দৃশ্যমান
২০০৯ সাল থেকে দেশে দৃশ্যমান প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু) বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্ব ও পরিকল্পনায় ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেশে দৃশ্যমান প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার বর্তমানে ৬ দশমিক ০৩ শতাংশে এবং মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৬৫ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) ত্রৈমাসিক মধ্যাহ্নভোজ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
রাজধানীর মতিঝিলে এমসিসিআই কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুুন: বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনবল নিতে আগ্রহী মঙ্গোলিয়া: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, বর্তমানে ৪৩টি পণ্য রপ্তানিতে প্রণোদনা দেওয়ার জন্য দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ও ভিশন ২০৪১ অর্জনের লক্ষ্যে কার্যক্রম চলছে। ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বেরিয়ে দেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানি আয় ১০ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ছিল। যা ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে সেই রপ্তানি আয় ৪৬ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ট্র্যাডিশনাল আইটেমের পাশাপাশি নন-ট্র্যাডিশনাল আইটেমের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজার বহুমুখীকরণেও সরকার খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। সরকারের বিশেষ উদ্যোগে পৃথিবীর সেরা ফ্যাক্টরিগুলো (গ্রিন ফ্যাক্টরি) অধিক সংখ্যায় এখন বাংলাদেশে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের পাশাপাশি ঔষুধ, আবাসন, জাহাজ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ খাদ্য শিল্পের প্রসার ঘটেছে। রপ্তানি পণ্যের তালিকায় যোগ হয়েছে জাহাজ, ঔষুধ এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রী।
এছাড়াও বাংলাদেশের আইটি শিল্প বহির্বিশ্বে সুনাম কুড়িয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুুন: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কানাডাসহ তিন দেশের প্রতিনিধির সৌজন্য সাক্ষাৎ
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সময়ে গ্যাস ও বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে শিল্পখাতের স্বাভাবিক উৎপাদন কার্যক্রমে ব্যবসায়ীরা কিছুটা সমস্যার মধ্যে পড়ছেন, বিষয়টি সমাধানে সরকার কাজ করছে। আশা করা যাচ্ছে খুব শিগগিরই এর থেকে উত্তরণ ঘটবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার ১০০টি সরকারি ও বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইকোনমিক জোন) স্থাপনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে এবং সেগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগকারীদের জন্য কর, ভ্যাট এবং শুল্ক ছাড়ের মতো বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।
এর মাধ্যমে নতুন এক কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে অতিরিক্ত চার হাজার কোটি মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় বাড়বে।
আরও পড়ুুন: বাংলাদেশে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর জোরালো আহ্বান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর
১০ মাস আগে
টানা ক্ষমতায় থাকায় দেশের উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার সুবাদে বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রশংসনীয় অগ্রগতি হয়েছে। আমরা টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় দেশের উন্নয়ন (কাজ) দৃশ্যমান হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার তাঁর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অনুদান গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: এখন মেগাপ্রজেক্ট নয় জনকল্যাণমুখী প্রকল্প নিয়ে আসুন: প্রধানমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে আসন্ন শীতে দরিদ্র মানুষের মধ্যে কম্বল ও অন্যান্য গরম কাপড় বিতরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অনুদান গ্রহণ করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে গত ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকায় সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কাজের গতি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, তার সরকার সমাজের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কাজ করে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো নিশ্চিত করা যে কেউ যেন বঞ্চিত ও অবহেলিত না থাকে এবং প্রত্যেকেই একটি সম্মানের সঙ্গে জীবনযাপন করতে পারে। আমরা সে ব্যবস্থা করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রতিবন্ধী, হিজড়া, বেদে(জিপসি) এবং কুষ্ঠরোগীদের ঘরসহ বিভিন্ন সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে পুনর্বাসন করেছে।
আরও পড়ুন: মানুষ কথা বলবে কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কাজে বাংলাদেশ লাভবান হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা প্রত্যেকের জীবনযাত্রার মান উন্নত করে চলেছি। শুধুমাত্র সমাজে মর্যাদাবান এবং অবস্থান অনুযায়ী নয়, বরং সাধারণ মানুষসহ নির্বিশেষে সকলের।’
বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও খরাসহ প্রতিটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে অনুদান নিয়ে আসার জন্য শেখ হাসিনা ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।
সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকাসক্তি এবং অন্যান্য সামাজিক ব্যাধি থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে তিনি ব্যবসায়ীদের বিশেষ করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক খাতে বৃহত্তর সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শিল্পপতিদেরও ক্রীড়াবিদ এবং প্রতিবন্ধী সম্প্রদায় থেকে নিয়োগের আহ্বান জানান।
তিনি ত্রাণ তহবিলে অনুদান প্রদানকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সরকার আসন্ন শীত মৌসুমে শীতার্ত মানুষদের সহায়তায় আগাম ব্যবস্থা নিতে চায়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাচ্চারা ফ্ল্যাটে থেকে ফার্মের মুরগির মতো হয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে