স্ত্রীর বিরুদ্ধে
চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে চট্টগ্রামের অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক এনামুল হক বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে এক কোটি ৮৮ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদবিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগ এ মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ‘৫০০ কোটির বাড়ি’র মালিকের নামে দুদকের মামলা
দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক এনামুল হক সোমবার দুপুরে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সাবেক সহকারী কমিশনার এ বি এম শাহাদাত হোসেন মজুমদার এবং তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা চৌধুরী।
ফেনীর ফুলগাজী থানার বাসিন্দা এ বি এম শাহাদাত হোসেন মজুমদার সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে অবসর নেন।
এছাড়া, চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর চুনা ফ্যাক্টরী এলাকায় তার বাড়ি ও মার্কেট রয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সম্পদের তথ্য দুদকে দাখিল করেন এই দম্পতি। কিন্তু এ বি এম শাহাদাত হোসেন ১৮ লাখ ৩২ হাজার ৫২২ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন।
এ ছাড়া তার মালিকানাধীন মার্কেটের নির্মাণব্যয় কম দেখিয়ে ৬৮ লাখ ১৮ হাজার ২৮৭ টাকা মূল্যের সম্পদ অসঙ্গতিপূর্ণভাবে অর্জন করেছেন।
এছাড়া তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা চৌধুরী ২৭ লাখ এক হাজার ৮০৪ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেছেন। পাশাপাশি ৭৫ লাখ ২৬ হাজার ৪৪৮ টাকা মূল্যের সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করেছেন।
দুদক চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছাদাত জানান, প্রাথমিক তদন্তে সম্পদের তথ্য গোপন করা এবং জ্ঞাত উৎস থেকে অবৈধভাবে অর্থ অর্জনের প্রমাণ মিলেছে।
তাই ওই দম্পতির বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় সেলিম প্রধানের ৮ বছরের কারাদণ্ড
বগুড়ায় আ.লীগ নেতা দুলুর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
১ বছর আগে
তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এ পরোয়ানা জারি করেন।
আগামী ৫ জানুয়ারি গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৬ জুন হাইকোর্ট তারেক ও জোবায়দাকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করে চার কোটি ৮২ লাখ টাকার দুর্নীতি মামলা দায়ের ও তার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে করা পৃথক রিট আবেদন খারিজ করে দেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যে বিমানের সাবেক কান্ট্রি ম্যানেজারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
রিট খারিজ করে দেয়া রায়ে হাইকোর্ট একই সঙ্গে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দায়ের করা এ মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতকে যত দ্রুত সম্ভব বিচার কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেন।
এছাড়াও, ঢাকার মূখ্য বিচারিক হাকিম এ রায় পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে মামলার রেকর্ড ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠাতে বলা হয়।
ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক।
মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শ্বাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
আরও পড়ুন: ‘বিতর্কিত’ সাকিবকে শুভেচ্ছা দূত না রাখার সিদ্ধান্ত দুদকের
দুদকের মামলায় সম্রাটের চার্জ শুনানি পিছিয়ে ৮ নভেম্বর
২ বছর আগে