বিমান
দ্রুত বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু করতে চায় পাকিস্তান
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ।
হাইকমিশনার দুদেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে বাংলাদেশে পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা সহজ করারও আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট দ্রুত চালু করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মাজারে হামলা বন্ধের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এসব বিষয়ে আলোচনা করেন হাইকমিশনার।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে হাইকমিশনার মারুফ সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার যে কোনো উদ্যোগে পাকিস্তান সরকারের পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন। আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান অন্যান্য বহুপক্ষীয় ফোরামে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা অব্যাহত রাখবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, হাইকমিশনার আশা প্রকাশ করেন যে, নিউইয়র্কে আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক করবেন।
রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় মো. তৌহিদ হোসেনকে অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: পুলিশ সংস্কারে শিগগির কমিটি গঠন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি প্রধান উপদেষ্টার প্রতি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন বার্তার কথা উল্লেখ করেন এবং উভয় দেশের জনগণের সুবিধার্থে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য পাকিস্তান সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের পরামর্শ এবং যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের মতো বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় ব্যবস্থার কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং এ সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
তিনি এ অঞ্চলের জনগণের সুবিধার জন্য শক্তিশালী আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারে সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার গুরুত্বের ওপরও জোর দেন।
আরও পড়ুন: পূজা কমিটি চাইলে মাদরাসার ছাত্ররা স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করতে রাজি: ধর্ম উপদেষ্টা
২ মাস আগে
বিমানের এমডি ও সিইও হলেন ড. সাফিকুর
বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিমানের বিপণন ও বিক্রয় বিভাগের সাবেক পরিচালক ড. মো. সাফিকুর রহমান।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমান পরিচালনা পর্ষদ থেকে তাকে এ নিয়োগ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিমানের পরিকল্পনা ও ট্রেনিংয়ের দায়িত্ব পেলেন মমিনুল ইসলাম
তিনি বিমানের বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক প্রশাসন ও মানবসম্পদ, পরিচালক প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড লজিস্টিকস সাপোর্ট এবং পরিচালক বিপণন ও বিক্রয় হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ ছাড়াও তিনি ট্যারিফ, মার্কেট রিসার্স, রিজার্ভেশন ও কার্গোসহ বিভিন্ন শাখায় কাজ করেছেন। তিনি সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও গ্রিস স্টেশনে কান্ট্রি ম্যানেজারের দায়িত্বও পালন করেছেন।
ড. মো. সাফিকুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন কুইন্সল্যান্ড থেকে মার্কেটিংয়ে এমবিএ এবং ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ার সাউদার্ন ক্রস ইউনিভার্সিটি থেকে ডক্টর অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেন। এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ট্রেনিং সেন্টার থেকে তিনি এভিয়েশন নিয়ে একাধিক ডিপ্লোমা ও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
সাফিকুর রহমান ১৯৮৬ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে ট্রেইনি কমার্শিয়াল অফিসার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। সুদীর্ঘ পেশাগত জীবন শেষে তিনি ২০১৭ সালে অবসরে যান।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ২৪টি স্বর্ণের বারসহ দুই নারী আটক
প্রধান উপদেষ্টা বিদেশ যাওয়া-আসার সময় বিমানবন্দরে থাকবেন যারা
২ মাস আগে
বিমানের পরিকল্পনা ও ট্রেনিংয়ের দায়িত্ব পেলেন মমিনুল ইসলাম
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (পরিকল্পনা ও ট্রেনিং) পদে দায়িত্ব পেলেন মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম।
রবিবার (১ সেপ্টেম্ব) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইওর স্বাক্ষরিত পত্রে তাকে এপদে পদায়ন করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিমানের শীর্ষ পদে রদবদল
মমিনুল ইসলামের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে রয়েছে সুদীর্ঘ ৩৮ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা।
এই দায়িত্বের আগে মমিনুল বিমানের পরিচালক (প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড লজিস্টিক সাপোর্ট), পরিচালক (গ্রাহক সেবা), পরিচালক (প্রশাসন) সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: বিমানের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরবে ২১ জন হজযাত্রী
২ মাস আগে
২ মাসের মধ্যে বিমান কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে: মন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বিমান তৈরি করা প্রতিষ্ঠান এয়ার বাস ও বোয়িংয়ের প্রস্তাব মূল্যায়ন করে আগামী দুই মাসের মধ্যে বিমান কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। এছাড়া মূল্যায়ন কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার আগে পর্যন্ত বিমান কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত হবে না।’
রবিবার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুহাম্মদ ফারুক খান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এবারের বাজেট থেকেই আমাদের এটার জন্য অর্থায়ন করতে হবে। মনে করি আগামী এক থেকে দুই মাসের মধ্যে এটা শেষ হবে।’
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে পর্যটন অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে: বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী
কতটি বিমান কেন হচ্ছে- এ বিষয়ে বিমানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা ১০টির মতো বিমান কেনার। সেটা নির্ভর করে, যে অর্থনৈতিক প্রস্তাব এসেছে সেটার ওপর ভিত্তি করে তারা (মূল্যায়ন কমিটি) আমাদের কী রিপোর্ট করে। তবে অবশ্যই দুই থেকে চারটির মতো হতে পারে।’
বিমানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তিনি বিভিন্ন আমেরিকান কোম্পানির কথা বলেছেন, যারা বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। আগামীতে সেটা আরও সম্প্রসারণ করতে আগ্রহী। আমিও তাকে জানিয়েছি যে আমরা যেভাবে টেন্ডারের মাধ্যমে কেনাকাটা করি ইভ্যালুয়েশনের মাধ্যমে সেভাবেই করব। সবসময় আমরা একটা ভালো প্রোডাক্ট নিতে চাই এবং আগামীতেও তাই নেব।’
তিনি বলেন, ‘আলোচনায় তিনি (রাষ্ট্রদূত) বোয়িংয়ের কথা বলেছেন। সেটা মূল্যায়ন করছি। মূল্যায়ন শেষে কমিটি যে কোম্পানিকে সুপারিশ করবে, সেই কোম্পানি থেকে কেনার বিষয়টি আমরা বিবেচনা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আরও নতুন বিমান কিনতে চাই। কারণ সেটা আমাদের জন্য প্রয়োজন। আপনার জানেন এ বিষয়ে বিভিন্ন এক্সপার্টদের নিয়ে একটি মূল্যায়ন কমিটি কাজ করছে।’
বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘এটা প্রতিযোগিতামূলক পৃথিবী। আমরা দু'টার মধ্যে যেখান থেকে ভালো অফার পাব, সবকিছু মিলে যেটা ভালো হবে সেটা কিনব। এটা ঠিক যে এয়ার বাসও আমাদের ভালো অফার দিয়েছে।’
এর আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ তাদের প্রস্তাব মূল্যায়ন করছে না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (রাষ্ট্রদূত) আজকেও আমাকে এ কথাটা বলেছেন। আমি বলেছি মিডিয়াতে যখন কোনো খবর আসে সেটা খবর হিসেবে দেখবেন। আপনি জানেন যে বাংলাদেশ সরকার এখনও এটাকে মুল্যায়ন করছে। কমিটি রিপোর্ট না দেওয়া পর্যন্ত ফাইনাল হবে না।’
বোয়িং থেকে বিমান না কিনলে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে। এমন একটা কথা আসছে- এ বিষয়ে ফারুক খান বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হবে কেন? আমাদের দিক থেকে এর কোনো কারণ দেখি না, আমেরিকার দিক থেকেও কারণ দেখি না।’
তিনি বলেন, ‘আমেরিকা অতীতে অনেক বাংলাদেশি কেনাকাটায় অংশগ্রহণ করেছে, সেখানে অন্য কোনো কোম্পানিতে আমরা দিয়েছি। আমার মনে হয় এই কথাগুলো সাইড লাইনের। অবশ্যই আমেরিকান কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য বিক্রি করতে চায়, একইভাবে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন জায়গায় অফার দিচ্ছে। যেটাতে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা হবে, সেটাই কেনা হবে।’
আরও পড়ুন: পর্যটন কর্মীদের উন্নত প্রশিক্ষণ দিতে মালয়েশিয়া সরকারের সহযোগিতাকে স্বাগত জানানো হবে: পর্যটনমন্ত্রী
বিমানের অগ্রগতিতে যারাই বাধা সৃষ্টিকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না: পর্যটনমন্ত্রী
৪ মাস আগে
রাজশাহীতে পর্যটন অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে: বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, রাজশাহীতে ভবিষ্যতে একটি পর্যটন অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে।
শুক্রবার(৫ জুলাই) রাজশাহী কালেক্টরেট মাঠে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড আয়োজিত 'বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহী বিভাগের সার্বিক পর্যটন উন্নয়নে কাজ চলছে। এ অঞ্চলে পর্যটনের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ও প্রসারে ভবিষ্যতে এখানে একটি পর্যটন অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। রাজশাহীর বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের বিদ্যমান মোটেলটিকে বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে পাঁচ তারকা মানের হোটেলে পরিণত করা হবে।
এছাড়াও, এ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী রেশম শিল্পের উন্নয়নের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিমানের অগ্রগতিতে যারাই বাধা সৃষ্টিকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না: পর্যটনমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, রাজশাহী শাহ মখদুম বিমানবন্দরকে আরও উন্নত করার কাজ চলমান রয়েছে। এই বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে। এখানে যাতে ওয়াইড বডি উড়োজাহাজ উঠানামা করতে পারে সেজন্য এর রানওয়ের দৈর্ঘ্য ও শক্তি বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। ভবিষ্যতে এ বিমানবন্দর হতে যাত্রী এবং কার্গোর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে এবং বিদেশি এয়ারলাইন্স কোম্পানি এখানে ফ্লাইট পরিচালনার আগ্রহ প্রকাশ করলে এটিকেও আন্তর্জাতিক মানে উন্নয়নের জন্য কাজ করা হবে।
ফারুক খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কানেক্টিভিটির ওপর জোর দিচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত,নেপাল,ভুটান সহ আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধির কাজ চলমান রয়েছে। কানেক্টিভিটি মানেই উন্নয়ন, কানেক্টিভিটি মানেই ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ।
তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ এই কানেক্টিভিটির সুযোগ গ্রহণ করে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন করবেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিকুর রহমান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহির মুহাম্মদ জাবের, রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, রাজশাহী বিভাগের পুলিশের উপমহাপরিদর্শক মো. আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার এবং রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।
আরও পড়ুন: পর্যটন কর্মীদের উন্নত প্রশিক্ষণ দিতে মালয়েশিয়া সরকারের সহযোগিতাকে স্বাগত জানানো হবে: পর্যটনমন্ত্রী
৪ মাস আগে
বিমানকে দুর্নীতিমুক্ত করার ঘোষণা এমডির
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে দুর্নীতিমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞা।
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি করে কেউ এগোতে পারে না। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, হচ্ছে। দুর্নীতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
রবিবার কুর্মিটোলায় বিমানের বলাকা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রে কন্টিনজেন্ট সদস্যদের প্রতিস্থাপন করছে বিমান বাহিনী
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিমানে দুর্নীতি করার কোনো সুযোগ নেই। এর আগে, এখানে যারা দুর্নীতি করেছে বিভিন্ন লেয়ারে, তাদের শাস্তি হয়েছে। কাউকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, কাউকে পদাবনতি করা হয়েছে, কারো বেতন কমানো হয়েছে। আমিও এই জায়গাগুলোতে কাজ করব এবং তা অব্যাহত থাকবে। আমরা টিকেটিংয়ের জায়গা ও দুর্নীতির জায়গা থেকে মুক্ত হতে চাই। ডিজিটালের পূর্ণ সুবিধা ব্যবহার করে যাত্রীদের সুবিধা দিতে চাই।’
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘টিকিট নিয়ে যাতে কোনো অভিযোগ না আসে তা নিয়ে কাজ করছি, টিকিট নেই, আবার সিট ফাঁকা এ ধরনের অভিযোগ থেকে বের হতে চাই। এ বিষয়ে পুরোপুরি ডিজিটাল সল্যুশনের পূর্ণ ব্যবহার করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘টিকিটিংয়ের সমস্যা আমি সম্পূর্ণভাবে সমাধান করতে চাই। এটি নিয়ে যেন কোনো প্রশ্ন না ওঠে; প্রশ্ন উঠলেও আমরা যেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উত্তর দিতে পারি৷ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এটা।’
এমডি বলেন, ‘থার্ড টার্মিনালে বিমান গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য প্রস্তুত। বিমান এটি গত ৫২ বছর ধরে করছে। বিভিন্ন দেশের অধিকাংশ বিমানবন্দরে যারা ন্যাশনাল ক্যারিয়ার বা তাদের সিস্টার্স কনসার্ন তারাই দায়িত্ব পালন করে। সেই হিসেবে বিমান এটা দাবি করে। সেই হিসেবে আমরা আশাবাদী।’
গত বছর বিমান ১০ হাজার কোটি টাকা আয়ের মাইল ফলক স্পর্শ করেছে। এ বছরও সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশা করেন। তিনি বলেন, কার্গো থেকে ১২০০ কোটি আয়ের আশা করছি। গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের আইএসও সার্টিফিকেশন পেলে এটি বিশাল অর্জন হবে। বিভিন্ন বিভাগ থেকেই আমরা ভালো করছি।
আরও পড়ুন: বিমান চলাচলে সুইজারল্যান্ড- ইইউয়ের সঙ্গে বেবিচকের চুক্তি সই
বিমানের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরবে ২১ জন হজযাত্রী
৪ মাস আগে
বিমান চলাচলে সুইজারল্যান্ড- ইইউয়ের সঙ্গে বেবিচকের চুক্তি সই
সুইজারল্যান্ড ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বিমান চলাচল বিষয়ে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
গত মঙ্গলবার (৪ জুন) সুইজারল্যান্ডের বার্নে বাংলাদেশ সরকার ও সু্ইস ফেডারেল কাউন্সিলের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল চুক্তি সই হয়েছে।
এই চুক্তি সইয়ের ফলে ইউরোপের আরও একটি নতুন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি বিমান চলাচলের দ্বার উম্মোচিত হলো।
চুক্তির অধীনে দুই দেশের মনোনীত বিমানসংস্থাগুলো সপ্তাহে সাতটি যাত্রী ও সাতটি কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে।
এছাড়া চুক্তিতে মনোনীত দুই দেশের বিমানসংস্থাগুলো যাতে নিজেদের ও তৃতীয় কোনো দেশের বিমানসংস্থার সঙ্গে কোড শেয়ারের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারে সে সুযোগ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের মধ্যেই পবিত্র হজ শুরু
সুইজারল্যান্ডের পক্ষে সুইস এয়ার ইন্টারন্যাশনাল ও এডেলউইস এয়ার এজি এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউ এস বাংলা এয়ার ও নভেএয়ার কে দুই দেশের মধ্যে পরিসেবা প্রদানের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান এবং সুইস ফেডারেল অফিস অব সিভিল এভিয়েশনের (এফওসিএ) ডাইরেক্টর জেনারেল ক্রিশ্চিয়ান হেগনার এ চুক্তিতে সই করেন।
এছাড়া, ৭ জুন বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে বাংলাদেশ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল চুক্তি সই হয়।
এর আগে ২০০৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তারিখে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথম চুক্তিটি অনুস্বাক্ষরিত হয়েছিল। এরপর দুই পক্ষের নিজেদের মধ্যকার প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে চুক্তিটি চূড়ান্তভাবে স্বাক্ষরিত হলো।
এ ধরনের চুক্তি ইইউ হরাইজন্টাল চুক্তি নামে বহুল পরিচিত।
চুক্তিটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ইইউভূক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বিমান চলাচল পরিচালনার ক্ষেত্রে একই ধরনের বিধি-বিধান প্রতিপালন নিশ্চিত করা।
ইইউ ও বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন ইউরোপিয়ান কমিশনের ডারেক্টরেট জেনারেল ফর মবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টের ডাইরেক্টর ফিলিপ কর্নেলিস এবং বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।
চুক্তি দুটি সইয়ের জন্য বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ২ জুন সুইজারল্যান্ড ও ৬ জুন বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে যান।
চুক্তি সই অনুষ্ঠান দুটিতে সুইজারল্যান্ডস্থ বাংলাদেশ মিশনের ডিপুটি পার্মানেন্ট রিপ্রেজেনটেটিভ অ্যান্ড চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স মিস সঞ্চিতা হক ও বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাংলাদেশ মিশনের রাষ্ট্রদূত ও হেড অব দি মিশন মাহবুব হাসান সালেহ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রোকসিন্দা ফারহানা, সিএএবির স্পেশাল ইন্সপেক্টর এস এম গোলাম রাব্বানী এবং জেনেভা ও ব্রাসেলস এ অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক এখন বিশ্বে দৃষ্টান্ত: ভোরের কাগজ গোলটেবিল বৈঠকে শাহরিয়ার আলম
শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গতিশীল করবে: গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা
৫ মাস আগে
বিমানের নামে ভুয়া ফেসবুক পেইজ, ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নাম ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক পেজ ও গ্রুপ এবং ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।
এই ভুয়া ফেসবুক পেজ ও গ্রুপ এবং ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে বিমান বাংলাদেশের কোনো সম্পর্ক নেই।
ভুয়া এই নিয়োগে ‘পাসপোর্ট চেকার’ পদ উল্লেখ করা হয়েছে। পাসপোর্ট চেকার নামে কোনো পদই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নেই।
আরও পড়ুন: টার্বুলেন্সের কবলে কাতার এয়ারওয়েজের বিমান, আহত ১২
প্রতারক চক্র ১ হাজার ২৫০ টাকায় বিমানের চাকরি দেওয়ার কথা বলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এ ধরনের কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রকাশ করেনি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বিমানের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ করা হয়।
এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নাম ও লোগো কপিরাইট ও ট্রেডমার্ক নিবন্ধন করা, তাই অনুমতি ব্যতীত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নাম এবং লোগো ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ উপরোক্ত ভুয়া ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপ এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নাম ও লোগো ব্যবহার করা অন্যান্য ভুয়া ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এখন পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কোনো অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপ নেই।
আরও পড়ুন: ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে বিমানের বিশেষ অতিরিক্ত ফ্লাইট শুক্রবার সন্ধ্যায়
১৭ ঘণ্টা পর শাহ আমানত বিমানবন্দর চালু
৫ মাস আগে
বিমানের হাইড্রোলিক বিকল, অল্পের জন্য রক্ষা পেল ১৭৫ যাত্রী
সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে আসা এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইটের এয়ার ক্রাফটের ব্রেকে হাইড্রোলিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় বিশেষ ব্যবস্থায় জরুরি অবতরণ করে।
এতে অল্পের জন্য রক্ষা পেল উড়জাহাজে থাকা ১৭৫ যাত্রী ও ক্রু।
আরও পড়ুন: সাদুল্যাপুরে যাত্রীবাহী বাসচাপায় নারী নিহত
শুক্রবার (১০ মে) সকালে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে এই ঘটনা ঘটে।
বিমান বন্দরের সংশ্লিষ্টরা জানান, ফ্লাইটটি অবতরণের সময় হাইড্রোলিক প্রেসার সম্পর্কিত কিছু ত্রুটি ধরা পড়ে। এরপরও বিমানটি স্বাভাবিকভাবে অবতরণ করে। তবে রানওয়ের মাঝপথে ১২ মিনিট আটকে থাকে। পরে রানওয়ে থেকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় নিরাপদ জায়গায়। এখন এটির হাইড্রোলিক সমস্যার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়।
শাহ আমানতের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তানভির আহমেদ বলেন, সকালে আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে আসা এয়ার ক্রাফটির ব্রেকে হাইড্রোলিক সমস্যা দেখা দেয়। ফলে স্বাভাবিক অবতরণ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। পরে বিকল্প ব্যবস্থায় ১২ মিনিটের মধ্যে ফ্লাইটটি নিরাপদে অবতরণে সক্ষম হয়। এতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান ১৬৮ যাত্রী আর ৭ জন ক্রু। পরে টো-ট্রাক্টর দিয়ে এয়ার ক্রাফটটিকে রানওয়ে থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে সিএনজিতে যাত্রী ওঠানো নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৩
আবারও বাড়ল হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময়
৬ মাস আগে
প্রতিষ্ঠানের আয় থেকে উড়োজাহাজের মূল্য পরিশোধ করছে বিমান
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিমানের আর্থিক সক্ষমতা ও ব্যবসায়িক অগ্রগতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য প্রচার ও পরিবেশনের মাধ্যমে সর্বসাধারণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এই চেষ্টার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিমান।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপক জনসংযোগ মো. আল মাসুদ খানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ভর্তুকি ছাড়াই নিজ আয় থেকে নিজ পরিচালনা ব্যয় নির্বাহ ও উড়োজাহাজের মূল্য পরিশোধ করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
আরও পড়ুন: উন্নত যাত্রীসেবা ও দক্ষ বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এভিয়েশন শিল্পকে এগিয়ে নেওয়া হবে: বিমানমন্ত্রী
২০১১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ বিমান বোয়িংয়ের ২টা ৭৩৭-৮০০, ৪টা ৭৭৭-৩০০ই আর, ৬টি ৭৮৭ ড্রিমলাইনার এবং ডি হ্যাভিল্যান্ড কোম্পানির ২টি ড্যাস৮কিউ৪০০ উড়োজাহাজ কিনতে ২ হাজার ৯৩ মিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছে।
এর মধ্যে গত এপ্রিল পর্যন্ত ঋণের আসল ও সুদ মিলিয়ে ১ হাজার ৫৭০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে।
২০২২ সালে একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ২০২৩ সালে ২টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ উড়োজাহাজের সম্পূর্ণ ঋণ নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধ করেছে বিমান। এই উড়োজাহাজগুলোর মালিকানা স্থানান্তর প্রক্রিয়া চলছে।
২০২৫ সালে আরও ২টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ উড়োজাহাজের সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ করবে বিমান।
আরও পড়ুন: যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে বিমানে ৮৪ জন গ্রাউন্ড সার্ভিস অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ
করোনাকালে বাংলাদেশ বিমান চলতি মূলধন বাবদ সরকারের দেওয়া আর্থিক প্রণোদনা ঋণ হিসেবে ৭৮৮ কোটি টাকা গ্রহণ করে। পরে বিমান মুনাফা করার সঙ্গে সঙ্গে ওই প্রণোদনা ঋণের আসল ও সুদ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই পরিশোধ করে।
বিমানের বহরে লিজে থাকা ২টি ড্যাস-৮-৩০০ এবং ২টি ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজের লিজ শেষ হওয়ার পর নিজস্ব অর্থ ব্যয়ে কিনে নিয়েছে।
বর্তমানে বিমানের বহরে নিজস্ব উড়োজাহাজ রয়েছে ১৯টি।
আরও পড়ুন: বিমানে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাবিষয়ক প্রশিক্ষণ
৬ মাস আগে