ঝুঁকিপূর্ণ দেশ
জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ: নেথান ফ্লুক
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্স নেথান ফ্লুক বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ।
তিনি বলেন, জলবায়ুর জন্য কৃষি উদ্ভাবন মিশন এবং গ্লোবাল মিথেন প্রতিশ্রুতির সদস্য হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে কৃষকদের খাপ খাইয়ে নিতে সমর্থন যোগাতে যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের একটি যৌথ মিশন রয়েছে।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) র্যাডিসন ব্লু হোটেলে স্মার্ট কৃষি এবং উদ্ভাবনী জৈবপ্রযুক্তির যোগসূত্র বিষয়ক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রমে অনুদানভিত্তিক অর্থায়ন চায়: পরিবেশমন্ত্রী
বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার জলবায়ু ‘স্মার্ট কৃষি এবং উদ্ভাবনী জৈবপ্রযুক্তির যোগসূত্র’ বিষয়ক এই সংলাপের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, লবণাক্ততা, খরা এবং নতুন কীটপতঙ্গের আক্রমণ কৃষকদের জন্য লাভজনক খাদ্য উৎপাদন কঠিন করে তুলেছে।
‘বাইডেন প্রশাসন জৈবপ্রযুক্তিগত উদ্ভাবনকে সুরক্ষা এবং সমর্থনের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সংলাপে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া ও তা প্রশমিত করার জন্য উদ্ভাবনী জৈবপ্রযুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: 'জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য রোবটিক্স' প্রতিযোগিতার আয়োজন করল আইইইই বাংলাদেশ সেকশন
১ বছর আগে
জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সম্প্রতি মিশরের শারম আল-শেখে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৭) বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে।
বাংলাদেশ ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ও দীর্ঘমেয়াদী জলবায়ু অর্থায়ন সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে 'নিউ কালেকটিভ কোয়ান্টিফাইড গোল অন ক্লাইমেট ফাইন্যান্স' আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জনের জন্য জোরালো আহ্বান জানিয়েছে।
মঙ্গলবার পরিবেশ অধিদপ্তরের মিলনায়তনে ‘২৭তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন: প্রত্যাশা, প্রাপ্তি এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলোকে ২০২৫ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য অভিযোজন অর্থায়ন দ্বিগুণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করবে জাতিসংঘ ও এডিবি: পরিবেশমন্ত্রী
শাহাব উদ্দিন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের রূপরেখা সম্মেলনের (ইউএনএফসিসিসি) ১৯৭টি সদস্য রাষ্ট্র দীর্ঘ আলোচনার পর ২০ নভেম্বর সকালে 'শারম আল-শেখ বাস্তবায়ন পরিকল্পনা' গ্রহণসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সম্মেলন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ মোকাবিলায় একটি নতুন তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তহবিলকে 'কার্যকরী' করার জন্য ও এর 'বিস্তারিত ব্যবস্থা' ঠিক করার লক্ষ্যে কপ-২৮ এর জন্য একটি 'ট্রানজিশনাল কমিটি' গঠন করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, সম্মেলনে ' লস অ্যান্ড ড্যামেজ' চূড়ান্তকরণ, আয়োজক নির্ধারণ ও একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দেশগুলো 'গ্লোবাল গোলস অন অ্যাডাপটেশন' নিয়ে পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে।
তিনি বলেন, 'অভিযোজন তহবিলে' ২৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) বাস্তবায়নে অর্থায়নে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কপ-২৭ এর ফলাফলে সুশীল সমাজের হতাশা প্রকাশ
এছাড়াও, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আগাম সতর্কতা ব্যবস্থার মাধ্যমে পৃথিবীর সকলকে রক্ষা করার জন্য আগামী পাঁচ বছরে তিন দশমিক এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, শারম আল-শেখ বাস্তবায়ন পরিকল্পনা বিশ্বের সব দেশ অভিনন্দনের সঙ্গে গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে বাংলাদেশের মতো আরও ঝুঁকিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ মোকাবিলায় একটি নতুন তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত রয়েছে। তবে এর সফলতা নির্ভর করবে সঠিক বাস্তবায়নের ওপর।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী প্রমুখ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: কপ-২৭: ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে অর্থ দিতে এখনও একমত হয়নি ধনী দেশগুলো
২ বছর আগে
কপ-২৭: ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে অর্থ দিতে এখনও একমত হয়নি ধনী দেশগুলো
এবারের জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৭) অংশগ্রহনকারী দেশগুলো এখনও গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ কর্মসূচির আওতায় ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি এই সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে।
সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি জিয়াউল হক ইউএনবিকে বলেন, উন্নত দেশগুলো ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ কর্মসূচির কাঠামো চূড়ান্ত করার জন্য ২০২৪ সালকে নির্ধারণ করেছে।
তিনি বলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতিসহ জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে অর্থ দেয়ার প্রাথমিক ইস্যুতে আমরা একমত হতে পারিনি। কার্বন নিঃসরণ কমাতে প্রশমন কর্মসূচির পরিধি নিয়েও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমি মনে করি না যে আমরা এই বছরের সম্মেলনে খুব বেশি অর্জন করব, কারণ ধনী দেশগুলো পুরনো ইস্যুতেই ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যস্ত।’
আরও পড়ুন: কপ-২৭ আলোচনায় সবুজ জলবায়ু তহবিল আদায়কে অগ্রাধিকার দেয় বাংলাদেশ: ইউএবনবিকে জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী
তিনি আরও বলেন যে কপ-২৭ এ অংশগ্রহনকারীরা বর্তমানে অভিযোজন ও ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ কর্মসূচির বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রার রূপরেখা প্রস্তুত করছে, যাতে পরবর্তী সম্মেলনে তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
জিয়াউল বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার বিষয়টি প্রতিটি সম্মেলনে ব্যাপকভাবে আলোচিত হলেও নীতিমালার অভাব থাকায় কেউ কোনও অর্থ প্রদান করে না। এজন্য আমরা অভিযোজন সংক্রান্ত বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছি। আশা করি পরবর্তী সম্মেলনে লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত করা হবে এবং তারপর আমরা অর্থ পাব।’
কপ-২৭ এ বিভিন্ন বাংলাদেশি প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে ইউএনবি জানতে পেরেছে যে গ্লাসগো-শারম আল-শেখ ওয়ার্ক প্রোগ্রাম অন মিটিগেশনের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো এই কাজের কর্মসূচির জন্য চাপ দিচ্ছে।
কোন দেশগুলোতে প্রথমে কার্বন নির্গমন পরীক্ষা করতে হবে তা এই কর্মসূচির আওতায় তালিকা করা হবে। এছাড়াও, এই কর্মসূচির আওতায় ২০৩০ সাল পর্যন্ত কী পরিমাণ কার্বন নির্গত হচ্ছে তার একটি সমন্বয় প্রতিবেদনও প্রস্তুত করা হবে।
এই বিষয়ে কপ-২৭ এ ৩৮টি অনুচ্ছেদের সমন্বয়ে একটি খসড়া নথি প্রকাশ করা হয়েছে। বর্তমানে অংশগ্রহনকারীরা একে সংক্ষিপ্ত করতে অনুচ্ছেদের সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করছে।
সম্মেলনে কর্মকর্তা স্তরের আলোচনা শেষ হয়েছে এবং বর্তমানে মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনা চলছে। সম্মেলনটি শুক্রবার শেষ হলে অংশগ্রহনকারী দেশগুলোর মন্ত্রীদের অনুমোদিত চুক্তি হিসেবে ‘শারম আল-শেখ সিদ্ধান্ত’ নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: কপ-২৭ সম্মেলনে লস এন্ড ড্যামেজ স্বীকৃতি পেয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন এবারের কপ-২৭ আলোচনার মূল ফোকাস: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে