পৃথক সড়ক দুর্ঘটনা
যাত্রাবাড়ীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ১
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও একজন।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) দিবাগত রাতে ঘটনা দুইটি ঘটে। শুক্রবার (২ জুন) ভোরে দুইজনই মারা যান।
নিহত দুইজনের একজন হলেন মো. মিরাজ মিয়া (২৫)। সে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তার বাবার নাম মো. লোকমান মিয়া। গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। অপরজন হলেন মো. সেলিম (২৩)। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়।
নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ১
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. তুহিন মিয়া জানিয়েছেন, শুক্রবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা মোড় এলাকায় দিয়ে যাওয়ার সময়ে পেছন থেকে একটি বাস মিরাজ মিয়াকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পথচারীরা থানায় সংবাদ দেন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, নিহতের স্বজনদের সংবাদ দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে, একই থানা এলাকার সময় পরিবহনের বাসচালক সেলিম গাড়ি বন্ধ করে রিকশা দিয়ে হেলপার সাদ্দামকে নিয়ে শনির আখড়া যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে মাতুয়াইল হাসেম রোড এলাকায় পেছন দিক থেকে রাত আনুমানিক ২টার টার দিকে ঠিকানা পরিবহনের একটি বাস তাদের রিকশাকে ধাক্কা দেয়।
এতে তারা দুই যাত্রীসহ রিকশাচালক আহত হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত হয় সেলিম। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরের দিকে সেলিমকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সময় পরিবহন বাসের দায়িত্বে থাকা মো. সজিব ইসলাম আহতের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন, হেলপার প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, সেলিম ছোট থেকে পরিবহন এর সঙ্গে কাজ করেতো। সে শনির আখড়া এলাকায় আমাদের কাছে থাকতো।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবিহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মীরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনা, চালকসহ নিহত ২
টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৪ এপ্রিল) সদর উপজেলার শাহজাহানপুর ও রামচন্দ্রপুর এলাকায় দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।
নিহতরা হলো-চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার দারিয়াপুর চৌহদ্দিটোলা এলাকার সাইফুলের ছেলে জাহিদ (১৯), ইসলামপুর কাজিপাড়া এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে উমর ফারুক (১৭) এবং হায়াতপুর ট্যাপাপাড়া এলাকার রকিবের মেয়ে আফিয়া (৩)।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় তরুণ ব্যবসায়ী নিহত
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে শাহজাহানপুর থেকে দুই বন্ধু জাহিদ ও উমর ফারুক একটি মোটরসাইকেলে করে জেলা শহরের দিকে আসছিলেন। এসময় শাহজাহানপুর পশ্চিমপাড়া এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারের একটি গাছে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন।
ওসি আরও জানান, অপরদিকে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর বিহার পাড়া মোড় এলাকায় একটি অটোরিকশাকে পেছন থেকে ওভারটেক করার সময় অপর একটি অটোরিকশা ধাক্কা দেয়। এসময় সামনের অটোরিকশায় মায়ের কোলে থাকা শিশু আফিয়া রাস্তায় পড়ে আহত হয়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: জামালপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্রসহ নিহত ৩
কুড়িগ্রামে ঈদে ঘুরতে বের হয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের
সাতক্ষীরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
সাতক্ষীরার তালায় ঈদের কেনাকাটা করে বাড়ি ফেরার পথে আলাদা সড়ক দুর্ঘটনায় দুই সহোদরসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন।
শুক্রবার রাতে সাতক্ষীরা-খুলনা সড়কের নোয়াপাড়া ও খলিশখালীর হাজরাপাড়া এলাকায় এ দুটি ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, তালা উপজেলার মাগুরা গ্রামের আসাদ মোড়লের দুই ছেলে ইমরান হোসেন (১৯) ও রিফাত হোসেন (১৬) এবং একই উপজেলার ধলবাড়িয়া এলাকার আব্দুল বারিক শেখের ছেলে শেখ শাহিন (২৫)।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু
হাজরাপাড়ার ঘটনায় আহত সুজন গাজী (২৫) জানায়, ঈদের কেনাকাটা করে শুক্রবার সন্ধ্যায় তারা তিনজন মোটরসাইকেলে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ওই এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলটির ধাক্কা লাগে।
এতে সুজন গাজী, ইমরান হোসেন ও রিফাত হোসেন গুরুতর আহত হন।
স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে ইমরান হোসেনের মৃত্যু হয়।
উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে অপর ভাই রিফাত হোসেন মারা যান।
এদিকে একইদিন রাতে অপর এক দুর্ঘটনায় শেখ শাহীন (২৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, শেখ শাহিন ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। মাস চারেক আগে বিয়ে করা শাহিন ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসেন।
শুক্রবার রাতে মির্জাপুর বাজারের কেনাকাটা শেষে ব্যাটারিচালিত ভ্যানে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথে নোয়াপাড়া বাজারে একটি মোটরসাইকেল পেছন থেকে ভ্যানটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়।
এতে শাহিন ভ্যান থেকে ছিঁটকে রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাশের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় তরুণ ব্যবসায়ী নিহত
৩ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯
মাগুরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
মাগুরার মহম্মদপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দু’জন নিহত হয়েছে।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসিত কুমার জানান, ধোয়াইল বাজার থেকে মাগুরাগামী বাসকে অভারটেক করতে গিয়ে বিপরীত দিক হতে ছুটে আসা একটা ট্রাকের চাপায় লিটন নামে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল তিনটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা মোটরসাইকেল আরোহীকে উদ্ধার করে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেএক্সে পাঠান এবং চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত ব্যক্তি নড়াইলের হবখালি গ্রামের সরোয়ার মোল্ল্যার ছেলে লিটন মোল্ল্যা বলে জানা গেছে।
অপর দুর্ঘটনাটি ঘটে একই উপজেলার দড়িশলই গ্রামে। আরাফাত নামের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র সাইকেলে রাস্তা দিয়ে যাবার সময় দ্রুতগামী ট্রাক তাকে চাপা দিলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানায় পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তাসহ নিহত ২
চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক ব্যাংক কর্মকর্তা ও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার সকালে নগরীর বন্দর থানার নেভাল একাডেমি ও জেলার হাটহাজারীতে পৃথক দুটি দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-জনতা ব্যাংক লিমিটেডের ড্রাই ডক শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মাহবুবুল আলম ও পথচারী জিন্নাতুন নেসা (৫০)।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে মোটরসাইকেলে করে অফিস যাচ্ছিলেন মাহবুবুল আলম এসময় তিনি নেভাল একাডেমির মোড়ে পৌঁছলে একটি তেলের ট্যাংকার তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এসময় তিনি মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে বন্দর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
নিহত মাহবুবুল আলম বন্দর থানার জনতা ব্যাংক লিমিটেডের ড্রাই ডক শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার ছিলেন। তিনি সন্দ্বীপের গাছুয়া এলাকার মৃত শামসুল আলমের ছেলে।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, আজ সকালে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। আমরা তার পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেলে মামলা দিবো।
এদিকে সকালের দিকে হাটহাজারীর চৌধুরীহাট এলাকায় বাসের ধাক্কায় নিহত জিন্নাতুন নেসা পাঁচ মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে থাকতেন শাহজালাল আবাসিক এলাকায়। তার স্থায়ীবাড়ি নোয়াখালী জেলার চরজব্বর থানাধীন চরহাসান গ্রামে।
ওসি কামরুল আজম বলেন, সকালে শাহজালাল স্কুলের সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় শহরের দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী একটি বাস ধাক্কা দিলে ছিটকে পড়েন ওই মহিলা। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় জনতা ধাওয়া দিয়ে বাসটি আটক করলেও চালক পালিয়ে যান।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত, আহত ২
বগুড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ভাইবোনসহ নিহত ৩
বগুড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ভাইবোনসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
শনিবার রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলায় ট্রাকের সঙ্গে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় ভাইবোন নিহত এবং সদরের কালিবালায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে একজন নিহত ও ২০জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একটি প্রাইভেটকারে ভাইবোনসহ তিনজন বগুড়া থেকে রংপুর যাচ্ছিলেন। শনিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের মোকামতলা চকপাড়ায় আসার পর প্রাইভেটকারের চাকা ফেটে যায়। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকার এক ট্রাককে ধাক্কা দেয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২ যুবকের মৃত্যু
তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক(এসআই) আলী জাহান।
তিনি জানান, এতে গুরুতর আহত হয়েছে আরও একজন। নিহতরা হলেন- বরিশালের হিজলার হরিনাথপুর এলাকার হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী কুহেলী আকতার(২৬) ও কুহেলীর ছোট ভাই সিয়াম হোসেন (২০)। গুরুতর আহত ব্যক্তির নাম হুমায়ুন কবির।
ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রকিবুল হাসান বলেন, ‘নিহত দুজনের লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।’
এদিকে বগুড়া সদর থানার ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দীন জানান, গাইবান্ধা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া সৈকত পরিবহনের বাস শনিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে বগুড়া শহরের দ্বিতীয় বাইপাস সড়কের কালিবালা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলে একজন নিহত ও ২০ জন যাত্রী আহত হন।
তিনি আরও বলেন, আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহত ব্যক্তির নাম মিলন হোসেন। তিনি গাইবান্ধা সদর এলাকার বাসিন্দা। তিনি সৈকত নামে ঢাকাগামী বাসে ঢাকায় যাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে ৫৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৫ জন নিহত: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
চাঁদপুরে বোনকে আনতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ভাইয়ের
চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২ যুবকের মৃত্যু
চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) জেলার বাঁশখালী ও মীরসরাই উপজেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বাঁশখালী উপজেলার আনোয়ারা-বাঁশখালী পিএবি প্রধান সড়কের গুনাগরী এলাকায় দুই সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক যুবক গুরুতর আহত হন।
পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় পাওয়ার টিলার চালক নিহত
নিহত মো. আজগর হোসেন (৪০) উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের মাইজপাড়ার শিব্বির আহমদের ছেলে।
চমেক হাসপাতালে দায়িত্বপালনকারী পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদিকুর রহমান বলেন, বাঁশখালীর গুনাগরীতে দুই সিএনজি অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে মো. আজগর হোসেন নামে এক যুবক গুরুতর হন। আহতাবস্থায় তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার লাশ মর্গে রাখা আছে।
অন্যদিকে, এদিন সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাক চালকের সহকারী নিহত হয়েছেন।
সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিঠাছরা গাংচিল ফিলিং স্টেশন এলাকায় সিমেন্ট আনলোড করার সময় আরেকটি ট্রাকের ধাক্কায় রণির মৃত্যু হয়।
নিহত মো. রণির (২২) বাড়ি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা এলাকায়।
পুলিশ ও প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, সকাল ৯টার দিকে সেভেন রিং সিমেন্টের একটি ট্রাক থেকে সিমেন্ট আনলোড চলছিল। এ সময় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সেভেন রিং সিমেন্ট বহনকারী ট্রাকের সহকারী রণিকে অপর একটি ট্রাকচাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর জানান, দুর্ঘটনায় এক ট্রাক চালকের সহকারী মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। তবে বিস্তারিত জানি না। আমরা খবর নিচ্ছি।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় গ্রাম পুলিশসহ নিহত ৩
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশির মৃত্যু
নওগাঁয় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় গ্রাম পুলিশসহ নিহত ৩
নওগাঁর পত্নীতলা ও সাপাহারে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় গ্রাম পুলিশসহ তিন জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুই জন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) এ দুটি দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন পত্নীতলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের পরাণপুর গ্রামের মৃত বছির উদ্দিনের ছেলে ও শিহারা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ ছুরত আলী (৫০), একই উপজেলার গোবিন্দবাটি গভীড়াকুড়ি গ্রামের দছিম উদ্দিনের ছেলে ফারুক হোসেন (৪২) এবং একই উপজেলার কাষ্টবই ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত খবির উদ্দিনের ছেলে গোলাম মোস্তফা (৪৫)।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
পত্নীতলা থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পত্নীতলা উপজেলার আগ্রাদ্বিগুণ-সাপাহার সড়কের শিহারা বাজার মোড় এলাকায় আকবর আলীর পানের দোকানে পান কিনতে যান গ্রাম পুলিশ ছুরত আলী। এ সময় ট্রান্সকম ডিস্ট্রিবিশন কোম্পানি লিমিটেডের একটি কাভার্ডভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই পানের দোকানে ঢুকে যায়। এ সময় চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় ওই দোকানিসহ আহত হন আরও তিনজন। দুমড়ে-মুচড়ে যায় দোকানটি। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করায়। সেখানে গোলাম মোস্তফা নামে একজনের অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এ ব্যাপারে সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবীর বলেন, নিহত ফারুক হোসেন পোরশা উপজেলার বালিয়াচান্দার নিজ আমবাগান থেকে সাপাহার বাজারের দিকে মোটরসাইকেলযোগে আসছিলেন। এ সময় পথিমধ্যে উপজেলার তেঘরিয়া নামক স্থানে অপর দিক থেকে আসা একটি ট্রলির সঙ্গে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই ফারুক হোসেন নিহত হন।
পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত কাভার্ডভ্যানটি আটক করে চালক ও সহকারীকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিহতদের পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ না করায় বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের জন্য লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আটক চালক ও সহকারীর বিরুদ্ধে পত্নীতলা থানায় একটি মামলা হবে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশির মৃত্যু
নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় পাওয়ার টিলার চালক নিহত
মাগুরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
মাগুরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত ৯ টার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের নাম-রেফাতুল হক অভি (৩৬) ও নাহিদ আলী (৩০)।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২
তিনি জানান, মাগুরায় দু’টি সড়কে পৃথক দুর্ঘটনায় দুই জন নিহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে মাগুরা-যশোর সড়কে আড়পাড়া ব্রাক অফিসের সামনে শুক্রবার রাত ৯ টার সময় রেফাতুল হক অভি (৩৬) নামের এক ব্যাবসায়ী মোটরসাইকেলে যশোর যাওয়ার সময় বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ফলে দুই মোটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে মাগুরা হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসক রেফাতুল হক অভিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করলে সে ঢাকা যাওয়ার পথে মারা যান।
অপর দিকে শালিখা উপজেলার বাকলবাড়িয়া নামক স্থানে শুক্রবার দুপুরে গরুবাহী ট্রলির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ফলে ট্রলি চালক ঘটনাস্থলে নাহিদ আলী (৩০) নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছেন।
নিহতের বাড়ী মাগুরা সদর উপজেলার মঘি গ্রামে। এ ব্যাপারে শালিখা থানায় পৃথক মামলা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৮
দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
মাগুরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
মাগুরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত ও আহত হয়েছেন অন্তত আরও আটজন।
এদের মধ্যে মাগুরা মহম্মদপুর সড়কে বড়রিয়া মাদরাসার সামনে আলিক নুর (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্র মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হন।
তিনি বড়রিয়া গ্রামের হাসান মোল্লার ছেলে।
আরও পড়ুন: বরগুনায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ ভাই নিহত
অপর দিকে শ্রীপুর উপজেলার সাবিনগর বাসষ্টান্ডে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোটরসাইকেল চালক নাহিদ আলী (৩০) নিহত ও অপর চারজন আহত হয়েছে। নিহতের বাড়ী দলিলপুর গ্রামে।
অপর দিকে সাবিনগর নামক এলাকা থেকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত অজ্ঞাত এক পথচারীর লাশ উদ্ধার করেছে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এছাড়াও বৃহস্পতিবার ভোরে শালিখা উপজেলার শিমাখালী নামক স্থানে বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে মোহাম্মদ আলী(৫০) নামের এক যাত্রী ঘটনাস্থলে নিহত ও অপর চারজন আহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে শালিখা, শ্রীপুর ও মহাম্মদপুর থানায় পৃথক পৃথক মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান জানান, পুলিশের তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৩
কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু