গাড়িবহর
খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ৭ বছর পর মামলা
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনার সাত বছর পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রটোকল অফিসার ও ফেনী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমকে প্রধান করে ২৫১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে।
এছাড়া আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
গত বুধবার ছাগলনাইয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক অর্থ সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ সিকান্দার ভুট্টো বাদী হয়ে ছাগলনাইয়া থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আশিকের মৃত্যু: আওয়ামী লীগের ১০৪ জনের নামে মামলা
তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় মামলা করা সম্ভব হয়নি। এখন দেশে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি ফিরে আসায় মামলা করছি।’
মামলায় অন্যান্য উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য জালাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী পাপ্পু, জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুল বশর মজুমদার তপন, ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল আলিম মজুমদার, ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান হারুন মজুমদার, পরশুরাম উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার, পরশুরাম পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল, ছাগলনাইয়া পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোস্তফা, ফেনী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আমির হোসেন বাহার, পরশুরাম উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ইয়াছিন শরীফ মজুমদার, মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভুট্টো, বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল গফুর ভূঞা, চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন ও পরশুরাম উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল আহাদ চৌধুরী প্রমুখ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে কক্সবাজারে যাওয়ার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুহুরীগঞ্জে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের গতিরোধ করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত হয়ে ককটেল ও গুলি চালায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যার চেষ্টা চালায় তারা। এছাড়াও ২০ থেকে ২৫টি গাড়ি ভাঙচুর করে।
এতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেকে আহত হন। এছাড়াও প্রায় ১ কোটি ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। গাড়িবহর চলে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও চাঁদা আদায় করে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাতে ছাগলনাইয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: রুপ হত্যা মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কারাগারে
২ মাস আগে
নেতাদের গাড়িবহর পরিহারের নির্দেশ বিএনপির
জনদুর্ভোগ এড়াতে সাংগঠনিক সফরের সময় দল ও সহযোগী সব সংগঠনের নেতাদের গাগিড়বহর পরিহার করার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, ‘বিএনপি ও দলের সব সহযোগী ও সহায়ক সংগঠনের নেতাদের দলের অধস্তন কোনো শাখায় সাংগঠনিক কাজের উদ্দেশে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল, গাড়ি বা অন্য যানবাহনসহ সব ধরনের গাড়ির বহর পরিহার করতে হবে।’
বিএনপি বলছে, ‘এ সব মোটর বহর সাধারণ মানুষের চলাচলকারী যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে ভয়ানক বিঘ্ন ঘটায়।’
জেষ্ঠ নেতাদের জন্য মোটর শোভাযাত্রা ব্যবহারের নিন্দা জানানো হয়েছে। কারণ এটি তীব্র যানজট সৃষ্টি করে। এছাড়াও এটি সাংগঠনিক সভা বা দলীয় কর্মীদের সভা বা এমনকি জনসমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য মারাত্মক জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে।
বিএনপি যেহেতু জনবান্ধব রাজনৈতিক দল, সেহেতু মোটরসাইকেল বা অন্য যানবাহন নিয়ে মোটরসাইকেল বহর এড়িয়ে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, কারণ এগুলো জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে।
আরও পড়ুন: ঐক্য অটুট রাখতে শরিকদের সঙ্গে বিএনপির সংলাপ শুরু
পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন প্রদর্শন থেকে বিরত থাকুন
বিএনপি তাদের নেতা-কর্মীদের নিজস্ব ছবি সম্বলিত পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন প্রদর্শনকে অপ্রীতিকর আখ্যা দিয়ে এটি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। যা নতুন ধারার রাজনীতি হিসেবে জনগণের আকাঙ্ক্ষায় সাড়া দেওয়ার ইচ্ছার ইঙ্গিত দেয়।
এতে বলা হয়, ইতোমধ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতাকর্মীকে রঙিন পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙিয়েছে।
দলের কিছু অতি উৎসাহী নেতা তাদের ছবি দিয়ে পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানার ঝুলিয়ে দেওয়াকে অনাকাঙ্ক্ষিত ও দলের শৃঙ্খলার পরিপন্থী বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুন: প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বারবার আধিপত্যের রাজনীতি করছে ভারত: ফখরুল
৩ মাস আগে
সিলেটে ইলিয়াস আলীর স্ত্রীর গাড়িবহরে হামলা, ৩ ছাত্রদল নেতা আটক
বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রীকে বহনকারী একটি গাড়িবহর মঙ্গলবার হামলার শিকার হয়। সেসময় ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সিলেট বিভাগীয় সমাবেশের পক্ষে তিনি প্রচারণা চালাচ্ছিলেন।
তবে এ ঘটনায় ছাত্রদলের তিন নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা হলেন- ওসমানীনগর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সল আহমদ, ছাত্রদল নেতা নুরুল ইসলাম ও শাহেদ আহমদ।
আরও পড়ুন: নাটোরে বিএনপির কার্যালয় আ.লীগ নেতাকর্মীদের ভাঙচুরের অভিযোগ
ইলিয়াস আলীর স্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা তাহসীনা রুশদির লুনা বিকালে জেলার ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালবাজারে নির্বাচনী প্রচারণার সময় তার গাড়িতে উঠলে ছাত্রলীগের একটি দল এ হামলা চালায় বলে স্থানীয় বিএনপির অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে।
হামলায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ মিসবাহও আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে তারা।
হামলার পরপরই বিএনপির এই নেতার গাড়িবহর তাকে নিয়ে তাজপুর বাজারের উদ্দেশে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এখানেই তিনি আসন্ন সমাবেশের জন্য লিফলেট বিতরণ করছিলেন।
সেখান থেকে তিনি দয়ামীর বাজারে যান এবং সেখানেই পুলিশ তার সঙ্গে প্রচারণা চালাতে থাকা তিন ছাত্রদল নেতাকে আটক করে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম হামলায় তাদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।
তিনি দাবি করেন যে হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নয় এবং বিএনপি মিথ্যা অভিযোগ করছে।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাঈন উদ্দিন নিশ্চিত করেন যে তারা গাড়িবহর হামলার সঙ্গে জড়িত তিন ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বসেছে বিএনপি
ফখরুলের সঙ্গে কানাডা রাষ্ট্রদূতের বৈঠক, আলোচনায় নির্বাচন ও মানবাধিকার
২ বছর আগে
গৌরনদীতে বিএনপি নেতাদের গাড়িবহরে ফের হামলার অভিযোগ
বরিশালের গৌরনদীতে বিএনপি নেতা ইশরাকের গাড়িবহরে হামলার পরে একই স্থানে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুলের গাড়িবহরে হামলা ও বাধার ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেত্রী সেলিনা সুলতানা নিশিতাকে বহনকারী গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এতে গাড়িবহরে থাকা বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তারা সবাই বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশে যাচ্ছিলেন। শনিবার সকাল ৮টার দিকে গৌরনদীর মাহিলাড়া বাজারের কাছে এ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি এ তথ্য জানান।
জানা গেছে, ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুলের গাড়িতে ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি। এ হামলা ও বাধার সময় ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজুসহ নেতারা তাদের পেশাগত পরিচয়পত্র দেখানোর পরও দুর্বৃত্তরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাদের মারতে উদ্ধত হন। এক পর্যায়ে তারা গাড়িবহর ঘুরিয়ে দেন।
এছাড়া ইঞ্জিনিয়ার্স পেন-এর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামীম রাব্বি সঞ্চয়কে বহনকারী গাড়িতেও হামলা করে দুর্বৃত্তরা।
এদিকে ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেত্রী সেলিনা সুলতানা নিশিতা, রওনক জাহান শাহীন, কোহিনূর ফারজানা আরজুর বহনকারী গাড়িতে দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে স্থানীয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় গাড়িতে থাকা তিনজনই আহত হন। পাশাপাশি অকথ্য ভাষায় তাদের গালিগালাজ করেন হামলাকারীরা। এক পর্যায়ে কোনো রকমে গাড়ি ঢাকা অভিমুখে ঘুরিয়ে প্রাণে বেঁচে যান ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় এ তিন নেত্রী।
২ বছর আগে