২য় দিন
বিশ্ব ইজতেমা: ২য় দিনে লাখো মুসল্লির ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনিতে মুখরিত ইজতেমা মাঠ
লাখো মুসল্লির ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি, জিকির ও তাবলীগের দেশি-বিদেশি মুরুব্বিদের বয়ানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হচ্ছে।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ফজরের পর আম বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা খোরশিদুল হক। পরে সকালে আলেমদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা। এছাড়া আলাদাভাবে খিত্তা ও নিবাসের ভেতরে বোবা- বধিরদের জন্য বয়ান করেন ভারতের মাওলানা সানোয়ার এবং বিদেশি জামাতের উদ্দেশ্যে ইংরেজিতে বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা ইফতার জামান।
ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমা: বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সমাবেশ শুরু হয়েছে
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু- ধ্বনিতে তুরাগ নদী তীরবর্তী বিশাল এলাকা যেন পবিত্র পুণ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে। বিরাজ করছে এক অভূতপূর্ব ভাবগম্ভীর পরিবেশ।
ইউএনবি’র গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, শীতার্ত আবহাওয়া সত্ত্বেও ইজতেমা অভিমুখে এখনও মুসল্লীদের আগমন অব্যাহত রয়েছে। বাস-ট্র্রাক, নৌকা ও অন্যান্য যানবাহন ছাড়াও অনেকেই পায়ে হেঁটে ইজতেমাস্থলে পৌঁছেছেন। অগণিত মুসল্লির ভিড়ে বৃদ্ধ যেমন রয়েছেন, তেমনি তরুণ ও কিশোরের সংখ্যাও কম নয়। কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস, তীব্র শীত, ধুলাবালি সবকিছুই যেন তাদের কাছে সহনীয় হয়ে উঠেছে। এতটুকু বিরক্তি নেই কারও মধ্যে। যদিও অনেক মুসল্লির শেষ মুহূর্তে ইজতেমা ময়দানে জায়গা না পেয়ে সড়কের পাশে বা নদীর পাড়ে ঠাঁই নিয়েছেন।
আগামীকাল রবিবার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে তাবলীগের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বি মাওলানা হাফেজ জুবায়ের অনুসারীদের প্রথম পর্বের ইজতেমা শেষ হবে। চারদিন বিরতি দিয়ে ভারতের মাওলানা সাদ অনুসারীদের দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু হবে আগামী ২০ জানুয়ারি।
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দিন শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশের মাওলানা জিয়াউল হক বাদ ফজর আম বয়ান করেন। তার আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। বাদ জুমা ইজতেমায় বয়ান করেন মাওলানা ইসমাইল, বাদ আছর মাওলানা হাফেজ জুবায়ের এবং বাদ মাগরিব মাওলানা আহামদ ও ওমর ফারুক বয়ান করেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমার প্রথমপর্ব শুরু
আগামীকাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা শুরু
১ বছর আগে
সিলেটে ২য় দিনে পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট চলছে, পণ্য সরবরাহে বিঘ্ন
সিলেটের সকল পাথর কোয়ারি খুলে দেয়ার দাবিতে জেলায় ৪৮ ঘণ্টার পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট চলছে।
সোমবার ভোর থেকে শুরু হওয়া এই ধর্মঘট বুধবার সকাল ৬টায় শেষ হওয়ার কথা।
মঙ্গলবার পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকে জেলার কোনও স্থান থেকে ট্রাক, ট্যাংকলরি, কাভার্ডভ্যান, পিকআপসহ পণ্যবাহী যানবাহন ছেড়ে যায়নি বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
সিলেট বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক--শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে জেলার সকল পাথর কোয়ারি খুলে দেয়ার দাবিতে দুই দিনের এই ধর্মঘট চলছে।
ধর্মঘটের ফলেপণ্যবাহী হাজার হাজার ট্রাক বিভিন্ন ট্রাক টার্মিনালসহ জেলার অন্যান্য স্থানে আটকা পড়েছে।
আরও পড়ুন: পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা: সিলেটে ৪৮ ঘণ্টার পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট শুরু
মঙ্গলবার সকালে নগরীর ট্রাক টার্মিনাল এলাকাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে মিছিল করেছেন শ্রমিকরা।
এতেও কাজ না হলে পুরো বিভাগে অনির্দিষ্টকালের পণ্য পরিবহন ধর্মঘট শুরু হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। ধর্মঘট পালনে সকাল থেকেই মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন পয়েন্ট এবং রাস্তায় অবস্থান নেন পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।
বিশেষ করে ভোলাগঞ্জ, জাফলং, লোভাছড়া ও বিছনাকান্দি পাথর কোয়ারি এলাকার পাথর সংশ্লিষ্ট মালিক-শ্রমিকরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে অবস্থান নেন।
এছাড়া ধর্মঘট চলাকালে মহানগরীর বিভিন্ন পয়েন্ট ও রাস্তায় আলাদা মিছিল-সমাবেশ করেছেন মালিক-শ্রমিক নেতারা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পাথর কোয়ারিগুলো বন্ধ থাকায় সবকিছু হারিয়ে আজ সিলেটের দশ লক্ষাধিক মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তারা লক্ষাধিক মানুষের কথা বিবেচনা করে পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করেছে।
বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, এতেও কাজ না হলে পুরো বিভাগে অনির্দিষ্টকালের পণ্য পরিবহন ধর্মঘট শুরু হবে।
উল্লেখ্য, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে গত ৩০ অক্টোবর রবিবার বিকাল ৪টায় বৈঠকে বসেন সিলেট জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান। জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে পরিবহন শ্রমিক নেতাদের প্রতি ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হলেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন তারা।
এদিকে, পণ্যপরিবহন ধর্মঘটের কারণে সিলেটের পাইকারি ও খুচরা বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ধর্মঘটের কারণে পাইকারি বাজারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সবজি নিয়ে আসতে পারেনি ট্রাক, পিকআপ প্রভৃতি যানবাহন।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে গেছে।
জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান জানিয়েছেন, পাথর তোলার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ নভেম্বর কমিটির সদস্যরা সিলেটের কোয়ারিগুলো পরিদর্শনে আসবেন। তারা সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখবেন পাথর তোলার যৌক্তিকতা আছে কি না। কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও পড়ুন: পাথর উত্তোলন: সিলেটে সোমবার থেকে পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট
সিলেটে পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
২ বছর আগে