গ্যাসের সন্ধান
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নতুন জায়গায় গ্যাসের সন্ধান
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রে নতুন স্থানে কূপ খননের মাধ্যমে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) সূত্রে জানা গেছে, বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপে পরীক্ষার ফলাফলে গ্যাসক্ষেত্রের ভালো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শোয়েব ইউএনবিকে বলেন, 'আমরা আশা করছি, প্রাথমিকভাবে এটি প্রতিদিন ১০-১৫ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাস উৎপাদন করবে।
আরও পড়ুন: আনোয়ারা-ফৌজদারহাট গ্যাস পাইপলাইন মেরামত সম্পন্ন, বাড়বে গ্যাস সরবরাহ
তিনি জানান, খনন চলাকালে কূপের তিনটি পৃথক স্তরে নতুন স্থানে ৩ হাজার ১১৩ মিটার গভীরে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। নতুন অবস্থানের দূরত্ব বিদ্যমান কূপ থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার যা ৮ থেকে ১০ মিলিয়ন ঘটফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাস উৎপাদন করছে।
তিনি উল্লেখ করেন, ৩ হাজার ৮১ মিটার, ২ হাজার ৫০০ মিটার ও ১ হাজার ৯০০ মিটারে গ্যাসের স্তর চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু এখন আমরা ৩ হাজার ৮১ থেকে ৩ হাজার ৫৫ মিটারের লেয়ার থেকে গ্যাস উৎপাদন করছি।
তবে নতুন পাইপলাইন নির্মাণের প্রয়োজন হওয়ায় জাতীয় গ্রিডে গ্যাস নিতে ৩ থেকে ৪ মাস সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নের ওয়াসেকপুর গ্রামের কাছে কূপ খনন ও গ্যাস উত্তোলনের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের দুই শতাধিক প্রকৌশলী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিক।
আরও পড়ুন: নগদ অর্থ সংকটের মধ্যেই আদানি পাওয়ারের সঙ্গে চুক্তি পুনর্বিবেচনার আহ্বান
৩ মাস আগে
ভোলায় ইলিশা-১ কূপের তৃতীয় স্তরেও গ্যাসের সন্ধান মিলেছে
প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরের পর তৃতীয় স্তরেও ভোলার ইলিশা-১ কূপে মিলেছে গ্যাসের সন্ধান।
সোমবার ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের মালেরহাট এলাকায় ইলিশা-১ নামের নতুন কূপে তৃতীয় স্তরের ড্রিল স্টেম টেস্ট (ডিএসটি) পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
সকাল থেকে আগুন প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে এ গ্যাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।
বাপেক্সের তত্ত্বাবধানে রাশিয়ান কোম্পানি গ্যাজপ্রম এ উত্তোলন কাজ করছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় 'গ্যাসের গন্ধ' সমস্যাটির সমাধান করা হয়েছে: তিতাস গ্যাস
এ কূপের তৃতীয় স্তর থেকে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। প্রাথমিকভাবে ২০০ বিসিএফ গ্যাস মজুদ রয়েছে।
কূপে গ্যাসের চাপ ভালো বলে নিশ্চিত করেছেন বাপেক্সের ভূতাত্ত্বিক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. আলমগীর হোসেন।
তিনি জানান, গত ৯ মার্চ ইলিশা-১ কূপ খনন শুরু হয়। তিন হাজার ৪৭৫ মিটার গভীরতায় ডিএসটি’র মাধ্যমে সফলভাবে কূপ খনন শেষ হয় ১৪ এপ্রিল। এরপর বিভিন্ন ধাপে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তিনটি স্তরে গ্যাসপ্রাপ্তির সমূহ সম্ভাবনা দেখা যায়।
তিনি আরও জানান, ২৮ এপ্রিল প্রথম, ৭ মে দ্বিতীয় ও ১৫ মে তৃতীয় স্তরে পরীক্ষারমূলকভাবে গ্যাস কূপে আগুন প্রজ্জ্বলন করা হয়।
মো. আলমগীর হোসেন জানান, সোমবার কূপটির তৃতীয় স্তরে আগুন প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে গ্যাস উত্তোলনের বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তৃতীয় স্তরের পরীক্ষা শেষে প্রতিটি স্তর থেকে দৈনিক গড়ে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের আশা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, এটির প্রথম স্তর ৩ হাজার ৪৩৩ মিটার থেকে ৩ হাজার ৪৩৬, দ্বিতীয় স্তর ৩ হাজার ২৬৮ মিটার থেকে ৩ হাজার ২৭৫ মিটার এবং তৃতীয় স্তর ৩ হাজার ২৫০ মিটার থেকে ৩ হাজার ২৫৪ মিটার।
শাহাবাজপু ও ইলিশা মিলিয়ে আরও কূপ খনন করা হবে বলেও জানান তিনি।
বাপেক্সের ভূতাত্ত্বিক বিভাগও জানিয়েছে, গ্যাসের সম্ভাবনা যাচাই করতে আগামী অক্টোবর থেকে নতুন করে গ্যাস অনুসন্ধান করবে বাপেক্স।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপাতা গ্রামে ভোলা নর্থ-২ নামে একটি কূপে পরীক্ষামূলকভাবে আগুন প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে গ্যাস উত্তোলন শুরু করা হয়।
১৯৯৪-৯৫ সালে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার শাহবাজপুরে প্রথমবার গ্যাসের সন্ধান মেলে।
বাপেক্স সূত্র জানায়, নতুন এই গ্যাসক্ষেত্রের কূপ নিয়ে জেলায় মোট তিনটি গ্যাসক্ষেত্রের ৯টি কূপ রয়েছে।
এগুলো হলো- বোরহানউদ্দিন উপজেলার শাহাবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের ছয়টি কূপ, সদরের ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ভোলা নর্থ-এর দুইটি এবং সর্বশেষ ইলিশা গ্যাসক্ষেত্রের ইলিশা-১ এর একটি কূপ।
এসব কূপে মোট মজুদ গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ১ দশমিক ৭ টিসিএফ ঘনফুট।
আরও পড়ুন: ভোলায় ইলিশা-১ নামে নতুন আরও একটি কূপে গ্যাসের সন্ধান
গ্যাসের গন্ধের খবরে ঢাকাবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের
১ বছর আগে
বিয়ানীবাজারে গ্যাসের সন্ধান: বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলন নিয়ে অপেক্ষা
সিলেটের বিয়ানীবাজারে পরিত্যক্ত একটি কূপে নতুন করে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে এটি বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনযোগ্য কিনা তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে সপ্তাহখানেক।
শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান।
নাজমুল আহসান বলেন, বিয়ানীবাজারের একটি পরিত্যক্ত কূপে আমরা ওয়ার্কওভারের কাজ করছিলাম। সেখানেই কিছু গ্যাসের অস্তিত্ব পেয়েছি। তবে সেই গ্যাস বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনযোগ্য কিনা বা সেটি কি পরিমাণ উত্তোলন করা যাবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নতুন কূপেও গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে বাপেক্স
তিনি আরও বলেন, এখনও কূপটিতে কাজ চলছে। এসব কাজ শেষ হতে আরও সপ্তাহখানেক সময় লাগতে পারে। এরপর আমরা এসব বিষয় নিশ্চিত করতে পারবো।
জানা যায়, কূপের তিন হাজার ৪৫৪ মিটার গভীর থেকে পরীক্ষা করে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এতে এখন গ্যাসের চাপ রয়েছে তিন হাজার ১০০ পিএসআই।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) সূত্রে জানায়, বিয়ানীবাজার-১ কূপটির তিন হাজার ৪৫০ মিটার গভীর থেকে ৩৫ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হ। এরপর ২০১৬ সাল থেকে কূপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে কূপটিতে নতুন করে ওয়ার্কওভার (পুনঃখনন) শুরু করে বাপেক্স।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান
২ বছর আগে