বিদ্যুৎ সংকট
বিদ্যুৎ খাত গভীর সংকটে: রিজভী
দেশের বিদ্যুৎ খাত গভীর সংকটে নিমজ্জিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রবিবার (৩ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
বিএনপি নেতা বলেন, কাদের দাবি করেছেন দেশে শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন অথচ তার প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন আগে বলেছিলেন, দেশে স্বল্প পরিসরে হলেও লোডশেডিং থাকবে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ী চক্র দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে লুটপাটে মরিয়া হয়ে উঠেছে: রিজভী
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ সকাল-সন্ধ্যা লোডশেডিংয়ে ভুগছে অথচ তাপমাত্রা এখনো সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
বিএনপি দেশের মানুষকে উপেক্ষা করে বিদেশি প্রভুর কাছে ধর্না দিচ্ছে- কাদেরের এই বক্তব্যের নিন্দা করেন রিজভী।
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সম্ভবত স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়েছে। কারণ তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচন ভুলে গিয়েছিলেন যখন ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুজাতা সিং আওয়ামী লীগকে তাদের সমর্থন করতে এবং এইচএম এরশাদকে নির্বাচনে যোগদান করানোর জন্য বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
এটি একটি সার্বভৌম দেশে হস্তক্ষেপের স্পষ্ট লক্ষণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, জয়নাল আবেদীন (ভিপি জয়নাল), সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, সহ অর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী
৮ মাস আগে
বিদ্যুৎ সংকট: ১৯ জুন মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
অসহনীয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট সমাধানের দাবিতে ১৯ জুন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ।
এছাড়া, বিরোধী দলীয় এই প্ল্যাটফর্মটি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে দিনাজপুর অভিমুখে তাদের সাম্প্রতিক রোডমার্চে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলার প্রতিবাদে সোমবার বিক্ষোভ করবে।
রবিবার নগরীর পুরানপল্টন এলাকার মেহরাবা প্লাজায় এক সংবাদ সম্মেলনে জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ-এর বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অভাবে সারাদেশে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
হক বলেন, গত ৪-৭ মার্চ দিনাজপুরে যাওয়ার পথে বিভিন্ন এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা তাদের রোডমার্চ কাফেলার ওপর হামলা চালায়।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘এসব হামলা প্রমাণ করেছে যে আওয়ামী লীগ সরকার এখন জনরোষের সম্মুখীন হওয়ার ভয়ে ভুগছে। তারা ক্ষমতা হারানোর ভয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।’
আরও পড়ুন: বগুড়ায় গণতন্ত্র মঞ্চের রোডমার্চের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ
হক বলেন, সরকার এখনও দমন ও পীড়ণমূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিয়ে এবং প্রশাসন ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।
তিনি দাবি করেন, সরকার, পুলিশ প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দলের এত বাধা, হামলা, উসকানি সত্ত্বেও তাদের রোডমার্চ সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন পেয়েছে।
গণতন্ত্র মঞ্চের এই নেতা বলেন, রোডমার্চের সময় হাজার হাজার মানুষ প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও তাদের সমাবেশে অংশ নিয়েছিল, বর্তমান ফ্যাসিবাদী শাসনের দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে শক্তিশালী লড়াই করার চেতনা প্রদর্শন করেছিল।
তিনি বলেন, ‘মানুষ তাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া বর্তমান দুর্নীতিবাজ, গণবিরোধী, দখলদার সরকারের হাত থেকে অবিলম্বে মুক্তি চায়। জনগণ এই সরকারকে আর নিতে পারবে না। তারা অধীর আগ্রহে পরিবর্তনের অপেক্ষায় আছে।’
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনে ব্যাপক পরাজয়ের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ
সরকারবিরোধী আন্দোলন: গণতন্ত্র মঞ্চের ৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
১ বছর আগে
বিদ্যুৎ সংকট নিরসনের চেষ্টা চলছে: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ দেশব্যাপী বিদ্যুৎ সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন যে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
শনিবার বিকালে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইলেকট্রনিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধীনে নবায়নযোগ্য জ্বালানি গবেষণা ল্যাবরেটরি ও ট্রেনিং সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও জানান, চলমান কয়লা সংকটের কারণে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকায় লোডশেডিং আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় গ্রিডে প্রতিদিন দেড় হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হচ্ছে। বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকায় লোডশেডিং আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।
নসরুল হামিদ বলেন, জাতীয় গ্রিডে প্রতিদিন দেড় হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হচ্ছে।
বিপিডিবির সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, সারাদেশে সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৬৪৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হওয়ায় দিনের বেলায় ১৪ হাজার মেগাওয়াটের চাহিদা মেটাতে দেশে ২ হাজার ৩৫৩ মেগাওয়াট ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে দেশে আড়াই হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হয়েছে, যা ভোক্তাদের কাছ থেকে তুলনামূলকভাবে কম চাহিদা থাকায় সপ্তাহান্তে বিরল।
এ সময় অনুষ্ঠানে শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সবুর খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১ বছর আগে
আগামী মাস থেকে বিদ্যুৎ সংকটে খুব একটা ভুগতে হবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী মাস থেকে বিদ্যুত সরবরাহ সংকটে জনগণের খুব একটা কষ্ট হবে না।
তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে জ্বালানি কেনা এবং গ্যাস আনা কঠিন। শুধুমাত্র আমাদের দেশেই নয়, ইংল্যান্ড, আমেরিকা এবং জার্মানি সর্বত্রই জ্বালানি সাশ্রয়ের দিকে মনোযোগ দেয়া হচ্ছে। তারা সংগ্রাম করছে (বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে)। তাই আমাদেরও কিছু দিন কষ্ট করতে হয়েছে। ইনশাআল্লাহ, আগামী মাস থেকে হয়তো এমন কোনও দুর্ভোগ থাকবে না।’
আরও পড়ুন: ইসলামের অপব্যাখ্যা প্রতিহত করুন: হজ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জ্বালানি ও পানি ব্যবহারে সবাইকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। ‘আপনাকে মিতব্যয়ী হতে হবে। কারণ, পুরো বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন। আমরা এর প্রভাব থেকে মুক্ত নই।’
‘পরিস্থিতি ভয়ানক’ উল্লেখ করে তিনি খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।’
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি নিজেদের উৎপাদন বাড়াতে পারি তাহলে বাংলাদেশে কখনও দুর্ভিক্ষের তাপ মোকাবিলা করতে পারব না।
ভর্তুকি মূল্যে দরিদ্রদের খাদ্য সরবরাহের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সব জিনিস বেশি দামে কিনছি, কিন্তু কম দামে মানুষকে সরবরাহ করছি যাতে কেউ খাবারের সমস্যায় না পড়ে।
আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সব কাজ মানুষের কল্যাণের জন্য। আমরা এখানে নিজেদের ভাগ্য গড়তে আসিনি, আমরা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য গড়ছি।
আ. লীগ ক্ষমতায় আসার আগে প্রকৃত গণতন্ত্র ছিল না
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল ৫০ শিল্প ও অবকাঠামো উদ্বোধন করবেন
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে জনগণ দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করেনি।
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে এদেশের মানুষের প্রকৃত গণতন্ত্র বা গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু করেছি।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়েছে, যা আমাদের (আ.লীগ) আন্দোলন ও সংগ্রামের ফলাফল হিসেবে এসেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে সব রাজনৈতিক দল রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছে। তিনি বিএনপি’র শাসনামলে নির্বাচনী অনিয়ম ও দুঃশাসনের জন্য সমালোচনা করে বলেন, ‘আমরা এই ধরনের সুযোগ নিশ্চিত করেছি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত যদিও দেশের কিছু মানুষ তাদের চোখে কোনও উন্নয়ন দেখে না।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা কিছুই পছন্দ করে না। তারাও এই গণতান্ত্রিক সরকার পছন্দ করবে না। যদি কোনও অগণতান্ত্রিক ঘটনা ঘটে (অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসে), তাদের মূল্য বেড়ে যায়।’
তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরও নিরবচ্ছিন্ন গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং বিশ্বে আবারও মর্যাদা অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরের উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
২ বছর আগে