আরও প্রি-ডিপ্লয়মেন্ট
পুলিশিং দক্ষতা বাড়াতে আরও প্রি-ডিপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং প্রয়োজন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল প্রাথমিক পুলিশিং দক্ষতা উন্নয়নের জন্য আরও দক্ষ ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে প্রি-ডিপ্লয়মেন্ট প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, যেহেতু বিশ্বজুড়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতি প্রতিদিন পরিবর্তিত হচ্ছে, তাই আন্তর্জাতিক পুলিশিংয়ের জন্য কৌশলগত কর্মকাঠামোর নির্দেশনা নিয়মিত সময়োপযোগী করতে হবে এবং কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে জাতিসংঘ পুলিশ দিবসের (ইউএনপিওএল ডে-২০২২) উদ্বোধনী অধিবেশনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কমিউনিটি পুলিশিং দরকার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, আন্তর্জাতিক পুলিশের কার্যক্রম মূলত দেশের অভ্যন্তরীণ পুলিশিং থেকে ভিন্ন। জাতিসংঘ পুলিশ সাধারণত অস্থিতিশীল পরিবেশে কাজ করে, যেসব জায়গায় সংস্কৃতি এবং ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা ভিন্ন এবং আইনের শাসনের ধারণা এও সামাজিক মিথস্ক্রিয়ার গতিশীলতা শিথিল ও অস্পষ্ট।
তিনি বলেন, গত এক দশকে কমিউনিটি পুলিশিংয়ে বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষতা, সক্ষমতা ও পেশাদারিত্ব বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ সরকার বেশ কিছু বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নিয়েছে। আন্তঃর্জাতিক অপরাধের পাশাপাশি অপরাধীদের সঙ্গে জড়িত থাকার ক্ষেত্রে; বিশেষ করে চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি-ভিত্তিক অপরাধ তদন্তের ক্ষেত্রে।
খাঁন আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ পুলিশের কর্মকর্তাদের বিশ্ব সম্প্রদায়ের সেবায় আরও বেশি মোতায়েন করা হলে, তারা তাদের দক্ষতার অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।’
জাতিসংঘ পুলিশে বর্তমানে প্রায় ৯০টি দেশের প্রায় ১০ হাজার কর্মকর্তা মোতায়েন আছে। তারা সংঘাত, দ্বন্দ্ব-পরবর্তী ও সংকট পরিস্থিতিতে শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে। যা জনসাধারণ সেবা ও সুরক্ষা দেয় এবং দক্ষ,প্রতিনিধিত্বশীল ও প্রতিক্রিয়াশীল পুলিশ পরিষেবাগুলো অর্জনের জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সহযোগিতা করে।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারী পুলিশ কর্মকর্তাদের অবদানের ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশি নারী শান্তিরক্ষীরা লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা, সংঘাত এবং সংঘর্ষ কমাতে; বিশেষ করে নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপত্তা প্রদান করে। এভাবে সামাজিক সংহতি প্রচারের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে নিজেদের স্থান করে নিয়েছেন তারা।
বর্তমানে প্রায় ৫০০ দক্ষ বাংলাদেশি পুলিশ সদস্য জাতিসংঘের বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত রয়েছে। যারা অত্যন্ত আন্তরিকতা,পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে।
অন্যদের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, জাতিসংঘ পুলিশ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ উপদেষ্টা কমিশনার জুন তান, জাতিসংঘ সমন্বিত প্রশিক্ষণ সার্ভিসের প্রধান ড. মার্ক পেডারসেন এবং আইএপিটিসি এক্সিকিউটিভ বোর্ডের পুলিশ চেয়ার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিওভানি বারবানো ও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: টার্মিনাল বাদে অন্য কোথাও টোল নেয়া যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বাস মালিকদের ধর্মঘট কেন তা আমাদের জানার বিষয় নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে