শর্তসাপেক্ষ
শর্তসাপেক্ষে আ. লীগ ও বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি
আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে (বিএনপি) শনিবার যথাক্রমে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট ও নয়াপল্টনে ২০টি শর্তে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) হেডকোয়ার্টার্স শুক্রবার রাতে উভয় দলকে এ সংক্রান্ত পৃথক চিঠি দিয়েছে।
চিঠিদ্বয়ে অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগ এবং নয়াপল্টনে তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি অনুমতি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: সমাবেশ সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ হবে, সরকারকে বাড়াবাড়ি না করতে হুঁশিয়ারি ফখরুলের
ডিএমপি'র শর্তে বলা হয়েছে, ডিএমপি শুধুমাত্র দুপুর ১২টার পর জনসমাগম করার অনুমতি দিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে হবে, সমাবেশ থেকে কোনো উস্কানিমূলক বা রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দেওয়া যাবে না, ব্যানার বা ফেস্টুন বহনের নামে নেতা-কর্মীদের লাঠি বা রড বহন করতে দেওয়া হবে না। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে আয়োজকরা দায়ী থাকবেন।
এর আগে গত ২০ ও ২১ অক্টোবর সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপিতে আবেদন করে যথাক্রমে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।
আরও পড়ুন: আ. লীগের সমাবেশ: বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু
শনিবারের সমাবেশকে সামনে রেখে বিএনপি নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টনে জড়ো হতে শুরু করেছে
শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন ‘শিশু বক্তা’ রফিকুল
ধর্মীয় সমাবেশে রাষ্ট্রবিরোধী বা উসকানিমূলক বক্তব্য না দেয়ার শর্তে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চারটি মামলায় রফিকুল ইসলাম মাদানী ওরফে শিশু বক্তাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রফিকুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আশরাফ আলী মোল্লা এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।
রফিকুল ইসলামের আইনজীবীরা জানান, এই আদেশে রফিকুল ইসলামের মুক্তির পথে সব বাধা দূর হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ ২ জনের বিচার শুরু
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে রফিকুল ইসলামকে নেত্রকোণার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাবের একটি দল। ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করা হয়।
পরে ওই বছরের ১১ এপ্রিল গাজীপুরের বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় রফিকুলইসলামকে হাইকোর্ট থেকে জামিন দেওয়া হয়।
নেত্রকোনা জেলার পশ্চিম বিলাশপুরের সাওতুল হেরা মাদরাসার পরিচালক রফিকুল ইসলাম গাছায় ওয়াজ মাহফিলে ‘উস্কানিমূলক'বক্তব্য দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
তিনি নেত্রকোনার জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের শাখা যুব জমিয়তের সহ-সভাপতি।
আরও পড়ুন: ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন