গণসমাবেশ
নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপি’র ‘আন্দোলন-আন্দোলন খেলা’ চলতে থাকবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে নির্বাচন হবে, সে পর্যন্ত বিএনপির হরতাল, অবরোধ, গণসমাবেশ, গণঅবস্থান, মানববন্ধনসহ আন্দোলন আন্দোলন খেলা চলতে থাকবে।
শনিবার টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় বঙ্গবন্ধু আকাশী ক্লাব আয়োজিত ১৫তম ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, নির্বাচনের আগ মুহূর্তে তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। আর তারা যদি মনে করে সরকারের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, সেটি অবাস্তব ও সংবিধানবিরোধী। দেশে সংবিধান অনুযায়ী সময়মতো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাবে, এটি বিএনপির অবাস্তব ও অলীক স্বপ্ন। ২০০৮ সালের নির্বাচনকে তারা মেনে নেয় নি, ২০১৪ সালের নির্বাচনকে তারা বর্জন করে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২০১৫ সালে একটানা ৯০ দিন হরতাল অবরোধ করেছে, মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে।’
আরও পড়ুন: ব্রয়লার মুরগির মাংস জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কিছু না: কৃষিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবেন না বলে খালেদা জিয়া বিএনপির অফিসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ৯০ দিন আন্দোলনের পর মুখে কালিমা মেখে ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় ফিরে গিয়েছিলেন। তারা সরকারের পতন ঘটাতে পারেনি৷ ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা সুবোধ বালকের মতো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল।’
আবহমান বাঙালি ঐতিহ্য রক্ষায় সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ঘোড়দৌড় আমাদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি। সুস্থ বিনোদনের পাশাপাশি ঘোড়দৌড়কে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। পুরো মধুপুর উপজেলায় উৎসব আনন্দের আবহ তৈরি হয়। সেজন্য, ঘোড়দৌড়, নৌকাবাইচ, হাডুডুসহ সকল লোকজ সংস্কৃতিকে আমাদের ধরে রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে ছোট মনির, মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি, পৌর মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: বৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না বিএনপি: কৃষিমন্ত্রী
সরিষা চাষে বিপ্লব ঘটছে, বছরে সাশ্রয় হবে ১০ হাজার কোটি টাকা: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
তুলনামূলক সহজ পরিস্থিতির মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিএনপির কুমিল্লা সমাবেশ
বিএনপির অষ্টম বিভাগীয় সমাবেশ কুমিল্লা শহরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শনিবার। পূর্বের সমাবেশগুলোর তুলনায় এবারে কিছুটা সহজ পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই পালন করতে যাচ্ছে দলটি। যা বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মী ও অনুসারীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে।
সমাবেশ সফল করতে বিএনপি শুক্রবার পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড ও বর্ণাঢ্য মিছিলের মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশে কুমিল্লা শহর নিজেদের দখলে নেয়া শুরু করে।
গত মাসে চট্টগ্রামে শুরু হওয়া বিভাগীয় সমাবেশের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি নেতারা জানান যে তারা সমাবেশের মাধ্যমে আরেকটি বিশাল শোডাউন করবে।
দুপুর ১২টায় কুমিল্লা টাউন হল মাঠে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে মঞ্চ তৈরি করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
পূর্বের অন্তত ছয়টি সমাবেশের সময় পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতির নেতারা ধর্মঘটের ডাক দিলেও এবার তারা সেরকম কোনো কর্মসূচি দেননি।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে পারে বিএনপি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
যেহেতু এবারের সমাবেশ কোনো পরিবহন ধর্মঘট ছাড়াই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবং পুলিশের অনুমতির বিষয় বেশ সরল প্রক্রিয়া, তাই শনিবারের সমাবেশটি আগের চেয়েও বেশ বড় হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যা দলটির নেতাদের কাছে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
আগের জনসভায় সমর্থকের অভাব না থাকলেও বিএনপি দাবি করে আসছে, সরকার জনগণের অংশগ্রহণে কথিত বাধা সৃষ্টি না করলে উপস্থিতি আরও বেশি হতো।
ইউএনবি’র সঙ্গে কথা বলার সময় বিএনপির সমাবেশের আগে কুমিল্লায় কোনো পরিবহন ধর্মঘট না ডাকায় স্থানীয় বেশ কয়েকজন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।
বিএনপি সমর্থকরা আশঙ্কা করছেন যে তাদের স্থানীয় প্রভাবশালী দুই নেতা নগর শাখার আহ্বায়ক আমিনুর রশিদ ইয়াসিন এবং সাবেক সিটি মেয়র ও বহিষ্কৃত নেতা মনিরুল হক সাক্কুর মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব বিশাল সমাবেশ করার জন্য দলের প্রচেষ্টাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
তবে, স্থানীয় দলীয় কর্মীরা ইউএনবিকে বলেছেন যে ইয়াসিন ও সাক্কু উভয়েই তাদের অনুসারীদের সমাবেশকে সফল করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, যদি কিছু হয় তবে কে বেশি জমায়েত করতে পারে তার ভিত্তিতে প্রতিযোগিতা করছে।
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে আ.লীগের ফাঁদে পা দিবে না বিএনপি: গয়েশ্বর
শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করেন, তাদের সমাবেশকে কেন্দ্র করে 'গণতরঙ্গ' ঠেকাতে সরকার নানা কৌশল অবলম্বন করছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন যে বিভিন্ন হুমকি-ধামকিকে উপেক্ষা করে বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী আগাম আসতে শুরু করায় কুমিল্লা উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন যে সমাবেশের আগে 'সরকারের নির্দেশে' পুলিশ তাদের হয়রানি করছে এবং তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের ‘ক্যাডাররা’ বিএনপির সমাবেশে যোগ দিলে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কাল্পনিক মামলায় ফাঁসানোসহ ভয়াবহ পরিণতির হুমকি দিচ্ছে।
মোশাররফ অবশ্য বলেছেন, তারা ক্ষমতাসীন দলের কোনো উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের জবাব না দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি পালন করবেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু বলেছেন, কুমিল্লায় ‘স্মরণীয়’ সমাবেশ করতে তারা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কোনো পরিবহন ধর্মঘট কার্যকর না হলেও আমাদের নেতাকর্মীরা কুমিল্লা যাওয়ার পথে ক্ষমতাসীন ক্যাডারদের বাধার মুখে পড়ছেন। তবে কোনো বাধাই আমাদের নেতাকর্মীদের সমাবেশে অংশ নিতে বাধা দিতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: বিএনপির আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে নিতে নতুন নাটক তৈরি করছে সরকার: ফখরুল
শনিবার ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বাধার আশঙ্কায় সমাবেশের একদিন আগে শুক্রবার সকাল থেকেই চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনীসহ বিভিন্ন উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে বিএনপি সমর্থকদের কুমিল্লা শহরে আসতে দেখা গেছে।
শুক্রবার সকাল থেকেই সমাবেশস্থলে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিলে জড়ো হওয়ায় জনসমাগম তৈরি হয়।
অনুষ্ঠানস্থলে তাদের রাত্রিযাপনের অনুমতি না থাকায় আয়োজকরা তাদের জন্য খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করেছেন।চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর ও সিলেটে অনুষ্ঠিত ৭টি সমাবেশের পর শনিবার কুমিল্লায় হবে বিভাগীয় পর্যায়ে বিএনপির ৮ম সমাবেশ।
চলমান আন্দোলনের গতি অব্যাহত রাখার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ১০টি বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিক জনসভার ঘোষণা দেয় বিএনপি।
আয়োজকরা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ; ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও যশোরে পূর্বে পুলিশের অভিযানে দলের পাঁচ নেতাকর্মীর মৃত্যু এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতেই এই সমাবেশ।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে আগামী জাতীয় নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হোক। তবে সংবিধান তা হতে দেয় না বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তা তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ সফল করতে সরকার সহায়তা করছে: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
বিপত্তি ঠেলে সিলেটে শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ হয়েছে : ড. মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল মঈন খান বলেছেন, বাধা বিপত্তি ঠেলে সিলেটে শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ হয়েছে।
তিনি বলেন, ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য নয়, মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ফিরে পাওয়ার জন্য বিএনপি আন্দোলন করছে।
রবিবার দুপুরে নগরীর দরগাগেইট এলাকার একটি রেস্তোরাঁর মিলনায়তনে সাংবাদিকদের নিয়ে গণসমাবেশপরবর্তী এ মতবিনিময়ের আয়োজন করে জেলা ও মহানগর বিএনপি।
আরও পড়ুন: বিএনপি রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে: মঈন খান
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শুধু মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়নি, মানুষের স্বাধীন মতপ্রকাশ করতেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। দেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। তাই বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের পাশাপাশি মুক্তভাবে মতপ্রকাশ করার অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলনও করছে।
মতবিনিময়কালে বিএনপির সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ সফলে সিলেটবাসীর প্রতি ধন্যবাদ জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান।
এ সময় তিনি বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকরা দেশের প্রথম শক্তি বলে অভিমত দেন।
এর আগে শনিবার নগরের চৌহাট্টা এলাকার সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসায় বিএনপির সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ড. আব্দুল মঈন খান এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন-দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি।
আরও পড়ুন: ড. আব্দুল মঈন খান এভারকেয়ারে ভর্তি
২ বছর আগে
সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশ একদিন এগিয়ে ১৯ নভেম্বর
সারাদেশে বিভাগীয় শহরে বিএনপির গণসমাবেশ সমাবেশের অংশ নিসেবে আগামী ২০ নভেম্বর সিলেটে গণসমাবেশের নির্ধারিত তারিখ একদিন এগিয়ে ১৯ নভেম্বর করা হয়েছে। নগরের আলীয়া মাদরাসা মাঠে ২০ নভেম্বর এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। তবে চলমান এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার জন্য সমাবেশের তারিখ পরিবর্তন করেছে দলটি।
রবিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর একটি হোটেলে আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বিষয়টি জানিয়েছেন। মতবিনিময় সভাটি পরিচালনা করেন সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: বিএনপির গণসমাবেশে লিফলেট বিতরণকালে হামলা, আহত ৫
এদিকে এইচএসসি পরীক্ষার কারণে রবিবার থেকে আলীয়া মাদরাসা এলাকায় সব ধরনের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সিলেট মহানগর পুলিশ।
পুলিশের এই বিজ্ঞপ্তির পর সমাবেশের স্থান নিয়ে শংকা দেখা দেয়। এরমধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে সমাবেশ একদিন এগিয়ে আনার ঘোষণা দেয়া হলো। ১৯ নভেম্বর শনিবার এইচএসসির কোন পরীক্ষা নেই।
রবিবার সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির সমাবেশের তারিখ পরিবর্তনের তথ্য জানিয়ে বলেন, দেশের অন্যান্য বিভাগের মত সকল বাধা উপেক্ষা করে সিলেটের বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে সাড়ে চার লাখের বেশি মানুষ উপস্থিত থাকবেন বলে আমরা আশা করছি।
তিনি বলেন, ২০ নভেম্বর সমাবেশ হবার কথা থাকলেও পরীক্ষার্থীদের অসুবিধা হবে ভেবে তারিখ পরিবর্তন করে ১৯ নভেম্বর শনিবার এটি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়েছে বলেও জানান নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানে বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার এবং চাল, ডাল, জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশের সারাদেশের ন্যায় সিলেটে নগরীর সরকারী আলিয়া মাদরাসা মাঠে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। ইতোমধ্যে সমাবেশের অনুমতির জন্য মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও সিলেট সিটি করপোরেশনের অনুমতি চেয়েছে বিএনপি। এ ছাড়া নিরাপত্তার জন্য পুলিশকে অবহিতকরণ চিঠিও দেয়া হয়েছে।
বিএনপি নেতারা জানান, আজ থেকে শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। আলিয়া মাদরাসায় পরীক্ষার কেন্দ্র রয়েছে। তাই পরীক্ষর্থীদের কথা বিবেচনা করে সমাবেশ একদিন এগিয়ে আনা হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, সারা দেশের সাথে সিলেটের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভিন্ন। এখানে রাজনৈতিক সম্প্রীতির ঐতিহ্য রয়েছে। সিলেটবাসী সব সময় সহনশীল। তার পরও আমাদের দলের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
সারাদেশের ন্যায় সমাবেশকে ঘীরে সিলেটেও গণপরিবহন ধর্মঘট হলে বিএনপির করণীয় কি হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা বিএনপির সভাপতি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি সিলেটের পরিবহন শ্রমিক ভাইয়েরা এমনটি করবেন না। কারন আমাদের সমাবেশের দাবী শুধু বিএনপির নয়, এই দাবী সকলের। তাই আমরা আশা করছি পরিবহন শ্রমিকরা জনতার দাবীর প্রতি একাত্মতা পোষণ করবেন।
সমাবেশ সফল করতে সিলেটে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিক, প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, সুশিল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ সহ দেশের কল্যাণে বিশ্বাসী সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান বিএনপি নেতারা।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, ও মিজানুর রহমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী, মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নাছিম হোসেইন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজজামান সেলিম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে র্যালি ও গণসমাবেশ
২ বছর আগে