শতাধিক নেতাকর্মী
বিএনপির তিন শতাধিক নেতাকর্মী আটক: পুলিশ
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার বিকালে বিএনপির নেতাকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের পর দলটির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে তারা।
আটক নেতাদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও প্রকাশনা সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
সংঘর্ষের পর বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান শেষে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা শাখা) হারুন অর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন যে আটক অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার আসামি এবং তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
এছাড়াও, পুলিশ অভিযানের সময় বিএনপি কার্যালয় থেকে ১৫টি অবিস্ফোরিত ককটেল ও এক লাখ ৫০ হাজার খাবার পানির বোতল জব্দ করেছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনায় ৪ দিনে বিএনপির প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
এর আগে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন্স) বিপ্লব কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন যে ধৈর্যের সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় নয়াপল্টনে অবস্থান করলে একপর্যায়ে উত্তেজিত হয় তারা।
তিনি আরও বলেন, ‘ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে বিএনপি। নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য অফিসে রাখা অনেক বোমা আমরা জব্দ করেছি।’
বিকালে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে নয়াপল্টনে স্লোগান দিতে থাকে। পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হতে পারে তা অনুধাবন করে, পুলিশ দলীয় সদস্যদের অবিলম্বে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলে। এতে তুমুল কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে পুলিশ নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা শুরু করে।
পাশের গলিতে আশ্রয় নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। বিক্ষোভকারীদের দমন করতে পুলিশ তাদের দিকে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে, এতে প্রায় ৫০ জন আহত হয়।
কাঁদানে গ্যাসে শ্বাস নিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে প্রায় ২০০ নেতাকর্মী বিএনপি কার্যালয়ের ভেতরে আশ্রয় নেয়। পরে পুলিশ কার্যালয়ের ভেতরে অভিযান চালিয়ে দলীয় নেতাকর্মীসহ প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করে।
এছাড়া রাজধানীর নাইটিঙ্গেল মোড়ে মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন গণতন্ত্র মঞ্চকে নয়াপল্টনের দিকে যেতে বাধা দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিএনপি কেন নয়াপল্টনে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে চায়, পুলিশ তা খতিয়ে দেখবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিকল্প ভেন্যু না দিলে নয়াপল্টনেই বিএনপির সমাবেশ: আব্বাস
২ বছর আগে
হবিগঞ্জে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবার রাতে উপজেলা বিএনপির দেড়শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বানিয়াচং থানার উপপরিদর্ক (এসআই )শামসুল আরেফিন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব।
পুলিশের দাবি, হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজলা সদরের এল আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে পুলিশের হামলায় বিএনপির অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী আহতের অভিযোগ
পুলিশ আরও দাবি করে, বিএনপি নেতারা অস্ত্র নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন।
বিএনপি জানায়, আগামী ১৯ নভেম্বর সিলেটে বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে তারা প্রচার শেষে চায়ের দোকনে গিয়েছিলেন।চায়ের দোকান থেকে কোনো অপরাধ ছাড়াই উপজলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহির খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
অপর দিকে পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে বিএনপির নেতা–কর্মীদের হামলায় বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত করমকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব, উপপরিদর্শক (এসআই) আতিক, কনস্টবল বাবুল, বাদশা ও দেলোয়ার আহত হন তারা বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন ৩২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতশতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মমলাটি করা হয়েছে বলে জানান বানিয়াচং থানার উপপরিদর্শক শামসুল আরেফিন ।
তবে হবিগঞ্জ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জি কে গউছ বলেন, পুলিশ অন্যায়ভাবে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহির খানকে গ্রেপ্তার করেছে। সিলেটের গণসমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রচারপত্র বিলি করছিলেন। পরে তারা এক বিএনপি নতার দোকানে চা পান করতে যান। পুলিশ সেখানে হানা দিয়ে জাহির খানকে ধরে নিয়ে গেছে।
পুলিশ জনস্বার্থ বিরোধী এ কাজ করেছে বলে বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি।
আরও পড়ুন: সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে জনগণ গর্জন করছে: ফখরুল
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডা. জাহিদ, সদস্য সচিব কাদের গণি
২ বছর আগে