হুঁশিয়ারি
আ. লীগের সমাবেশের ঘোষণায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের হুঁশিয়ারি
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে একটি ফ্যাসিবাদী দল আখ্যায়িত করে দেশে কোনো ধরনের সহিংসতা বা জনশৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সহ্য করবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তার বর্তমান রূপে একটি ফ্যাসিবাদী দল। বাংলাদেশে কোনোভাবেই এই ফ্যাসিবাদী দলের বিক্ষোভ করার সুযোগ নেই।’
প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশে দলটির প্রতিবাদ করার কোনো সুযোগ নেই।
শনিবার (৯ নভেম্বর) শফিউল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এক পোস্টে বলেন, গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার নির্দেশে কেউ সভা-সমাবেশ ও মিছিল করার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোরভাবে তা মোকাবেলা করবে।
আরও পড়ুন: কোনো প্রতিবেদনের বিষয়ে কাউকে ফোন করেনি সরকার: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্ট থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাদের নেতাকর্মীদের আগামী ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবসে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে এসে 'দুঃশাসনের' প্রতিবাদে আন্দোলন করার আহ্বান জানিয়েছে।
দলটির ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ‘দেশের মানুষের অধিকার হরণের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ। আমাদের প্রতিবাদ মৌলবাদী শক্তির উত্থানের বিরুদ্ধে। সাধারণ মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ।’
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকার গুলিস্তানের কাছে জিরো পয়েন্টে জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আওয়ামী যুবলীগ নেতা নূর হোসেন।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালনী সরকারের মাত্র ৪ জন উপদেষ্টার এনজিও ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
১ মাস আগে
বিদেশি শক্তির ‘দালালি’ করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না: গয়েশ্বরের হুঁশিয়ারি
প্রতিবেশী দেশের 'দালাল' সেজে কাজ করে সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, 'আমাদের হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমাদের কর্মীরা ক্লান্ত কিন্তু হতাশ নয়। দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য আমাদের নেতাকর্মীরা যেভাবে নির্যাতন ও অন্যায় সহ্য করে বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, তা ছিনিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা প্রতিবেশী দেশসহ কারোরই নেই’
শুক্রবার (১০ মে) এক সমাবেশে ক্ষমতাসীনদের হুঁশিয়ার করে গয়েশ্বর বলেন, দমন-পীড়ন চালিয়ে কোনো সরকার বিদেশিদের সহায়তায় ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশীদের সঙ্গে দালালি করে শেখ হাসিনা বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। বিভিন্ন দেশে যারা অন্যায়ভাবে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় আকঁড়ে ছিল তাদের পরিণতির ইতিহাস পড়ুন। তাহলে আপনারা বুঝতে পারবেন যে, আপনারা যেভাবে নিপীড়নমূলক কাজ ও লুটপাটে লিপ্ত হয়েছেন, তাতে আপনি কারো কাছ থেকে সাহায্য পাওয়ার এবং মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগও পাবেন না।’
খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দি বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
বিএনপিকে কারা নিয়ন্ত্রণ করছে এমন প্রশ্নের জবাবে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, তাদের দলের রিমোট কন্ট্রোলার খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হাতে।
আরও পড়ুন: সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন মির্জা ফখরুল
তিনি আরও বলেন, ‘আপনার দলের রিমোট কন্ট্রোলার কোথায়?’ আপনার সরকারের রিমোট কন্ট্রোলার কি মোদির (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) হাতে, নাকি অজিত দোভালের (জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা) হাতে নাকি অমিত শাহের (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) হাতে। তাদের রিমোট কন্ট্রোলে আপনাদের চলতে হবে।’
‘গণতন্ত্রের নামে অনেক দেশের ষড়যন্ত্রের মধ্যে ভারত পাশে না দাঁড়ালে আওয়ামী লীগ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করতে পারত না’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনাও করেন গয়েশ্বর।
সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি হত্যা বন্ধে নীরব ভূমিকার জন্য সরকারের সমালোচনা করেন তিনি।
বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী ব্যানার, ফেস্টুন এবং খালেদা ও তারেক রহমানের ছবি নিয়ে সমাবেশে অংশ নেন।
সমাবেশ শেষে তারা নয়াপল্টনে বিভিন্ন সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে মিছিল করেন।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন প্রমাণ করে জনগণ এই সরকারের সঙ্গে নেই: মান্না
৭ মাস আগে
রমজানে গাজা সংঘাত সম্প্রসারণের বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহ
পবিত্র রমজান মাসে গাজায় অব্যাহত যুদ্ধ সংঘাত প্রসারিত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ।
রবিবার(২৫ ফেব্রুয়ারি) আম্মানে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে এক বৈঠকে এই সতর্কবার্তা দেন তিনি।
রয়্যাল হাশেমি কোর্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাদশাহ আবদুল্লাহ গাজায় তাৎক্ষণিক ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা এবং নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: উপহার-অনুগ্রহ নয়, রাষ্ট্রকে একটি আন্তর্জাতিক আইনি অধিকার মনে করে ফিলিস্তিনিরা
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জর্ডান গাজার জনগণকে মানবিক, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে।
এতে আরও বলা হয়, বাদশাহ পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকাকে বিচ্ছিন্ন করার যে কোনও প্রচেষ্টাকে জর্ডান প্রত্যাখ্যান করবে বলে তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের ভিত্তিতে ফিলিস্তিনি সমস্যার ন্যায়সঙ্গত সমাধান খুঁজে বের করতে আরও সমন্বয় অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
হামাস-ইসরায়েল সংঘাতে জর্ডানের দৃঢ় অবস্থানের প্রশংসা করেন মাহমুদ আব্বাস। ফিলিস্তিনিদের স্বার্থে কাজ করতে এবং শহরের পবিত্র স্থানগুলো রক্ষায় উভয় পক্ষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় ও পরামর্শ অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে ২৯ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত: গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
৯ মাস আগে
মজুতদারদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
অবৈধ মজুতদার ও বাজার কারসাজিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা এর ফল ভোগ করবে।
তিনি বলেন, 'কেউ যদি অসৎ উদ্দেশ্যে কোনো পণ্য মজুদ করে থাকে, তাহলে আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং প্রয়োজনে তাদের কারাগারে পাঠাতে হবে।’
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের পর হঠাৎ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি খুবই অস্বাভাবিক বিষয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান রওশন এরশাদের
তিনি বলেন, ‘এর পেছনে কারা কারসাজি করছে তা খুঁজে বের করা জরুরি। শুধু তাদের খুঁজে বের করাই নয়, তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। ভবিষ্যতেও আমরা তা করব।’
মজুতদারি ও কালোবাজারি করে কেউ যাতে খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'মানুষের খাবার নিয়ে ছিনিমিনি খেলার কোনো মানে হয় না।’
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলেছেন তাদের কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ এই নির্বাচন মেনে নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অহেতুক বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, নির্বাচনের পর হঠাৎ করেই চাল ও অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়।’ আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে, যদিও ভোটারদের ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি তৈরি পোশাক খাতে আন্দোলনের চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন বানচাল করতে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন বিকল্প উপায়ে আবার শুরু করতে চায়।
তিনি বলেন, 'আমরা তাদের বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেব না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করায় জনগণ সন্তুষ্ট ও খুশি।
তিনি বলেন, 'ইনশাআল্লাহ, বাংলাদেশে আর কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না।' তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতার মাধ্যমে এদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে।
তার সরকার দেশের আরও উন্নয়ন করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে আসবে তাদের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও কাজী জাফরউল্লাহ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ মঞ্চে ছিলেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকার ‘তাসের ঘরের মতো’ ভেঙে পড়বে: মঈন খান
বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে নয়, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করেছে ভারত: রিজভী
১১ মাস আগে
দৃষ্টিনন্দন স্ট্রিট আর্টে পোস্টার লাগালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি ডিএনসিসি মেয়রের
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে যেসব দৃষ্টিনন্দন শিল্পকর্ম (স্ট্রিট আর্ট) বা গ্রাফিতি আঁকা করা হয়েছে, সেগুলোর উপর পোস্টার লাগালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, 'আমরা শহরকে দৃষ্টিনন্দন করার অনেক কাজই করি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সে কাজগুলো কিছুদিন পরেই পোস্টারের আড়ালে ঢেকে যায়। মহাখালীতে যে দৃষ্টিনন্দন স্ট্রিট আর্ট করা হয়েছে, তার ওপর আমি কোনো পোস্টার দেখতে চাই না। যে পোস্টার লাগাবে তাকে সবাই মিলে প্রত্যাখান করব। এত সুন্দর চিত্রকর্মে পোস্টার লাগালে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব। পোস্টার লাগিয়ে এই শহরকে নোংরা করার অধিকার কারো নেই। যারা পরিবেশ নষ্ট করে, তাদের ধিক্কার জানাতে হবে।'
আরও পড়ুন: উন্নয়নকৃত মাঠ ও পার্ক রক্ষায় ডিএনসিসি মেয়রের আহ্বান
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভারে দৃষ্টিনন্দন স্ট্রিট আর্ট পরিদর্শন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএনসিসি মেয়র এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য, ডিএনসিসির উদ্যোগে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের সহযোগিতায় বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে মহাখালী ফ্লাইওভারে স্ট্রিট আর্ট শুরু হয়েছে। স্বাধীনতার মাস মার্চের মধ্যে পুরো মহাখালী ফ্লাইওভারের স্ট্রিট আর্ট সম্পন্ন করা হবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'আমরা এই শহরে কীভাবে সুস্থ থাকতে পারি সেই চেষ্টা করি। অনেকে দেখেছেন মগবাজার ফ্লাইওভারের পিলারগুলো পোস্টারে ছেয়ে থাকত। আমরা সেখানে দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতি এঁকে দিয়েছি। ঈদের সময় দেখলাম একজন বাবা তার ছোট মেয়েকে নিয়ে সেই গ্রাফিতির সামনে ছবি তুলছে। এটাই আমাদের স্বার্থকতা।’
ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, 'আমরা একটি সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা চাই। বিজয়ের মাসে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে বলতে চাই ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশ দেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব আমাদের। নির্বাচন এলেই ঢাকা শহর পোস্টারে ঢেকে যায়। স্মার্ট বাংলাদেশে আমরা কেন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন করতে পারছি না? নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে। আমি সবাইকে অনুরোধ করতে চাই—নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া পোস্টার লাগানো যাবে না।'
তিনি বলেন, 'মুক্তিযোদ্ধারা চেয়েছিলেন লাল সবুজের পতাকা। তাঁরা চেয়েছিলেন বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হবে। আমরা পরাধীন থাকব না। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে স্বাধীনতা মানেই রাস্তায় ময়লা ফেলে দেওয়া না। স্বাধীনতা মানেই আইন ভঙ্গ করা না। স্বাধীনতা মানেই লাল লাইট জ্বলার পরেও গাড়ি চালানো না। দেশটাকে ও শহরটাকে রক্ষার দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে।'
মহাখালী ফ্লাইওভারের স্ট্রিট আর্ট রক্ষায় জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, এতো কষ্ট করে, এতো খরচ করে নান্দনিকভাবে সাজানো হচ্ছে। এটি রক্ষা করতে নগরবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে, কাউন্সিলরদের এগিয়ে আসতে হবে।
বলেন, 'কাউলা এক্সপ্রেসওয়ের নিচের প্লে জোন শিগগিরই চালু করে দেওয়া হবে। মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচে ফাকা জায়গায় টেবিল টেনিস বোর্ড এবং দাবা খেলার বোর্ডের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।’
বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি মেয়র নিজে রঙ তুলির মাধ্যমে আর্ট করে চিত্রশিল্পীদের উৎসাহিত করেন।
পরিদর্শনকালে ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুলকার নায়ন, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মাকসুদ হাসেম, চিত্রশিল্পী মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বস্তিতে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ঘোষণা ডিএনসিসি মেয়রের
শহর গড়তে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান ডিএনসিসি মেয়রের
১ বছর আগে
সমাবেশ সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ হবে, সরকারকে বাড়াবাড়ি না করতে হুঁশিয়ারি ফখরুলের
বিএনপির মহাসমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করে সর্বস্তরের জনগণকে এতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যাতে করে আওয়ামী লীগকে পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের বার্তা দেওয়া যায়।
শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সরকার বা ক্ষমতাসীন দল যদি কোনো বাড়াবাড়ি করে বা সমাবেশে কোনো বাধা সৃষ্টি করে, তাহলে তার জন্য দায়ী থাকবে সরকার।’
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে: ফখরুল
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির এই নেতা এসব কথা বলেন।
নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতির জন্য প্রয়োজনে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে বলেও জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে ডিএমপিকে চিঠি দেওয়ায় আমরা নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে এই সমাবেশ করব।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নয়াপল্টনে কর্মসূচি পালনের অনুমতি দিয়ে ডিএমপির পক্ষ থেকে এখনো কোনো চিঠি পায়নি বিএনপি। আমরা এখনও আশা করি, তারা (ডিএমপি) কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না এবং মহাসমাবেশে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সহায়তা করবে।’
তিনি বলেন, তাদের সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য চাপ সৃষ্টি করা।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের এক দফা দাবি মেনে নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, দেশে নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ নেই।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি কোনো সহিংসতার ভয় পায় না, কারণ তাদের দল অতীতে শান্তিপূর্ণভাবে একই ধরনের কর্মসূচি পালন করেছে।
ফখরুল অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা লাঠি হাতে রাস্তায় নামার মতো বিভিন্ন উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, সরকার তার দমনমূলক নীতি ও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে সমগ্র জনগণকে জিম্মি করার চেষ্টা করছে।
এমতাবস্থায় ভোটাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ অন্যান্য গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার এবং একটি মুক্ত ও বাসযোগ্য সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে সারা দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা আন্তরিকভাবে জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন শনিবারের মহাসমাবেশে যোগ দেয় এবং সরকারকে পদত্যাগ আর ক্ষমতায় না থাকার বার্তা দেয়।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার টিআইপিএস প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে: ফখরুল
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান ও অর্থনীতিকে ধ্বংস করে লুটপাট ও বিদেশে অর্থ পাচারের মাধ্যমে দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
ফখরুল দাবি করেন, গত সোমবার থেকে শুক্রবার বেলা ১১টা পর্যন্ত মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৩৫০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার বেলা ১১টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৩৩০ জন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, এ সময়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১৮টি ‘মিথ্যা মামলা’ দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ ছাড়া চলতি বছরের ২৭ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির ৪ হাজার ২০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার, ৪১৮টি মামলায় ২৮ হাজার ৫৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে এবং বিএনপির নয় নেতাকে মৃত্যুদণ্ড ও ৯০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা (প্রধানমন্ত্রী) ব্রাসেলসে বলেছেন, খুব সুন্দর একটি নির্বাচন হবে, কারণ সরকার সেই নির্বাচনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করছে। কিন্তু আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এবং প্রতি রাতে তাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। সবচেয়ে খারাপ বিষয় হচ্ছে, বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে আমাদের নেতাদের সাজা দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, সরকার গুরুতর দমনমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার উপর তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রহসনে পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার যে, নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ছাড়া এ দেশের জনগণ কোনো নির্বাচন মেনে নেবে না।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সত্যিকারের অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো ইচ্ছা নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘এ জন্য তারা বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই একতরফাভাবে নির্বাচন করতে সারাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু জনগণ জেগে উঠেছে। তাদের দাবি আদায় এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এবার রাস্তায় নেমেছে।’
বিএনপির পক্ষ থেকে ফখরুল ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে মালিকদের তা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: কোনো কিছুই ২৮ অক্টোবরের বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করতে পারবে না: ফখরুল
১ বছর আগে
আ. লীগ ক্ষমতায় না থাকলে দেশ আবার অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে: প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে দেশ আবার অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে দেশ আবার অন্ধকার যুগে ফিরে যাবে।’
বুধবার ওয়াশিংটনের হলিডে এক্সপ্রেস ইন হোটেলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি, বাংলাদেশের মানুষ অন্ধকারে ফিরে যেতে চাইবে না।’
বিএনপি-জামায়াত সরকারের ২৯ বছরকে অন্ধকারযুগ আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সময়ে তারা নিজেদের ভাগ্য গড়ে তোলা ছাড়া মানুষের জন্য কিছুই করেনি।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত চক্র বাংলাদেশের মানুষের জীবন থেকে ২৯ বছর মুছে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত সারা দেশে ব্যাপক উন্নয়ন পরিচালনা করে এই বছরের ব্যবধান কমিয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লিখিত রূপকল্প ২০৪১-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ২০০৯ সাল থেকে দেশে অব্যাহত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও স্থিতিশীলতার পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে দেশ পরিচালনা করায় বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ২০২৬ সাল থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে দেশের যাত্রা শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে যাত্রা সহজ করার উপায় খুঁজতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমি জানি, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের যাত্রায় কোনো অসুবিধা হবে না।’
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনের উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হবে: নিউইয়র্কে নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানি বন্ধের হুঁশিয়ারি দিল ভারতীয় ব্যবসায়ীরা
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সচল রাখার স্বার্থে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের জিরোপয়েন্ট থেকে পানামা ওয়্যারহাউজ পর্যন্ত সড়কটির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার তাগিদ দিয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে তারা আরও জানিয়েছেন, বেহাল ও অনুপযোগী সড়কটি অতিদ্রুত চলাচল উপযোগী করতে হবে। না হলে যেকোন সময়ে বাংলাদেশে সকল ধরণের পণ্য রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়দের আন্দোলন ও দাবির প্রেক্ষিতে সরকার হিলি স্থলবন্দরের প্রধান সড়ক হিলি চেকপোস্টের জিরো পয়েন্ট থেকে মহিলা কলেজ পর্যন্ত সোয়া ২ কিলোমিটার সড়কটি চারলেন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোল কাস্টমস হাউসে গেট পাস জটিলতা: দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ
এর ফলে গত বছরের ডিসেম্বরে প্রায় ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সিসিঢালাইযুক্ত কাজ শুরু হয়। কিন্তু শুরু থেকেই সংশ্লিষ্ট ঢাকার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠিান নির্মাণ কাজ করা নিয়ে গড়িমসি করে আসছে।
একমাস কাজ করলে আবার ৩ মাস না করেই ফেলে রাখে। ফলে বন্দরের এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহন এবং পথচারী ও বিভিন্ন যান চলাচল চরমভাবে বাঁধাগ্রস্ত হয়ে আসছে। চলতি বর্ষায় এই ভোগান্তি আরও চরম আকার ধারণ করেছে।
মাঝে-মধ্যেই ভারতীয় ও বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এতে করে বন্দরে দুই দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। আহত হচ্ছে ট্রাক চালক ও পথচারীরা।
এই অবস্থায় ভারতের ব্যবসায়ীরা সড়কটির কাজ দ্রুত শেষ করে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সচল রাখতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের চিঠি দিয়েছেন।
যোগাযোগ করা হলে ভারতের হিলি হিলি এক্সপোটার্স অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজেশ আগরওয়ালা জানান, আমরা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের চিঠি দিয়ে বলেছি, হিলি স্থলবন্দরের চেকপোস্ট গেট থেকে পানামা হিলি পোর্ট লিংক লি. এর গেট (পানামা ওয়্যাহাউজ) পর্যন্ত সড়কটি দ্রুত যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে তুলতে হবে।
সড়কটি এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত যে আমাদের চালক ও সহকারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক (লড়ি) চালাচ্ছেন। প্রতিদিন কোন না কোন পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করতে গিয়ে উল্টে পড়ছে।
আবার মাঝে-মধ্যে বিকল হয়ে যাচ্ছে। ফলে ট্রাকের যেমন বিভিন্ন যন্ত্রাংশের ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি চালক ও সহকারীরা আহত হচ্ছেন।
এতে করে দুই দেশের পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় ট্রাক চালক ও সহকারীরা রপ্তানি পণ্য নিয়ে হিলি দিয়ে বাংলাদেশে যেতে চাইছেন না।
আমরা ব্যবসায়ী, ট্রাক মালিক ও চালকদের পক্ষে বাংলাদেশ সরকার ও ব্যবসায়ীদের কাছে দাবী জানাচ্ছি অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি পুনর্র্নিমাণ কাজ শেষ করে আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলে উপযোগী করতে হবে। না হলে যেকোন সময়ে বাংলাদেশে রপ্তানি পণ্য পরিবহণ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
হিলি-হাকিমপুর নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম বলেন, হিলি স্থলবন্দরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক চারলেনে উন্নীত করার জন্য আমরা হিলিবাসী দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন কর্মসুচির মাধ্যমে সরকারের কাছে দাবী জানিয়ে আসছি।
আরও পড়ুন: মে দিবস উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
এরই প্রেক্ষিতে সরকার হিলি চেকপোস্টের জিরোপয়েন্ট থেকে মহিলা কলেজ পর্যন্ত সোয়া ২ কিলোমিটার সড়কটি চারলেন করার সিদ্ধান্ত নেয়। গত বছরের ডিসেম্বরে কাজ শুরুর পর থেকে ঠিকাদার বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছে।
একটু কাজ করলে আবার ৩/৪ মাস উধাও। ফলে আমাদের চরম ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। আমরা চাই সরকারের এই উন্নয়ণমুলক সড়কের কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করা হোক।
হিলি স্থলবন্দর ট্রাক মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান লিটন অভিযোগ করেন, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজ ফেলে রেখেছে। কাজ তারা নিয়ে চরম গাফিলতি করছে। এখন বর্ষাকাল সড়কটির কাজ সম্পন্ন করা না হলে আমদানি-রপ্তানি বানিজ্যে চরম বিপর্যয় দেখা দিবে।
তাই দ্রুত কাজ সম্পন্ন করে ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করে শাস্তির আওতায় আনতে সরকারের প্রতি দাবী জানান তিনি।
বন্দরের বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, ভারতীয় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে একটি চিঠি পেয়েছি।
চিঠিতে তারা উল্লেখ করে বলেছেন, হিলি স্থলবন্দরের প্রধান সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। এ কারণে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই সড়কটি সংস্কার করা জরুরি।
যদি অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া না হয় তাহলে তারা বাংলাদেশে রপ্তানি পণ্য পরিবহন করবে না বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন।
ইতোমধ্যে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সড়কটি দ্রুত চলাচলের উপযোগী করে তোলার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
হিলি-হাকিমপুর নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী জানান, হিলি স্থলবন্দরের সড়কটির কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী সোমবার আমরা হিলিবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বন্দরের চারমাথায় মানবন্ধনসহ সড়ক অবরোধ কর্মসুচি পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এলাকার স্বার্থে সকলকে এই কর্মসুচিতে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আনফ সরকার জানান, আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে শেষ হওয়া সড়কের চারলেনের মধ্যে দুই লেন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এতে সমস্যা অনেকাংশে কমে যাবে। ঈদের ছুটির জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজ বন্ধ রেখেছে। আজ-কালের মধ্যে কাজ শুরু হবে। তবে ঢাকার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কোনো লোকজনকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ঈদে ৬ দিন সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে
১ বছর আগে
আইন ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি আইজিপি’র
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
তিনি বলেছেন, পুলিশ ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকসহ যেকোনো অপরাধ মোকাবিলা করছে। কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার সিলেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইজিপি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: থানাকে জনগণের আস্থার জায়গা পরিণত করার অঙ্গীকার নতুন আইজিপি’র
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করা পুলিশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় পুলিশ নির্বাচন কমিশনের বিধি-বিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে।
মাদক সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, মাদক একটি সামাজিক সমস্যা। এছাড়া মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কারাগারে বন্দিদের বেশিরভাগই মাদকের মামলায়।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাদক সমস্যা সমাধান হবে।
প্রবাসীদের সমস্যা প্রসঙ্গে আইজিপি উল্লেখ করেন, প্রবাসীদের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স আসে।
তিনি বলেন, প্রবাসীদের কল্যাণে পুলিশ সদর দপ্তরে ইতোমধ্যে একটি ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে, যার হটলাইন নম্বরগুলি চব্বিশ ঘন্টা খোলা থাকে।
তিনি বলেন, প্রবাসীরা যে কোনো সমস্যায় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা তাদের সহায়তা দিয়ে আসছি। এছাড়াও, প্রবাসীদের আত্মীয়রা জাতীয় জরুরি পরিষেবা নম্বর ৯৯৯-এর মাধ্যমে যোগাযোগ করলেও পরিষেবা দেয়া হয়।
পরে আইজিপি প্রধান অতিথি হিসেবে সিলেট রেঞ্জ, সিলেট জেলা পুলিশ, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং সিলেট ভিত্তিক সকল পুলিশ ইউনিটের সদস্যদের নিয়ে বিশেষ কল্যাণ সভায় বসেন।
এসময় আইজিপি সিলেট বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলা এবং শহীদ পুলিশ পরিদর্শক চৌধুরী মোহাম্মদ আবু কাইছার বিপিএম ভবনের উদ্বোধন করেন।
তিনি সিলেট পুলিশ লাইনে কৃষ্ণচূড়া ও সাতকরা গাছের চারা রোপণ করেন।
আরও পড়ুন: আইজিপি র্যাঙ্ক ব্যাজ পরানো হলো চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে
২ বছর আগে
আন্দোলনের নামে সহিংসতা করবেন না: বিএনপিকে প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন,আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে তার সরকার বিএনপিকে ছাড় দেবে না।
তিনি বলেন,‘আমি তাদের (বিএনপি) বলেছি তারা শান্তিপূর্ণ মিছিল-মিটিং করলে আমরা কিছুই বলব না। কিন্তু তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে শোডাউনে যাচ্ছে। তারা যদি কাউকে আক্রমণ করে তবে আমরা তাদের রেহাই দেব না।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিরোধী দল সঙ্কটের মধ্যে রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
হামলার কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির আন্দোলন মানেই অগ্নিসংযোগ। ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে তারা সারা বাংলাদেশে কি পরিমাণ হামলা করেছিল। তারা প্রমাণ করেছে যে তারা পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর দোসর।
তিনি প্রশ্ন তোলেন যে বিএনপি কীভাবে স্বপ্ন দেখে যে জনগণ তাদের ভোট দেবে? কারণ দলটি যে কোনও দুঃসময়ে জনগণকে নামমাত্রও সাহায্য করেনি।
বিএনপি সীমা অতিক্রম করলে কারাগারে ফিরবেন খালেদা জিয়া
প্রধানমন্ত্রী বলেন,জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। খালেদার বোন,ভাই ও বোনের স্ত্রী তার (প্রধানমন্ত্রী) কাছে আসেন এবং তাকে মুক্তি দেয়ার আবেদন করেন।
তিনি বলেন,‘মানবিক কারণে আমরা তাকে (খালেদা) তার বাড়িতে থাকার সুযোগ দিয়েছি,তার সাজা স্থগিত করেছি। বিএনপি বাড়াবাড়ি করলে তাকে আবার জেলে পাঠাব।’
আরও পড়ুন: রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লি বসছে বুধবার, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম,অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পারভিন জামান কল্পনা, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি এবং ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মোন্নাফী ও শেখ বজলুর রহমান।
আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, এমপি ও তার সহ-সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।
জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম,তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানকে স্মরণ করতে দিবসটি পালিত হয়। যারা ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে নিহত হন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধীরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যার মাত্র তিন মাস পর এই গণহত্যার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে সরকারি কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে