আহত ১৩
গাইবান্ধায় ছাত্রদল নেতার ছুরিকাঘাতে আহত ১৩
গাইবান্ধায় ছুরিকাঘাতে বিএনপি-জামায়াতের ৬ নেতাকর্মীসহ ১৩ জনকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতা মারুফ হাসানের বিরুদ্ধে।
গোবিন্দগঞ্জে বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে চারমাথা মোড়ে অবস্থিত ফুল মিয়ার দোকানে সিগারেট চাওয়া নিয়ে ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত মারুফসহ ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের বগুড়ায় পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত ছাত্র মামা দল নেতা মারুফ হাসান শিবপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।
আহতদের মধ্যে পৌর জাসাসের আহ্বায়ক রাশেদ নিজাম রুমেল, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য জালাল মিয়া, পৌর যুব জামায়াতে বাইতুলমাল (অর্থ) সম্পাদক ফুল মিয়া, পৌর ছাত্রদলের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আশিক সরকারের নাম জানা গেছে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে ছুরিকাঘাতে আহত যুবকের মৃত্যু, আটক ১
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় পৌর শহরের ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাসাসের নেতাকর্মীরা। তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ফুল মিয়ার দোকানে ব্ল্যাক ডায়মন্ড সিগারেট চেয়ে না পাওয়ায় মারুফের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। বাগবিতণ্ডার একপর্যায় মারুফ ফোনে বন্ধুদের ডেকে ধারালো ছুরি দিয়ে ফুল মিয়াকে মারতে যান।
এসময় পাশে থাকা লোকজন এগিয়ে আসলে তাদের ওপরও আক্রমণ চালানো হয়। মারুফের ছুরিকাঘাতে ১৩ জন আহত হন।
পরে মারুফ ও তার সহযোগীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা মারুফকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। অন্যরা পালিয়ে যায়।
পরে আহতদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসকের পরামর্শে দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বলেন, ছুরিকাঘাতে আহতদের হাত, বুক ও পেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গভীর ক্ষত হওয়ায় ৮ থেকে ১০টি করে সেলাই দেওয়া হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মারুফকে আটক করা হয়েছে এবং মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: যশোরে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
১ মাস আগে
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ভ্যান খাদে পড়ে নিহত ২০, আহত ১৩
পাকিস্তানে দক্ষিণ সিন্ধু প্রদেশে যাত্রীবাহী একটি ভ্যান খাদে পড়ে অন্তত ২০ জন নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রদেশটির সেহওয়ান এলাকায় একটি মন্দিরে যাওয়ার পথে ভ্যানটি একটি প্রধান সড়ক সংলগ্ন খাদে পড়ে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেখানে ওই ভ্যানটি পড়েছিল, দুই মাস আগেও বন্যার পানি নিষ্কাশনের জন্য কর্তৃপক্ষ সেখানে বেশ কয়েকটি গর্ত তৈরি করেছিল।
আরও পড়ুন: ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ডকে 'গণহত্যা' ঘোষণা করুন: মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের রেজ্যুলেশন পেশ
এছাড়া ভারী বন্যার সময় মহাসড়কটি বন্ধ ছিল এবং সম্প্রতি ওই এলাকা থেকে বন্যার পানি কমতে শুরু করায় যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।
তবে পুলিশ জানায় যে, মহাসড়কের যে অংশে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেটি বন্ধ ছিল। রাস্তায় একটি ডাইভারশন ছিল, তবে চালক অতিরিক্ত গতির কারণে ব্যারিকেডগুলো লক্ষ্য করেনি।
এছাড়া নারী ও শিশুসহ আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: শাহরুখ ও সালমানের চেয়ে অনেক ভালো অভিনেতা ইমরান খান: পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ
ইমরান খানের ওপর হামলার নিন্দা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের
২ বছর আগে