বিমান
ইয়েমেনে সন্দেহজনক মার্কিন বিমান হামলা
ইয়েমেনের রাজধানী সানাসহ হুথি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় সন্দেহজনক বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। শুক্রবার (২৮ মার্চ) ভোরে এসব হামলা চালানো হয়।
এসব হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট করা হয়নি। গত ১৫ মার্চ থেকে মার্কিন বাহিনীর শুরু করা অভিযানের হামলাগুলোর তুলনায় এটির তীব্রতা বেশি ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি বিমান হামলায় লেবাননে নিহত ৬, আহত ২৮
অ্যাসেসিয়েটেড প্রেসের (এপি) একটি পর্যালোচনায় দেখা যায়, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টে জো বাইডেনের চেয়ে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামলার পরিমাণ বাড়িয়েছেন। কারণ হিসেবে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ও পদস্থ কর্মকর্তাদের ওপর হামলার পাশাপাশি শহরগুলোতে বোমা হামলা চালাচ্ছে।
হুতিদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ইয়েমেনের রাজধানী সানায় শুক্রবারের হামলায় অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটি সাদা, লোহিত সাগরের বন্দর নগরী হোদেইদা এবং ইয়েমেনের আল-জওফ, আমরান ও মারিব প্রদেশের আশপাশে হামলা চালানো হয়েছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
তবে সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়া আর কোন স্থানটিকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানায়নি হুথি বিদ্রোহীরা। সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সামরিক ও বেসামরিক উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়। রাজধানীর আশেপাশের এলাকায় সামরিক, গোয়েন্দা পরিষেবার কার্যক্রম ও বেসামরিক নাগরিকরা থাকেন।
বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, একটি ভিডিওতে তারা দেখেছে যে, রাজধানী সানায় অনেক মানুষ শবে কদরের রাত জাগার সময় একটি বোমা ফেলা হচ্ছে, সেখান থেকে ব্যাপক ধোয়ার কুণ্ডলী উঠছে।
সানার উত্তরাঞ্চলে আমরানের পাহাড়ি এলাকার হামলার ঘটনা ঘটেছে। যেখানে হুথিদের সামরিক স্থাপনা রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
হুথিদের আল মাসিরাহ স্যাটেলাইট নিউজ নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, হামলার পর যোগাযোগের নেটওয়ার্ক ভেঙে পড়ে। সেখানে ১৯টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
হোয়াইট হাউজের পূর্বানুমতি ছাড়া হামলা চালানোর ক্ষমতা থাকা মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ২০০
নতুন করে চালানো ধারাবাহিক বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ৫৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। গাজা উপত্যকায় ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে হুথি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলি জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করলে মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনে বিমান হামলা শুরু করে।
২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত শতাধিক বাণিজ্যিক জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা। এর মধ্যে দুটি জাহাজকে ডুবিয়ে দিয়েছে এবং চারজন নাবিককে হত্যা করেছে। তারা মার্কিন জাহাজকে লক্ষ্য করেও হামলা চালিয়েছে, যদিও তাতে সফল হয়নি গোষ্ঠীটি।
২০ দিন আগে
ভারতের নাগপুরে ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ ও ঘটনার বিষয়ে বিমানের ব্যাখ্যা
কারিগরি ত্রুটির কারণে ভারতের নাগপুরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট অবতরণের ব্যাখ্যা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গেল ১৯ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে এমন ঘটনা ঘটেছে। ওই বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজটিতে ২ জন বৈমানিক, ১০ জন কেবিন ক্রু এবং ৩৯৬ জন যাত্রী ছিলেন।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক বোসরা ইসলামের সই করা এক ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিমানের ঢাকা-দুবাই রুটের নির্ধারিত ফ্লাইট বিজি৩৪৭ ঢাকা থেকে সন্ধ্যা ৮টা বেজে ৪০ মিনিটে যাত্রা শুরু করে।
যাত্রা পথে ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের নাগপুর শহর অতিক্রান্ত হওয়ার সময় ক্যাপ্টেন পেছনের কার্গো কোম্পার্টমেন্ট থেকে ককপিটে ফায়ার সতর্কীকরণ সংকেত পান। এসময় যাত্রীদের নৈশভোজ পরিবেশন করা হচ্ছিল। এই ফ্লাইটের পাইলট-ইন-কমান্ড আইসিএও/বোয়িং/সিএএবি’র নিয়মানুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং উড়োজাহাজ পরিচালনার দিক নির্দেশানুযায়ী নিকটবর্তী ভারতের নাগপুরের ‘ড. বাবা সাহেব আমবেদকা’ বিমানবন্দরে বাংলাদেশ সময় রাত ১১ বেজে ২৭ মিনিটে নিরাপদে অবতরণ করেন।
বৈমানিক নাগপুরে বিমান অবতরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরই সব যাত্রীকে ‘যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নাগপুরে অবতরণের’ সিদ্ধান্তটি ইন-ফ্লাইট অ্যানাউন্সের মাধ্যমে অবহিত করেন। ফ্লাইটটি নাগপুরে অবতরণের পর সব যাত্রীর উড়োজাহাজ থেকে নামিয়ে নেওয়া হয়। ৩৯৬ জন যাত্রী এবং ১২ ক্রুসহ সর্বমোট ৪০৮ জনকে বিমানবন্দরে যাত্রীদের জন্য ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি বাসে করে উড়োজাহাজটি থেকে আনুমানিক অর্ধ কিলোমিটার দূরে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এক ঘণ্টা ২০ মিনিটের বেশি সময় ওই ৪০৮ জনকে বিমানবন্দর টার্মিনালে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। এসময় পানি এবং টয়লেট সুবিধার জন্য যাত্রীরা বার বার অনুরোধ করা সত্যেও ভারতের নাগপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা অনুমতির আনুষ্ঠানিকতার প্রসঙ্গ তুলে তা প্রদান করা থেকে বিরত থাকে। এতে করে বিশেষভাবে বৃদ্ধ এবং নারী যাত্রীরা সবচাইতে বেশি দুর্ভোগে পতিত হন। পরবর্তী সময়ে রাত একটায় টার্মিনালে যাত্রীদের লাউঞ্জে নেওয়ার অনুমতি দেন।
ইতোমধ্যে ভারতের নাগপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে ই-মেইলের মাধ্যমে যাত্রীদের সকালের নাশতা ও দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঢাকা থেকে নির্দেশনা প্রদান করা হয় এবং সেইসঙ্গে আশ্বস্ত করা হয় যে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যাত্রীদের সুবিধার্থে সব বিষয়ের যাবতীয় খরচাদি বহন করবে। নাগপুর কর্তৃপক্ষ অবহিত করে যে, এই বিপুল সংখ্যক খাবার প্রস্তুতের জন্য তাদের ৩-৪ ঘণ্টা সময় প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, বোয়িং ৭৭৭ এর মতো এত বৃহদাকার যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ওই বিমানবন্দরে নিয়মিত চলাচল করে না। বিমানের যাত্রীদের হোটেলে পাঠানের জন্য অনুরোধ করা হলে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের অস্থায়ী ল্যান্ডিং পারমিট প্রদানে অপরাগতা প্রকাশ করে। একারণে বাধ্য হয়ে যাত্রীদের টার্মিনালেই থাকতে হয়।
যাত্রীদের দেখা-শোনা করার জন্য বিমানের দিল্লিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন ম্যানেজারকে বলা হলে তিনি সেখানে ইনডিগো এয়ারে করে ৯টা ১৫ মিনিটে নাগপুরে পৌঁছান। অনুমানিক ভোর ৩টার দিকে যাত্রীদেরকে পানি সরবরাহ করা হয়। সকাল ৭টার দিকে পানি ও চা দেওয়া হয় এবং সকাল সাড়ে ১০টায় নাস্তা পরিবেশন করা হয়। নাগপুর ক্যাটারিং-এর সীমিত সক্ষমতা থাকার কারণে নাস্তা দিতে সময় বেশি লেগেছে।
আরও পড়ুন: ভারতে বাংলাদেশ বিমানের জরুরি অবতরণ
বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং টিম উড়োজাহাজের সব কার্গো ফায়ার এক্সটিংগুইসার ব্যবহৃত হওয়ায় ওই উড়োজাহাজে যাত্রীদের দুবাইতে পরিবহন করা সম্ভব নয় জানিয়ে মতামত প্রদান করে।
সেই মোতাবেক বিমান ঢাকা অপারেশন্স কন্ট্রোল উদ্ধারকারী ফ্লাইটের পরিকল্পনা হাতে নেয়, যা ঢাকা থেকে বিজি১২৬ (দোহা-চট্টগ্রাম-ঢাকা) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে নামার পর সকাল সাড়ে ৯টায় এ যাত্রার সময় পরিকল্পনা করা হয়।
ভারতের প্রয়োজনীয় অনুমতিপ্রাপ্ত হওয়ার পর বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা বেজে ২৮ মিনিটে ঢাকা থেকে যাওয়া উদ্ধারকারী ফ্লাইটটি যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা বেজে ৪৯ মিনিটে নাগপুরে অবতরণ করে।
নাগপুর বিমানবন্দর রানওয়ে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য দুপুর ১টা ৩০ মিনিট থেকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত অবগত হয়ে নাগপুরে অবতরণের পরপরই যাত্রীদের উদ্ধারের ফ্লাইটটির ক্যাপ্টেন অপেক্ষমান যাত্রীদের বিমানে আসন গ্রহণ এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে যাত্রীদের ব্যাগেজবহনকারী কন্টেনারগুলো উদ্ধারকারী ফ্লাইটে লোড করার নির্দেশনা দেন।
যাত্রীরা উড়োজাহাজে আসন গ্রহণ করলেও নাগপুর একটি আঞ্চলিক বিমানবন্দর হওয়ায় বৃহদকার উড়োজাহাজের ব্যাগেজ কন্টেনার লোড করার জন্য শুধু একটি যন্ত্র এবং অপর্যাপ্ত কন্টেনার ট্রলির কারণে কল্পনাতীত সময়ক্ষেপণের পর কন্টেনার লোডিং সমাপ্ত হয়। এরই মধ্যে রানওয়ে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যায়।
পুনরায় সিএএবি কর্তৃক অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বিকাল ৫টা ৪২ মিনিটে উদ্ধারকারী ফ্লাইটটি নাগপুর থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশে যাত্রা করে এবং নিরাপদে দুবাইতে অবতরণ করে। নাগপুর বিমানবন্দরে অপেক্ষাকালীন সময়ে যাত্রীদের দুপুরের খাবার উড়োজাহাজের অভ্যন্তরে পরিবেশন করা হয়। উড্ডয়নের পর যাত্রীদের জন্য রাতের খাবারও পরিবেশিত হয়।
যাত্রীদের দুর্ভোগের সম্ভাব্য কারণ
১. ভারতের নাগপুর একটি আঞ্চলিক বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দরের ধারণ ক্ষমতা সীমিত।
২. ভারতের নাগপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা অনুমতির দীর্ঘসূত্রতার কারণে যাত্রীদের টার্মিনালে না নিয়ে বহু সময় বাসে অবস্থানের কারণে পানি এবং টয়লেটের ব্যবস্থা থেকে যাত্রীরা বঞ্চিত হন।
৩. ভারতের নাগপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিমানের যাত্রীদের অস্থায়ী অবতরণের অনুমতি প্রদানে অস্বীকৃতি। ফলে বাধ্য হয়েই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ যাত্রীদেরকে হোটেলে না পাঠিয়ে টার্মিনালে অপেক্ষমান রাখতে বাধ্য হয়।
৪. ভারতের নাগপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ৩৯৬ জন যাত্রীর খাদ্য প্রস্তুতে অন্যান্য বিমানবন্দরগুলোর তুলনায় বেশি সময় গ্রহণ করে।
৫. ভারতের নাগপুর বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইকুইপমেন্টের স্বল্পতার জন্য যাত্রীদের ব্যাগেজবাহী কন্টেনার লোডিং এ দীর্ঘ সময়ক্ষেপণ করে। ফলত, বিমানবন্দর বন্ধের পূর্বে উড্ডয়ন সম্ভব হয়নি।
৬. টার্মিনালের অভ্যন্তরে যাত্রী লাউঞ্জে বিমানের দিল্লির স্টেশন ম্যানেজার প্রবেশের পাশ ইস্যুতে নাগপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কালক্ষেপণ করায় যাত্রীদের সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ প্রতিস্থাপন সম্ভব হয়নি।
ভারতের স্থানীয় বিধিনিষেধ এবং নাগপুর বিমানবন্দরের সীমাবদ্ধতার কারণে উপরোল্লিখিত উদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে ছিল।
স্যোশাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত প্রোপাগান্ডার বিষয়ে প্রতিবাদ প্রসঙ্গে:
এয়ারক্রাফটের ভেতরে ভিডিও ধারণ নিষিদ্ধ থাকার পরেও নাগপুরের ওই উদ্ভূত পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে বর্তমান সরকার এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে বিব্রত করার জন্য একজন নারী এবং একজন পুরুষ যাত্রী ফ্লাইটের ভেতরে যাত্রী সাধারণের প্রতি উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন এবং ভিডিও ধারণ করে স্যোশাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তা প্রচার করেন।
ওই দুই যাত্রী ফ্লাইটে ক্রমাগত উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করলেও অন্য যাত্রীরা তাদের কথায় কর্ণপাত করেননি। তারা ধৈর্য নিয়ে ফ্লাইটে অবস্থান করে কর্মরত ক্রুদের সহযোগিতা করেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যাত্রীদের ধৈর্য ধারণ এবং ফ্লাইটে ক্রুদের সহায়তা করার জন্য তাদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ করছে এবং উল্লিখিত প্রোপাগান্ডার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
সর্বোপরি নিয়ন্ত্রণবর্হিভূত পরিস্থিতির কারণে যাত্রীদের সঙ্গে সংঘটিত অসুবিধার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।
৫২ দিন আগে
কুয়াশায় বিমান, নৌ ও সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
ঘন কুয়াশার কারণে দেশে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ সাময়িক ব্যাহত হতে পারে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। আবার কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ সাময়িক ব্যাহত হতে পারে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: সূর্যের দেখা নেই চুয়াডাঙ্গায়, আবারও শৈত্যপ্রবাহের আভাস
গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীর বাঘাবাড়ীতে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ৩০ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি।
শনিবারের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশের তাপমাত্রা এক থেকে তিন ডিগ্রি হ্রাস পারে, দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
৮৩ দিন আগে
ওসমানীতে বিমানের সিটের নিচ থেকে ১.২৬৬ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে ১ কেজি ২৬৬ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে বিমানের ফ্লাইটে (বিজি-২৪৮) সিটের নিচ থেকে এই স্বর্ণগুলো জব্দ করেন শুল্ক কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ময়লার ঝুড়ি থেকে ৭০ লাখ টাকার স্বর্ণ উদ্ধার
শুল্ক বিভাগের ওসমানী বিমানবন্দর এয়ারফ্রেডের সহকারী কমিশনার (চলতি দায়িত্ব) বিকাশ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, দুবাই থেকে ছেড়ে আসা বিমানের সিটের নিচে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পলিথিনে রাখা স্বর্ণের চালানটি জব্দ করেন শুল্ক কর্মকর্তারা। এরমধ্যে ১৮টি চুড়ি ও ৩টি চেইন রয়েছে, যার মোট ওজন ১ কেজি ১৬৬ গ্রাম। তবে কাউকে আটক করা যায়নি।
বিকাশ চন্দ্র দেবনাথ আরও বলেন, চোরাচালানকারী শুল্ক কর্মকর্তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে স্বর্ণ সিটের নিচে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এছাড়া জব্দ করা স্বর্ণের বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: প্রবাসী বন্ধুর প্রতারণা, ২৩ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করল পুলিশ
১৩২ দিন আগে
দ্রুত বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু করতে চায় পাকিস্তান
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ।
হাইকমিশনার দুদেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে বাংলাদেশে পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা সহজ করারও আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট দ্রুত চালু করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মাজারে হামলা বন্ধের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এসব বিষয়ে আলোচনা করেন হাইকমিশনার।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে হাইকমিশনার মারুফ সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার যে কোনো উদ্যোগে পাকিস্তান সরকারের পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন। আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান অন্যান্য বহুপক্ষীয় ফোরামে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা অব্যাহত রাখবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, হাইকমিশনার আশা প্রকাশ করেন যে, নিউইয়র্কে আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক করবেন।
রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় মো. তৌহিদ হোসেনকে অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: পুলিশ সংস্কারে শিগগির কমিটি গঠন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি প্রধান উপদেষ্টার প্রতি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন বার্তার কথা উল্লেখ করেন এবং উভয় দেশের জনগণের সুবিধার্থে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য পাকিস্তান সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের পরামর্শ এবং যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের মতো বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় ব্যবস্থার কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং এ সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
তিনি এ অঞ্চলের জনগণের সুবিধার জন্য শক্তিশালী আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারে সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার গুরুত্বের ওপরও জোর দেন।
আরও পড়ুন: পূজা কমিটি চাইলে মাদরাসার ছাত্ররা স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করতে রাজি: ধর্ম উপদেষ্টা
২১৮ দিন আগে
বিমানের এমডি ও সিইও হলেন ড. সাফিকুর
বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিমানের বিপণন ও বিক্রয় বিভাগের সাবেক পরিচালক ড. মো. সাফিকুর রহমান।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমান পরিচালনা পর্ষদ থেকে তাকে এ নিয়োগ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিমানের পরিকল্পনা ও ট্রেনিংয়ের দায়িত্ব পেলেন মমিনুল ইসলাম
তিনি বিমানের বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক প্রশাসন ও মানবসম্পদ, পরিচালক প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড লজিস্টিকস সাপোর্ট এবং পরিচালক বিপণন ও বিক্রয় হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ ছাড়াও তিনি ট্যারিফ, মার্কেট রিসার্স, রিজার্ভেশন ও কার্গোসহ বিভিন্ন শাখায় কাজ করেছেন। তিনি সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও গ্রিস স্টেশনে কান্ট্রি ম্যানেজারের দায়িত্বও পালন করেছেন।
ড. মো. সাফিকুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন কুইন্সল্যান্ড থেকে মার্কেটিংয়ে এমবিএ এবং ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ার সাউদার্ন ক্রস ইউনিভার্সিটি থেকে ডক্টর অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেন। এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ট্রেনিং সেন্টার থেকে তিনি এভিয়েশন নিয়ে একাধিক ডিপ্লোমা ও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
সাফিকুর রহমান ১৯৮৬ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে ট্রেইনি কমার্শিয়াল অফিসার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। সুদীর্ঘ পেশাগত জীবন শেষে তিনি ২০১৭ সালে অবসরে যান।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ২৪টি স্বর্ণের বারসহ দুই নারী আটক
প্রধান উপদেষ্টা বিদেশ যাওয়া-আসার সময় বিমানবন্দরে থাকবেন যারা
২২৪ দিন আগে
বিমানের পরিকল্পনা ও ট্রেনিংয়ের দায়িত্ব পেলেন মমিনুল ইসলাম
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (পরিকল্পনা ও ট্রেনিং) পদে দায়িত্ব পেলেন মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম।
রবিবার (১ সেপ্টেম্ব) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইওর স্বাক্ষরিত পত্রে তাকে এপদে পদায়ন করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিমানের শীর্ষ পদে রদবদল
মমিনুল ইসলামের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে রয়েছে সুদীর্ঘ ৩৮ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা।
এই দায়িত্বের আগে মমিনুল বিমানের পরিচালক (প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড লজিস্টিক সাপোর্ট), পরিচালক (গ্রাহক সেবা), পরিচালক (প্রশাসন) সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: বিমানের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরবে ২১ জন হজযাত্রী
২২৭ দিন আগে
২ মাসের মধ্যে বিমান কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে: মন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বিমান তৈরি করা প্রতিষ্ঠান এয়ার বাস ও বোয়িংয়ের প্রস্তাব মূল্যায়ন করে আগামী দুই মাসের মধ্যে বিমান কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। এছাড়া মূল্যায়ন কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার আগে পর্যন্ত বিমান কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত হবে না।’
রবিবার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুহাম্মদ ফারুক খান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এবারের বাজেট থেকেই আমাদের এটার জন্য অর্থায়ন করতে হবে। মনে করি আগামী এক থেকে দুই মাসের মধ্যে এটা শেষ হবে।’
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে পর্যটন অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে: বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী
কতটি বিমান কেন হচ্ছে- এ বিষয়ে বিমানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা ১০টির মতো বিমান কেনার। সেটা নির্ভর করে, যে অর্থনৈতিক প্রস্তাব এসেছে সেটার ওপর ভিত্তি করে তারা (মূল্যায়ন কমিটি) আমাদের কী রিপোর্ট করে। তবে অবশ্যই দুই থেকে চারটির মতো হতে পারে।’
বিমানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তিনি বিভিন্ন আমেরিকান কোম্পানির কথা বলেছেন, যারা বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। আগামীতে সেটা আরও সম্প্রসারণ করতে আগ্রহী। আমিও তাকে জানিয়েছি যে আমরা যেভাবে টেন্ডারের মাধ্যমে কেনাকাটা করি ইভ্যালুয়েশনের মাধ্যমে সেভাবেই করব। সবসময় আমরা একটা ভালো প্রোডাক্ট নিতে চাই এবং আগামীতেও তাই নেব।’
তিনি বলেন, ‘আলোচনায় তিনি (রাষ্ট্রদূত) বোয়িংয়ের কথা বলেছেন। সেটা মূল্যায়ন করছি। মূল্যায়ন শেষে কমিটি যে কোম্পানিকে সুপারিশ করবে, সেই কোম্পানি থেকে কেনার বিষয়টি আমরা বিবেচনা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আরও নতুন বিমান কিনতে চাই। কারণ সেটা আমাদের জন্য প্রয়োজন। আপনার জানেন এ বিষয়ে বিভিন্ন এক্সপার্টদের নিয়ে একটি মূল্যায়ন কমিটি কাজ করছে।’
বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘এটা প্রতিযোগিতামূলক পৃথিবী। আমরা দু'টার মধ্যে যেখান থেকে ভালো অফার পাব, সবকিছু মিলে যেটা ভালো হবে সেটা কিনব। এটা ঠিক যে এয়ার বাসও আমাদের ভালো অফার দিয়েছে।’
এর আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ তাদের প্রস্তাব মূল্যায়ন করছে না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (রাষ্ট্রদূত) আজকেও আমাকে এ কথাটা বলেছেন। আমি বলেছি মিডিয়াতে যখন কোনো খবর আসে সেটা খবর হিসেবে দেখবেন। আপনি জানেন যে বাংলাদেশ সরকার এখনও এটাকে মুল্যায়ন করছে। কমিটি রিপোর্ট না দেওয়া পর্যন্ত ফাইনাল হবে না।’
বোয়িং থেকে বিমান না কিনলে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে। এমন একটা কথা আসছে- এ বিষয়ে ফারুক খান বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হবে কেন? আমাদের দিক থেকে এর কোনো কারণ দেখি না, আমেরিকার দিক থেকেও কারণ দেখি না।’
তিনি বলেন, ‘আমেরিকা অতীতে অনেক বাংলাদেশি কেনাকাটায় অংশগ্রহণ করেছে, সেখানে অন্য কোনো কোম্পানিতে আমরা দিয়েছি। আমার মনে হয় এই কথাগুলো সাইড লাইনের। অবশ্যই আমেরিকান কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য বিক্রি করতে চায়, একইভাবে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন জায়গায় অফার দিচ্ছে। যেটাতে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা হবে, সেটাই কেনা হবে।’
আরও পড়ুন: পর্যটন কর্মীদের উন্নত প্রশিক্ষণ দিতে মালয়েশিয়া সরকারের সহযোগিতাকে স্বাগত জানানো হবে: পর্যটনমন্ত্রী
বিমানের অগ্রগতিতে যারাই বাধা সৃষ্টিকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না: পর্যটনমন্ত্রী
২৮৩ দিন আগে
রাজশাহীতে পর্যটন অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে: বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, রাজশাহীতে ভবিষ্যতে একটি পর্যটন অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে।
শুক্রবার(৫ জুলাই) রাজশাহী কালেক্টরেট মাঠে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড আয়োজিত 'বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহী বিভাগের সার্বিক পর্যটন উন্নয়নে কাজ চলছে। এ অঞ্চলে পর্যটনের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ও প্রসারে ভবিষ্যতে এখানে একটি পর্যটন অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। রাজশাহীর বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের বিদ্যমান মোটেলটিকে বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে পাঁচ তারকা মানের হোটেলে পরিণত করা হবে।
এছাড়াও, এ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী রেশম শিল্পের উন্নয়নের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিমানের অগ্রগতিতে যারাই বাধা সৃষ্টিকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না: পর্যটনমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, রাজশাহী শাহ মখদুম বিমানবন্দরকে আরও উন্নত করার কাজ চলমান রয়েছে। এই বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে। এখানে যাতে ওয়াইড বডি উড়োজাহাজ উঠানামা করতে পারে সেজন্য এর রানওয়ের দৈর্ঘ্য ও শক্তি বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। ভবিষ্যতে এ বিমানবন্দর হতে যাত্রী এবং কার্গোর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে এবং বিদেশি এয়ারলাইন্স কোম্পানি এখানে ফ্লাইট পরিচালনার আগ্রহ প্রকাশ করলে এটিকেও আন্তর্জাতিক মানে উন্নয়নের জন্য কাজ করা হবে।
ফারুক খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কানেক্টিভিটির ওপর জোর দিচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত,নেপাল,ভুটান সহ আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধির কাজ চলমান রয়েছে। কানেক্টিভিটি মানেই উন্নয়ন, কানেক্টিভিটি মানেই ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ।
তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ এই কানেক্টিভিটির সুযোগ গ্রহণ করে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন করবেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিকুর রহমান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহির মুহাম্মদ জাবের, রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, রাজশাহী বিভাগের পুলিশের উপমহাপরিদর্শক মো. আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার এবং রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।
আরও পড়ুন: পর্যটন কর্মীদের উন্নত প্রশিক্ষণ দিতে মালয়েশিয়া সরকারের সহযোগিতাকে স্বাগত জানানো হবে: পর্যটনমন্ত্রী
২৮৫ দিন আগে
বিমানকে দুর্নীতিমুক্ত করার ঘোষণা এমডির
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে দুর্নীতিমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞা।
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি করে কেউ এগোতে পারে না। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, হচ্ছে। দুর্নীতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
রবিবার কুর্মিটোলায় বিমানের বলাকা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রে কন্টিনজেন্ট সদস্যদের প্রতিস্থাপন করছে বিমান বাহিনী
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিমানে দুর্নীতি করার কোনো সুযোগ নেই। এর আগে, এখানে যারা দুর্নীতি করেছে বিভিন্ন লেয়ারে, তাদের শাস্তি হয়েছে। কাউকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, কাউকে পদাবনতি করা হয়েছে, কারো বেতন কমানো হয়েছে। আমিও এই জায়গাগুলোতে কাজ করব এবং তা অব্যাহত থাকবে। আমরা টিকেটিংয়ের জায়গা ও দুর্নীতির জায়গা থেকে মুক্ত হতে চাই। ডিজিটালের পূর্ণ সুবিধা ব্যবহার করে যাত্রীদের সুবিধা দিতে চাই।’
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘টিকিট নিয়ে যাতে কোনো অভিযোগ না আসে তা নিয়ে কাজ করছি, টিকিট নেই, আবার সিট ফাঁকা এ ধরনের অভিযোগ থেকে বের হতে চাই। এ বিষয়ে পুরোপুরি ডিজিটাল সল্যুশনের পূর্ণ ব্যবহার করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘টিকিটিংয়ের সমস্যা আমি সম্পূর্ণভাবে সমাধান করতে চাই। এটি নিয়ে যেন কোনো প্রশ্ন না ওঠে; প্রশ্ন উঠলেও আমরা যেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উত্তর দিতে পারি৷ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এটা।’
এমডি বলেন, ‘থার্ড টার্মিনালে বিমান গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য প্রস্তুত। বিমান এটি গত ৫২ বছর ধরে করছে। বিভিন্ন দেশের অধিকাংশ বিমানবন্দরে যারা ন্যাশনাল ক্যারিয়ার বা তাদের সিস্টার্স কনসার্ন তারাই দায়িত্ব পালন করে। সেই হিসেবে বিমান এটা দাবি করে। সেই হিসেবে আমরা আশাবাদী।’
গত বছর বিমান ১০ হাজার কোটি টাকা আয়ের মাইল ফলক স্পর্শ করেছে। এ বছরও সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশা করেন। তিনি বলেন, কার্গো থেকে ১২০০ কোটি আয়ের আশা করছি। গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের আইএসও সার্টিফিকেশন পেলে এটি বিশাল অর্জন হবে। বিভিন্ন বিভাগ থেকেই আমরা ভালো করছি।
আরও পড়ুন: বিমান চলাচলে সুইজারল্যান্ড- ইইউয়ের সঙ্গে বেবিচকের চুক্তি সই
বিমানের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরবে ২১ জন হজযাত্রী
২৯১ দিন আগে