অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন
আমরা কোনো রাজনীতিতে ঢুকতে চাই না: সিইসি
অতীতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন না করতে পারার জন্য নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রভাবকে দায়ী করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, আমরা কোনো রাজনীতিতে ঢুকতে চাই না।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে ‘সাংবাদিক হোসাইন জাকির বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এমন কথা বলেন। নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা কমিশনে যারা আছি, আমরা কোনো রাজনীতিতে ঢুকতে চাই না। আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে দাঁড়াতে চাই না। আমরা নিরপেক্ষ থাকতে চাই। আপনারা আমাদেরকে সাহায্য করবেন।’
আরও পড়ুন: সাবেক সিইসি বিচারপতি আব্দুর রউফের মৃত্যুতে আইন উপদেষ্টার শোক
‘আমরা নিরপেক্ষ থাকতে চাই। ইলেকশন কমিশনের এত বদনাম—এত গালি দেয়—এটা কেন হল? ১০০টা কারণ বলতে পারবেন, ২০০টা কারণ বলতে পারবেন! কিন্তু আমার কাছে এক নম্বর কারণ হলো পলিটিক্যাল কন্ট্রোল অফ দা ইলেকশন কমিশন (নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ)।’
‘এটি আমার কাছে মনে হয়েছে সবচাইতে বড় কারণ। রাজনীতির কাছে নির্বাচন কমিশনকে সঁপে দেওয়া—এটি হচ্ছে সবচেয়ে বড় কারণ,’ বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের ইনফ্লুয়েন্স অন দা ইলেকশন কমিশন বন্ধ করা না যায়, আবার সেই পুরনো জিনিস রিপিট হবে বলে আমি মনে করি। দে আর থাউজেন্ড রিজন, তবে আমার বিবেচনা সবচেয়ে বড় কারণ দেয়ার মে বি পলিটিক্যাল কন্ট্রোল অন দ্য ইলেকশন কমিশন। এটি আমার কাছে সবচেয়ে বড় কারণ মনে হয়েছে অতীতে।’
আরও পড়ুন: সাবেক সিইসি বিচারপতি আবদুর রউফের ইন্তেকাল
৮৪ দিন আগে
বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে হাসিনা-বাইডেন আলোচনা
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের (এনএসসি) কৌশলগত যোগাযোগ সমন্বয়ক জন কিরবি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন।
৪ অক্টোবর হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে কিরবি বলেন, দুই নেতা জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের গুরুত্ব নিয়েও কথা বলেছেন।
একজন প্রশ্নকর্তা যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে এনএসসি'র সমন্বয়ক এ কথা বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনও নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেছিলেন।
আরও পড়ুন: হাসিনা-বাইডেন নয়, বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার সেলফি: আইনমন্ত্রী
সম্প্রতি ওয়াশিংটন ডিসি সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে বৈঠক করেন।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার পর শেখ হাসিনা ২৭ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে যান এবং সেখানে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন। দূতাবাসে তার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: আপনার অর্জন খুবই আকর্ষনীয়: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বাইডেন
৫৭৮ দিন আগে
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
যুক্তরাষ্ট্র পুনর্ব্যক্ত করেছে যে গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই এবং তারা বাংলাদেশের নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে নয়।
২৬ জুলাই ওয়াশিংটনে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যকে সমর্থন করি।’
তিনি বলেন যে তারা সবসময় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জনে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের একসঙ্গে কাজ করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে।
প্যাটেল বলেন, ‘এটি আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। এবং আমরা বিশ্বাস করি যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন একটি অভিন্ন অগ্রাধিকার এবং প্রধানমন্ত্রীসহ (শেখ হাসিনা) অনেক বাংলাদেশি সরকারি কর্মকর্তা নিজেরাই বলেছেন যে এটি তাদের লক্ষ্য।’
বুধবার ঢাকায় নিযুক্ত ১৩ রাষ্ট্রদূতকে তাদের 'অকূটনৈতিক আচরণের' জন্য অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
এ প্রসঙ্গে বুধবার (২৬ জুলাই) বিকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আমাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছি। উনাদের যৌথ বিবৃতিটি ঘটনা প্রবাহের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে যথাসময়ের অনেক আগেই তড়িঘড়ি করে অপরিণতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করি আমাদের আজকের আলোচনার পর তারা সেটি নিশ্চয়ই উপলব্ধি করবেন এবং ভবিষ্যতে এমন অকূটনৈতিক আচরণ থেকে বিরত থাকবেন।’
তিনি বলেন যে কূটনীতিকদের ভিয়েনা কনভেনশনের কথা মনে করিয়ে গঠনমূলক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশসহ সব দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া উচিত: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
শাহরিয়ার আলম বলেন, কূটনীতিকদের সতর্ক করা হয়েছে যে সরকারকে পাশ কাটিয়ে ‘বস্তুনিষ্ঠতা, নিরপেক্ষতা ও পক্ষপাতহীনতা বর্জিত আচরণ’ কেবলই পারস্পরিক আস্থার সংকট তৈরি করবে।
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে একজন প্রার্থী লাঞ্ছিত হওয়ার পর সম্প্রতি যৌথ বিবৃতি জারি করা ১৩টি বিদেশি মিশনের রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনারদের তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে হিরো আলম নামে পরিচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলমের ওপর হামলার পূর্ণ তদন্ত ও দোষীদের জবাবদিহিতার আহ্বান জানানো হয়েছে।
যৌথ বিবৃতিতে বিদেশি মিশনগুলো বলেছে, ‘আমরা ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার নিন্দা জানাই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’
ঢাকার কূটনৈতিক মিশনগুলো বলেছে, ‘আসন্ন নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকেরই নিশ্চিত করা উচিত যে তা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে।’
যৌথ বিবৃতিতে কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলের দূতাবাস/হাইকমিশন সই করেছেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, তারা কূটনীতিকদের জানিয়ে দিয়েছেন যে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা দিয়ে সারাদিনের শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনকে মূল্যায়ন করা ঠিক হবে না।
তিনি বলেন, অন্য প্রার্থীরা কোনো সহিংসতা বা অন্য কোনো অনিয়মের অভিযোগ করেননি।
তিনি আরও বলেন, ‘একটি কেন্দ্রের শেষ মুহূর্তের একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাটিকে গুটি কয়েক কূটনীতিক যেভাবে উপস্থাপন করেছেন তা কখনোই সারাদিনের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে প্রতিফলিত করেনা। দ্রুত একটি প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তারা তাদের মূল্যায়নটির বস্তুনিষ্ঠতার প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দেননি।’
ঘটনাটি জানাজানি হলে নির্বাচন কমিশন ও সরকার তাৎক্ষণিক ও আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘১৯ জুলাই কূটনীতিকদের বিবৃতি দেওয়ার অনেক আগেই কিন্তু দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও এই কূটনীতিকরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন, যা অযাচিত ও অপ্রয়োজনীয়।’
আরও পড়ুন: 'অভিন্ন অগ্রাধিকার' নিয়ে আলোচনায় বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
৬৪৭ দিন আগে
বাংলাদেশ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বদ্ধপরিকর: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেছেন এনএসইউ’র ভিসি
স্বাধীনতার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ডেনমার্কই প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি ডেনমার্কের সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম এবং ডেনমার্ক ও বাংলাদেশ এ সমস্যা মোকাবিলায় একযোগে কাজ করতে পারে।
অ্যান্ড গ্রিন ফ্রেমওয়ার্ক এনগেজমেন্ট’ বিষয়ে বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যে একটি যৌথ কর্মপরিকল্পনা সইয়ের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘এর ফলে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সক্ষম হবে।’
রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাজনৈতিক ও মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য ডেনমার্কের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মো. সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, ডেনমার্কসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ও উন্নয়ন অংশীদাররা রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি রাখাইন রাজ্যে নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ উপায়ে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শেষ করতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।
আরও পড়ুন: ভিভিআইপিদের সাধারণ মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন করবেন না: পিজিআরকে রাষ্ট্রপতির আহ্বান
সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি বলেন, ডেনমার্ক বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী।
ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সবসময় সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রদূতকে ঢাকায় সফলভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য অভিনন্দন জানান এবং বিদায়ী ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত এখানে তার দায়িত্ব পালনে সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সংসদ সদস্য রেবেকা মমিনের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
৬৬০ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে কেউ আলোচনা করলে হস্তক্ষেপ মনে করে না: স্টেট ডিপার্টমেন্ট
বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের 'অভিন্ন আকাঙ্ক্ষা' বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার (১০ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে দপ্তরটির মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে আমাদের এই আকাঙ্ক্ষা থাকছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে বারবার তার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
রাশিয়া, চীন ও ইরানের গণমাধ্যমের বিবৃতির কথা উল্লেখ করে মিলার বলেন, ‘আমি জানি না কেন কেউ আমাদের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বানে আপত্তি জানাবে।’
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদূত ইমরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার 'ফলপ্রসূ' বৈঠক
তিনি বলেন, ‘আমরা এক রাজনৈতিক দলকে রেখে অন্য রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। আমরা সত্যিকারের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অন্যান্য দেশ যখন আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে কিছু বলে তখন আমরা এটাকে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করি না। আমরা আমাদের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার সুযোগ হিসেবে এ ধরনের আলোচনাকে স্বাগত জানাই এবং আমরা জানি না কেন অন্য কোনো দেশ আপত্তি করবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া এবং সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দল বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ করবেন কি না জানতে চাইলে মিলার বলেন, তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট, শ্রম ইস্যু, মানবাধিকার, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং মানব পাচার মোকাবিলাসহ অভিন্ন মানবিক উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করতে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় ওয়াগনারের 'স্বল্পস্থায়ী' বিদ্রোহের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জড়িত ছিল না: বাইডেন
যেসব বিষয় গুরুত্ব পাবে
যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি জেয়ার আজ মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু তার সফরের অন্যতম অগ্রাধিকার হওয়ায় বুধবার তিনি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবেন।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় 'অভিন্ন সমাধান' এগিয়ে নিতেই তার এই সফর। আরও মুক্ত, উন্মুক্ত, সুরক্ষিত ও সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবদান রাখা এবং পুরো অঞ্চলে শরণার্থী এবং স্থানীয়দের জন্য মানবিক সহায়তা জোরদার করা।
একটি কূটনৈতিক সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি আইন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এবং ইউএসএইড এর এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর উপসহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কৌর প্রতিনিধি দলে অংশ নেবেন।
উল্লেখ্য, জেয়া গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে, সার্বজনীন মানবাধিকারকে এগিয়ে নিতে, শরণার্থী ও মানবিক ত্রাণকে সমর্থন করতে, আইনের শাসন ও মাদকবিরোধী সহযোগিতা, দুর্নীতি ও অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে, সশস্ত্র সংঘাত রোধ করতে এবং মানব পাচার নির্মূলে বিশ্বব্যাপী কূটনৈতিক প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য কোনো দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ হয়না: মোমেন
৬৬৩ দিন আগে
অন্য কোনো দেশের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সুনিদিষ্ট কিছু বলব না: গাজীপুর সিটি নির্বাচন বিষয়ে বেদান্ত প্যাটেল
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে তারা জ্বালানি, জলবায়ু ইস্যু ও অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক 'গভীর' করতে আগ্রহী।
সোমবার (৫ জুন) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-প্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আগেও বলেছি, আমরা বিশ্বের সকল মানুষের ধর্ম ও বিশ্বাসের প্রতি মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্যও চাপ অব্যাহত রাখব।’
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি অন্য কোনো দেশের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সুনিদিষ্টভাবে কিছু বলব না।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র অটল: হোয়াইট হাউস
প্যাটেল আরও বলেন, ‘আমি শুধু যা বলব তা হলো, আপনারা আমাকে আপনাদের সহকর্মীদেরকে বলতে শুনেছেন যে আমরা বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রচারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সরকার, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম সবাই আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছে।
মুখপাত্র বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র একটি নতুন নীতি ঘোষণা করেছে, যার অধীনে বাংলাদেশের বর্তমান বা সাবেক কর্মকর্তা, সরকারপন্থী বা বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং বাংলাদেশে 'গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার' জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা হয় এমন ব্যক্তিদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির কারণে টাকা পাচার কমবে: মোমেন
সুষ্ঠু নির্বাচন সমর্থনকারীদের যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই: রাষ্ট্রদূত হাস
৬৯৭ দিন আগে
সুষ্ঠু নির্বাচন সমর্থনকারীদের যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই: রাষ্ট্রদূত হাস
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস মঙ্গলবার বলেছেন, যারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করে এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, আমরাও যুক্তরাষ্ট্রে তাই চাই। ‘আমি কোনো দ্বিমত দেখছি না।’
ঢাকায় এক অনুষ্ঠানের পর নতুন ভিসা নীতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত হাস এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র চ্যালেঞ্জের চেয়ে ইতিবাচক বিষয়গুলো দেখছে। বাণিজ্য, নিরাপত্তা সম্পর্ক, জনগণের মধ্যে বন্ধন, স্বাস্থ্যসেবা এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে ভালো সংলাপের বিষয়ে আমাদের একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব রয়েছে।’
আরও পড়ুন: নতুন ভিসা নীতি শুধুমাত্র গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সমর্থন করার জন্য: রাষ্ট্রদূত হাস
হাস বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুস্পষ্ট অঙ্গীকার করেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তার ঘোষণায় বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের।
এডওয়ার্ড এম কেনেডি সেন্টারে 'রুটস অব ফ্রেন্ডশিপ: ৫০ ইয়ারস অব ইউএস-বাংলাদেশ রিলেশনস'- শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নীতি ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে জনগণের দীর্ঘদিনের দাবিকে প্রতিফলিত করে: ফখরুল
৭০৪ দিন আগে
বাংলাদেশের নির্বাচনকে লক্ষ্য করে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা বাংলাদেশের ওপর কোনো নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে না, তবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে উৎসাহিত করতে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে।
বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ঘোষণা দেন- ‘এই নীতির অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপে সক্ষম হবে।’
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এর ঘোষণা অনুযায়ী, এর মধ্যে বর্তমান ও প্রাক্তন বাংলাদেশি কর্মকর্তা বা কর্মচারী, সরকারপন্থী ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র গত ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘খুব অদ্ভুত, কোনো রেফারেন্স উল্লেখ করা হয়নি’: আরও নিষেধাজ্ঞা আসছে দাবি করা প্রতিবেদন সম্পর্কে মোমেন
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজের মধ্যে রয়েছে: ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতার মাধ্যমে জনগণকে সংগঠিত হবার স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেওয়া এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখা।’
তিনি আরও বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমসহ সকলের।
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘যারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চায় তাদের সকলকে আমাদের সমর্থন দিতে আমি এই নীতি ঘোষণা করছি।’
আরও পড়ুন: যারা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ কিছুই কিনবে না: প্রধানমন্ত্রী
৭১০ দিন আগে
বাংলাদেশে 'অবাধ ও সুষ্ঠু' নির্বাচনের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট ফর পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বাংলাদেশে 'অবাধ ও সুষ্ঠু' নির্বাচনের গুরুত্ব এবং মানবাধিকার, শ্রম অধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষণাবেক্ষণে তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক গভীর করতে আমি পররাষ্ট্র সচিব মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনসহ মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছি। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার উদারতার জন্য আমরা বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি দু'দেশের জনগণের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের অসাধারণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আরও উজ্জ্বল অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক গতিপথের প্রশংসা করেন।
মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানান, আন্ডার সেক্রেটারি নুল্যান্ড রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান এবং দু'দেশের জনগণের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সম্পৃক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর উন্মুক্ততার প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
২০২৩ সালের ৩ মে ওয়াশিংটন ডিসিতে নবম যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব সংলাপের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট ফর পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স বৈঠকে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন।
উভয়পক্ষই বিভিন্ন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, পরিবেশগত এবং নিরাপত্তা ইস্যুতে ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্বের প্রতি তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
পররাষ্ট্র সচিব স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুগম করতে নির্বাচন কমিশনের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
যুক্তরাষ্ট্র অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সম্পৃক্ত করার উন্মুক্ততার প্রশংসা করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক দলকে রেখে অন্য রাজনৈতিক দলকে ‘সমর্থন’ করে না যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
৭৩০ দিন আগে
বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করি: রাষ্ট্রদূত নাওকি
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, তারা আশা করছেন বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন সব প্রধান রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে ‘অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি আগামী নির্বাচন আরও ভালো হবে। এখানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। এটা আমার দৃঢ় আশা।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি জানেন নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে এবং বাংলাদেশ সরকারও বলছে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাশা পূরণে আরও সম্পদ প্রয়োজন: রাষ্ট্রদূত নাওকি
একইসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি এমন একটি বিষয় যা রাজনৈতিক দলগুলোর সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। কিন্তু প্রত্যাশা হলো প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহন করবে। নির্বাচনটি অংশগ্রহনমূলক হবে।
নাওকি বলেছেন যে তিনি ‘ব্যালট বাক্স ভর্তি’ করার ঘটনা সম্পর্কে শুনেছেন এবং আগের রাতে কিছু পুলিশ ব্যালট বাক্সে ভর্তি করে দিয়েছে যা তিনি অন্য কোন দেশে কখনও শোনেননি।
তিনি বলেন, ‘ব্যালট বাক্সে ভরাট করার’ পুনরাবৃত্তি করা উচিত নয়।
আরও পড়ুন: আগামী বছর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দেখতে চায় জাপান: রাষ্ট্রদূত নাওকি
২০১৮ সালের নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত নাওকি বলেন, ঢাকায় জাপানি দূতাবাস একটি বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল যা তার দেশের জন্য খুবই অস্বাভাবিক ছিল। যদিও সেটিতে সহিংসতার বিষয়টিতে বেশি দৃষ্টি গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল।
সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) ফ্রেডরিখ-এবার্ট-স্টিফটুং (এফইএস) বাংলাদেশের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের পরিস্থিতি এখন পূর্ণ মাত্রায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অনুকূল নয়: জাপান
৯০১ দিন আগে