কামাল হত্যা
জয়পুরহাটে কামাল হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে আধিপত্য বিস্তারের জেরে কামাল নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে সবাইকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার তেঘর রেলগেটের সুজাউল ওরফে সেজাউল, পার্শ্ববর্তী মুজিব নগরের রুবেল, পলি কাদোয়া গ্রামের লম্বা বাবু, জয়পুরহাট পৌর এলাকার পূর্ব দেবীপুর মহল্লার জিয়া, নতুন হাট-সংলগ্ন দেওয়ান পাড়ার মিজানুর রহমান ওরফে পিচ্চি জুয়েল, গৌরীপাড়ার ফরিদুল ইসলাম ওরফে কানা সবুজ, রানা আহম্মেদ ও ইসলাম নগরের মিঠুন।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণ মামলার ৮ বছর পর আসামির যাবজ্জীবন
এদের মধ্যে সেজাউল, জিয়া, মিজানুর ও কানা সবুজ পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জয়পুরহাট সদর উপজেলার পূর্ব দেবীপুর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে কামালের সঙ্গে সেজাউলের বিরোধ চলছিল। এর জেরে আসামিরা কামালকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তেঘর রেললাইন-সংলগ্ন এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পরের দিন ৪ অক্টোবর সকালে তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।
সেদিনই নিহতের মা মোছা. বেগম বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ দুপুরে এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে হত্যা মামলায় নারীসহ দুজনের যাবজ্জীবন
৩ সপ্তাহ আগে
সিলেটে বিএনপি নেতা কামাল হত্যা: আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার
সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামাল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার নোয়াখালি বাজারের একটি বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা নগরের বাদামবাগিচা এলাকার বাসিন্দা মিশু ও গোয়াইপাড়া এলাকার বাসিন্দা মনা।
বৃহস্পতিবার র্যাব-৯ এর গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা সিনিয়র এএসপি আফসান আল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, এরা দুজন কামাল হত্যা মামলার যথাক্রমে ৪ ও ৬ নাম্বার আসামি।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে এই হত্যা মামলার আরেক আসামি কুটি মিয়াকে গ্রেপ্তার করে সিলেটের এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ।
গত রবিবার রাতে নগরের বড়বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন কামাল।
আরও পড়ুন: সিলেটে কামাল হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে ফখরুলের বিবৃতি
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধে কামাল খুন হয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিহত কামালের বড় ভাই ময়নুল হক হত্যা মামলা করেন। মামলায় আজিজুর রহমান ওরফে সম্রাটকে (৩৫) প্রধান করে ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
মামলার এজাহারে মইনুল হক অভিযোগ করেন, আম্বরখানার মান্নান সুপার মার্কেটে তাদের ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে লাহিন আহমদের 'লাহিন এয়ার ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস' নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত ১৯ অক্টোবর আসামিরা এসে এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর চালায়। এ খবর পেয়ে কামাল ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিদের ভাংচুর চালাতে নিষেধ করেন।
মইনুল হক এজাহারে লেখেন- এসময় দু’পক্ষের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। আসামিরা সেদিন প্রকাশ্যে আমার ভাইকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এর জের ধরে ৬ নভেম্বর রাত ৮ টার দিকে আমার ভাই প্রাইভেটকারে বালুচরে নিজ বাসায় যাওয়ার সময় বড়বাজার এলাকায় ৪/৫ টি মোটরসাইকেল যোগে আসামিরা পিছু নেয়। এসময় তারা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আমার ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন করে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা কামাল হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
সিলেটে কামাল হত্যা: ছাত্রলীগ নেতা সম্রাটসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
২ বছর আগে
বিএনপি নেতা কামাল হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
সিলেটে বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল (৪৪) হত্যা মামলায় এজহারভুক্ত আসামি কুটিকে (২৪) মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে সিলেট এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ।
কুটি সিলেট নগরের বড়বাজার গোয়াইপাড়া এলাকার মৃত নূর মিয়ার ছেলে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও কুটিকে কোথা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা বিস্তারিত জানায়নি পুলিশ। কুটি বিএনপি নেতা কামাল হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ নম্বর আসামি।
এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিহত কামালের বড় ভাই ময়নুল হক হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আজিজুর রহমান ওরফে সম্রাটকে (৩৫) প্রধান করে ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে কামাল হত্যা: ছাত্রলীগ নেতা সম্রাটসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এ ছাড়াও পাঁচ থেকে ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। অভিযুক্ত সম্রাট জেলা ছাত্রলীগের এক শীর্ষ নেতার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। তবে তার দলীয় পদপদবি নেই।
রবিবার (৬ নভেম্বর) রাত সোয়া আটটায় নগরের আম্বরখানা এলাকায় খুন হন জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামাল। এরপর বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এ খুনের পেছনে সরকারদলীয় সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জড়িত। ওই রাতেই বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের একটি বিক্ষোভ মিছিল থেকে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে নির্মিত তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে।
ভাঙচুরের খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভাঙচুরকারীদের ধাওয়া দেন। এ সময় লাঠিসোঁটা নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর ও মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পোড়ানো হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এদিকে, আ ফ ম কামাল হত্যার জেরে সিলেটে ছাত্রদলের মিছিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুরের ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার দিনে কতোয়ালি থানা পুলিশ তাদের আটকের পর মঙ্গলবার বিকালে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে কামাল হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে ফখরুলের বিবৃতি
২ বছর আগে
সিলেটে কামাল হত্যা: ছাত্রলীগ নেতা সম্রাটসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সিলেটে বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল হত্যাকাণ্ডের চারদিন পর ১০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে নগরের জালালাবাদ থানায় নিহতের ভাই মইনুল হক বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, মামলায় আসামি হিসেবে আজিজুর রহমান সম্রাটসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও চার থেকে পাঁচ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আসামিদের নাম বলতে চাননি তিনি।
মামলা হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানান আজবাহার।
এরআগে রবিবার (৬ নভেম্বর) রাত ৯ টার দিকে সিলেট নগরের আম্বরখানা বড়বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং সিলেট ল’কলেজ ছাত্রসংসদের সাবেক ভিপি আ ফ ম কামাল।
কামালের বাড়ি সিলেট শহরতলীর জালালাবাদ ইউনিয়নের আলীর গাঁওয়ে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি মহানগরের সুবিদবাজারে বসবাস করছিলেন।
আরও পড়ুন: বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা স্থগিত
ব্যবসায়িক বিরোধে কামাল খুন হতে পারেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে সন্দেহ করা হচ্ছে। আর বিএনপির পক্ষ থেকে প্রথমে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল সিলেট বিমানবন্দর এলাকা থেকে আম্বরখানা বড়বাজার হয়ে গোয়াইটুলার দিকে যাচ্ছিলেন। তার গাড়িকে অনুসরণ করছিল দু’টি মোটরসাইকেল।
বড়বাজার ১১৮ নং বাসার সামনে কামালের গাড়ির গতিরোধ করে বাইক আরোহীরা। পরে তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা কামালকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই কামাল মারা যান জানিয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান শামছুল ইসলাম বলেন, কামালের দেহে ২৫টি ছুরিকাঘাত করা হয়। তার বাঁ হাতে ১৬টি, বাম বগলের নিচে দুইটি, বুকের বামপাশে একটি ও বাম পায়ে ছয়টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মহানগর পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, আ ফ কামাল খুনের ঘটনায় সরাসরি অংশ নেয় পাঁচজন। এরমেধ্য আজিজুর রহমান সম্রাট, শাকিল ও রাজু নামের তিনজনকে শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে এই সূত্র।
এদের মধ্যে সম্রাট ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে।
মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, আ ফ ম কামাল রাজনীতির পাশাপাশি পাথর ব্যবসা এবং নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় একটি ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সম্প্রতি তার ট্রাভেল এজেন্সি থেকে আজিজুর রহমান সম্রাটের আত্মীয়কে সৌদি আরবে পাঠানো নিয়ে দ ‘জনের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় সম্রাট গত ২১ অক্টোবর আ ফ ম কামালসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
এরই জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, আ ফ ম কামাল হত্যার জেরে সিলেটে ছাত্রদলের মিছিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুরের ঘটনায় চার জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার রাত ও মঙ্গলবার দিনে কতোয়ালি থানা পুলিশ তাদের আটকের পর মঙ্গলবার বিকেলে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার ইশতিয়াক আহমদ রাজু, বদরুল ইসলাম নজরুল, মিলাদ আহমদ ও রাজীব আহমদ ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরের ঘটনায় চার জনকে আটক করা হয়েছে।
তবে এঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। তাই ৫৪ ধারায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
খুলনায় শিশু ধর্ষণ মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
২ বছর আগে