ঢাকা থেকে বিজি১২৬ (দোহা-চট্টগ্রাম-ঢাকা) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে নামার পর সকাল সাড়ে ৯টায় এ যাত্রার সময় পরিকল্পনা করা হয়।
ভারতের প্রয়োজনীয় অনুমতিপ্রাপ্ত হওয়ার পর বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা বেজে ২৮ মিনিটে ঢাকা থেকে যাওয়া উদ্ধারকারী ফ্লাইটটি যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা বেজে ৪৯ মিনিটে নাগপুরে অবতরণ করে।
নাগপুর বিমানবন্দর রানওয়ে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য দুপুর ১টা ৩০ মিনিট থেকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত অবগত হয়ে নাগপুরে অবতরণের পরপরই যাত্রীদের উদ্ধারের ফ্লাইটটির ক্যাপ্টেন অপেক্ষমান যাত্রীদের বিমানে আসন গ্রহণ এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে যাত্রীদের ব্যাগেজবহনকারী কন্টেনারগুলো উদ্ধারকারী ফ্লাইটে লোড করার নির্দেশনা দেন।
যাত্রীরা উড়োজাহাজে আসন গ্রহণ করলেও নাগপুর একটি আঞ্চলিক বিমানবন্দর হওয়ায় বৃহদকার উড়োজাহাজের ব্যাগেজ কন্টেনার লোড করার জন্য শুধু একটি যন্ত্র এবং অপর্যাপ্ত কন্টেনার ট্রলির কারণে কল্পনাতীত সময়ক্ষেপণের পর কন্টেনার লোডিং সমাপ্ত হয়। এরই মধ্যে রানওয়ে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যায়।
পুনরায় সিএএবি কর্তৃক অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বিকাল ৫টা ৪২ মিনিটে উদ্ধারকারী ফ্লাইটটি নাগপুর থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশে যাত্রা করে এবং নিরাপদে দুবাইতে অবতরণ করে। নাগপুর বিমানবন্দরে অপেক্ষাকালীন সময়ে যাত্রীদের দুপুরের খাবার উড়োজাহাজের অভ্যন্তরে পরিবেশন করা হয়। উড্ডয়নের পর যাত্রীদের জন্য রাতের খাবারও পরিবেশিত হয়।
যাত্রীদের দুর্ভোগের সম্ভাব্য কারণ
১. ভারতের নাগপুর একটি আঞ্চলিক বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দরের ধারণ ক্ষমতা সীমিত।
২. ভারতের নাগপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা অনুমতির দীর্ঘসূত্রতার কারণে যাত্রীদের টার্মিনালে না নিয়ে বহু সময় বাসে অবস্থানের কারণে পানি এবং টয়লেটের ব্যবস্থা থেকে যাত্রীরা বঞ্চিত হন।
৩. ভারতের নাগপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিমানের যাত্রীদের অস্থায়ী অবতরণের অনুমতি প্রদানে অস্বীকৃতি। ফলে বাধ্য হয়েই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ যাত্রীদেরকে হোটেলে না পাঠিয়ে টার্মিনালে অপেক্ষমান রাখতে বাধ্য হয়।
৪. ভারতের নাগপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ৩৯৬ জন যাত্রীর খাদ্য প্রস্তুতে অন্যান্য বিমানবন্দরগুলোর তুলনায় বেশি সময় গ্রহণ করে।
৫. ভারতের নাগপুর বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইকুইপমেন্টের স্বল্পতার জন্য যাত্রীদের ব্যাগেজবাহী কন্টেনার লোডিং এ দীর্ঘ সময়ক্ষেপণ করে। ফলত, বিমানবন্দর বন্ধের পূর্বে উড্ডয়ন সম্ভব হয়নি।
৬. টার্মিনালের অভ্যন্তরে যাত্রী লাউঞ্জে বিমানের দিল্লির স্টেশন ম্যানেজার প্রবেশের পাশ ইস্যুতে নাগপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কালক্ষেপণ করায় যাত্রীদের সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ প্রতিস্থাপন সম্ভব হয়নি।
ভারতের স্থানীয় বিধিনিষেধ এবং নাগপুর বিমানবন্দরের সীমাবদ্ধতার কারণে উপরোল্লিখিত উদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে ছিল।
স্যোশাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত প্রোপাগান্ডার বিষয়ে প্রতিবাদ প্রসঙ্গে:
এয়ারক্রাফটের ভেতরে ভিডিও ধারণ নিষিদ্ধ থাকার পরেও নাগপুরের ওই উদ্ভূত পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে বর্তমান সরকার এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে বিব্রত করার জন্য একজন নারী এবং একজন পুরুষ যাত্রী ফ্লাইটের ভেতরে যাত্রী সাধারণের প্রতি উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন এবং ভিডিও ধারণ করে স্যোশাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তা প্রচার করেন।
ওই দুই যাত্রী ফ্লাইটে ক্রমাগত উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করলেও অন্য যাত্রীরা তাদের কথায় কর্ণপাত করেননি। তারা ধৈর্য নিয়ে ফ্লাইটে অবস্থান করে কর্মরত ক্রুদের সহযোগিতা করেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যাত্রীদের ধৈর্য ধারণ এবং ফ্লাইটে ক্রুদের সহায়তা করার জন্য তাদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ করছে এবং উল্লিখিত প্রোপাগান্ডার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
সর্বোপরি নিয়ন্ত্রণবর্হিভূত পরিস্থিতির কারণে যাত্রীদের সঙ্গে সংঘটিত অসুবিধার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।
২৮৪ দিন আগে
কুয়াশায় বিমান, নৌ ও সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
ঘন কুয়াশার কারণে দেশে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ সাময়িক ব্যাহত হতে পারে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। আবার কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ সাময়িক ব্যাহত হতে পারে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: সূর্যের দেখা নেই চুয়াডাঙ্গায়, আবারও শৈত্যপ্রবাহের আভাস
গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীর বাঘাবাড়ীতে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ৩০ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি।
শনিবারের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশের তাপমাত্রা এক থেকে তিন ডিগ্রি হ্রাস পারে, দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
৩১৫ দিন আগে
ওসমানীতে বিমানের সিটের নিচ থেকে ১.২৬৬ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে ১ কেজি ২৬৬ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে বিমানের ফ্লাইটে (বিজি-২৪৮) সিটের নিচ থেকে এই স্বর্ণগুলো জব্দ করেন শুল্ক কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ময়লার ঝুড়ি থেকে ৭০ লাখ টাকার স্বর্ণ উদ্ধার
শুল্ক বিভাগের ওসমানী বিমানবন্দর এয়ারফ্রেডের সহকারী কমিশনার (চলতি দায়িত্ব) বিকাশ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, দুবাই থেকে ছেড়ে আসা বিমানের সিটের নিচে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পলিথিনে রাখা স্বর্ণের চালানটি জব্দ করেন শুল্ক কর্মকর্তারা। এরমধ্যে ১৮টি চুড়ি ও ৩টি চেইন রয়েছে, যার মোট ওজন ১ কেজি ১৬৬ গ্রাম। তবে কাউকে আটক করা যায়নি।
বিকাশ চন্দ্র দেবনাথ আরও বলেন, চোরাচালানকারী শুল্ক কর্মকর্তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে স্বর্ণ সিটের নিচে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এছাড়া জব্দ করা স্বর্ণের বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: প্রবাসী বন্ধুর প্রতারণা, ২৩ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করল পুলিশ
৩৬৩ দিন আগে
দ্রুত বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু করতে চায় পাকিস্তান
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ।
হাইকমিশনার দুদেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে বাংলাদেশে পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা সহজ করারও আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট দ্রুত চালু করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মাজারে হামলা বন্ধের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এসব বিষয়ে আলোচনা করেন হাইকমিশনার।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে হাইকমিশনার মারুফ সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার যে কোনো উদ্যোগে পাকিস্তান সরকারের পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন। আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান অন্যান্য বহুপক্ষীয় ফোরামে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা অব্যাহত রাখবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, হাইকমিশনার আশা প্রকাশ করেন যে, নিউইয়র্কে আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক করবেন।
রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় মো. তৌহিদ হোসেনকে অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: পুলিশ সংস্কারে শিগগির কমিটি গঠন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি প্রধান উপদেষ্টার প্রতি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন বার্তার কথা উল্লেখ করেন এবং উভয় দেশের জনগণের সুবিধার্থে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য পাকিস্তান সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের পরামর্শ এবং যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের মতো বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় ব্যবস্থার কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং এ সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
তিনি এ অঞ্চলের জনগণের সুবিধার জন্য শক্তিশালী আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারে সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার গুরুত্বের ওপরও জোর দেন।
আরও পড়ুন: পূজা কমিটি চাইলে মাদরাসার ছাত্ররা স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করতে রাজি: ধর্ম উপদেষ্টা
৪৫০ দিন আগে
বিমানের এমডি ও সিইও হলেন ড. সাফিকুর
বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিমানের বিপণন ও বিক্রয় বিভাগের সাবেক পরিচালক ড. মো. সাফিকুর রহমান।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমান পরিচালনা পর্ষদ থেকে তাকে এ নিয়োগ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিমানের পরিকল্পনা ও ট্রেনিংয়ের দায়িত্ব পেলেন মমিনুল ইসলাম
তিনি বিমানের বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক প্রশাসন ও মানবসম্পদ, পরিচালক প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড লজিস্টিকস সাপোর্ট এবং পরিচালক বিপণন ও বিক্রয় হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ ছাড়াও তিনি ট্যারিফ, মার্কেট রিসার্স, রিজার্ভেশন ও কার্গোসহ বিভিন্ন শাখায় কাজ করেছেন। তিনি সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও গ্রিস স্টেশনে কান্ট্রি ম্যানেজারের দায়িত্বও পালন করেছেন।
ড. মো. সাফিকুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন কুইন্সল্যান্ড থেকে মার্কেটিংয়ে এমবিএ এবং ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ার সাউদার্ন ক্রস ইউনিভার্সিটি থেকে ডক্টর অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেন। এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ট্রেনিং সেন্টার থেকে তিনি এভিয়েশন নিয়ে একাধিক ডিপ্লোমা ও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
সাফিকুর রহমান ১৯৮৬ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে ট্রেইনি কমার্শিয়াল অফিসার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। সুদীর্ঘ পেশাগত জীবন শেষে তিনি ২০১৭ সালে অবসরে যান।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ২৪টি স্বর্ণের বারসহ দুই নারী আটক
প্রধান উপদেষ্টা বিদেশ যাওয়া-আসার সময় বিমানবন্দরে থাকবেন যারা
৪৫৬ দিন আগে
বিমানের পরিকল্পনা ও ট্রেনিংয়ের দায়িত্ব পেলেন মমিনুল ইসলাম
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (পরিকল্পনা ও ট্রেনিং) পদে দায়িত্ব পেলেন মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম।
রবিবার (১ সেপ্টেম্ব) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইওর স্বাক্ষরিত পত্রে তাকে এপদে পদায়ন করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিমানের শীর্ষ পদে রদবদল
মমিনুল ইসলামের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে রয়েছে সুদীর্ঘ ৩৮ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা।
এই দায়িত্বের আগে মমিনুল বিমানের পরিচালক (প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড লজিস্টিক সাপোর্ট), পরিচালক (গ্রাহক সেবা), পরিচালক (প্রশাসন) সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: বিমানের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরবে ২১ জন হজযাত্রী
৪৫৯ দিন আগে