যুগপৎ আন্দোলন
বঙ্গবাজার মার্কেট নিয়ে সরকার দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, বঙ্গবাজার মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডে বর্তমান সরকারের দায়িত্বহীনতা এবং বিভিন্ন সংস্থার আগুন নেভাতে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যর্থতা প্রকাশ পেয়েছে।
বুধবার রাজধানীর মালিবাগ এলাকার একটি হোটেলে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনকারী ১২-দলীয় জোটের এক ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবাজার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কয়েক হাজার মানুষ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের আর্তনাদ সারা দেশের মানুষকে আচ্ছন্ন করেছে।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের মধ্যে কোনো দুর্বলতা নেই: ফখরুল
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা প্রায়ই বলি এই শাসন ব্যবস্থা দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং তারা কোথাও তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে না। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে, কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নেভাতে এবং হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি রোধে সরকারের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই।’
তিনি বলেন, সম্প্রতি পুরান ঢাকার সিদ্দিক বাজারসহ রাজধানীতে অনেক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, যাতে প্রায় দুই ডজন লোক মারা গেছে।
ফখরুল বলেন, ‘বঙ্গবাজারে আগুনে কেউ মারা যায়নি বলে আমরা আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, তবে তারা (দোকান মালিকরা) আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ঘটনার পেছনের কারণ চিহ্নিতকরণ এবং অগ্নিকাণ্ড রোধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনেক সরকারি সংস্থা ও দপ্তরের দায়িত্ব থাকলেও তারা এ ব্যাপারে কিছুই করতে ব্যর্থ হয়েছে।
দেশে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর সরকারি সংস্থাগুলোও সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারছে না বলেও দুঃখ প্রকাশ করেন বিএনপি নেতা।
এছাড়া কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থার অভাবে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন বলেও জানান বিএনপি নেতা।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকার বঙ্গবাজার শপিং কমপ্লেক্সে একটি বিশাল অগ্নিকাণ্ড ঘটে এবং এটি আশেপাশের কয়েকটি বাজারে ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রায় পাঁচ হাজার দোকান, প্রধানত তৈরি পোশাক এবং জুতার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র সম্পূর্ণ অনুপস্থিত: মির্জা ফখরুল
ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের নিরাপত্তা ও তাদের দুর্ভোগ নিয়ে কম চিন্তা করে। কারণ, এর মূল উদ্দেশ্য যে কোনো উপায়ে ক্ষমতায় টিকে থাকা।
ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকার সব নৈতিকতা ও নীতিকে বিসর্জন দিয়ে, সংবিধান লঙ্ঘন করে এবং জনগণের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে বেআইনি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার কুমিল্লায় তাদের দলের একটি ইফতার কর্মসূচি ছিল যেখানে পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই হামলা চালিয়ে ২০-২৫ জন বিরোধী নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে।
এছাড়া বুধবার ময়মনসিংহ জেলা বিএনপির সভায় পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের ‘ক্যাডাররা’ হামলা চালিয়ে বহু মানুষকে আহত করেছে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি খুলনা ও নাটোরসহ দেশের আরও কয়েকটি এলাকায় একই ধরনের হামলা হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমি বলতে চাই, বিবৃতি দিয়ে কোনো লাভ নেই। বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে এখনই আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে এবং শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্স থেকে বিএনপির ২০ নেতাকর্মী আটক
১ বছর আগে
যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের মধ্যে কোনো দুর্বলতা নেই: ফখরুল
জোটের শরিকদের মধ্যে বিরোধ বাড়ার জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনকারীদের মধ্যে কোনো দুর্বলতা নেই।
তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের একটি বিষয় পরিষ্কার করতে চাই যে আমাদের মধ্যে কোনো দুর্বলতা নেই এবং আমরা যুগপৎ আন্দোলনের গতি হারাইনি।’
রবিবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্যদের মধ্যে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপি ও জোটের শরিকরা শনিবার সব নগর ও জেলা শহরে দুই ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেও, গণতন্ত্র মঞ্চ এ কর্মসূচি পালনে বিরত থাকে।
এক সাংবাদিক এ বিষয়ে ফখরুলের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি জানান, সারাদেশে কখনো কখনো বিএনপির কর্মসূচি যুগপৎভাবে পালন করা হয়। তবে তাদের মধ্যে এবিষয়ে বোঝাপড়া আছে যে প্রতিটি দল চাইলে নিজস্ব কৌশলে কর্মসূচি পালন করতে পারবে।
আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালে প্রাইভেট প্র্যাকটিস স্বাস্থ্য খাতকে ধ্বংস করার শামিল: মোশাররফ
তিনি বলেন, ‘তবে আমরা সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং রাষ্ট্রের সংস্কারের মূল দাবিতে একমত হয়ে যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, এখন থেকে তাদের যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি কোনটি এবং কোনটি তাদের দলের নিজস্ব কর্মসূচি তা তারা স্পষ্ট ঘোষণা করবেন।
তিনি বলেন, মূলত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে একটি গণতান্ত্রিক ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ওপর ভিত্তি করে তাদের আন্দোলনের যৌথ ঘোষণা করা হবে।
শনিবারের অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের ‘ক্যাডারদের’ হামলায় সারাদেশের বিভিন্ন জেলায়, বিশেষ করে খুলনা ও নাটোরে অনেক বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে অনেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ‘বর্তমান আন্দোলন ও ভিন্নমতকে দমন করতে আমরা হামলা ও স্বৈরাচারী সরকারের দমনমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।’
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, সরকার জনমতকে দমন ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করতে গত ১৪ বছর ধরে পরিকল্পিতভাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হত্যা এবং গ্রেপ্তার, দমন ও জেলে ঢোকাচ্ছে। ‘তারা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ করছে, বিশেষ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে।’
তিনি জানান, তাদের বৈঠকে প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে গ্রেপ্তার এবং সংবাদপত্রটির সম্পাদক মতিউর রহমানসহ অন্যান্য সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (ডিএসএ) মামলা দায়েরের নিন্দা জানানো হয়।
ফখরুল বলেন, বৈঠকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানানো হয়।
এই বিএনপি নেতা বলেন, তাদের বৈঠকে ২৪ মার্চ রাজশাহীতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (রাব) হেফাজতে সরকারি কর্মচারী সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসির অনানুষ্ঠানিক আলোচনার আহ্বান বিএনপির প্রত্যাখান
তিনি বলেন, তারা চলমান যুগপৎ আন্দোলনের তাদের পরবর্তী কর্মপন্থা সম্পর্কে কথা বলেছেন এবং তারা আন্দোলনের অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও জোরদার করার দিকে মনোনিবেশ করেছেন। যাতে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও অপ্রীতিকর নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথের আন্দোলন তীব্রতর হয়।
রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, তারা যুগপৎ আন্দোলনের যৌথ ঘোষণার বিষয়েও কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, তারা আশা করছেন খুব শিগগিরই তারা যৌথ ঘোষণা সম্পর্কে জানাতে পারবেন।
হাসনাত বলেন, আগামী দিনে কীভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে বর্তমান আন্দোলনকে আরও জোরদার করা যায় সে বিষয়েও তারা আলোচনা করছেন।
আরও পড়ুন: অবস্থান কর্মসূচির পূর্বে খুলনায় ১৬ নেতাকর্মী আটক: বিএনপি
১ বছর আগে
তৃণমূলের সমর্থন যোগাতে ৪ মার্চ থানা পর্যায়ে মিছিল করবে বিএনপি
চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠন ও সমমনা দলগুলো নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে ৪ মার্চ (আগামী শনিবার) তাদের বিভাগীয় শহরের আওতাধীন সকল থানায় মিছিল করবে।
শনিবার(২৫ ফেব্রুয়ারি) দেশের সব জেলায় তাদের পদযাত্রা শুরুর পরপরই প্রধান বিরোধী দল নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে - যা একই ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ।
এ কর্মসূচিতে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, প্রতিবাদ করা হবে এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে কোনো শর্ত ছাড়াই মুক্তি দিতে , মূলত তার বিরুদ্ধে করা 'মিথ্যা' মামলা প্রত্যাহার করতে সরকারকে চাপ দেয়া এবং দলের ১০ দফা দাবি অবিলম্বে মেনে নেয়ার জন্য এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারকে না সরালে বিপদে পড়বে বাংলাদেশের জনগণ: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে সরকারকে তাদের ১০ দফা দাবি মেনে নিতে এবং পদত্যাগে বাধ্য করতে দলীয় নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে দলের আন্দোলনকে সফল করতে আহ্বান জানিয়েছেন।
জেলা পর্যায়ের কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলের সিনিয়র নেতারা অংশ নেন।
৯টি জেলায় সংঘর্ষ ও অবরোধের মধ্যে ১০ দফা দাবি আদায়ে বিএনপি শনিবার দেশের সব জেলায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে।
ঝালকাঠি, নীলফামারী ও নেত্রকোনায় তাদের পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করতে গেলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এছাড়া পটুয়াখালীতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কুমিল্লায় মিছিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুলি চালায় বলে তারা জানান।
পুলিশের বাধায় বাগেরহাট ও রাজবাড়ীতে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করতে পারেনি বিএনপি এবং গাজীপুর ও মাগুরায় পুলিশের বাধায় দলীয় নেতাকর্মীরা কর্মসূচি স্থগিত করেছে।
আরও পড়ুন: ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের
এছাড়া মিছিল শুরুর আগে নাটোরে দলের কার্যালয়ের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণে দলটির পদযাত্রা কর্মসূচি বানচাল করা হয়।
মির্জা ফখরুল তার বিবৃতিতে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, চলমান আন্দোলনকে ভয় পেয়ে সরকার বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ মিছিল কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
বিভিন্ন জেলায় পদযাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের ‘ক্যাডারদের’ হামলায় বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে বিএনপিসহ সমমনা দল ও জোটগুলো সরকার পতনের জন্য একযোগে আন্দোলন শুরু করে, অথবা অন্তত আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সর্ব-গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্বাবধায়ক বা নির্দলীয় বিধান উপলব্ধি করে।
এছাড়া গত ২৮ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর পাঁচটি এলাকায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা।
দলটি তাদের ১০ দফা দাবি জানাতে সারাদেশের সব ইউনিয়ন ও বিভাগীয় শহরে একই ধরনের কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বিএনপির পদযাত্রা থেকে ২৫ নেতাকর্মী আটক
১ বছর আগে
যুগপৎ আন্দোলন: ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ শুরু
বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপির নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দল ও অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে সমাবেশ শুরু হয়েছে।
বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হয়।
আয়োজকরা জানান, ১৯৭৫ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগ কর্তৃক একদলীয় বাকশাল শাসন প্রবর্তন, বিদ্যুত-গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ১০ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য।
দুপুর থেকেই দলীয় শত শত নেতাকর্মী ছোট ছোট মিছিল নিযে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে শুরু করলে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সমাবেশস্থল ও আশপাশে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
সমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: ‘বাকশালের গণতন্ত্র’ জনগণ মেনে নেবে না: ফখরুল
বিএনপি ছাড়াও অন্যান্য সমমনা বিরোধী দল, জোট ও সংগঠনগুলোও বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বুধবার ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরে একই ধরনের কর্মসূচি পালন করছে।
এদিকে, গণতন্ত্র মঞ্চ ও গণতান্ত্রিক বম ঐক্য জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পৃথক সমাবেশ করেছে এবং ৪ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সমাবেশ থেকে একই দিনে একই ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে বিএনপি।
এছাড়া বিজয় নগর পানির ট্যাঙ্কের কাছে ১২ দলীয় জোট, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট এবং এফডিসি ক্রসিংয়ে সামনে সমাবেশ করছে এলডিপি।
৩০ ডিসেম্বর গণমিছিল, ১১ জানুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি এবং ১৬ জানুয়ারি সমাবেশ ও মিছিলের পর এটি যুগপৎ আন্দোলনের চতুর্থ কর্মসূচি।
আরও পড়ুন:জাতীয় সংসদ এখন ‘একদলীয় ক্লাব’: ফখরুল
১ বছর আগে
বুধবার দেশব্যাপী সমাবেশ করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
বিএনপিসহ অন্যান্য সমমনা বিরোধী দল, জোট ও সংগঠনগুলো বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বুধবার ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরে সমাবেশ করবে।
আয়োজকরা জানান, ১৯৭৫ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগ কর্তৃক একদলীয় বাকশাল শাসন প্রবর্তন, বিদ্যুত-গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ এবং ১০ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টিই এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকার নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে বিএনপি। দুপুর ২টায় শুরু হওয়া সমাবেশে বক্তব্য দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র নেতারা।
সমাবেশ থেকে তাদের যুগপৎ আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচী হিসেবে মির্জা ফখরুল ৪ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন।
৩০ ডিসেম্বর গণমিছিল, ১১ জানুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি এবং ১৬ জানুয়ারি সমাবেশ ও মিছিলের পর এটি হবে যুগপৎ আন্দোলনের চতুর্থ কর্মসূচি।
বিএনপি ছাড়াও সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ, বিকাল ৩টায় বিজয় নগর পানির ট্যাঙ্কের কাছে ১২ দলীয় জোট, বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, দুপুর ২টায় ক্রসিং এফডিসিতে এলডিপি এবং সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৩০ ডিসেম্বর বিএনপি ও অন্যান্য দলের সঙ্গে গণমিছিল কর্মসূচিতে যোগ দিলেও কিছু রাজনৈতিক ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে ইসলামী দলটি যুগপৎ আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছে না।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদ এখন ‘একদলীয় ক্লাব’: ফখরুল
জামায়াতের সূত্র জানায়, জামায়াতের আমিরকে গ্রেপ্তার এবং ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিল কর্মসূচি পালনকালে রাজধানীতে দলের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের হামলার বিষয়ে কোনো বিবৃতি না দেয়ায় দলটি বিএনপির ওপর অসন্তুষ্ট।
বুধবার বিভিন্ন বিভাগে সমাবেশ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
বিএনপির পরিকল্পনা অনুযায়ী বরিশাল বিভাগে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নেতৃত্ব দেবেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রামে, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু রাজশাহীতে, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু গাজীপুরে, এম শাহজাহান কুমিল্লায়। জাহিদ হোসেন সিলেটে, শামসুজ্জামান দুদু ময়মনসিংহে, অ্যাডভোকেট আহমদ আজম খান রংপুরে, নিতাই রায় চৌধুরী খুলনায়, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল রংপুরে ও হাবিবুন নবী সোহেল ফরিদপুরে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে কর্মসূচি সফল করতে দেশবাসী ও বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে কোকো ছিলেন প্রধান নায়ক: ফখরুল
১ বছর আগে
যুগপৎ আন্দোলন: ঢাকায় গণতন্ত্র মঞ্চের গণমিছিল
বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে বিরোধী দল ও জোটের যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুক্রবার রাজধানীতে গণমিছিল বের করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
বেলা ১১টার দিকে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টন এলাকায় জড়ো হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মিছিল শুরু করে। এসময় অন্যান্য বিরোধী দল ও জোটগুলোর রাজধানীতে বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে মিছিল বের করে।
আরও পড়ুন: আ.লীগের জাতীয় কাউন্সিল বিবেচনায় ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিল করবে বিএনপি
দুপুর ২টায় মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সকাল থেকে দলের শীর্ষ নেতাদের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে নয়াপল্টন এলাকায় ভিড় শুরু করেন তারা। এলাকায় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দুপুর আড়াইটার দিকে ১২ দলীয় জোটের ফকিরাপুল পানির ট্যাংক এলাকা, পুরানা পল্টন ক্রসিং থেকে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এফডিসি ক্রসিং থেকে এলডিপি এবং বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে জামায়াতে ইসলামীর মিছিল বের করে।
মিছিল শেষে বিরোধী দল ও জোটগুলো তাদের যুগপৎ আন্দোলন জোরদার করতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে।
২০১৮ সালের এই দিনে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বার্ষিকী উপলক্ষে ৩০ ডিসেম্বরকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করছে বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দল ও জোট।
বৃহস্পতিবার বিকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তাদের পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে বৈঠকে বসেন।
দলের স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাদের যুগপৎ আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে তারা অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন।
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া, ক্ষমতা হস্তান্তর নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনসহ ১০ দফা দাবিতে রাজধানীতে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছে বিএনপিসহ প্রায় ৩৩টি সমমনা রাজনৈতিক দল।
এর আগে ২৪ ডিসেম্বর সব বিভাগীয় শহর ও জেলা সদরে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল কর্মসূচির কারণে ৩০ ডিসেম্বর একই কর্মসূচি পুনঃনির্ধারণ করেছে বিএনপি।
এদিকে বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, তাদের গণমিছিল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দলের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে জড়ো হবে এবং দুপুর ২টায় মিছিল বের করবে।
জাহিদ জানান, তাদের মিছিলটি বিজয়নগর, কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ, মগবাজার মোড় হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নয়াপল্টনে গিয়ে শেষ হবে।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছ থেকে নয়াপল্টন থেকে মগবাজার পর্যন্ত মিছিল করার অনুমতি পেয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলন: ৩৩টি বিরোধী দল রাজধানীতে গণমিছিল বের করবে
গণমিছিল সফলে প্রস্তুতি সভা করেছে সিলেট মহানগর বিএনপি
১ বছর আগে
যুগপৎ আন্দোলন: বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি গঠন
যুগপৎ সরকারবিরোধী আন্দোলনে জড়িত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করতে সাত সদস্যের একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করেছে বিএনপি।
সোমবার দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লিয়াজোঁ কমিটির সদস্যরা হলেন- দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু ও যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা ও রংপুর ছাড়া সারাদেশে গণ-মিছিলের মাধ্যমে একযোগে আন্দোলন শুরু করে বিএনপি।
এর আগে ১০ ডিসেম্বর দলটি যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ১০ দফা দাবি ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত ১
এদিকে, যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সমন্বয় করতে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) পাঁচ সদস্যের একটি লিয়াজোঁ কমিটিও গঠন করেছে।
এলডিপি মহাসচিব রেদওয়ান আহমেদকে আহ্বায়ক এবং দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল আলমকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
অন্য সদস্যরা হলেন- নিয়ামুল বশির, আওরঙ্গজেব বেলাল ও মাহবুব মোর্শেদ।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আ.লীগ সরকারকে 'অবশ্যই' ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে: মোশাররফ
১ বছর আগে
বিএনপির আন্দোলনকে সমর্থন করতে ১২ দলীয় জোট গঠন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে বিএনপির পরিকল্পিত যুগপৎ সরকারবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিতে ১২টি দলের একটি নতুন রাজনৈতিক জোট আত্মপ্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করে জোটটি আত্মপ্রকাশ করে।
এর আগে এই ১২টি দল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অংশ ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার নতুন এই জোট গঠনের ঘোষণা দেন।
নতুন জোটের শরিকরা হলো- জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় দল, এনডিপি, এলডিপি (সেলিম), মুসলিম লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোট, জাগপা, ইসলামিক পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং সাম্যবাদী দল।
তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি দেশের সবচেয়ে বড় বিরোধী দল বিএনপির সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়া ও ঐক্য আগের মতোই থাকবে। যে রাজনৈতিক দলগুলো এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে, তাদের অংশগ্রহণে বৃহত্তর ঐক্য গড়তে আমরা নতুন কৌশল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন:আ.লীগের জাতীয় কাউন্সিল বিবেচনায় ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিল করবে বিএনপি
মোস্তফা বলেন, ভুল বোঝাবুঝির কোনো সুযোগ নেই এবং আমরা সবাই একযোগে আন্দোলনের পথে এগোচ্ছি।
নবগঠিত ১২ দলীয় জোটের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান।
মোস্তাফিজুর বলেন, আমরা গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং আমরা ১২ দলীয় জোট হিসেবে স্বীকৃতি পাব।
তিনি বলেন, ‘সরকারকে পদত্যাগ করতে এবং নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে বাধ্য করতে বিএনপির সঙ্গে একযোগে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় থাকবে ১২ দলীয় জোট। চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
তিনি আরও বলেন, ১২ দলীয় জোট বিএনপির ২৭ দফা রূপরেখা 'রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কার' একটি 'জাতীয় মুক্তির সনদ' হিসাবে বিবেচনা করে এবং এর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন: ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা’: ২৭ দফা ঘোষণা বিএনপি’র
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘বিলুপ্তির আগে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে ২০-দলীয় জোটের শেষ বৈঠক হয়েছিল ২০২২ সালের ৯ ডিসেম্বর। যেখানে জোটের নেতারা পূর্বের নাম ২০-দল ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নেন। জোট ২০ দলীয় জোট গঠিত হয় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল।
তিনি আরও বলেন, ১২-দলীয় জোটে দুটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে- একটি বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি এবং অন্যটি বাংলাদেশ মুসলিম লীগ।
মেজর ইব্রাহিম বলেন, অন্যান্য দল নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে তাদের আবেদন করেছে এবং আশা করা হচ্ছে একটি ইতিবাচক ফলাফল আসবে।
জোটটি ৩০ ডিসেম্বরের পর বিভাগীয় শহরে সফর করার পরিকল্পনা করছে এবং তারা শিগগিরই এ বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান ইব্রাহিম।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিএনপির সকল কর্মসূচিতে যোগ দেব এবং যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ৩০ ডিসেম্বর আমরা গণ মিছিল বের করব। আমরা দুপুর ২টার দিকে বিজয় নগর এলাকায় সমবেত হব।’
আরও পড়ুন: স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিলেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ
২ বছর আগে
যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বসেছে বিএনপি
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা ও এর অধীনে আগামী নির্বাচন করার দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে সংলাপে বসেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এ সংলাপ শুরু হয়।
এরআগে চলতি বছরের ৮ আগস্ট ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনের লক্ষ্যে সাতটি বিরোধী দলের নতুন প্লাটফর্ম ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ গঠিত হয়।
জোটটির শরীক দলগুলো হচ্ছে- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (রব), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
গণতন্ত্র মঞ্চ গঠনের পর এটাই বিএনপির সঙ্গে তাদের প্রথম বৈঠক।
আরও পড়ুন: শিগগিরই সরকারবিরোধী ‘যুগপৎ’ আন্দোলনের রূপরেখা পেশ করা হবে: ফখরুল
ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের জন্য জাতীয় ঐক্য গড়তে বিএনপির দ্বিতীয় পর্বের সংলাপের অংশ হিসেবে ফখরুল বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে বসেন।
পরিকল্পিত যুগপৎ আন্দোলনের দাবিগুলো চূড়ান্ত করতে এ বছরের ২ অক্টোবর দ্বিতীয় দফা সংলাপ শুরু করে বিএনপি।
এর আগে, গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করার জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শুরু করার রূপরেখা তৈরি করতে ২৪ মে থেকে শুরু হওয়া সংলাপের প্রথম পর্বে বিএনপি ২৩ টি দলের সঙ্গে আলোচনা করেছিল।
আরও পড়ুন: 'গণতন্ত্র মঞ্চ' রাজনীতিতে গুরুত্বহীন: তথ্যমন্ত্রী
রাজধানীতে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশ বিরোধীদের পক্ষে
২ বছর আগে