থানচি
ধারণা করা হয় কেএনএফ সদস্যরা থানচি থানায় হামলার চেষ্টা করে, পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও
বান্দরবানের থানচি উপজেলায় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের উত্তেজনাপূর্ণ সংঘর্ষ হয়েছে। যা সহিংসতার একটি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধিকে তুলে ধরে।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাত পৌনে ৮টার দিকে থানচি বাজারের কাছে গুলি বিনিময় শুরু হয়। সশস্ত্র দলটি থানচি থানায় হামলার চেষ্টা করে বলে খবর পাওয়া যায়। এসময় পুলিশও প্রায় ৫০০ রাউন্ড গুলি চালিয়ে পাল্টা জবাব দেয়।
থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিমউদ্দিন চলমান সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাতের অন্ধকারের কারণে হামলাকারীদের শনাক্ত করতে অসুবিধার কথা প্রকাশ করেন। থানচি বাজারের প্রান্তে বিজিবি ক্যাম্প ও সেনা তল্লাশি চৌকির নিকটবর্তী এই থানাটি সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
থানচি বাজার কমিটির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খামল্লাই ম্রো জানান, যৌথবাহিনী ও কেএনএফ জঙ্গিদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মামুন আরও জানান, কেএনএফ সদস্য, পুলিশ ও বিজিবি বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো হতাহতের ঘটনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ব্যবস্থাপক উদ্ধার
মঙ্গলবার রাতে রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে অস্ত্রের মুখে দেড় কোটি টাকা ও ১০টি অস্ত্র লুট করে কেএনএফ আগ্রাসী তৎপরতা শুরু করে।
উপরন্তু, সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজহাদ উদ্দিনকে একটি মসজিদে নামাজের সময় অপহরণ করা হয়েছিল, যদিও পরে বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়েছিল যে ব্যাংকের ভল্ট থেকে কোনও টাকা নেওয়া হয়নি।
বুধবার বিকালে থানচি উপজেলায় কেএনএফ জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে দুটি ব্যাংকের শাখায় ডাকাতি করলে আরও সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র্যাব-৭ এর কর্মকর্তারা এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনার চলমান প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে অপহৃত সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে উদ্ধারের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি: প্রয়োজনে পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে যোগ দেবে সেনাবাহিনী, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৬ মাস আগে
বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড় ভ্রমণ: বাংলার দার্জিলিং যাওয়ার উপায় ও খরচের বৃত্তান্ত
পাহাড় বেয়ে চূড়ায় ওঠার সময় মাঝপথে থেকে নিচের দিকে তাকালে স্বভাবতই ফেলে আসা জনপদগুলোকে পিপিলিকার মতো মনে হয়। কেমন হবে যদি নিচে তাকিয়ে দেখা যায় সব হারিয়ে গেছে মেঘের নিচে! শ্বেত শুভ্র পেঁজা তুলাগুলোকে আলগোছে পা ছুঁয়ে যাওয়াটাকে মোটেই পার্থিব মনে হবে না। বিশেষ করে বাংলাদেশি ট্রেকাররা হরহামেশা এরকম দৃশ্যের সম্মুখীন হন না। কিন্তু বান্দরবানের এমন কিছু পাহাড় আছে, যেগুলো সত্যিকার অর্থেই এরকম অভিজ্ঞতার অবতারণা করতে পারে। ট্রেকাররা সুউচ্চ পাহাড়ের উপর আবিষ্কার করেন এক জাদুর নগরী। এগুলোর মধ্যে চিম্বুক পাহাড়ে উঠলে মনে হবে যেন সাক্ষাত দার্জিলিং।
পাহাড়ি সৌন্দর্য্যের রানী বান্দরবানের এই প্রাচীন ঐশ্বর্য নিয়েই এবারের ভ্রমণবিষয়ক নিবন্ধ। চলুন, বাংলার দার্জিলিং চিম্বুক পাহাড় ট্রেকিংসহ ভ্রমণের বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
চিম্বুক পাহাড়ের বিশেষত্ব ও ভৌগলিক অবস্থান
চট্টগ্রাম বিভাগের পার্বত্য জেলা বান্দরবানের থানচিতে অবস্থিত এই পাহাড়টি স্থানীয় অনেকের কাছে কালা পাহাড় নামেও পরিচিত। বান্দরবান জেলা সদর থেকে জায়গাটির দূরত্ব প্রায় ২৬ কিলোমিটার। গড় সমুদ্রপৃষ্ট থেকে প্রায় ২ হাজার ৫০০ ফুট উঁচু এই প্রাকৃতিক বিস্ময় বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম পাহাড়।
এই উচ্চতায় দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা ছাড়াও ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে অনায়াসেই দেখে নেওয়া যায় মেঘাচ্ছন্ন পাহাড়গুলোকে। এ কারণে ঐতিহাসিক স্থানটি অনেক আগে থেকেই পর্যটকদের কাছে বাংলার দার্জিলিং হিসেবে পরিচিত হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার লালন শাহের মাজার ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
৯ মাস আগে
৫ ঘণ্টা পর বান্দরবান-থানচির যোগাযোগ স্বাভাবিক
বান্দরবানের নীলগিরি এলাকায় ভূমিধসের কারণে পাঁচ ঘণ্টা পর বান্দরবান-থানচি সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
থানচি উপজেলার ইউএনও মো. আবুল মনসুর জানান, ফায়ার সার্ভিস ও বিজিবি সদস্যরা একটি বড় পাথর অপসারণ করেছে।
যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানান থানচি উপজেলা ফায়ার স্টেশনের জ্যোতি বড়ুয়া।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের ২ উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
বান্দরবানে কেএনএফ’র আইইডি বিস্ফোরণে সেনাসদস্য নিহত, আহত ১
বান্দরবানে কেএনএফের সদর দপ্তর দখল, ১ সেনা সদস্য নিহত
১ বছর আগে
বান্দরবানের থানচিতে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে ৪৭ দোকান
বান্দরবানের থানচিতে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৭টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
বুধবার ভোর ৫টা ৫০মিনিটের দিকে উপজেলার বলিবাজারে এ ঘটনা ঘটলে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনে।
উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং মারমা জানান, বৈদ্যুতিক চুলা থেকে আগুণের সূত্রপাত হয় বলে স্থানীয়রা তাকে জানিয়েছেন।
এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: বরিশালে অগ্নিকাণ্ডে ৮ বসতঘর পুড়ে ছাই
সীতাকুণ্ড অক্সিজেন প্লান্টে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু বেড়ে ৭
১ বছর আগে
বান্দরবানে কুকি-চিন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গুলিতে সেনা ওয়ারেন্ট অফিসার নিহত
বান্দরবানের থানচিতে সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) সদস্যরা রবিবার একটি টহল দলের ওপর গুলি চালালে একজন সিনিয়র সেনা ওয়ারেন্ট অফিসার নিহত এবং অপর দুই সেনা আহত হয়।
নিহত মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিন রংপুর সদর উপজেলার ঘাঘটপাড়া গ্রামের মৃত শমসের আলীর ছেলে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, আহত সেনা সদস্যদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে টহল দল রবিবার দুপুরে মা ও শিশুদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিতে যাওয়া একটি দলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় যায়।
আইএসপিআর জানায়, দুপুর ১টার দিকে সশস্ত্র কেএনএ সদস্যরা অতর্কিতভাবে একটি অ্যামবুশ ভ্যানটেজ পয়েন্ট থেকে টহল দলের ওপর গুলি চালায়, এতে ওয়ারেন্ট অফিসার ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং আরও দুজন আহত হন।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কুকি চিনের সংঘর্ষ, নিহত ১
আইএসপিআর জানায়, বিচ্ছিন্নতাবাদী কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। তারা অর্থের জন্য বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকায় ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ নামক নতুন একটি জঙ্গি সংগঠনকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে থানচিতে চলমান সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধের চেষ্টা করে এই সন্ত্রাসী গ্রুপ। ব্যর্থ হয়ে তারা ২০২৩ সালের ১১ মার্চ ১২জন শ্রমিককে অপহরণ করে।
তাদের মধ্যে একজন শ্রমিক বুলেটে আহত হয়েছেন এবং চারজন শ্রমিক এখনও কেএনএ-র হাতে জিম্মি রয়েছে।
বাকি সাত শ্রমিককে মুক্তিপণের জন্য ছেড়ে দেয়া হলেও তারা রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পে কাজ না করার হুমকি দেয়।
এর আগে ২০২৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কেএনএ বান্দরবানের তিনটি উপজেলায় যানবাহন চলাচল বন্ধের হুমকি দিয়ে পরিবহন মালিক সমিতিকে একটি নোটিশ পাঠায়।
কেএনএ সদস্যদের বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারণে সৃষ্ট নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে জেলা প্রশাসন ১২ মার্চ (রবিবার), ২০২৩ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ওই এলাকায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
আরও পড়ুন: আটক জঙ্গি ও কুকি-চিনের ১০ সদস্যকে জেল হাজতে পাঠাল আদালত
১ বছর আগে
বান্দরবানের ৩ উপজেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ১২ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি
নিরাপত্তার কারণে জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচিতে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ১২ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ নিয়ে পঞ্চম বারের মতো ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলো। তবে এবার আলীকদম উপজেলার ওপর জারি করা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বান্দরবান সেনানিবাস এর ৮ নভেম্বর তারিখের পত্রের আলোকে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় এনে রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানছি উপজেলায় স্থানীয় এবং বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ৮ নভেম্বর থেকে ১২ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের ৪ উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা ৮ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি
এর আগে রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়। পরে রুমা ও থানচিসহ চারটি উপজেলায় গত ২৩ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর, ৩১ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর এবং সর্বশেষ ৫ নভেম্বর থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জেলা প্রশাসন। তবে পরিস্থিতি উন্নতির কারণে এবার আলীকদম উপজেলাকে নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ১০ অক্টোবর থেকে পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের ধরতে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়। এ পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ সাত জঙ্গি এবং তিন স্থানীয় সন্ত্রাসীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে যৌথ বাহিনী। অভিযানের অংশ হিসেবে সন্দেহভাজনদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে ভ্রমণের ওপর প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে বান্দরবান। শহরের আবাসিক হোটেল মোটেল ও রিসোর্টগুলোর বেশির ভাগই ফাঁকা। পর্যটকবাহী গাড়িগুলো নির্ধারিত স্থানে পড়ে আছে। শ্রম নির্ভর শহরের ৫০ শতাংশ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে ৪ উপজেলায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বাড়ল
জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযান: ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত থানচি ও আলীকদমে নিষেধাজ্ঞা
১ বছর আগে